সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আল কায়েদা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর

1 টি মন্তব্য:

আল কায়েদা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের
উত্তর -১
.
একজন অমুসলিম কিংবা ইসলাম সম্পর্কে
অজ্ঞ ব্যাক্তি আল কায়েদাকে সন্ত্রাসী
বলে যেটা অতি স্বাভাবিক। কিন্তু
মুসলিম
এবং ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান,
ইসলামী
আন্দোলন করে এরকম কেউ আল
কায়েদাকে
সন্ত্রাসী বলবে এটা সত্যিই
অস্বাভাবিক।
আল কায়েদা কেন সন্ত্রাসী?? প্রশ্ন
করলে
জবাব মিলে অমুক দেশে হামলা
চালিয়েছে।
অমুক দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে। অমুক
স্থানে নারী শিশুকে মেরেছে।
আল কায়েদা এ পর্যন্ত কয়টা নিরীহ
মানুষকে
মেরেছে আর আল কায়েদার শত্রুরা কয়টি
মেরেছে?
আল কায়েদার হাতে অনিচ্ছাকৃত ভাবে
কেউ
মারা গেলে তার পরিবারকে কেমন
সাহায্য
করা হয় আর আল কায়েদার শত্রুদের হাতে
মারা গেলে তার পরিবারের উপরও আরো
নির্যাতন আসে?
আল কায়েদা কয়টা দেশকে বিরান
করেছে?
কয়টা স্কুলকে ধংস করেছে? কয়টা
শিশুকে
হত্যা করেছে? আর আল কায়েদার শত্রুরা
কি
করেছে?
বিবিসি কিংবা সিএনএন এর খবর দেখে
আল
কায়েদাকে সন্ত্রাসী বলেন আবার
বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন, আফগান,
কাশ্মীর,
ইরাকে নিহত মুসলিমদের জন্য কেদে
ওঠেন!
আপনি বড় ধোকাবাজ।।
আপনার দৃষ্টিতে যারা মার খায় তারাই
শুধু
মুসলিম আর যারা মারের বদলে মারও দেয়
তারা সন্ত্রাসী।।
আপনি বড্ড বেকুব। আপনি বড্ড পাগল।
আপনার
চোখ অন্ধ। আপনি ইজ্জতের মৃত্যু চান না।
আপনি চান জিল্লতির বেঁচে থাকা।
আপনি থাকুন আর না থাকুন তারিক,
কাসিম,
মুসা, কুতায়বা, সালাহউদ্দিনের
উত্তরসূরীরা
ঠিকই থাকবে এবং শত্রুদের আতংক হয়েই
থাকবে।
-------------------------------------
আল কায়েদা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের
উত্তর -২
.
আল কায়েদা সৌদি আরবের দালাল। আর
সৌদি আরব আমেরিকার দালাল। একই
সূত্রে
আল কায়েদা আমেরিকার দালাল।
উপরের যুক্তিটি কোন ইহুদী খ্রীষ্টানের
নয়,
যুক্তিটি আমার সমাজের মুসলিমদের।
যুক্তিটি শুধু হাস্যকরই নয় বরং তাদের
আসল
পরিচয়ই প্রকাশ করে দেয় এই যুক্তিটা।
তারা আল কায়েদাকে আমেরিকার
দালাল
বলার একটা প্রমান দেখায় সেটা হলো
আফগানিস্তানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে
যুদ্ধের
সময় আল কায়েদাকে সৌদি ও
আমেরিকার
সাহায্য।
হ্যা সৌদি আরব আল কায়েদাকে অর্থ
দিয়ে
সাহায্য করেছিল। আফগান যোদ্ধাদের
আমেরিকা সাহায্য করেছিল। তখন
আফগানদের উদ্দেশ্য ছিল জাতীয়তাবাদ
অর্থাৎ আফগান কেন্দ্রিক। কিন্তু ওসামা
বিন
লাদেনের আল কায়েদার উদ্দেশ্য ছিল
গোটা
পৃথিবীতেই ইসলামের হারানো সোনালী
যুগ
ফিরিয়ে আনা।
আর এই একটা কারনেই আল কায়েদা
সৌদি,
আমেরিকার শত্রু। সৌদি ওসামার
নাগরিকত্ব
বাতিল করলো এজন্যই। আমেরিকা চায়
তার
পদানত থাকুক সবাই। কিন্তু মুজাহিদেরা
কি
আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে মাথা নত
করে??
ফল দাড়ালো এটাই। আমেরিকার চূড়ান্ত
শত্রু
হয়ে গেল আল কায়েদা।
আজকে যারা আল কায়েদাকে দালাল
বলে
গলা ফাটাতে দেখা যায় তাদের সাথে
একটা
দেশের আবার বিশেষ খাতির। দেশটা
থেকে
তারা অনেক হেল্প সহযোগিতাও পায়।
দেশটা
হলো আমেরিকার পাচাটা সৌদি আরব।
আর
যারা গলা ফাটায় তাদের তো আপনার
ভালো
করেই চিনেন।।
আল কায়েদা যদি দালাল হতো তবে আজ
আল
কায়েদার সদস্যদের জায়গা হতো বোতল
হুজুরদের পাশে, বড় বড় বিজ্ঞানাগারে,
বিশ্বের নামকরা ইন্জিনিয়ার,
ফার্মাসিস্টদের কাতারে। কারন মূর্খদের
সংগঠন আল কায়েদা নয় জ্ঞানের
ভান্ডারদের সংগঠন আল কায়েদা।
এরপরও যদি আল কায়েদাকে আমেরিকার
দালাল বলেন কেউ তবে কারনটা
জানাবেন
উপযুক্ত জবাব দিতে আমি প্রস্তুত ।
---------------------------------------------------
আল কায়েদা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের
উত্তর -৩
.
অত্যান্ত বিস্ময়ের একটা সংগঠন আল
কায়েদা। কর্মকৌশল, পদ্ধতি সবকিছুতেই
আছে বিস্ময়।
গোটা পৃথিবীতে এতো শক্তিশালী গোপন
নের্টওয়াক তৈরি করেছে আল কায়েদা।
নেই
শুধু মধ্যপ্রাচ্যে গোটা বিশ্বেই আল
কায়েদা
আছে। তবে সব এলাকায় জাগ্রত নয় আছে
ঘুমন্ত শেল হিসাবে। পচা শামুকেও পা
কাটে,
এই ঘুমন্ত শেলগুলোও ইসলামের শত্রুদের
সেভাবেই আটকায়।
মনে করুন বাংলাদেশে আল কায়েদার
ঘুমন্ত
শেল আছে। এবং আল কায়েদা
বাংলাদেশকে নিয়ে কোন প্ল্যান
জানিয়ে
দিলো। শুধুমাত্র সংবাদ পৌছুলেই হাজার
হাজার জিহাদী পথের পথিক তৈরি হবে
আনসারের ভূমিকায়। হাজারের সংখ্যাটা
লাখেও পৌছুবে একসময়। কারন
বাংলাদেশ
জিহাদী সংগঠনগুলো নিভে গেলেও
সদস্যরা
হারিয়ে যায় নি। এছাড়াও দলে দলে তরুন
সমাজের জিহাদের প্রতি আকৃষ্ট হবার
ঘটনাও
আছে।
আল কায়েদাই একটা সংগঠন যেটাকেই
বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় সংগঠন আহবান
করে তাদেরকে অন্তভূক্ত করে নিতে।
এটাই
একমাত্র সংগঠন যেটাতে প্রবেশ করতে
হন্য
হয়ে প্রবেশ মুখ খোজে তরুনেরা।
শত্রুরা আজ আতংকিত আল কায়েদার
জন্য।
ইসলামের শত্রুরা ইসলামী সংগঠনের
প্রতি
প্রবল শত্রুতা সৃষ্ঠি করে তখনই যখন
সংগঠনটি
মুসলিমদের সচেতন করতে চায়, যখন
ইসলামের
সোনালী যুগ ফিরিয়ে আনতে চায়, আঘাত
এলে প্রতিরোধ করে, আঘাতের সংবাদ
পেয়ে আঘাতের আগেই পাল্টা আঘাতের
চেষ্টা করে।
তবে একটা বড় খবর সেটা হলো আল
কায়েদার
ডিজিটাল অটোমেশিনের খপ্পরে পড়ে
আমেরিকা এখন ধংসের পথে। অর্থনৈতিক
ভাবে পঙ্গু হয়েছে। এখন খুড়িয়ে খুড়িয়ে
হাটছে। তবে খোড়ানোও বন্ধ হবে শীগ্রই।
ইনশাআল্লাহ ।
এরপরেই আসবে আরেক শত্রু ইউরোপীয়
ইউনিয়ন। যারা ধর্মের জন্য ক্রুসেড
ঘোষনা
করবে।
-----------------------------------
আল কায়েদা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের
উত্তর- ৪
.
আল কায়েদাকে নিয়ে কুফফার এবং
তাদের
দালালেরা ভয়ানক চিন্তিত। তাদের
চিন্তা
থেকেই বিভিন্ন শ্রেনীর আলেম এবং
ধর্মদরদিদের সৃষ্টি করে আল কায়েদার
বিরুদ্ধে ফতোয়ার জন্য।
কিছু আলেম এবং কিছু লোকের বিশেষ
করে
শিয়াদের একটি অদ্ভুত যুক্তি হলো আল
কায়েদা যদি সত্যিই ইসলামের পক্ষে
থাকতো তবে তারা ফিলিস্তিনের
ব্যাপারে
ইসরাইলে একটা গুলিও ছুড়ে না কেন?
তারা
খালি আমিরিকার বিরুদ্ধে কেন যুদ্ধ করে
(মজার ব্যাপার এরা আল কায়েদাকে
আমেরিকার দালাল বলে আবার স্বীকারও
করে আল কায়েদা আমেরিকার বিরুদ্ধে
যুদ্ধ
করে)?
ওদের যুক্তির ধরনটা অত্যান্ত হাস্যকর।
আল
কায়েদার টার্গেট কোন নির্দিষ্ট গন্ডির
দেশ নয় বরং সীমান্ত ছাড়া গোটা বিশ্ব।
ইসরাইল একটা বাতি যার তেল
আমেরিকা।
তেল শেষ হলে বাতি নিভতে বাধ্য।
আমেরিকার দফা রফা হয়ে গেলে ইসরাইল
পঙ্গু এটা সবাই জানে। আরেক মৌলিক
বিষয়
আল কায়েদার নেতারা নিজ নিজ
অন্ঞ্চলে
গিয়ে জামাত গঠন করে এবং মূল ঘাটির
সাথে সম্প্রিক্ততা রাখে। আবার অনেক
অন্ঞ্চলে স্থানীয় জিহাদী সংগঠন গড়ে
ওঠে
যেগুলো আল কায়েদার পক্ষে কাজ করে।
আল
কায়েদার কাজ নিদিষ্ট কোন ভূখন্ড
কেন্দ্রিক নয়।
কিন্তু এখানে আরেকটি ব্যাপার হলো
আনসার বাইত আল মাকদিস এবং
লেবাননে
গঠিত আল কায়েদা সাপোর্টেড একটি
সংগঠন ইসলামিক স্টেট ওব ইরাক এন্ড
লিভ্যান্ট ইসরাইলের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
কিন্তু ওরা এটা চোখে দেখে না। সিনাই
পর্বত থেকে মাকদিসের নিক্ষিপ্ত
রকেটের
খবর পযন্তই নিউজ আসে মিডিয়াই।
মূল একটা ব্যাপার সেটা হলো আল
কায়েদা
চলে কুরআন ও হাদীসের উপরে। ভবিষ্যত
বানীর হাদীস গুলোর দিকে তাকিয়েই
পরিকল্পনা গ্রহন করে তারা। যেটা অন্য
কোন ইসলামিক জামাহ করে না। এদিক
দিয়ে
আল কায়েদা অনেক সচেতন এবং সবদিকে
নজর রেখে বাস্তবতার আলোকেই চলে।
------------------------------------------------------------
-----------
আল কায়েদা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের
উত্তর- ৫
.
বিষয়টা হলো আত্নঘাতি হামলা নিয়ে।
যেটাকে মুজাহিদ ভাইয়েরা শহীদি
অভিযান
বলে থাকে।
আল কায়েদার বিরুদ্ধে প্রচারনায়
শত্রুদের
তৈরি আলেম এবং বিপথগামী আলেমেরা
অভিযোগ করে থাকে যে আত্নঘাতি
হামলা
হারাম।
তাদের যুক্তির মূল ভিত্তি হলো ইসলামে
আত্নহত্যা হারাম। আত্নঘাতি হামলার
মাঝেও নিজের জীবনকে হারাতে হয় তাই
আত্নঘাতিও হারাম।
মুজাহিদদের শহীদী অভিযান কিংবা
আত্নঘাতি হামলার মাঝে থাকে
আল্লাহকে
খুঁশি করার আশায় সর্বোচ্চ ত্যাগ, দ্বীনের
বিজয়ের আশায় ঈমানের সর্বোচ্চ
পরীক্ষা
অপর দিকে আত্নহত্যার মাঝে থাকে
দুনিয়া
নিয়ে হতাশা, কোন কারনে কারও উপর
ক্ষোভ।
নিয়তের দিক থেকেও আত্নহত্যা এবং
আত্নঘাতি কিংবা শহীদি হামলার
রয়েছে
বিস্তর পার্থক্য।
* অনেক হাদিসের রেফারেন্স দেওয়া
সম্ভব
যেগুলোতে কোন মুসলিম যোদ্ধা একা
তরবারি হাতে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও
শত্রুদের
ঘেরাও এর মাঝে ঝাপিয়ে পড়েছিল।
* গাজী সালাহউদ্দিনের জানবাজী
কমান্ডোদের কথাও জানা । যেখানে
মাত্র
পন্ঞ্চাশ ষাটজন শাহাদাত পেয়াসী লাখ
শত্রুর তাবুর মধ্যে ঘোড়া ঢুকিয়ে দেয়।
যেটাতে নিশ্চিত আত্নঘাতি।
* ইখওয়ান ধর্মী দল গুলোর গনতন্ত্র দিয়ে
ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কর্মীরা
মিছিলে বুক পেতে গুলি গ্রহন করে। যেটা
নিশ্চিত আত্নঘাতি। নিহতদের শহীদ বলা
হয়।
* অনেক ইসলামী দলের সাধ্য থাকা
সত্ত্বেও
অনেক নেতাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হয়
যেটাও আত্নঘাতি।
আত্নঘাতি হামলা চালায় অনেকেই কিন্তু
হুজুর সাহেবেরা ফতোয়া দেয় আল
কায়েদারটা হারাম।
এর কারন একটাই আল কায়েদাপন্থি দলের
আত্নঘাতি হামলায় কুফফারের ক্ষতি হয়
অনেক কিন্তু অন্য দলগুলোর আত্নঘাতি
হামলা
শত্রুর ক্ষতি ত্রিশটাকার একটা বুলেট।
আত্নঘাতি হামলার অর্থাৎ শহীদী
অভিযানের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন
সেইসব
ভাইই উৎকৃষ্ট যারা ঈমানের সর্বোচ্চ
পরীক্ষায় অকাতরে জীবন দিয়েছে।।
ওদের কথায় সময় দিয়ে লাভ নেই। ওরা যে
বড্ড বোকা!!
------------------------------------------------
আল কায়েদা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের
উত্তর- ৬
(তোরাবোরা থেকে গোটা বিশ্বে আল
কায়েদা)
.
শহীদ ওসামা বিন লাদেন এই ব্যাপারটা
পুর্নজাগরিত করতে চেয়েছিলেন যে
দ্বীনকে
রক্ষা করতে মুসলিমদের জেগে উঠতে হবে
এবং বহির্বিশ্বের আনুগত্যের আওতা
থেকে
বের হয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে
স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।
আল কায়েদার আর্দশ আজ গোটা বিশ্বে
পৌছে গেছে। যার কোন সীমা পরীসামা
নেই। কোন সীমান্ত নেই।
তোরাবোরা পাহাড় থেকে আল কায়েদা
আফগান, ইরাক, ইরান, ফিলিস্তিন, মিশর,
ইয়েমেন, সৌদি, পাকিস্তান, ভারত,
বাংলাদেশ, মায়ানমার, চীন সহ খোদ
আমেরিকাতে পযন্ত পৌছে গেছে।
আল কায়েদার আদর্শ আজ পৌছে গেছে
প্রত্যেক হক্ক পন্থি আলেমের কাছে।
মাস্টার প্ল্যান সাকসেস ফুল করতে আল
কায়েদা এমনসব প্ল্যান করছে যেটা
বোতল
খাওয়া মানুষদের কাছে 'এলোমেলো
পাগলামী কিংবা চরমপন্থি
চিন্তাধারনার'
মনে হবে। আল কায়েদার কর্মকৌশল
বুঝতে
খোদ আমেরিকা, ইইউ যতোগুলো সিক্রেট
এবং প্রকাশ্য সংস্থা গড়ে তুলছে তবুও
তারা
আজও অন্ধকারেই আছে। আর সেখানে
সুশীলেরা কিভাবে বুঝবে???
আল কায়েদার প্ল্যান বুঝার সাধ্য কারো
নেই। আল কায়েদাকে ঠেকানোর সাধ্য
কারো নেই।
এ এক নিরব বিপ্লব। এক অদৃশ্য ছায়া।
কাফেরের জমদূত।
ক্রুসেড আর জিহাদের মহাসমরে আল
কায়েদার কালোপতাকা বাহীরা
আবারো
দেখাবে ইসলামের শৌর্য্য। আবারো হবে
রণহুংকার।
আল কায়েদার আদর্শ ,প্ল্যান ,লক্ষ্য
উদ্দেশ্যের জয় হবেই ইনশাআল্লাহ
---------------------------------
আল কায়েদা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের
উত্তর- ৭
.
প্রত্যেকটা ইসলামিক দলই নির্দিষ্ট
কর্মপদ্ধতিতে চলে। আর কর্মপদ্ধতির মূল
সাবজেক্ট দলে যোগ দেওয়ার আহবান।
তাইতো ইসলামিক দল গুলোর কর্মীদের
দেখা
যায় দাওয়াতের সময় নিজ আদর্শের বই আর
সমর্থক ফর্ম নিয়ে ছোটাছুটি করতে।
আল কায়েদা একটি ব্যাতিক্রমধর্মী
জামায়াত যেটি কখনও আহবান করে না
যে
তাদের জামাতেই যোগ দিতে। বরং আল
কায়েদার আহবান প্রত্যেক মুসলিমের
প্রতি,
যারা নিজেদের মুসলিম দাবি করে, ফরজ
সুন্নাহ মেনে চলে। আল কায়েদার আহবান
জিহাদের জন্য দাওয়াত, প্রস্তুতি গ্রহন।
আল
কায়েদার আহবান কুফফারের বিরুদ্ধে
অস্ত্র
ধারন। আল কায়েদা কোন দেশের
রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তগত করার জন্য লড়াই
করে
না। আল কায়েদা কুফফারকে পরাজিত
এবং
মুসলিমদের পুনরাজ্জিবীত করতে লড়াই
করে।
সত্যিই অন্য দলের কর্মীরা সমর্থক ফর্ম
নিয়ে
ঘোরে অথচ বড় বড় হক্কপন্থি আলেমেরাই
আল
কায়েদার কর্মী হওয়ার জন্য অনেক
চেষ্টা
করে।
এ যেন অবাক বিস্ময় ! এক অপরাজিত
শক্তি !
এক নব্য বিপ্লব!!!
(সংগৃহীত)

1 টি মন্তব্য:

 
back to top