মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬

#আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহ:) একজন বড় মুহাদ্দিস ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

#আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহ:) একজন বড় মুহাদ্দিস ছিলেন।
.
তিনি যখন যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করছিলেন উনার কোন ছাত্র বলেছিল হুজুর আপনি কেন যুদ্ধের ময়দানে কষ্ট করছেন আপনিও তো পারেন ওই সময়কার সবচেয়ে বড় বুজুর্গ ফোজাইল ইবনে আয়াস মক্কাই থাকতেন।
মক্কাই থাকার যে কত বড় ফযিলতের বিষয় জানতেন।
এক রাকাত নামাজ পড়লে লক্ষ রাকাত নামাজের সওয়াব পাওয়া যাই,জমজমের পানি খাওয়া যাই,বায়তুল্লাহ তওয়াফ করা যাই, হাজরে আসদ চুমা দেয়া যাই,মুলতাদানকে জড়িয়ে ধরা যাই,কমপক্ষে আল্লাহর নবী যে জমিনে হাটাহাটি করেছেন সেই জমিনে হাটা যাই।
এতবড় ফযিলত এর কাজ আপনিও তো করতে পারেন।
কেন আপনি যুদ্ধের ময়দানে কাজ করছেন??
.
সেই সময় আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহ:) ওই বুজুর্গ ফোজাইল ইবনে আয়াস কে উদ্দেশ্য করে একটি পত্র লেখলেন।
.
তিনি বলেছেন,ওহে মক্কা মদীনার ইবাদতকারী, আবেদুল হারামাইন,ওহে মক্কা মদীনার আবেদ তুমি নিসচয় বড় ইবাদত করছ কিন্তু জেনে রাখ,তুমি যদি আমাদের ইবাদত দেখতে তাহলে আমাদের ইবাদতের তুলনায় তোমার ইবাদতকে খেলনা ছলনা ছাড়া কিছুই মনে করতে না।
.
কারন তুমি মক্কায় বসে ইবাদত করছ আর গোটা দুনিয়া থেকে ইসলাম বিদায় হচ্ছে। আল্লাহর নবী মক্কা ত্যাগ করেছিলেন, সাহাবায়ে কেরাম মক্কা ত্যাগ করেছিলেন।
তারাওতো ফযিলত জানতেন,তারা ত্যাগ করে দুনিয়ার ওহুদে,বদরে,খন্দকে লড়াই করেছেন।
.
আজকে তুমি মক্কাই বসে ইবাদত করছ, লক্ষ রাকাতের সওয়াব বুঝতে পারলা,সাহাবায়ে কেরাম সেটা বুঝেন নাই তারা ময়দানে চলে গিয়েছিল।কাজেই জেনে রাখ,তুমি যে ইবাদত করছ তা আমাদের ইবাদত এর তুলনায় তা খেলনা ছলনা মাত্র।
.
এরপর তিনি এই পরযন্তই লেখে খান্ত হন নি,আরো লেখলেন,
.
তুমি যখন ইবাদত করতে করতে জজবা চলে আসে, তখন তোমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়,গাল ভিজে যায়,জামা ভিজে যায় তোমার চোখের পানি দিয়ে।ভাল কথা চোখের পানি ভাল।কিন্তু জেনে রাখ আমরা যখন ইবাদত করতে করতে জজবায় চলে আসি, আমরা যখন যুদ্ধের ময়দানে দুশমনদেরকে কতল করতে করতে জজবায় চলে আসি,তখন আমাদের চোখের পানি নই,আমাদের রক্ত দিয়ে, আমাদের মাথা ভেংগে, আমাদের গাল ভেংগে, দাত ভেংগে, শরীর যখম হয়ে তার রক্ত দিয়ে আমাদের গাল ভিজে যায়,জামা ছিড়ে যায়।
.
তুমি যখন ইবাদত করতে বস,
দামি আতর লাগিয়ে,সুগন্ধিযুক্ত আতর লাগিয়ে তুমি বস।
ভাল কথা তোমার আতরের সুগন্ধির ভাল মর্যাদা আছে।নবীজি আতর ব্যবহার করেছেন।কিন্ত জান্নাত এর কোন গ্যারান্টি নেই।আর আমাদের আতর হচ্ছে কি শুন। আমাদের আতর হচ্ছে যুদ্ধের ময়দানের ধুলা বালু এবং আমাদের রক্ত এইসব মিলে ওইখানে আতর তোইরি হয়ে যায়। আর জেনে রাখ,তোমার আতরের জন্য জান্নাতের গ্যারান্টি  না হলেও আমার আতরের জন্য জান্নাতের গ্যারান্টি আছে।আল্লাহর নবী (সা:) বলেছেন,এক ব্যক্তির নাকের মধ্যে আল্লাহর রাস্তার ধুলা বালু আর জাহান্নামের আগুনের ধোয়া একত্র হবে না।
.
জেনে রাখ,তোমাদের ঘোড়াগুলো তুমি বুজুর্গ মানুষ তোমার হাদিয়া তওফা টানতে টানতে ক্লান্ত হয়ে যায়,আর আমাদের ঘোড়াগুলো আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায়।
.
জেনে রাখ,তুমি যত বড় বুজুর্গই হও,তুমি যখন মারা যাবে তখন তোমার শরীর থেকে কাপড় গুলো খুলে ফেলা হবে,তোমাকে লেংটা করা হবে,নতুন কাপড় দেয়া হবে।আর আমি যদি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করতে করতে  শহীদ হইয়ে যাই, আমার সেই রক্তমাখা জামাকাপড় আমার পুরাতন লুংগি আমার কাপড় চোপড় অবস্থাই আমাকে কবর দেয়া হবে।আমার কাপড় চোপড় খুলা হবেনা।রক্তগুলো ধুয়া হবেনা। কারন কেয়ামত এর মাঠে আমি যখন উঠব আমার যখমগুলো তাজা হয়ে যাবে।আল্লাহর হাবীব বলেছেন, এই যখম তাজা হবে, রংটা হবে রক্তের রং,ঘ্রানটা হবে কিসের???
মিস্কম্বর এর ঘ্রান।
.
এরপর তিনি লিখেছেন,তোমার জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষ হাজির হবে,কারন তুমি জগতবিখ্যাত পীর ও বুজুর্গ।কিন্তু জেনে রাখ,তোমার জানাযায় লক্ষ লক্ষ লোকের প্রয়োজন আছে, আমার জানাযায় লোক হবেনা।কারন যেকোন মুহুরতে হামলা আসতে পারে।জেনে রাখ,তোমার জানাজায় লোকের প্রয়োজন আছে কারন তুমি মরে যাবে।আমার জানাযায় লোকের প্রয়োজন নাই কারন আমি জীবিত।
আল্লাহ কুরানে বলেছেন, যারা আল্লাহর রাস্তায় জীবন দেয়, আল্লাহর রাস্তাই শহীদ হই তোমরা তাদের মরে গেছে বল না।
বরং তারা চিরঞ্জীব হয়ে আছে।
.
সুতরাং আমি বলতে চাই,
বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ হল ওই সময়ে যারা যুদ্ধ করেছে নিজেদের দেশের জন্য,নিজেদের ভুমির জন্য তারা যদি বীর মুক্তিযুদ্ধা হতে পারে,ভাল সন্তান হয়ে থাকে, তাহলে একিরকম,
.
আফগানিস্থানে যারা নিজের দেশ রক্ষার জন্য,নিজের ধরম রক্ষার জন্য,
.
কাশ্মীরে যারা নিজের দেশ রক্ষার জন্য,নিজের ধরম রক্ষার জন্য,
.
ইরাকে যারা নিজের দেশ রক্ষার জন্য,নিজের ধরম রক্ষার জন্য,
.
ফিলিস্তিনে যারা নিজের দেশ রক্ষার জন্য,নিজের ধরম রক্ষার জন্য লড়াই করছে তারা এইযুগের বীর মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবেনা কেন????????????????
.
তোমার দেশের জন্য যুদ্ধ করলে যদি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে,আজকে যারা আফগানিস্তানে,কাস্মীরে,ফিলিস্থিনে যারা যুদ্ধ করছে,তারা এই যুগের সবচেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ঠিক কি না???
.
আজকে তাদেরকে আমার দেশের সাংবাদিকরা লেখে এরা জংগীবাদি।যখন আমেরিকান সোইন্য মারা যায়,তখন লেখে আমেরিকান সোইনিক মারা গেছে।আর যখন কোন মুজাহিদ মারা যায় তখন বলে কয়েকজন সন্ত্রাসী, জংগী মারা গেছে!!!
.
ওহ আমার জাতি!
ইহুদী খ্রিস্টানেরা মুসলমানদের কুরানের ভাষা কে,হাদিসের পরিভাষা কে পরিবরতন করে দিয়েছে। এখন তারা জিহাদের তরজমা করছে জংগীবাদি দিয়ে।সেজন্য আমাদেরকে মনে রাখতে হবে,এই কুরানকে, এই বুখারীকে আজকে বুখারী শরিফ যে দেশে বসে লেখা হয়েছিল সেখানে ইসলাম নেই।আমাদেরকে এজন্য আবার তোইরি হতে হবে।
.
.
.
#আমার প্রান-প্রিয় শাইখ মুফতি জসীমুদ্দিন রহমানি হাফিযাহুল্লাহর বয়ান।

ফেক সালাফি দরবারি আলেম

কোন মন্তব্য নেই:

এই সালাফিদের মধ্যেও কিছু লোক আছে আমি পরিস্কার বলি দিই আজকে।
.
এই বাংলাদেশে অনেকে তাওহীদের দাওয়াত দেয় বা সোদি আরবে আছে।পড়াশুনা করে যারা এসেছে মদিনা থেকে।
.
এইরকরম বড় বড় ইউনিভারসিটির লেকচারার আছে টেলিভিশন এ ভাষন দেয়,এরা তাওহীদের দাওয়াত দেয়।
সেই তাওহীদ কোন পরযন্ত জানেন????
.
ওদের তাওহীদ মানে হল কবর পুজা শিরক, মাঝার পুজা শিরক,পীর পুজা শিরক, এই পরযন্ত শিরক শেষ।
.
যখন বলবেন যে,যারা শাসকেরা মুসলিম দেশের শাসকরা যারা আল্লাহর আইন বাতিল করে নিজেরা সারবময় ক্ষমতার দাবি করে, আল্লাহর আইন পরিবরতন করে তারা কি??তখন বলে,না না।
.
দেশের আইন মানা ফরয।
দেশের আইন মানা কি? ফরয!! 
.
এই বেটা!
দেশের আইন মানা ফরয পাইছ কই????
.
যারা আল্লাহর আইন বদলাইল,
আল্লাহর আইন বাতিল করল,
যে মুসলিম দেশের শাসকেরা তারা কি মুসলমান না কাফের????
.
এরা উপহাস করে,এরা মুসলিমদের কে হত্যা করে,যারা ইসলাম কায়েম করতে চাই তাদেরকে জেলে ঢুকিয়ে দেয়,এরা কাফেরদের হাতে মুসলমানদের তুলে দেয়,এরপরও এরা কি??
.
এরা কাফেরদেরকে এনে নিজেদের দেশে বসাই।
.
সোদি আরবের সরকার কি করছে?
.
জেদ্দায়,দাম্মামে,রিয়াদে সবজায়গায় আমেরিকা কে বসাই দিছে পাহাড়াদাড়ি করার জন্য।যাদের  সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু কারা?কাফেররা,আমেরিকা, ইহুদী,খ্রিষ্টানরা।
.
যতগুলো মুসলিম দেশ আছে সবগুলোর শাসক কারা এখন?শাসকের আইন মানা ফরয।কোন শাসক?যে শাসক কোরান আর হাদিস দিয়ে দেশ চালায়।ওই শাসকের আইনন মানা কি???ফরয।।।
.
ওই শাসকদের সম্পরকে বলা হয়েছে, তারা যদি তোমার পিঠে চাবুক মারে তারপরও তার বিরোধিতা করনা।আর যেই শাসকরা কুরান ও সুন্নাহ মুতাবেক দেশ পরিচালনা করেনা।বরং কুরানের আইন বাতিল করে,তাদের সংবিধান এ পরিস্কার লেখা আছে।এই যে যারা আল্লাহর আইন কে বাতিল করে দিল, আল্লাহরর আইনকে মিটাইয়া দিল,এবং তাদের সংবিধান এর সাথে সাংগরষিক যেটা যেটা সেখানে আল্লাহরটা বাতিল সংবিধান ঠিক।এমনকি যদি সংবিধান এর বিরুদ্ধে বলে তাহলে রাস্ট্রদ্রোহী।
.
ওই বেটা,তোর সংবিধান এর বিরুদ্ধে কথা বললে যদি রাস্ট্রদ্রোহী হই,আল্লাহর দেয়া সংবিধান এর বিরুদ্ধে বললে তাকে কি বলব আমরা?????????আল্লাহদ্রোহী।।।।।
.
তাহলে যারা আল্লাহরদ্রোহী হয়ে গেল তুই তাদেরকে হেফাযত করার জন্য যারা আল্লাহর কথা বলে তুই তাদেরকে বললি রাস্ট্রদ্রোহী।
.
এই লোকগুলো কতবড় গোমড়াহ!
আমি জানি না,আল্লাহ তায়ালা একদল লোক সম্বন্ধে বলেছেন,যাদেরকে তাওরাত দেয়া হয়েছিল ওরা হেমারের মত।গাধার মত।হেমার মানে কি?গাধার পিঠে যদি কুরান,হাদিস,বিজ্ঞান এর বই চাপাই দেয়া হই,গাধাই কোন জ্ঞান অরজন করতে পারবে??ওর পিঠে আলুর বস্তা দেয়া যে কথা আর কুরান-হাদিস আর বিজ্ঞান এর বই দেয়া কি?একি কথা।
.
ঠিক এইরকরম ভাবে এই আলেমগুলো কে আল্লাহ তায়ালা কুরানের এলেম দিয়েছিলেন,হাদিসের এলেম দিয়েছিলেন।মানুষ কে তারা তাওহীদের দাওয়াত দিবে,জিহাদের দাওয়াত দিবে,শিরক এর বিরুদ্ধে দাওয়াত দিবে।
এই লোক গুলো কি করল??
.
শাসকদেরকে বাঁচাবার জন্য,দুনিয়ার শাসকদের পা চাটা গুলামি করে তারা বলে শাসকদের আইন মানা ফরয।
অথচ এই শাসকেরা রাস্তার মোড়ে মোড়ে মুরতি বানাচ্ছে।এরপরও যদি তাদের আইন মানা ফরয হই,তাহলে শাসকেরা আইন করে দিয়েছে ২১ শে ফেব্রুয়ারি মুরতির সামনে নগ্ন পায়ে যেতে হবে,ফুল চড়াতে হবে,মুরতির সামনে নিরবে এক মিনিট দাড়াতে হবে।কর গিয়া ফরয। শাসকের আইন।
.
.
ওই আলেম সাহেবদেরকে আপনারা প্রশ্ন করবেন যে,
ভাইযান আমরা কি তাহলে শাসকদের আইন মানতে গিয়ে দেশের আইন মানতে গিয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিবনা?
.
মুরতির সামনে গিয়ে আমরা নিরবে দাড়াব না?
.
আমরা কি ওখানে গিয়ে নগ্ন পায়ে হাটব না?
.
আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে পহেলা বোইশাখে পান্তা ভাত খেতে যাব না?
.
মেয়েদের হাতে পান্তা ভাত খাব না?
.
আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে নেতা নেত্রীদের সাথে একসাথে বসব না?
.
জিজ্ঞেস করুন এদের কে।আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে চোরের হাত কাটার বিধানটাকে কুরান থেকে তুলে দিব না?
.
আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে সুদ আল্লাহ হারাম করেছেন এই ফতোয়া কি বাতিল করে দিব না?
.
আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে পতিতালয় এর যে লাইসেন্স দেয়া হই সেখানে যেনা ব্যভিচার হারাম হবে না এই ফতোয়া কি দিব না?
.
দেশের আইন মানা ফরয, শাসকদের মান্য করতে হবে।
ওই ব্যাটা কুরানের আয়াত দিয়ে দলিল পেশ করে,আতিউল্লাহু ওয়া আতিউর রাসুল।
ওয়া আমরি মিনকুম।
ওখানে পরিস্কার বলা আছে তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর,আল্লাহর রাসুলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে উলুল আমর এখানে আতিউ শব্দ নাই তার মানে আল্লাহ এবং রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে তোমাদেরকে দেশ চালাই সেই উলুল আমর এর আনুগত্য কর।। আর যারা নিজেরা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের আনুগত্য করে না তারা উলুল আমর না।জেনে রাখ তারা হচ্ছে উলুল খমর।তারা কি উলুল খমর।ওরা উলুল আমর না।ওরা মদের হেফাযত কারী।
.
কাজেই খবরদার!
এই সমস্থ আলেমের ফতোয়াই কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।
যে আলেমরা রফে ইয়াদিন না করলে কাফের বলে,যে আলেমরা আমিন জোরে না বললে কাফের বলে,যে আলেমরা বুকের উপর হাত না বাধলে কাফের বলে,অথচ মুরতি তোইরি করলে কাফের হই না,সুদ হালাল করে দিলে সে কাফের হইনা,আল্লাহর আইনের পরিবরতে আইন তোইরি করলে কাফের হই না,মানুষের সার্বভৌমত্ব কায়েম করলে কাফের হইনা,কাফের হই আমিন জোড়ে না বললে।
.
এই রকম যারা তাওহীদের দাওয়াত দেয়,আমি সেই তাওহীদবাদি ভাইদেরকে বলছি যদি বুজে না আসে বুঝার চেস্টা কর,তোমাদেরকে দাওয়াত দিচ্ছি পুরনাংগ তাওহীদে চলে আস।
.
তোমার তাওহীদের মধ্যে মাথা নাই কি নাই?মাথাবিহীন তাওহীদ।
তাওহীদের দাওয়াত দাও,পুরা তাওহীদ।
.
একেবারে রান্না ঘর থেকে শুরু করে বংগভবন পরযন্ত,সংসদ ভবন পরযন্ত তাওহীদ চলবে।এক আল্লাহর বিধান,এক আল্লাহর হুকুম রাস্ট্র তে চলবে,সমাজে চলবে,ব্যাংক এ চলবে,আদালত এ চলবে,এই তাওহীদের দাওয়াত দাও।
.
নতুবা এমন তাওহীদের দাওয়াত দিওনা যেই তাওহীদ ওই কবর পুজা, মাঝার পুজা,পীর পুজা পরযন্ত শেষ হয়ে যাই আর উপরে যাইতে পারেনা।
ওইখানে ত্বাগুতের আইন চললে সেখানে কোন কথা নাই।আপনারা কোন তাওহীদের দাওয়াত দিবেন।বিষয় গুলো কি ক্লিয়ার হচ্ছে আমি কি বলতে চাচ্ছি????
.
ভাল করে বুঝার চেস্টা করবেন।
.
তাওহীদের উপর আসবেন তো পুরা আসবেন আধা -আধি তাওহীদের উপর যারা আছে সবচেয়ে বড় যে শিরক রাস্ট্রীয় শিরক, রাস্ট্রীয় ত্বাগুত, যারা সমস্থ ছোট ছোট শিরক গুলো কে কি করে?লালন করে।সমস্ত ত্বাগুতকে সমস্ত শিরককে লালন করে কে?
রাস্ট্রীয় শিরক,রাস্ট্রীয় ত্বাগুত, এই রাস্ট্রীয় ত্বাগুতরা উনাদের কাছে মুশরিক না।
.
রাস্ট্রীয় শিরক না উনাদের কাছে শিরক হল গরীবের শিরক,কবর পুজা শিরক,পীর মুরিদি শিরক, এগুলো গরিব দের শিরক আর ওইগুলো এই ভি আই পি শিরক।এই ভি আই পি শিরক তাদের কাছে শিরক না।
.
কারন তাহলে যাদের থেকে টাকা পয়সা পাই, যাদের গুনগান গাই তাদের বিরুদ্ধেও চলে যাই।সেই জন্য এখানে গিয়ে তারা কি করে এড়াইয়া যান।
.
এজন্য মনে রাখতে হবে, একজন মুমিন মানে তাকে পুরাপুরি ভাবে ঘোষনা করতে হবে। আমি আল্লাহর দ্বীন মানি এছাড়া কাউকে মানি না।আল্লাহর হুকুম মানি এছাড়া আর কারও হুকুম মানি না। আশহাদুল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদুন্নাহ মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রসুলুহু।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বিষয়গুলো বুঝার এবং আমল করার তোফিক দান করুন আমিন।
.
.
.
#আমার প্রান-প্রিয় শাইখ মুফতি জসীমুদ্দিন রহমানি হাফিযাহুল্লাহর বয়ান।

আমাকে একজনে গুলি একটা প্যাকেট করে কাগজে মোড়াইয়া তারপরে সুন্দর করে খামে ডুকাইয়া তারপরে আমার ঠিকানাই পাঠিয়ে দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

আমাকে একজনে গুলি একটা প্যাকেট করে কাগজে মোড়াইয়া তারপরে সুন্দর করে খামে ডুকাইয়া তারপরে আমার ঠিকানাই পাঠিয়ে দিয়েছে।
.
লেখছে যে এটা নমুনা দেয়া হল।পরেরটা বাস্তবে আসবে।কোন জায়গায় হাত দিয়েছেন?কোরান হাদিসের কথা বলবেন সব বলতে যাইয়েন না।
.
আমি পাইলে তাকে উত্তর দিতাম অথবা এখন আমি তাকে উত্তর দিচ্ছি,জানিয়ে দিচ্ছি,
এইরকম ভয় দেখাইবা তোমাদের পীরদেরকে।
.
যাদের দুনিয়াতে ১০ টা বোউ আছে।
.
বাড়ি গাড়ি আছে।
.
শরীর টিপতে লোক লাগে।
.
মাথা টিপা লাগে।
.
পা টিপা লাগে।
.
অথবা যেই বুজুর্গদের চলতে গাড়ি লাগে।
.
আরামদায়ক বাড়ি লাগে।
.
ওইসমস্ত পীর-বুজুরগদেরকে এইরকম ভয় দেখাও।
.
যারা তাদের জীবনটাকে ব্যয় করেছে ইসলামের জন্য,যাদের সবচেয়ে বড় চাহিদা,তামান্না শাহাদাহ।
.
ইসলামের জন্য জীবন দেয়া যাদের সবচেয়ে বড় চাহিদা।
.
তুমি তাকে কিসের ভয় দেখাচ্ছ?????
.
তোমরা যারা ভয় দেখাও ওইটা আমরা চাই,তোমরা যেটা থেকে সাবধান করছ আমরা সেটা কামনা করছি।
.
কাজেই, যারা আজকে ভয় দেখাচ্ছ আমি কুরান এবং হাদিসের কথা বলেই যাব সেজন্য যদি বুলেটের মাধ্যমে আমার বুক ঝাজড়া হয়ে যায় তারপরেও এক মুহুরতের জন্যও বিরত থাকব না ইনশাল্লাহ।।।।।।
.
ভাইয়েরা আমার! মনে রাখবেন,আজকে ইসলামের কথা বললে গত সপ্তাহে আমি বিভিন্ন ফেরকা সম্পরকে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন ফেরকার নাম ধরে বলেছি।যে এই দাওয়াতগুলো আল্লাহর নবীর দাওয়াতের সংগে কোন মিল নাই।আল্লাহর নবী লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিয়েছেন, সাহাবায়ে কেরাম লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিয়েছেন।সেই দাওয়াতের ধাক্কায় গোটা সমাজ আলাদা হয়ে গেছে।লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর মানে হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান চলবে না।আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম চলবে না।আইন চলবে না।আর এখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেয়।তারমধ্যে কি নাই?এইসব বিষয়ে কোন কথাই নাই।
.
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেই মসজিদে আস নামাজ পড়। ঠিক আছে ভাল কথা।কিন্তু এরপরে যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিয়ে রাস্ট্রীয়ভাবে নবীরা দ্বীন কায়েম করে গেছেন তার খবর আছে কিছু?এইজন্য মনে রাখতে হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেয়া ভাল কিন্তু সেই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতটা যেন মুহাম্মদ(সা:) এর দাওয়াতের মত হই।
.
মিশরের সাইয়্যেদ কুতুব(রহ:) কে যখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতের কারনে জেলে বন্ধী করা হল শেষ পরয্যন্ত ফাসির হুকুম হয়ে গেল।ফাসির আগের রাতে জেলখানার ইমাম সাহেব উনার সাথে সাক্ষাত করতে আসলেন। সাইয়্যেদ কুতুব(রহ:) জিজ্ঞাস করলেন আপনি কে?কেনই বা এলেন?ইমাম সাহেব বললেন আমি এই জেলখানার ইমাম। আপনি তো ফাসির আসামি।আগামীকাল আপনার ফাসি হতে যাচ্ছে। যেইসমস্ত মুসলমানদের ফাসি হই আমার দায়িত্ব হচ্ছে জেলখানার ইমাম হিসেবে ফাসির আগে তাদেরকে কালিমা পরানো। তওবা পড়ানো।
.
সাইয়্যেদ কুতুব (রহ:) প্রশ্ন করলেন আচ্ছা কি কালিমা আপনি পড়ান?
ইমাম বলল, আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মদান আব্দুহু ওয়া রসুলুহু। সাইয়্যেদ কুতুব অবাক হলেন। বললেন,আমিতো এই কালিমা বলার কারনে, এই কালিমার উপর বই লিখার কারনে, এই কালিমার দাওয়াত দেয়ার কারনে আমাকে বন্ধী করা হয়েছে, চরম নির্যাতন করা হয়েছে, আমার হাত-পা ভেংগে দেয়া হয়েছে।আমাকে ফাসিতে চড়ানো হচ্ছে।যে সরকার আমাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেয়ার কারনে ফাসি দিচ্ছে সেই সরকার তোমাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়াবার দায়িত্ব দিয়েছে। তোমাকে বেতন দিচ্ছে।
.
কাজেই বুঝা গেল,তোমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আর আমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ  এক নয়।তোমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ত্বাগুতের কাছ থেকে পয়সা নেই।আর আমার ইলাহা ইল্লাল্লাহ আমাকে ত্বাগুতের হাতে নির্যাতিত করে।তোমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তোমাকে চাকরি দেয়,আমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আমাকে ফাঁসিতে ঝুলাই।বুঝা গেল ঠিকই, বরতমানেও যারা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিচ্ছেন জেনে রাখবেন মুহাম্মদ (সা:) এর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতের কারনে লোকেরা তাকে মারতে উদ্যত হয়েছিল, ঘেরাও করেছিল হত্যা করার জন্য,বাড়ি-ঘর ত্যাগ করতে হয়েছে, কাফের মুশরিকরা বিরুধিতা করেছে।
.
আপনার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতে সমস্ত ত্বাগুত ইহুদি-নাসারা, বোদ্ধ-হিন্দুদের কোন আপত্তি নাই।আপনার জন্য সারা বিশ্বের ভিসা ফ্রি হয়ে যায়,আপনার জন্য সব জায়গায় ডুকতে দেয়া হয়, বুঝা গেল আপনাকে পাহাড়াদারি করা হই, আপনার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হই।বুঝা গেল আপনার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত আর মুহাম্মদ (সা:) এর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত এক নই।ভাইয়েরা আমার!সেজন্য মনে রাখতে হবে,আমাদের মনে রাখতে হবে। আমরা দাওয়াত দিব লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর কিন্তু সেই দাওয়াতটা যেন সত্যিকারভাবে নবী মুহাম্মদ (সা:) এর মত নবীওয়ালা দাওয়াত হই।
.
ইসলামে দল তৈরি করার সুযোগ নাই।ইসলামটাই একটা জামাহ।আমাদের পরিচয় আমরা মুসলিম। ইসলামের মধ্যে যে কেহ কোন দল তৈরি কিরল,কোন ফেরকা তৈরি করল সে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তির জন্ম দিল, মুসলমানদের মাঝে আকিদার পার্থক্য হয়ে যায়,কারন দল করলেই দলের কিছু নীতিমালা থাকে। সেই কারনেই যত রকমের দল আছে,ফেরকা আছে ইসলাম ছাড়া, মুসলিম ছাড়া কোন দল তৈরি করার সুযোগ ইসলামে নেই।
.
.
.
#আমার প্রান-প্রিয় শাইখ মুফতি জসীমুদ্দিন রহমানি হাফিযাহুল্লাহর বয়ান।

'হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদকে জনৈক বাদশাহ্ জিজ্ঞেস করলেন- কেন তোমরা আমাদের নিকট এসেছ?? তার জিজ্ঞাসার ভঙ্গি একটু বিদ্রুপাত্বক মনে হল।

কোন মন্তব্য নেই:

'হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদকে জনৈক বাদশাহ্ জিজ্ঞেস করলেন- কেন তোমরা আমাদের নিকট এসেছ?? তার জিজ্ঞাসার ভঙ্গি একটু বিদ্রুপাত্বক মনে হল। তখন খালেদ বিন ওয়ালিদ "রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" তাকে খুব চমৎকার জবাব দিলেন। বললেন- তোমাদের রক্ত আমাদের নিকট খুব মিষ্টি লাগে, এজন্য তোমাদের রক্ত পান করতে এসেছি। তখন সে বাদশাহ্ মস্তক অবনত করে ফেলল।
'
'এমনও এক সময় ছিল যে, আমাদের উত্তর এ রকম হত।
.
যখন রোমের বাদশাহ্ নাকুর , বাদশাহ্ হারুনূর রশীদের নিকট পত্র লিখল যে, আমরা অনেক ট্রেক্স আদায় করে ফেলছি, এখন আর কোন ট্রেক্স দেব না, আমরা এখন থেকে স্বাধীন।
তখন বাদশাহ্ হারুনূর রশীদ লিখলেন;-
:
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম, 
আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, হারুনূর রশীদের পক্ষ থেকে রোমের  কুকুর - নাকুরের নিকট এ জবাব প্রেরণ করছি যে;- মুসলমান কাউকে শুধু জবাব শোনায় না বরং জবাব শিক্ষা দেয়।
.
দেখা গেল কিছুক্ষণের মধ্যেই হারুনূর রশীদের বাহিনী নাকুরের রাজ্যে পৌঁছে গেল এবং নাকুর হাতজোর করে পুনরায় জিযিয়া (ট্রেক্স) দিয়ে দিল।
:
(আল্লাহু আকবার কাবীরা) এমন এক যুগ ছিল আমাদের যখন রুস্তম পাহলোয়ান মুসলমানদের বলেছিল যে, তোমরা তোমাদের বাহিনী ফেরত নিয়ে যাও, আর না হয় আমরা তোমাদের টুকরো-টুকরো করে ফেলব। তখন সা'দ বিন আবি ওয়াক্কাছ (রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু), অথবা অন্য কেউ বলেন যে, হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) তার উত্তর দিলেন, আহ্! আমরা যদি প্রথমেই আমরা চলে যেতাম, তাহলে একটা কিছু করা যেত, আর না হয় মুসলমান একবার যেখানে যায় সেখান থেকে খালি হাতে ফিরে না।
.
এ রকম এক যুগও অতিবাহিত হয়েছে, আর এখনও এক যুগ অতিবাহিত হচ্ছে।
:
এমন ছিল আমাদের জবাব।
আজ কি হয়ে গেল আমাদের?
.
বল বন্ধুরা!
জিহাদ ছেড়ে দেয়া কি গুনাহ্ নয়??
যার কারণে মুসলমান গোলামে পরিনত হয়, যার কারণে মুনাফিক্বীর মৃত্যু হয়, তা ও গুনাহ্ কি-না বল?
.
আমরাও নিজ জানকে আল্লাহর নিকট সোপর্দ করে, বিশ্বের কুকুর - নাকুরকে ও কুকুর - নাকুরের দালালদের বলে দিতে চাই,
.
হে ইসলাম ও মুসলমানের দুশমন!
আমরাও তোমাদের জবাব কানে শুনাব না;
বরং তোমাদের নিজ চোখে দেখাব "ইন-শা-আল্লাহ্।
:
------নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার||
সাবিলুনা, সাবিলুনা, আল-জিহাদ, আল-জিহাদ||
:
---মাওলানা মাসঊদ আযহার (দাঃ বাঃ)

ইসলামের প্রাথমিক যুগে উম্মতের বাচ্চাগনও এই কথাটা বুঝত। তারা নিজে দাঁড়িয়ে মুহাম্মদ (সা:) এর কাছে অনুরোধ করত জিহাদে যাওয়ার জন্য। অথচ এই কথাটি উম্মতের যুবকদেরও বুঝে আসছেনা।

৩টি মন্তব্য:

ইসলামের প্রাথমিক যুগে উম্মতের বাচ্চাগনও এই কথাটা বুঝত।
তারা নিজে দাঁড়িয়ে মুহাম্মদ (সা:) এর কাছে অনুরোধ করত জিহাদে যাওয়ার জন্য।
অথচ এই কথাটি উম্মতের যুবকদেরও বুঝে আসছেনা।
.
যে বিষয়টা উম্মতের মহিলারাও ততকালীন সময়ে বুঝত,তা আজ উম্মতের পুরুষেরা পর্যন্ত বুঝতে পারছেনা।
.
আজ উম্মতের পুরুষদেরকে,
যুবকদেরকে বুঝাতে হয় জিহাদ কি?
জিহাদ কাকে বলে?
কিতাল কাকে বলে?
আজ সবাই স্বঘোষিত মুজাহিদ।
.
যেই ব্যক্তি দু'এক কথা বক্তব্য দিতে পারেনন তিনিও মনে মনে মুজাহিদ।
.
যিনি দু'কলম লিখে ফেলেছেন তিনিও মনে মনে মুজাহিদ।
.
যে ট্যাক্সি চালাই সেও বলে এটাও একটা জিহাদ।
.
যে বাচ্চা রক্ষনাবেক্ষন করে সেও বলে জিহাদে আছি।
.
বুঝে আসেনা আজ গোটা উম্মত জিহাদে থাকার পরও উম্মতের উপর এত জুলুম,অত্যাচার ও অপমান আসে কিভাবে?
.
জিহাদের সাথে তো ইজ্জতের সমপরক।
জিহাদের মাধ্যমে তো ইজ্জত,সম্মান বেড়ে যাই ও খিলাফাত প্রতিস্টা হই।
.
কিন্তু চারিদিকে শুধু মুজাহিদ আর মুজাহিদ থাকার পরও উম্মত আজ এত অপমানিত,মুসলমানদেরকে গনহারে হত্যা করা হচ্ছে,পবিত্র কুরানকে অপমান করার জন্য জ্বালানো কিংবা মলমূত্র পরিস্কার করার জন্য ব্যবহার করছে,বাবরী মসজিদ শহীদ করা হয়েছে, মসজিদে আকসা আজ ইয়াহুদীদের দখলে।
.
বুজে আসেনা,
যারা নিজেদেরকে মুজাহিদদের থেকে একটু নিচে স্থান দিতে রাজি নই,
যারা নিজের ঘরের মাটিকেও জিহাদের ময়দান মনে করছেন,
যারা ঘরের চেয়ারে বসাকেও জিহাদের সমান মর্যাদার মনে করছেন তাদের জিহাদগুলো কি ধরনের জিহাদ??????????????????
.
.
.
#মাওলানা মাসউদ আযহার হাফিযাহুল্লাহ।

 
back to top