রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬

সুফিদের প্রায় কিতাবে দেখবেন

কোন মন্তব্য নেই:

সুফিদের প্রায় কিতাবে দেখবেন,
.
অমুকে ১০ বছর জংগলে ছিল।
.
অমুকে ২০ বছর জংগলে ছিল।
.
এগুলো কিসের কিতাব?
এগুলো মুসলমানদের কোন হাদিস থেকে লেখা নাকি এগুলো ইহুদি খ্রিষ্টানদের কিতাব থেকে লেখা।
.
অমুকে ইবাদত করতে করতে গাছের লতা-পাতা তার শরীরে ডুকে গেছে।
ছাল-বাগলা ডুকে গেছে।
.
এত বড় বুজুর্গ চারশ বছর, পাঁচশ বছর ইবাদত করেছে।
.
আমি বলতে চাই যদি সে সত্যিই বুজুর্গ হয়ে থাকে তাহলে হয়ত আগের ধর্মের খ্রিস্টান-ইহুদিদের যখন  ধরম ছিল ওই ধর্মের লোক যেখানে নামাজ রোজা ছিল না।নতুবা ইসলাম আসার পরে যদি বল তাহলে আমি বলব সে হয়ত ফেরেস্তা নয়ত শয়তান।
.
কারন যদি সে মুসলিম হয়ে থাকে,মানুষ হয়ে থাকে তাহলে সে ওজু করবে,গোসল করবে,নামাজ পরবে,নামাজ পরলে রুকু করবে, সেজদা করবে।রুকু সেজদা করলে, নামাজ পরলে তার গায়ে শরীরে লতা পাতা ঢুকতে পারে?না।ছাল-বাগলা ঢুকতে পারে?না।ঢুকতে পারে কার?
শয়তান মানুষকে গোমড়াহ করার জন্য দাড়িয়ে আছে আর গাছের ছাল-বাগলা ডুকে গেছে এটা হতে পারে।নতুবা কিসের ইসলাম তুমি বুঝাচ্ছ?
.
এই সুফিদের বইতে দেখবেন কিচ্ছা কাহিনী ছাড়া অমুকে উড়াল দিল,
অমুকে পানিতে ভাসল,এই সব।
.
আমি বলি পানিতে ভাসা যদি বড় বুজুর্গ হই তাহলে সবচেয়ে বড় বুজুর্গ রাজহাঁস।
.
পানিতে যে হাসগুলো ভাসে এই হাসগুলো সবচেয়ে বড় বুজুর্গ।ওরা পানিতে ভাসে।
.
আকাশে উড়তে পারলে যদি বড় বুজুর্গ হই তাহলে সবচেয়ে বড় বুজুর্গ পাখি।
চিল,শকুন,কাওয়া(কাক),এগুলা সব বড় বড় কি?বুজুর্গ।কারন এরা আকাশে উড়ে।
.
কি বুঝাচ্ছে এরা উম্মতকে।আল্লাহর নবী কি আকাশে উড়েছেন?সাহাবায়ে কেরাম আকাশে উড়েছেন?তাহলে কিসের বুজুর্গগিরি প্রকাশ করছ?
.
কুরান-হাদিস বাদ দিয়ে মানুষকে ইহুদি খ্রিস্টানদের কাহিনীগুলো শুনাইয়া ইসলাম থেকে সরাবার জন্য একদল মানুষ তৈরি করা হয়েছে।সেই মানুষগুলোর নাম হচ্ছে এই সময়ের পীর সাহেবরা।এরা মানুষকে এগুলো শিখায় ত্বরিকা শিখায়।ত্বরিকার জিকির।
.
আমরা পরিস্কার বলি  মুসলমানদের একটা ত্বরিকা।সেই ত্বরিকার নাম ইসলাম।নাম কি?ইসলাম।আর এটা যারা মানে তারা মুসলিম।আল্লাহর নবী(সা:) পরিস্কার করে দিয়েছেন -'আমার উম্মতের মধ্যে তিয়াত্তরটা ফিরকা হবে।যারা সব জাহান্নামি হবে।
একটা মাত্র ফেরকা জান্নাতি হবে।সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করেছেন,ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা:) সেই ফেরকার, সেই দলের পরিচয় কি?তখন আল্লাহর নবী কি বলেছিলেন?তিনি বলেছিলেন, মা আনা আলাইহি ওয়া আসহাবি।আমি এবং আমার সাহাবীরা যেই ত্বরিকায়,যেই মতের উপরে, যেই পথের উপরে আছি।এই ত্বরিকায়,এই মতে, এই পথে যারা থাকবে একমাত্র তারাই জান্নাতি হবে।বাকি সবাই কোথাই যাবে?জাহান্নামে।
.
আমি এবার জিজ্ঞাস করতে চাই মুহাম্মদ(সা) যখন বলেছিলেন আমি এবং আমার সাহাবীরা যেই ত্বরিকায় আছি এই ত্বরিকায় যারা থাকবে তারা জান্নাতি। তখন কি এই সমস্ত ফেরকার তৈরি হয়েছিল?না।সুফিদের তরিকা তৈরি হইয়েছিল?না।যখন তৈরি হই নাই  তাহলে বুঝা গেল আল্লাহর নবী(সা:) যেই দলের ছিলেন, যেই মতের ছিলেন,যেই পথের ছিলেন,সাহাবায়ে কেরামের যে ত্বরিকা ছিল, ওই সময়ে যে ত্বরিকা ছিল সেটার উপরে যারা থাকবে তারা নাজাত পাবে।
এর পরবরতীতে যত ত্বরিকা,যত ফেরকা তৈরি হইয়েছে, এই ফেরকায় যারা ঢুকবে তারা বাহাত্তর ফেরকায় চলে যাবে।জাহান্নামে চলে যাবে জান্নাতে যেতে পারে না।
.
ভাইয়েরা আমার,অনেক বুঝার বিষয় আছে আপনি আলেম,এত বুজুর্গ,এত পীর সাহেবরা কম বুঝে?তারা কুরান হাদিস পরে নাই?এইগুলো বললে আমাদের বলার কিছুই নাই।
.
আমরা যখন কুরান এবং হাদিসের কথা বলব মুমিনদের কাজ হচ্ছে তা মেনে নেওয়া।আল্লাহর রাসুল(সা:) বলে যান নাই তোমাদের মাঝে আমি বড় বড় পির সাহেব রেখে গেলাম,বড় বুজুর্গ রেখে গেলাম,বড় আলেম রেখে গেলাম,ওরা যা বলবে তাই শুনবে।না।তিনি বলেছেন,তারাকতু ফি কুম আমরাইন আমি তোমাদের জন্য দুটো জিনিস রেখে গেলাম,তোমরা পথভ্রষ্ট হবেনা,পদচ্যুত হবেনা,গোমড়াহ হবেনা,পদস্ফলিত হবেনা,মা তাবাসসাকতুম বিহিমা যতক্ষন পর্যন্ত ওই দুটো জিনিসকে আঁকড়ে ধরবে,শক্ত করে ধরবে।সেই দুটো জিনিস হচ্ছে কিতাবাল্লাহি ওয়া সুন্নাতি রসুলিহি।একটা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব কুরানুল কারীম আরেকটা হচ্ছে আল্লাহর নবীর সহ হাদিস।
.
এই দুইটাকে ধরার জন্য বলেছেন, তিনি  বলেন নাই কোন বুজুর্গকে ধরতে বরং কুরান-সুন্নাহর সংগে যে আলেমের কথা, যে বুজুর্গ এর কথা মিলবে ওটা ধরতে হবে আর যেটা মিলবে না ওটাকে বর্জন করতে হবে।এটাই হচ্ছে মুসলিমদের কাজ।
.
আল্লাহর নবীর সময়ে চিশতিয়া ত্বরিকা ছিল?কাদেরিয়া ছিল?নক্সাবন্দীয়া ছিল?তাবলীগ জামাত ছিল?জামায়াত ইসলাম ছিল?নিজামে ইসলাম ছিল?খিলাফাত মজলিস ছিল?
.
.
.
আমার প্রান-প্রিয় শাইখ শাইখুল হাদিস মুফতি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন রহমানি (হাফিযাহুল্লাহ)র অতি গুরুত্বপূরন জ্বালাময়ী ভাষনের সামান্য কিছু অংশ তুলে ধরলাম মাত্র।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top