রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬

আল্লাহর নবীর সম্মান নিয়ে কথা বলবে,তাকে হত্যা করার জন্য প্রয়োজনে আমরা জান দিব।তবুও নবীর দুশমনদেরকে কতল করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ।

কোন মন্তব্য নেই:

সেইজন্য মনে রাখতে হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা:) এর চরিত্র নিয়ে আমাদের দেশে কথা হচ্ছে।
.
এই কয়েকদিন আগে মানিকগঞ্জের গিওরে এক স্কুল টিচার আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (সা:) এর সমালোচনা করেছেন।
.
এইদেশে এত আশেকে রাসুল,
এত পীরের মুরিদ,এত খানকে ওয়ালা, আল্লাহর নবীর এত উম্মত দাবীদার,আর সেই দেশে বসে একটা হিন্দু টিচার স্কুলের ছাত্রদের সামনে বসে বলেছে কুরান মুহাম্মদ (সা:) এর মনগড়া তৈরি কথা।মুহাম্মদ (সা:) একটা অসৎ মানুষ ছিল।
.
ওহ মুসলমান জাতি! যারা আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সা:) উপর কথা বলে তখন তার শাস্তি  হচ্ছে দুনিয়া থেকে তাকে বিদায় করে  দেয়া।
.
ইতিহাস পড়ুন।কেবল আশেকে রাসুল আমাদের দেশে যখনই কোন নাস্তিক-মুরতাদ  মাথা গজাই তখনই আমাদের দেশের আলেমরা তার বিরুদ্ধে মিছিল করে আর মিছিল করার কারনে তার মরযাদা বেড়ে যায়।সরকার তাকে পুলিশ পাহাড়া দেই।এরপরে দুনিয়ার সমস্ত কাফেরগুলো তাকে নিরাপত্তা দেয়।
.
তাসলিমা নাসরীন কে ছিল?
একটা ডাস্টবিনের মহিলা।
হুমায়ন আজাদ কে ছিল?
একটা শয়তান নাস্তিক।
আহমেদ শরীফ কে ছিল?নাস্তিক,মুরতাদ। এইসব শয়তানগুলো যখন আল্লাহর নবীর বিরুদ্ধে,কুরানের বিরুদ্ধে বই লেখল,সমালোচনা করল,তখন দুনিয়ার সমস্ত কাফের মুশরিকরা তাদের নিরাপত্তা দিল।তাদেরকে স্থান দিল।তাদেরকে ডেকে বাহবা দিয়েছে।
.
যেন বর্তমান যুগে কেউ যদি দুনিয়ার কাছে প্রিয় হতে চাই,আমেরিকা ইউরোপ খ্রিস্টানদের কাছে প্রিয় হতে চাই,যেন তার জন্য সবচেয়ে সহজ কাজ হল আল্লাহ্‌র নবীকে গালি দেয়া,
কুরানকে গালি দেয়া।
আল্লাহকে গালি দেয়া।
.
ওহ আমার জাতি ইতিহাস পড়ুন!
যখন মক্কা বিজয় হল, আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সা:) ইতিহাস আপনারা জানেন আমি এখানে বহুবার আলোচনা করেছি।মক্কা বিজয় করলেন।মক্কায় ঢুকে প্রথমে মুরতি ভাংলেন।এরপরে দেখলেন মক্কার সব লোকেরা মসজিদুল হারামের সামনে বসে আছে।একটা হুকুম দিলে সমস্ত গরদান গুলো উড়ে যাবে।
.
আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সা;) সেই সময়ে লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন ওহ মক্কার লোকেরা তোমরা তো সেই লোকগুলো যারা আমাকে হত্যা করার জন্য ঘেরাও করেছিলে,আল্লাহ আমাকে হেফাজত করেছেন।
.
তোমরা তো সেই লোকগুলো যারা আমার মহিলা সাহাবী সুমাইয়াকে লজ্জাস্থানে বর্শা নিক্ষেপ করে হত্যা করেছিলে,
.
তোমরাতো সেই লোকগুলো যারা বেলালকে উত্তপ্ত বালুর উপরে শুইয়ে দিয়ে উপরে পাথর চাপা দিয়ে নিচে জ্বলন্ত আংগার দিয়ে কস্ট দিয়েছ।
.
তোমরা সেই লোকগুলো যারা খোবায়েবকে ফাসি দিয়েছিলে আজকে তোমরা আমার কাছ থেকে কেমন বিচার আশা করছ?????
.
মক্কার লোকেরা বলে উঠল,আমরা একজন উত্তম ভ্রাতা,উত্তম ভাইয়ের থেকে,উত্তম চাচার থেকে যা আশা করা যাই তাই করছি। আল্লাহর রাসুল (সা:) বলেছিলেন,আজকে আমি সেই কথাই বলছি যা বলেছিল আমার ভাই ইউসুফ আ:) তার ভাইদের ব্যাপারে বলেছিলেন।তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোন ক্ষোভ নেই।আমার কোন প্রতিশোধ নেয়ার ইচ্ছা নেই।আমি তোমাদের সকলকে সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করলাম।যাও তোমাদের সকলকে আমি সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করলাম।
.
কিন্তু জেনে রাখবেন,এই সাধারন ক্ষমা ঘোষনার মধ্য থেকে ১৪ জন লোককে বাদ দেয়া হয়েছিল।এরমধ্যে একজন ছিল ইবনে খতল।যেই লোকটা আল্লাহর নবীকে গালি দেয়ার জন্য দুইটা নারীকে ক্রয় করেছিল।
গায়িকা মহিলা ক্রয় করেছিল।
.
আল্লাহ্‌র নবী যখন মক্কা বিজয় করলেন,এই সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করলেন,সেইদিন তিনি বললেন সমস্ত মানুষকে ক্ষমা করলাম কিন্তু এই সমস্ত লোক যারা আমাকে গালি দিয়েছে, রাসুলকে যারা গালি দিয়েছে,তাদের কোন ক্ষমা নাই।তাদের যেখানে পাও সেখানে হত্যা করে দাও।
.
আল্লাহর নবী ক্ষমা ঘোষনা করে কয়েকজনকে বাদ দিলেন। এবারে তিনি বসে আছেন।এখনো পরয্যন্ত যুদ্ধের পোষাক তিনি খুলেন নি।
.
আল্লাহর নবীকে বলা হল,ইয়া রাসুলুল্লাহ!আপনাকে যে ব্যক্তি গালি দিয়েছিল,আপনাকে গালি দেয়ার জন্য যে দুইটা বান্দি ক্রয় করেছিল সেই ইবনে খাতাল এখন বাচার জন্য  কাবার গিলাফ ধরে ঝুলে  আছে।কাবার ব্যাপারে কুরান বলছে,যেই ব্যক্তি হারামের এই সীমানায় ঢুকবে সে নিরাপত্তা লাভ করবে।কিন্তু ওই লোকটা কাবার গিলাফ ধরে ঝুলে আছে আমরা কি করব??
.
আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (সা:) বলেছিলেন, ফাক্বতুলুহু।ওই ইবনে খাতালকে মক্কার গিলাফ ধরা অবস্থাই কতল করে দাও।
.
কারন যেই ব্যক্তি আল্লাহর নবীকে গালি দিয়েছে,আল্লাহর নবীকে গালি দেয়ার জন্য বান্দি ক্রয় করেছে সেই ব্যক্তির আর দুনিয়ায় বেচে থাকার অধিকার নেই।
তাকে কোন ক্ষমা স্পর্শ করতে পারেনা।
.
সুতরাং এই বাংলাদেশে বসে আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন গত দুইদিন আগে একটা হাই স্কুলের হেড মাস্টার আল্লাহর নবীর চরিত্র নিয়ে কথা বলেছে।আর এই দেশে লক্ষ লক্ষ নবীর উম্মত রয়েছে,এইদেশে আশেকে রাসুল সম্মেলন হচ্ছে,আর সেই দেশে বসে একটা হিন্দু কাফের আমার প্রানের চেয়ে প্রিয় নবীকে গালি দিয়ে জীবিত থাকবে বরদাস্ত করা যেতে পারেনা মুসলমান।
.
কাজেই আমি ঘোষনা করছি,এই বাংলাদেশ থেকে আল্লাহর নবীর দুশমনদেরকে,যারা নবীকে গালি দিবে,তাদের বিরুদ্ধে একদল সৈনিক আমি চাই যারা কোন মিছিল করবেনা,মিটিং করবেনা বরং নিজের জান দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে,আল্লাহর নবীর দুশমনদেরকে কতল করার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
.
কে কে রাজি আছেন ভাইয়েরা আমার?
আল্লাহ কে ধোকা দিওনা।
মসজিদ স্বাক্ষী,আল্লাহ স্বাক্ষী আমি তালিকা করব সারা বাংলাদেশের।
.
যারা আল্লাহর নবীর ইজ্জত, আল্লাহর নবীর সম্মান নিয়ে কথা বলবে,তাকে হত্যা করার জন্য প্রয়োজনে আমরা জান দিব।তবুও নবীর দুশমনদেরকে কতল করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ।
.
.
.
আমার প্রান প্রিয় শাইখ মুফতি জসীমুদ্দিন রহমানি হাফিযাহুল্লাহর জ্বালাময়ী ভাষন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top