রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬

মুসলিমরা “মডারেট” হয়ে যায় কেন?

কোন মন্তব্য নেই:

মুসলিমরা “মডারেট” হয়ে যায় কেন?
.
কুরআনে আল্লাহ আয্ ওয়াজাল এর উত্তর দিয়েছেন এভাবে, “নগরীতে কাফিরদের চাল-চলন যেন তোমাদেরকে ধোঁকায় না ফেলে। এটা তো সামান্য ফায়দা মাত্র, এরপর তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। আর সেটি হলো অতি নিকৃষ্ট অবস্থান।” [আল’-ইমরান: ১৯৬-১৯৭]
.
বর্তমানে কাফিরদের চালচলনের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ধোঁকা হচ্ছে সেকুলারিসম। অধিকাংশ মানুষ সেকুলারিসমের গোড়ায় না গিয়ে শুধুমাত্র এর রঙচঙ মাখা মেকি শ্লোগানের ধোঁকায় পড়ে এবং মডারেট হয়ে যায়। তারা সেকুলারিসমের রেসিস্ট চিন্তা-ধারাকে এড়িয়ে মেকি সাম্যবাদের মাধ্যমে কুফফারদের সাথে ডিল করার পন্থা এডপ্ট করে মডারেট হয়ে যায়। সেকুলারিসমের কথিত সাম্যবাদ যে একটি ইউটোপিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়, সেটা আপনি সেকুলারদের রেসিসম দেখলেই বুঝতে পারবেন, যেটা বিশ্বকে তারা বারবার উপহার দিয়ে আসছে। তাদের রেসিস্ট চিন্তা-ভাবনা এবং আচরণের উদাহরণের কমতি নেই। আর এগুলো গবেষণা করলে দেখতে পাবেন যে ইসলামের বিরুদ্ধে এর রেসিস্ট কার্যকলাম অন্য কোনসব কিছুর তুলনায় অনেক অনেক বেশি। তখন বলতেই হয় যে, ইসলামকে এনকাউন্টার করার জন্যেই সেকুলারিসমের সৃষ্টি, কারণ কুফফারদের নিজস্ব পঁচে যাওয়া ধর্ম দিয়ে ইসলাম এবং মুসলিমদের এনকাউন্টার করা কখনোই সম্ভব নয়।
.
কুফফাররা মুসলিমদের শিক্ষিত করার নাম করে তাদের মাঝে সেকুলারিসমের বীজ ছিটিয়ে দিয়েছে। অথচ মুসলিমরা তাদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং সমৃদ্ধ ছিল। তারাই মুসলিমদের ধ্বংস করেছে, তাদের সম্পদ লুন্ঠন করেছে। আর এখন তারাই আবার মুসলিমদের উন্নতি করতে চায়? কখনোই না! এটা একটা অভিনয়, এর মাধ্যমে তারা আমাদের চিরদিন তাদের দাস বানিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু মুসলিমরা তো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলার দাস! তো সর্বদা একটি দল কোনভাবে কুফফারদের দাসত্বের বাহিরে থেকেই গেছে এবং কুফফারদের দৌড়ের উপর রেখেছে।
.
সেকুলারিসমের উৎপত্তির ধরণটা যেমনই হোক না কেন, কোন সময়েই তা ইসলামকে সহ্য করে না, বরং সেকুলারিস্টরা মুশরিকি প্যাগান কালচারকে বিভিন্ন ভাবে প্রমোট করে থাকে। সেকুলারদের কখনোই আপনি দেখবেন না যে ইসলামের প্রতি সহনশীল, হয়ত সর্বদা প্রকাশ করে না। তাই নাস্তিক নয়, মূল শত্রুরা হচ্ছে সেকুলাররা। নাস্তিকতা তো সেকুলারিসমের একটা সাবসেট মাত্র! অনেকে বলতে পারেন যে কুফফার প্রধান দেশগুলোতে সেকুলারিসমই তো মুসলিমদের একমাত্র অবলম্বন। আস্তাগফিরুল্লাহ!! মুসলিমদের অবলম্বন সর্বদাই আল্লাহ তা’আলার দেয়া ইসলাম। আল্লাহ কি আমাদের পালনকর্তা নন? বরং কুফফার প্রধান দেশে মুসলিমদের সেকুলারিসমের দিকে ঝুকানোর কৌশলটাই তো সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ। আল্লাহর উপর ভরসা করার বদলে তারা এখন সেকুলারিসমের মত ধোঁকার উপর ভরসা করে। দ্বীন ইসলামের বদলে দ্বীনে সেকুলারিসমের শিক্ষা-দীক্ষা করে। এটাই তো শয়তানের ধোঁকা, এটাই তো নগরীতে কাফিরদের চালচলনের ধোঁকা!
.
মানুষ যেমন এখন নাস্তিক কথাটাকে একেবারে সহ্য করতে পারে না, এমনকি নাস্তিকরাও নিজেদের পাবলিকলি নাস্তিক বলে পরিচয় দিতে ভয় পায়, সেকুলার শব্দটিকে ঠিক তেমন নেতিবাচক লেবেলিং করে সমাজে ছড়াতে হবে, যেন সেকুলাররা নিজেদের পাবলিকলি সেকুলার পরিচয় দিতে ভয় পায়। নতুন প্রজন্মের অনলাইন ব্যবহারকারীদের কাছে কিন্তু এই বিষয়টা তুলে ধরা খুব বেশি কঠিন কাজ না। আর আল্লাহই ভালো জানেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top