শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আহবান

কোন মন্তব্য নেই:

আসসালামু‘আলাইকুম
.
সকল প্রশংসা আল্লাহ্ রাব্বুল
আলামীনের। আমরা আমাদের নফসের
খারাপ দিক থেকে তাঁর সাহায্য
প্রার্থণা করি এবং আমাদের খারাপ
আমল থেকে আশ্রয় চাই। আল্লাহ্ যাকে
হেদায়াত দান করেন কেউ তাকে পথভ্রষ্ট
করতে পারে না। আর আল্লাহ্ যাকে
বিভ্রান্ত করেন কেউ তাকে হেদায়াত
করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
আল্লাহ্ তা‘আলা ব্যতীত কোন সত্য মা‘বুদ
নেই; তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন
শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।
আমরা মুসলিম (এক আল্লাহর সামনে
আত্মসমর্পণকারী বান্দা) । দুনিয়ার সমস্ত
মুসলিম ই আমাদেরই ভাই-বোন এবং
ইসলামের যেকোন শত্রুই আমাদের শত্রু।
কুরআন এবং সহীহ হাদীস আমাদের
সংবিধান। তাওহীদ এবং জিহাদ
আমাদের আক্বিদা ও মানহাজ।
শাহাদাত আমাদের কামনা । আল্লাহর
সন্তুষ্টি আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ।
জান্নাত আমাদের পরম বাসনা। তাওহীদ
এবং জিহাদের দাওয়াতের জন্য সাইটটি
সকলের সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
.
.
আহ্বান:
.
.
এই সাইট কতৃক মুসলিমদের প্রতি আহ্বান,
আমরা চাই মানুষকে মানুষের দাসত্ব
থেকে মুক্ত করে আল্লাহর প্রকৃত বান্দায়
পরিণত করতে এবং রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর
পদ্ধতিতে দাওয়াত, হিজরতও জিহাদের
মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব কে
তাগুত মুক্ত করে এক আল্লাহর সার্বভৌমত্ব
প্রতিষ্ঠা করতে অর্থাৎ আল্লাহর দ্বীনকে
বিজয়ী করতে ।
আমরা আহ্বান করছি যে , যারা আল্লাহর
দ্বীনকে ভালোবাসে এবং যারা দাবী
করে যে তারা মুসলিম, তারা আল্লাহর
দ্বীনের জন্য চিন্তা করুক এবং আল্লাহর
দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য ছুটে আসুক ।
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮ ﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮ ﺣﻴﻢ

ইসলামী আইন বাস্তবায়নের আহ্বান !
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তা’আলার জন্য ।
মুহাম্মদ (সঃ) এর উপর দরুদ ও সালাম
বর্ষিত হোক। অতঃপর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি
যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা’বুদ নাই
এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর বান্দা ও রাসুল।
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে “আল্লাহ
ছাড়া কারো বিধান দেয়ার অধিকার
নাই” (সুরা ইউসুফ – ৪০)। “শুনে রাখ ! তাঁরই
কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান
করা”(সুরা আরাফ- ৫৪) “আল্লাহর আইনকে
বাস্তবায়ন করার জন্য আমার উম্মতের
মধ্যে একটি ঈছাবা (দল) সব সময় সশস্ত্র
জিহাদ করে যাবে। তারা তাদের শত্রুদের
প্রতি কঠোর হবে , যারা তাদের
বিরোধিতা করবে তারা তাদের ক্ষতি
করতে পারবে না। তারা কিয়ামত পর্যন্ত
এ কাজ চালিয়ে যাবে”(সহীহ মুসলিম
৪৮০৪/৫ইঃফাঃ)।
.
.
জনগণের প্রতি আহ্বান !
প্রিয় দেশবাসী মুসলিম ভাই ও বোনেরা ,
আসসালামুআলাইকুম। আল্লাহ আমাদেরকে
সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি
রুপে এবং শুধুই তাঁর ইবাদাতের জন্য যাতে
থাকবে না কোন অংশীদার। আমাদের
মাঝে শেষ নবী মুহাম্মদ (সঃ) কে প্রেরণ
করেছেন এই শিক্ষা দেয়ার জন্য যে
আমরা কিভাবে আমাদের বিশ্বাস ও
কাজে কর্মে তাগুতকে বর্জন করতে পারি।
আল্লাহ তা’আলা বলেন , “প্রত্যেক
উম্মতের মধ্যেই আমি রাসুল পাঠিয়েছি এ
দায়িত্ব দিয়ে যে , তোমরা একমাত্র
আল্লাহর ইবাদাত কর এবং সকল প্রকার
তাগুতকে বর্জন করো”(সুরা নাহলঃ ৩৬)।
তাগুতঃ মানুষ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য
কাউকে ইলাহ বা উপাস্যর আসনে বসিয়ে
তার ইবাদাত বা আনুগত্য করে এবং কোন
ব্যাপারে তাকে আল্লাহর সাথে শরীক
করে তবে সেই অংশীদার ইলাহকে বলা হয়
“তাগুত”। ক্ষমতাসীন তাগুতঃ আল্লাহর
বিধান পরিবর্তনকারী জালিম শাসক ,
অর্থাৎ যে শাসক আইনের বলে হারাম কে
হালাল করে। যেমনঃ-যিনা , সুদ , মদ্যপান
বা অশ্লীলতার অনুমোদন দেয় , কিংবা
হালালকে হারাম করে। যেমনঃ- সত্য
দ্বীন প্রতিষ্ঠায় বাধা দেয়। অনুরুপভাবে
যে ব্যাক্তি আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে
নিজেদের তৈরিকৃত অথবা কাফের-
মুশরিকদের বিধান অনুযায়ী শাসন করে
সে হলো “ক্ষমতাসীন তাগুত”।
কোন মুসলিম ভূখন্ডে আল্লাহর বিধান
ছাড়া অন্য কারো বিধান চলতে পারে না।
কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় , শতকরা নব্বই
ভাগ মুসলিম বাস করা সত্ত্বেও আমাদের
দেশে আল্লাহর বিধান কার্যকর নেই।
উপরন্তু দেশের জেলা থেকে রাজধানী
পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে নিম্ন ও উচ্চ আদালত
গঠন করে যে বিচারকার্য পরিচালনা করা
হচ্ছে তার মূল ভিত্তি হচ্ছে মানুষ্য রচিত
সংবিধান। যে সংবিধান প্রণয়ন করেছে
কিছু জ্ঞানপাপী মানুষ। কথা ছিল মানুষ
হিসেবে একজন মানুষের কাজ হবে
আল্লাহর দাসত্ব করা ও আল্লাহর
বিধানের আনুগত্য করা। কিন্তু সে মানুষ
আজ নিজেই সংবিধান রচনা করে
আল্লাহর বিধানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে
দিয়েছে।
.
এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে আছে
আল্লাহ বিরোধী শক্তি। কারণ যে
প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র প্রধান কিংবা
রাষ্ট্রের অন্যান্য পরিচালকবর্গ
নির্বাচিত হচ্ছেন তা একটি সম্পুর্ণ
অনৈসলামিক পদ্ধতি। পবিত্র কুরআন ও
হাদীসে কোথাও প্রচলিত কাফির মুশরিক
বিরচিত গণতন্ত্র , সমাজতন্ত্র,রাজতন্ত্র
ইত্যাদী পদ্ধতির স্বীকৃতি পাওয়া যায় না
। এসব প্রত্যেকটি পদ্ধতিই হচ্ছে আল্লাহর
বিধানের প্রতিপক্ষ এক একটি ব্যবস্থা।
কাফির – মুশরিক ও ইহুদী মস্তিস্ক প্রসূত
এসব বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে শুধুমাত্র
মুসলিম আক্বীদা ও বিশ্বাসকে ধ্বংস
করার মানসে। কাজেই এদেশের মুসলিম
জনতার আজ ভাবার সময় এসেছে।
তাই আল্লাহর কতিপয় বান্দারা আল্লাহর
হুকুম ও ঈমানের দাবীকে সামনে রেখে এই
প্রচলিত বিচার ব্যাবস্থাকে অস্বীকার
করে। পাশাপাশি যে সংবিধানকে
ভিত্তি করে দেশ পরিচালিত হচ্ছে , তা
আল্লাহর বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক
বিধায় এ ব্যবস্থা ও তথাকথিত নির্বাচন
পদ্ধতি পরিহার করে আল্লাহর হুকুম ও
রাসুল (সঃ) এর পদ্ধতিতে দেশ
পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি
আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যথায় কতিপয়
বান্দারা আল্লাহর জমীনে আল্লাহর
দ্বীন কায়েমের জন্য আল্লাহর বিধান
বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। অত’এব , যতদিন
পর্যন্ত দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন না
হয় , ততদিন পর্যন্ত তাগুতের বিচারালয়ে
যাওয়া বন্ধ রাখুন। আপনাদের যেকোন
বিচার ফয়সালার জন্য মসজিদের খতিব ,
মাদরাসার মুহাদ্দেস ও অভিজ্ঞ আলেমে
দ্বীনের কাছে গিয়ে আল্লাহর আইনের
ফয়সালা প্রার্থনা করুন। তাগুত সরকারের
আইন উপেক্ষা করে আল্লাহর আইনের
বিচার ফয়সালা নিন।
আল্লাহ বলেন- “তারা কি জাহেলী
বিধানের ফয়সালা কামনা করে ? আল্লাহ্
অপেক্ষা ঈমানদারদের জন্য উত্তম
ফয়সালাকারী কে ?” (সুরা মায়েদাঃ-
৫০)। “তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতিত অন্য
কোন বিচারক অনুসন্ধান করবো ?” (সুরা
আন’আমঃ- ১১৪)। “আপনি কি তাদেরকে
দেখেননি, যারা দাবী করে যে আমরা
ঈমান এনেছি , যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ
হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ
হয়েছিল। তারা তাগুতকে বিধান
দানকারী বানাতে চায় , অথচ তাদের
প্রতি নির্দেশ হয়েছে, তারা যেন তাকে
অমান্য করে। ” (সুরা নিসাঃ-৬০)
.
.
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান !
যারা হেদায়েতের অনুসারী তাদের প্রতি
সালাম। হেদায়াত প্রাপ্তির পর
গোমরাহী ও অন্ধকারের দিকে ফিরে
আসা উচিত নয়। আল্লাহ তাঁর রাসুল (সঃ)
কে সত্য দ্বীন সহকারে প্রেরণ করেছেন ,
সুসংবাদ বহনকারী ও সতর্ককারী
হিসাবে। যারা তাঁর ডাকে সাড়া
দিয়েছেন, আল্লাহ্ তাদের সঠিক ভাবে
হেদায়েত দিয়েছেন। আর যারা পৃষ্ঠ
প্রদর্শন করেছে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) তাদের
বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছেন। অতঃপর তারা
ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক ,
ইসলামের আনুগত্য করেছে। অতএব
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান !
আপনারা এদেশে আল্লাহর আইন চালু করুন।
আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো।
আমরা ক্ষমতা চাই না, আমরা দেশে
তাগুতী শাসনের পরিবর্তে আল্লাহর আইন
চাই।
আল্লাহর কতিপয় বান্দারা আল্লাহর
সৈনিক। আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করার
জন্য এরা নবী-রাসুল, সাহাবী ও যুগেযুগে
বীর মুজাহিদগণের পদ্ধতি গ্রহণ করেছে ।
আল্লাহর কতিপয় বান্দারা এদেশ থেকে
সমস্ত র্শিক-বিদ’আতের অবসান ঘটিয়ে
খালেছ তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর
সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায় এবং এর
মাধ্যমে জনগনকে দুনিয়া ও আখিরাতে
সুখী দেখতে চায়।
এই সত্য আহবানের পর সরকার যদি এদেশে
ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা না করে , বরং
আল্লাহর আইন চাওয়ার অপরাধে কোন
মুসলিমকে গ্রেফতার করে, অথবা আলেম
ওলামাগণের উপর নির্যাতন চালায়
তাহলে আল্লাহর কতিপয় বান্দারা
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পাল্টা এ্যাকশন
নিবে ইনশাআল্লাহ।
.
.
জাতীয় সংসদের সরকারী ও বিরোধীদলের প্রতি আহ্বান !
কাফের রচিত গণতান্ত্রিক এই পদ্ধতিটি
সরকারী ও বিরোধী দল নামে দুটি পক্ষ
সৃষ্টি করে জাতিকে দলে দলে বিভক্ত
করে দেয়। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য হরতাল ,
অবরোধ করে জনগণের ক্ষতি সাধন করার
অধিকার দেয়। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির
অপরাধের জন্য জনগণকে অবরুদ্ধ করে
রাখা , সারা দেশ অচল করে দেয়াও
গণতান্ত্রিক দেশে সংবিধান সম্মত।
এদেশে যারা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক
রুপ দিতে চায় তারা ইসলামের শত্রু।
অত’এব আল্লাহর হেদায়াত পেতে চাইলে
দলাদলি বাদ দিয়ে সরকারী ও
বিরোধীদল মিলে অবিলম্বে দেশে
ইসলামী আইন চালু করুন। তাগুতী সংবিধান
পরিত্যাগ করে ইসলামী আইন
বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে সমুদয়
র্শিক-বিদ’আত , অশ্লীলতা দূর করে
জনগণকে সঠিকভাবে ইসলাম পালন করতে
দিন। আর আপনারা যদি বুশ-ব্লেয়ার-
মনমোহন চক্রের ভয়ে দেশে ইসলামী হুকুমত
প্রতিষ্ঠা করার সাহস না পান , তাহলে
গণতন্ত্রের তাগুতী রাজনীতি ছেড়ে দিন।
আলেম-ওলামা, মাশায়েখ ও ইসলামী
চিন্তাবিদগণের সমন্বয়ে শুরাই পদ্ধতিতে
তৌহিদী জনতা এদেশে ইসলামী হুকুমত
প্রতিষ্ঠা করবে ইনশা-আল্লাহ্।
.
.
সরকারী আমলা ও বিচারকগণের প্রতি
আহ্বান !
সরকার দেশে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা না
করলে আপনারা প্রশাসনিক কাজকর্ম ও
তাগুতী আইনে বিচারকার্য পরিচালনা
বন্ধ করুন। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায়
সর্বাত্মক সহযোগীতা করে আল্লাহর
সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন ধন্য করুন। সেই
সাথে আর্মি , বিডিআর , পুলিশ ও র্যাবসহ
সকল সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণের প্রতি
আহ্বান ! আপনারা তাগুতী আইন
হেফাযতের পরিবর্তে আল্লাহর আইন
হেফাযতে সচেষ্ট হোন। তাগুতের আদেশ
মানবেন না , আল্লাহর আদেশ মানুন।
তাগুতের নির্দেশে আল্লাহর সৈনিকদের
বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবেন না। তাগুতের
গোলামী ছেড়ে আল্লাহর গোলামী করুন।
তাগুতের সৈনিক হওয়ার পরিবর্তে
আল্লাহর সৈনিক হয়ে যান। আর যারা
তাগুতের গোলামী না ছাড়বে , আল্লাহর
বিধান অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা
নেয়া হবে ইনশা-আল্লাহ। আল্লাহ্
তা’আলা বলেন- “যারা ঈমানদার তারা
লড়াই (সশস্ত্র জিহাদ) করে আল্লাহর
রাহে, পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা
লড়াই করে তাগুতের পক্ষে সুতরাং
তোমরা লড়াই ( সশস্ত্র জিহাদ ) করতে
থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের
বিরুদ্ধে – ( দেখবে ) শয়তানের চক্রান্ত
একান্তই দুর্বল” ( সুরা নিসা- ৭৬)।
.
.
বিশ্ব মুসলিমের প্রতি আহ্বান !
বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী
হচ্ছে আমেরিকা-ইসরাইল চক্র। তারা
সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মুসলিমদের
উপর আক্রমণ চালাচ্ছে এবং জোর করে
সকল মুসলিম দেশে কুফরি সংবিধান
চাপিয়ে দিয়ে তাদেরকে ঈমানহারা
করতে চায়। কিন্তু আল্লাহর সৈনিকরা
তার এ অভিলাষ পূর্ণ হতে দিবে না, এবং
গণতন্ত্রের কুফুরি মতবাদও প্রতিষ্ঠা হতে
দিবে না। গণতন্ত্র হচ্ছে তাগুতের
উদ্ভাবিত পদ্ধতি। পৃথিবীতে তাগুতী
শক্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য এটা তাদের
প্রধান অস্ত্র। তাগুতী বিধান আল্লাহর
পথের মুজহিদদেরকে গ্রেফতার করার
নির্দেশ দেয়। মুসলিম ভূখণ্ড রক্ষার জন্য,
কুফফারদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য
এবং আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য যারা
অস্ত্র ধরে তাদেরকে বলে জঙ্গী ,
সন্ত্রাসী। অথচ আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“হে ঈমানদারগণ! নিজেদের অস্ত্র তুলে
নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে কিংবা
সমবেতভাবে বেরিয়ে পড়” (সুরা
নিসা-৭১ )।
.
.
অতএব বিশ্ব মুসলিমদের প্রতি আহ্বান,
আপনারা প্রতিটি মুসলিম দেশে আল্লাহর
আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে নসিহত
প্রয়োজনে বাধ্য করুন। সকল মুসলিম দেশ
হতে সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে তাগুতী
শাসকদের উৎখাত করে ইসলামী সরকার
প্রতিষ্ঠা করুন। কুফুরি জাতিসংঘ
পরিত্যাগ করুন। সকলে মিলে খিলাফত
প্রতিষ্ঠা করুন; এটা যে আমাদের দায়িত্ব!
কাফের-মুশরিকদের প্রতি হুশিয়ারী!
আমেরিকা-ইসরাইল চক্রসহ সমস্ত জালেম
শাসকদের হুশিয়ার করা হচ্ছে যে, তোমরা
মুসলিম দেশের দখলদারীত্ব ছেড়ে দাও।
মুসলিম দেশে আর মোড়লীপনা করার
চেষ্টা করো না। সারা বিশ্বে মুসলিমরা
জেগে উঠছে। এখনো যদি মুসলমানদের
উপর নির্যাতন বন্ধ না কর, তাহলে
তোমাদের পৃথিবীর কোথাও নিরাপদে
থাকতে দেয়া হবে না।
.
ইসলামদ্রোহীদেরকে সতর্ক করা যাচ্ছে
যে , তোমরা মুসলিম দেশে ইসলাম
বিধ্বংসী কার্যক্রম বন্ধ কর। তা না হলে
তোমাদেরকে সমূলে উৎপাটন করা হবে
ইনশা-আল্লাহ।
.
ওয়া সাল্লাল্লাহু তা’আলা ‘আলা খাইরি
খালকিহী মুহাম্মাদিও ওয়া’আলা আলিহী
ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top