সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ইসলামে মুসলিমদের মধ্যে এত দল!কোনটি আল্লাহর দল!কোন দলটি আল্লাহর পথে কাজ করছে!

কোন মন্তব্য নেই:

ইসলামের নামে এত দল এত মত কোনটা
সঠিক কোনটা আল্লাহর পছন্দ করা দল।
.
#কিভাবে জানা যাবে?কি ভাবে
চিনব?????
------
(খুবই গুরুত্বপুর্ণ পুস্ট একটু ধৈর্য্য নিয়ে
পড়ুন)
.
আমরা প্রায়ই এই কথাটা শুনি। সাধারণ
লোকজন এমনকি ইসলামকে বিজয়ী করার
প্রচেষ্টারত অগ্রসর মুসলিমগণও এ রকম
প্রশ্ন মাঝে মাঝে করে থাকেন।
.
আসলেই কোনটা সঠিক দল, কোনটা
আল্লাহর প্রিয় দল, তা জানতে আমাদের
সবারই ইচ্ছা করে।
.
একটা শান্তনার কথা এই যে, আল্লাহ
তায়ালা আল-কোরআনে ঘোষণা করেছেন,
যে ব্যক্তি হিদায়াত তথা সঠিক পথ চায়,
তিনি অবশ্যই তাকে পথ দেখাবেন।
এছাড়া আল-কোরআনে বলিষ্ঠভাবে বার
বার ঘোষণা হয়েছেঃ এটা মানব জাতির
পথ-প্রদর্শক, এতে সব ব্যাপারে সমাধান
আছে। সকল ব্যাপারে খুঁটিনাটি বিবরণ না
থাকলেও অন্ততঃ যে কোন ব্যাপারে আল-
কোরআনে কিছু মূলনীতি দেয়া অাছে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়াল বলেছেনঃ
“এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই।
পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য”।
(বাকারাঃ ২)
.
এটা কিভাবে সম্ভব যে, আল-কোরআন
মুত্তাকীদের জন্য পথ-প্রদর্শক অথচ
সেখানে কোন ইসলামী দল ভালো,
মুসলিমগণ কোন দলকে বেছে নিবে – সে
ব্যাপারে কোন গাইডলাইন থাকবে না।
আলহামদুলিল্লাহ, এ ব্যাপারেও আল্লাহ
আমাদেরকে অন্ধকারে রেখে দেন নি।
বরং সুস্পষ্টভাবে তাঁর পছন্দনীয় দলের
কিছু বৈশিষ্ট্য আলোচনা করেছেন, যা
দেখে মানুষ বুঝতে পারবে, কোন দল সত্য,
কোন দল সঠিক পথে আছে, কোন দলকে
মুসলিমদের সাপোর্ট করা উচিত, মুসলিম
যুবকদের কোন দলে যোগদান করা উচিত।
.
আল্লাহ বলেনঃ
“হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে
স্বীয় দ্বীন থেকে ফিরে যাবে, অচিরে
আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন,
যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা
তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের
প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের
প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে
জিহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর
তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর
অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন।
আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী,মহাজ্ঞানী।
(মায়িদাহঃ ৫৪)
.
দেখা যাচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা এখানে
একদল মানুষ তাঁর দ্বীন থেকে ফিরে
গেলে আরেক দল দ্বারা তাদেরকে
পরিবর্তন করার কথা বলেছেন। অবশ্যই যে
দলের মাধ্যমে আল্লাহ পূর্ববর্তী দলকে
পরিবর্তন করবেন, সেটা অবশ্যই ভালো দল
হবে এবং আল্লাহর প্রিয় দল হবে।
.
এখানে আল্লাহ তাঁর সেই প্রিয় দল বা
সম্প্রদায়ের ৪ টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ
করেছেনঃ
ক) ঐ দলকে আল্লাহ ভালোবাসবেন এবং
ঐ দলও আল্লাহকে ভালোবাসবে।
খ) ঐ দল মুমিনদের প্রতি বিনয়ী হবে, নম্র
হবে।
গ) ঐ দল কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে।
ঘ) ঐ দল আল্লাহর পথে জিহাদ করবে কোন
তিরস্কারকারীর পরোয়া না করে।
-------
চলুন একটু বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া
যাক।
.
প্রথমতঃঐ দলকে আল্লাহ
ভালোবাসবেন এবং ঐ দলও আল্লাহকে
ভালোবাসবে।এই বৈশিষ্ট্য আসলে বাইরে থেকে বুঝা সম্ভব না। প্রত্যেক দলই দাবী করবে যে,
তারা আল্লাহকে ভালোবাসে আর
আল্লাহও তাদেরকে ভালোবাসেন।
.
দ্বিতীয়তঃঐ দল মুমিনদের প্রতি বিনয়ী
হবে, নম্র হবে।মুমিনদের প্রতি বিনয়ী, নম্র মানেই হলো তাদের সাথে সুআচরণ করা, তাদের দুঃখে দুঃখী হওয়া, সুখে সুখী হওয়া। ঐ দল মুসলিম উম্মাহর সাথে একটি দেহের মতো
হয়ে থাকবে।
.
এমন হবে না যে, ফিলিস্তিনে শত শত
মুসলিম মারা যাচ্ছে, বার্মায় মুসলিমদের
উপর নির্যাতন হচ্ছে আর ঐ দল তখন
তথাকথিত কোন ইস্যুর রাজনীতি নিয়ে
ব্যস্ত, এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা নেই।
এমন হবে না যে, শত্রুরা বিভিন্ন মুসলিম
দেশ দখল করে রেখেছে আর ঐ দলের এ
ব্যাপারে কোন উচ্চবাচ্য নেই। তারা শুধু
নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। ঐ দল যে কোন
মুসলিম ভূমি দখল হলে ঐ ভূমি পুনরুদ্ধার
করার ফরজ জিহাদে শরীক হবে। অসহায়,
নির্যাতিত মুসলিমদেরকে রক্ষার জন্য
জিহাদে বের হয়ে যাবে যেভাবে আল্লাহ
আল কোরআনে ঘোষণা দিয়েছেন।(নিসার ৪৫ নম্বর আয়াত)
.
এমন তো হয় না যে, আমরা আমাদের
পিতামাতার প্রতি খুবই নম্র-কোমল কিন্তু
কোন ডাকাত দল আমাদের পিতামাতাকে
আক্রমণ করলো আর আমরা কিছু না করে
বসে থাকি। যদি হাতের দ্বারা সামর্থ না
থাকে তা হলে অন্তত আমরা মুখে চিৎকার
করে আশেপাশের লোকজনকে ডাক দেই।
এতটুকু না করলে তা আমাদের
পিতামাতাকে সম্মান করা কিংবা
তাদের সাথে নম্র ব্যবহার হবে না বরং
ভন্ডামী হবে।
আর যদি আমরা নিজেরাই ঐ ডাকাতদলের
সাথে আবার বন্ধুত্ব করি, তাহলে কি
পরিস্থিতি কি হবে?
.
একই ভাবে, ভালো ইসলামী দল মুসলিম
উম্মাহর প্রতি নমনীয় হবে। তাদেরকে
রক্ষা করার চেষ্টা করবে, সাহায্য করবে,
শুধু নিজ দলের কিংবা নিজ দেশের
মুসলিমদের প্রতি তাদের সহানুভূতি
সীমাবদ্ধ রাখবে না। আর কখনো মুসলিম
উম্মাহর সাথে যুদ্ধরত ক্রুসেডারদের
দালাল তাগুত ও কাফিরদের সাথে
অন্ততঃ বন্ধুত্ব করবে না, হৃদ্যতা রাখবে
না। সেটাতো ঈমান বিধ্বংশী কুফর।
আল্লাহ বলেছেনঃ
“তারা তাদেরই মধ্যে গণ্য হবে“।
মায়িদাহঃ ৫১
.
তৃতীয়তঃ ঐ দল কাফিরদের প্রতি কঠোর
হবে।আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এ সাহাবী (রাঃ)
গণও এই বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন।
আল্লাহ বলেনঃ
“আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ ও তার সাথীগণ
কাফিরদের প্রতি কঠোর আর নিজেদের
মধ্যে পরস্পর দয়াবান” (সূরা আল-ফাতহঃ
২৯)
.
এখন যদি কোন ইসলামী দল কাফির দেশের
রাস্ট্রপতি, পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিংবা
রাস্ট্রদূত দেখলে আহলাদে গলে যায়, হাত
কচলিয়ে মুসাহেবের মতো তাদের সাথে
কথা বলে, মুসলিমদের কোন সিদ্ধান্তের
ব্যাপারে তাদের কাছে পরামর্শ নেয়,
সেটা কি কাফিরদের প্রতি কঠোরতা
হলো?
.
যদি কোন ইসলামী দল, নিজ দেশের
গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কাফির দেশের
রাস্ট্রদূতের সাথে আলোচনা করে বলে,
অমুক ব্যাপারে তার সাথে আমাদের
অত্যন্ত সফল আলোচনা হয়েছে। তাহলে
তো সে কাফিরদের প্রতি কঠোর হবার
পরিবর্তে কাফিরদের প্রতি আকৃষ্ট হলো।
তাদেরকে উপদেষ্টা, পরামর্শদাতা
হিসেবে গ্রহণ করলো। অথচ আল্লাহ
বলেছেনঃ
“হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও
খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো
না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের
মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে
তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ
জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না”।
(সুরা আল মায়িদাহঃ ৫১)
.
কাফিরদের প্রতি কঠোরতা প্রকাশ
পেয়েছে, আমাদের জাতির পিতা
ইব্রাহীম (আঃ) এর কথায় যখন তিনি
বলেছিলেনঃ
“তোমাদের সাথে এবং তোমরা আল্লাহর
পরিবর্তে যাদের ইবাদত কর,তাদের সাথে
আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা
তোমাদের মানি না। তোমরা এক আল্লাহর
প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করলে
তোমাদের মধ্যে ও আমাদের মধ্যে
চিরশত্রুতা থাকবে”। (সূরা মুমতাহিনাঃ ৪)
------
এখন যে সব দল কাফিরদের প্রতি কঠোর
নয়, যারা কাফিরদের প্রতি নমনীয়, যারা
মুসলিম বনাম কাফিরদের যুদ্ধে মুসলিমদের
পক্ষে কথা বলতে পারে না, বরং যুদ্ধরত
কাফিরদেরকে সম্মান করে কথা বলে,
তারা তো কোন ভাবেই কাফিরদের প্রতি
কঠোর নয়।
.
চতুর্থতঃ ঐ দল আল্লাহর পথে জিহাদ
করবে কোন তিরস্কারকারীর পরোয়া না
করে।
জিহাদের শাব্দিক অর্থ চেষ্টা-সাধনা
হলেও অন্যান্য ইবাদাতের মতো ইসলামে
জিহাদেরও একটি সুনির্দিষ্ট রুপ আছে, তা
হচ্ছে কাফিরদের সাথে সশস্ত্র যুদ্ধ যা
বিভিন্ন মাজহাবের ফিকহের
গ্রন্থগুলিতে বিস্তারিত আলোচনা করা
আছে।আর হাদিস গ্রন্থগুলিতেও জিহাদ
অধ্যায়ে শুধু যুদ্ধের কথাই আছে, সেখানে
দাওয়াতের জিহাদ, কলমের জিহাদ,
নফসের জিহাদ কিংবা এরকম কোন
জিহাদের কথা নেই।আর ফি সবিলিল্লাহ বললে, সেক্ষেত্রে আরো নির্দিষ্টভাবে সশস্ত্র যুদ্ধের কথা বুঝা যায় বলেই সলফে সালেহীনরা উল্লেখ করেছেন।
.
তাই আল্লাহর সেই প্রিয় দল তাঁর দ্বীনকে
বিজয়ী করার জন্য কিংবা মুসলিমদের
ভূমি, মান-সম্মান রক্ষার জন্য জিহাদ
করবে, কাফিরদের বিভিন্ন আগ্রাসন রুখে
দেয়ার জন্য জিহাদ করবে। এবং
এক্ষেত্রে কোন তিরস্কারকারীর
তিরস্কারের ভয় তারা করবে না।
এখন যে সব দল কখনো জিহাদ করেনি,
জিহাদের জন্য যাদের কোন পরিকল্পণা
নেই, পাছে লোকে কিছু বলে এই ভয়ে
জিহাদের জন্য কোন প্রস্তুতি নিতে ভয়
পায় বরং মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত
কাফিরদের সাথে দহরম-মহরম বজায় রাখে,
তারা কখনো আল্লাহর প্রিয় ইসলামী দল
হতে পারে না।
.
বরং আল্লাহর প্রিয় দল, ভালো ইসলামী
দল আল্লাহর পথে জিহাদ করতে থাকবে
কোন প্রকার তিরস্কারের পরোয়া না
করে। একই ব্যাপারে রাসুল (সাঃ)
বলেছেনঃ
“এই দ্বীন সর্বদাই প্রতিষ্টিত থাকবে এবং
মুসলিমদের একটি দল কিয়ামত পর্যন্ত
সত্যের পক্ষে যুদ্ধ (ক্বিতাল) করবে”।
(মুসলিম:৫০৬২)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর পছন্দনীয়
পথে চলার, সঠিক দলকে চেনার, সঠিক
দলের সাথে থাকার তৌফিক দিন। আমীন
.
এখন ভাই আপনি বলুন কারা মুসলিম নির্যাতিত মা,বোন,শিশুদের পাশে দাড়িয়ে কুফফারদের সাথে যুদ্ধ করছে? .
ইসরাইল পাখির মত গুলি করে মারছে আমাদের ফিলিস্থিনের মুসলিম ভাই-বোনদের,এই আমেরিকা ইরাকে পারমানবিক বোমা আছে বলে লক্ষ লক্ষ ইরাকি মুসলিম ভাই বোনদের হত্যা করেছে,গুয়েতনাম কারাগারে কিভাবে মুসলিমদেরকে লেংটা করে, প্রস্রাব পান করিয়ে,একজনের পিছনের রাস্তা দিয়ে অন্যজনকে যেনা করিয়ে,ইলেকট্রিক শরট দিয়ে যোনাংগে,কুকুর দিয়ে কামড়িয়ে আরো কতরকমভাবেই না নির্যাতন করল এই আমেরিকান সরকার, কাশ্মীর এর মুসলিমদেরকে যুগ যুগ ধরে হত্যা,নির্যাতন চালানো হচ্ছে,নেড়া বোদ্ধরা প্রতিদিন হত্যা করছে মায়ানমার এর রোহিংগা মুসলিমদের এবং মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে,মা বোনদের পালাক্রমে ধর্ষণ করা হচ্ছে,আফগানিস্তান মুসলিম রাস্ট্র দখল করেছে আমেরিকা।
এই কাজগুলো মুসলিমদের বিরুদ্ধে হচ্ছে কিন্তু কোন দল, কোন মুসলিম রাস্ট্র আসলনা মুসলিমদের জন্য নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে। আর মুসলিমদের এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে যখন কিছু যুবক মুসলিমদের পাশে এসে দাড়িয়ে এই কুফফারদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করল তখনই আমরা আর আপনারা সবাই  বলে উঠলাম যে তারা জংগী।
.
আল্লাহর রাসুল বলেছেন,আমার উম্মতের একটা দল সর্বদা হ্বকের উপর থেকে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকবে। তারা নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করবেনা।এখন ভাই আপনি বলেন সেই দল কোনটি?
.
দুনিয়ার সব দল যখন নিজেদের ইখতিলাফি বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত তখন আপনি বলুন কারা ইসলামের জন্য কাজ করছে জান-মাল বাজি রেখে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন বাস্তবায়নের জন্য রত আছে?
.
আপনার মতামতের আশায় রইলাম ভাই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top