মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

দরবারি আলেম-১

কোন মন্তব্য নেই:

এই সালাফিদের মধ্যেও কিছু লোক আছে আমি পরিস্কার বলি দিই আজকে। এই বাংলাদেশে অনেকে তাওহীদের দাওয়াত দেয় বা সোদি আরবে আছে।পড়াশুনা করে যারা এসেছে মদিনা থেকে।এইরকরম বড় বড় ইউনিভারসিটির লেকচারার আছে টেলিভিশন এ ভাষন দেয়,এরা তাওহীদের দাওয়াত দেয়।সেই তাওহীদ কোন পরযন্ত জানেন????ওদের তাওহীদ মানে হল কবর পুজা শিরক, মাঝার পুজা শিরক,পীর পুজা শিরক, এই পরযন্ত শিরক শেষ।যখন বলবেন যে,যারা শাসকেরা মুসলিম দেশের শাসকরা যারা আল্লাহর আইন বাতিল করে নিজেরা সারবময় ক্ষমতার দাবি করে, আল্লাহর আইন পরিবরতন করে তারা কি??তখন বলে,না না। দেশের আইন মানা ফরয। দেশের আইন মানা কি? ফরয!! 
এই বেটা! দেশের আইন মানা ফরয পাইছ কই????
যারা আল্লাহর আইন বদলাইল,আল্লাহর আইন বাতিল করল,যে মুসলিম দেশের শাসকেরা তারা কি মুসলমান না কাফের????

এরা উপহাস করে,এরা মুসলিমদের কে হত্যা করে,যারা ইসলাম কায়েম করতে চাই তাদেরকে জেলে ঢুকিয়ে দেয়,এরা কাফেরদের হাতে মুসলমানদের তুলে দেয়,এরপরও এরা কি??
এরা কাফেরদেরকে এনে নিজেদের দেশে বসাই।সোদি আরবের সরকার কি করছে?জেদ্দায়,দাম্মামে,রিয়াদে সবজায়গায় আমেরিকা কে বসাই দিছে পাহাড়াদাড়ি করার জন্য।যাদের  সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু কারা?কাফেররা।আমেরিকা, ইহুদী,খ্রিষ্টানরা।

যতগুলো মুসলিম দেশ আছে সবগুলোর শাসক কারা এখন?শাসকের আইন মানা ফরয।কোন শাসক?যে শাসক কোরান আর হাদিস দিয়ে দেশ চালায়।ওই শাসকের আইনন মানা কি???      ফরয।।।
ওই শাসকদের সম্পরকে বলা হয়েছে, তারা যদি তোমার পিঠে চাবুক মারে তারপরও তার বিরোধিতা করনা।আর যেই শাসকরা কুরান ও সুন্নাহ মুতাবেক দেশ পরিচালনা করেনা।বরং কুরানের আইন বাতিল করে,তাদের সংবিধান এ পরিস্কার লেখা আছে।এই যে যারা আল্লাহর আইন কে বাতিল করে দিল, আল্লাহরর আইনকে মিটাইয়া দিল,এবং তাদের সংবিধান এর সাথে সাংগরষিক যেটা যেটা সেখানে আল্লাহরটা বাতিল সংবিধান ঠিক।এমনকি যদি সংবিধান এর বিরুদ্ধে বলে তাহলে রাস্ট্রদ্রোহী।ওই বেটা,তোর সংবিধান এর বিরুদ্ধে কথা বললে যদি রাস্ট্রদ্রোহী হই,আল্লাহর দেয়া সংবিধান এর বিরুদ্ধে বললে তাকে কি বলব আমরা?????????
আল্লাহদ্রোহী।।।।।
.
তাহলে যারা আল্লাহরদ্রোহী হয়ে গেল তুই তাদেরকে হেফাযত করার জন্য যারা আল্লাহর কথা বলে তুই তাদেরকে বললি রাস্ট্রদ্রোহী।
এই লোকগুলো কতবড় গোমড়াহ!
আমি জানি না,আল্লাহ তায়ালা একদল লোক সম্বন্ধে বলেছেন,যাদেরকে তাওরাত দেয়া হয়েছিল ওরা হেমারের মত।গাধার মত।হেমার মানে কি?গাধার পিঠে যদি কুরান,হাদিস,বিজ্ঞান এর বই চাপাই দেয়া হই,গাধাই কোন জ্ঞান অরজন করতে পারবে??ওর পিঠে আলুর বস্তা দেয়া যে কথা আর কুরান-হাদিস আর বিজ্ঞান এর বই দেয়া কি?একি কথা। ঠিক এইরকরম ভাবে এই আলেমগুলো কে আল্লাহ তায়ালা কুরানের এলেম দিয়েছিলেন,হাদিসের এলেম দিয়েছিলেন।মানুষ কে তারা তাওহীদের দাওয়াত দিবে,জিহাদের দাওয়াত দিবে,শিরক এর বিরুদ্ধে দাওয়াত দিবে।এই লোক গুলো কি করল??
শাসকদেরকে বাঁচাবার জন্য,দুনিয়ার শাসকদের পা চাটা গুলামি করে তারা বলে শাসকদের আইন মানা ফরয।অথচ এই শাসকেরা রাস্তার মোড়ে মোড়ে মুরতি বানাচ্ছে।এরপরও যদি তাদের আইন মানা ফরয হই,তাহলে শাসকেরা আইন করে দিয়েছে ২১ শে ফেব্রুয়ারি মুরতির সামনে নগ্ন পায়ে যেতে হবে,ফুল চড়াতে হবে,মুরতির সামনে নিরবে এক মিনিট দাড়াতে হবে।কর গিয়া ফরয। শাসকের আইন। ওই আলেম সাহেবদেরকে আপনারা প্রশ্ন করবেন যে,ভাইযান আমরা কি তাহলে শাসকদের আইন মানতে গিয়ে দেশের আইন মানতে গিয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিবনা?মুরতির সামনে গিয়ে আমরা নিরবে দাড়াব না?আমরা কি ওখানে গিয়ে নগ্ন পায়ে হাটব না?আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে পহেলা বোইশাখে পান্তা ভাত খেতে যাব না?মেয়েদের হাতে পান্তা ভাত খাব না?আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে নেতা নেত্রীদের সাথে একসাথে বসব না?জিজ্ঞেস করুন এদের কে।আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে চোরের হাত কাটার বিধানটাকে কুরান থেকে তুলে দিব না?আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে সুদ আল্লাহ হারাম করেছেন এই ফতোয়া কি বাতিল করে দিব না?
.
আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে পতিতালয় এর যে লাইসেন্স দেয়া হই সেখানে যেনা ব্যভিচার হারাম হবে না এই ফতোয়া কি দিব না?দেশের আইন মানা ফরয, শাসকদের মান্য করতে হবে। ওই ব্যাটা কুরানের আয়াত দিয়ে দলিল পেশ করে,আতিউল্লাহু ওয়া আতিউর রাসুল।ওয়া আমরি মিনকুম।ওখানে পরিস্কার বলা আছে তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর,আল্লাহর রাসুলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে উলুল আমর এখানে আতিউ শব্দ নাই তার মানে আল্লাহ এবং রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে তোমাদেরকে দেশ চালাই সেই উলুল আমর এর আনুগত্য কর।। আর যারা নিজেরা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের আনুগত্য করে না তারা উলুল আমর না।জেনে রাখ তারা হচ্ছে উলুল খমর।তারা কি উলুল খমর।ওরা উলুল আমর না।ওরা মদের হেফাযত কারী।কাজেই খবরদার!এই সমস্থ আলেমের ফতোয়াই কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।যে আলেমরা রফে ইয়াদিন না করলে কাফের বলে,যে আলেমরা আমিন জোরে না বললে কাফের বলে,যে আলেমরা বুকের উপর হাত না বাধলে কাফের বলে,অথচ মুরতি তোইরি করলে কাফের হই না,সুদ হালাল করে দিলে সে কাফের হইনা,আল্লাহর আইনের পরিবরতে আইন তোইরি করলে কাফের হই না,মানুষের সার্বভৌমত্ব কায়েম করলে কাফের হইনা,কাফের হই আমিন জোড়ে না বললে। এই রকম যারা তাওহীদের দাওয়াত দেয়,আমি সেই তাওহীদবাদি ভাইদেরকে বলছি যদি বুজে না আসে বুঝার চেস্টা কর,তোমাদেরকে দাওয়াত দিচ্ছি পুরনাংগ তাওহীদে চলে আস।তোমার তাওহীদের মধ্যে মাথা নাই কি নাই?মাথাবিহীন তাওহীদ। তাওহীদের দাওয়াত দাও,পুরা তাওহীদ। একেবারে রান্না ঘর থেকে শুরু করে বংগভবন পরযন্ত,সংসদ ভবন পরযন্ত তাওহীদ চলবে।এক আল্লাহর বিধান,এক আল্লাহর হুকুম রাস্ট্র তে চলবে,সমাজে চলবে,ব্যাংক এ চলবে,আদালত এ চলবে,এই তাওহীদের দাওয়াত দাও।নতুবা এমন তাওহীদের দাওয়াত দিওনা যেই তাওহীদ ওই কবর পুজা, মাঝার পুজা,পীর পুজা পরযন্ত শেষ হয়ে যাই আর উপরে যাইতে পারেনা।ওইখানে ত্বাগুতের আইন চললে সেখানে কোন কথা নাই।আপনারা কোন তাওহীদের দাওয়াত দিবেন।বিষয় গুলো কি ক্লিয়ার হচ্ছে আমি কি বলতে চাচ্ছি????
.
ভাল করে বুঝার চেস্টা করবেন।তাওহীদের উপর আসবেন তো পুরা আসবেন আধা -আধি তাওহীদের উপর যারা আছে সবচেয়ে বড় যে শিরক রাস্ট্রীয় শিরক, রাস্ট্রীয় ত্বাগুত, যারা সমস্থ ছোট ছোট শিরক গুলো কে কি করে?লালন করে।সমস্ত ত্বাগুতকে সমস্ত শিরককে লালন করে কে?
.
রাস্ট্রীয় শিরক,রাস্ট্রীয় ত্বাগুত, এই রাস্ট্রীয় ত্বাগুতরা উনাদের কাছে মুশরিক না।রাস্ট্রীয় শিরক না উনাদের কাছে শিরক হল গরীবের শিরক,কবর পুজা শিরক,পীর মুরিদি শিরক, এগুলো গরিব দের শিরক আর ওইগুলো এই ভি আই পি শিরক।এই ভি আই পি শিরক তাদের কাছে শিরক না।কারন তাহলে যাদের থেকে টাকা পয়সা পাই, যাদের গুনগান গাই তাদের বিরুদ্ধেও চলে যাই।সেই জন্য এখানে গিয়ে তারা কি করে এড়াইয়া যান।এজন্য মনে রাখতে হবে, একজন মুমিন মানে তাকে পুরাপুরি ভাবে ঘোষনা করতে হবে। আমি আল্লাহর দ্বীন মানি এছাড়া কাউকে মানি না।আল্লাহর হুকুম মানি এছাড়া আর কারও হুকুম মানি না। আশহাদুল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদুন্নাহ মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রসুলুহু।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বিষয়গুলো বুঝার এবং আমল করার তোফিক দান করুন আমিন।

একজন ত্বাগুতের জম,
বাংলার বাঘ,
তাওহীদবাদী শাইখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top