রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬

আপনার সংশয়

কোন মন্তব্য নেই:

#আপনার সংশয়:
.
১."কেউ বলছে তারবিয়্যাত হচ্ছে জিহাদের পূরবে অবশ্য করনীয় একটি শরত।অতএব, এটি ছাড়া জিহাদ করা যাবেনা। "
.
২."অন্যরা বলে আমরা এখন মক্কী জীবনের মত অবস্থায় আছি।অতএব এখন কোন জিহাদ নেই।"
.
এটা কি যুক্তিসংগত????
.
.
.
#নিরসন::
উত্তর:
বোঝার সুবিধার্থে এবার প্রশ্নটি একটু পরিবরতন করা যাক। যদি কেউ রমাদান মাসে মুসলিম হয়,তবে কি আপনি তাকে বলবেন যে,রোযা রাখার পুরবে তাকে তারবিয়্যাত করতে হবে??
.
তাকে কি বলবেন যে,আমরা এখন মক্কী জীবনের অবস্থায় আছি অতএব, আপনাকে রোযা রাখতে হবে কেন????
.
রোযা শুরু করার আগে আপনার ঠিক ১৫ বছর সময় আছে, কারন সেই সময়ই রোযার আদেশ এসেছিল।
অতএব,এর আগে রমাদানে একটি রোযাও না রেখে খাওয়া দাওয়া চালিয়ে যেতে পারেন।
.
এটা আসলে কথার কথা।এমনটি কিন্তু কেউই বলেনা। তাহলে কেবল জিহাদের বেলায় কেন আমরা এমনটি বলি?
.
এর মধ্যে পার্থক্য কোথাই, যেখানে জিহাদের হুকুম ও সিয়ামের হুকুমের ধরন একই???
.
"তোমাদের উপর সিয়ামের বিধান দেয়া হল......"
"তোমাদের উপর কিতালের বিধান দেয়া হল......"
দু'টি বিধানই সূরা বাকারায় এসেছে।
.
"তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেয়া হল" এবং "তোমাদের জন্য কিতালের বিধান দেয়া হল",
তাহলে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য করছি কেন???
.
সত্যি বলতে গেলে,
সিয়ামের বিধান জিহাদের পরে এসেছে।
সিয়ামের বিধান এসেছে নব্যুয়তের ১৫ বছর পর আর জিহাদের বিধান এসেছে নব্যুয়তের ১৩ বছর পর।
এদের মধ্যে দুই বছরের পার্থক্য কেন??
.
অতএব,
যুক্তিসংগত কথা বললে বলতে হয়,
সিয়াম পালনের পূর্বে তারবিয়্যাহ করতে হবে।
.
আমরা কিভাবে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর পুরবে তারবিয়্যাহর বিধান দিই,
যেখানে রাসুল (সা:) তা করেন নি??
.
যখন কেউ মুসলিম হত,
তিনি কি তাকে শাইখদের কাছে পড়তে বলতেন এবং এরপর সে জিহাদ করার উপযুক্ত হত???
.
তিনি কি বলতেন জিহাদ করার পুরবে তোমার আরবী শিখতে হবে অথবা বিদেশে গিয়ে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করে আসতে হবে????
.
.
.
#বই:ইসলামের পথে যা কিছু অপরিবর্তনীয়।
লেখক:শায়খ ইউসুফ আল উয়াইরী  রহিমাহুল্লাহ।
পাতা নং:২৭।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top