রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬

ক্রুসেডের সময় খ্রিষ্টানরা মুসলিম

কোন মন্তব্য নেই:

ক্রুসেডের সময় খ্রিষ্টানরা মুসলিম যুবকদের জিহাদ হতে বিরত রাখতে অনেক কৌশলের অংশ নিত, যার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর ছিল তাদের চরিত্র নষ্ট করে দেয়া! তারা বিভিন্ন লোককে আ'লিম হিসেব ট্রেইন আপ করত, এবং মুসলিমদের মাঝে পাঠাত যেন তারা জিহাদের ভুল ব্যাখ্যা, এবং জনগণকে ক্রুসেডরদের বিরুদ্ধে জিহাদ থেকে বিরত রাখে!
.
তারা জনগণের মাঝে মুসলিম সেনাবাহিনী তথা মুজাহিদদের ব্যাপারে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে দিত, এবং জনগণকে এদের সাথে মিলে ক্রুসেডরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাকে অনর্থক বলে প্রচার করত, কিন্তু সালাহ আদ-দ্বীনের মত শাসক থাকার কারণে তারা একাজে বেশি সুবিধা করতে পারছিল না!
.
তারা শুরু করল এক নোংরা খেলা! তাদের লোকেরা মুসলিমদের বাজারে বাজারে গোপনে জুয়া খেলার আসর বসাত। তারা সেখানে ইউরােপ থেকে অশ্লীল তৈল চিত্র প্রদর্শনী করত, এবং মাদক দ্রব্যের আসর বসাত! মুসলিম যুবকদের তারা এভাবে এসবের প্রতি গোপণে আসক্ত করে তুলছিল, যেন তারা তাদের পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলে এবং জিহাদের যোগদান করতে ব্যর্থ হয়!
.
শুধু তাই না, তারা বিভিন্ন ব্যাভিচারী মেয়েদের পাঠাত মুসলিমদের চরিত্র নষ্ট করতে, সবচেয়ে দুঃখজনক ছিল যে তারা ছোট ছোট মুসলিম মেয়েদের কীডনাপ করে নিয়ে যতে এবং ব্যভিচারিনী হিসেবে গড়ে তুলে আবর মুসলিমদের মাঝেই পাঠাত, যেন তাদের দিয়েই তাদের ভাইদের চরিত্র নষ্ট করা যায়!
.
বিশ্বাস করুন, বর্তমান অবস্থা আরো অনেক বেশী ভয়ংকর। এখন তারা আমদের মেয়েদের আর কীডনাপ করে না, বরং আমরাই আমাদের মেয়েদের তাদের হাতে, অথবা তাদের কুকুরদের হাতে তুলে দিয়ে আসি, এবং তারা আমাদের মেয়েদের আধুনিকতার নামে একেক জনকে মানসিকভাবে বেশ্যা হিসেবে তৈরী করছে। আমরা আমাদের ছেলেদের তাদের হাতে তুলে দিয়েছি যারা কিনা আল্লাহর পথে যুদ্ধ ছেড়ে দিয়ে কিভাবে এই বেশ্যাদের পিছনে সময় নষ্ট করা যায় সেই ধান্ধায় থাকে!
.
এইজন্যে বলি যে একজন মার্কিন অথবা ভারতীয় সৈন্যের চেয়ে একজন হলিউড কিংবা বলিউড অভিনেত্রী আমাদের জন্য অনেক বেশী ভয়ংকর, কারণ একজন সৈন্য আপনাকে খুন বেশী হলে মেরে ফেলতে পারে, অথব ওই অভিনেত্রীরা আপনার ঈমান-আক্বীদাহ ধ্বংস করে দ্বীন-দুনিয়া সবই ধ্বংস করতে পারে।
.
এখন আর গোপণে অশ্লীল তৈলচিত্র লাগে না, ক্রুসেডর এবং তাদের কুকুরেরা প্রকাশ্যেই মুসলিম অশ্লীল চলচিত্র দেখাচ্ছে! আমাদের মেয়েদের আর কষ্ট করে কীডানাপ করা লাগে না, বরং আমাদের মেয়েরাই নিজেরাই ছুটে যায় তাদের কাছে যে, কিভাবে সমাজে অশ্লীলতা আর অশালীনতা ছড়িয়ে লজ্জা নামক বস্তুটাকে সমাজ থেকে উঠিয়ে একটি লুইচ্চা প্রজন্ম তৈরী করা যাবে!
.
একটি লুইচ্চা প্রজন্ম তৈরী করার পিছনে যারা থিংক ট্যাঙ্ক, তারা কিন্তু অতি সাধু সেজে থাকে, নারী অধিকার নিয়ে খুব চেঁচামেচী করে! আসলে এটা তাদের অভিনয়, যেন তাদেরকে মানুষ সন্দেহ না করে। তারা আসলে যে নারী অধিকারের নামে নারীর অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছে যা মহান আল্লাহ আয্ ওয়াজাল তাদের দিয়েছেন এবং মুসলিম যুবকদের এই নারীদের পিছনে মিথ্যা প্রেম-ভালোবাসার নামে লেলিয়ে দিয়েছে।
.
এইসব কিছু তাদের কুফফার প্রভুদের স্বার্থে। কারণ মুসলিম যুবকরা জিহাদ শুরু করলেই ইসলাম আবার দুনিয়ার বুকে রাজত্ব শুরু করবে এবং তাগুতের অহংকারের মসনদ ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top