সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আসুন দেখি শিক্ষা ব্যবস্থা কি পরিমান ডিজিটাল হল

কোন মন্তব্য নেই:

আসুন এক নজরে দেখি- বাংলাদেশের পাঠ্যবই থেকে কি বাদ দেওয়া হলো এবং কি প্রবেশ করলো....................
.
মুলঃNoyon Chateerjee
.
পাঠ্যপুস্তকে বাংলা বই থেকে বাদ দেওয়া হলো-
.
.
১) ক্লাস-২: ‘সবাই মিলে করি কাজ’ - শিরোনামে
মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
.
২) ক্লাস-৩: ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটিসংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
.
৩) ক্লাস-৪: খলিফা হযরত ওমর এর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
.
৪) ক্লাস-৫ : ‘বিদায় হজ্জ’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্তজীবন চরিত।
.
৫) ক্লাস-৫: বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী কাদের
নেওয়াজের লিখিত ‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ নামক একটিকবিতা। যা বাদশাহ আলমগীর মহত্ব বর্ণনা উঠে এসেছে।এবং শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে আদব কেমন হওয়া উচিত তাবর্ণনা করা হয়েছিলো।
.
৬) ক্লাস-৫ : শহীদ তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত। এপ্রবন্ধটিতে শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধেযুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ ছিলো।
.
৭) ক্লাস-৬ : ড. মুহম্মদ শহীদু্ল্লাহ লিখিত ‘সততারপুরুষ্কার’ নামক একটি ধর্মীয় শিক্ষনীয় ঘটনা।
.
৮) ক্লাস-৬ : মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী- ‘নীলনদ আরপিরামিডের দেশ’।
.
৯) ক্লাস-৬ : মুসলিম সাহিত্যিক কায়কোবাদের লেখা‘প্রার্থনা’ নামক কবিতাটি।
.
১০) ক্লাস-৭: বাদ দেয়া হয়েছে মরু ভাষ্কর নামক শেষনবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
.
১১) ক্লাস-৮: বাদ দেওয়া হয়েছে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ নামককবিতাটি।
.
১২) ক্লাস ৯-১০: সর্ব প্রথম বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগেরবাংলা কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামকধর্মভিত্তিক কবিতাটি।
.
১৩) ক্লাস ৯-১০: এরপর বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগেরমুসলিম কবি ‘আলাওল’ এর ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামককবিতাটি।
.
১৪) ক্লাস ৯-১০: বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবিআব্দুল হাকিমের লেখা বঙ্গবানী কবিতাটি।
.
১৫) ক্লাস ৯-১০: গোলাম মোস্তাফার লেখা জীবন
বিনিময় কবিতাটি। কবিতাটিতে মোঘল বাদশাহ বাবর ওতারপুত্র হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা।
.
১৬) ক্লাস ৯-১০: কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত‘উমর ফারুক’ কবিতা।
---------------------------------------------------------------------------
--------
এর বদলে বাংলা বইয়ে প্রবেশ করেছে-
১) ক্লাস-৫ : স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা।
.
২) ক্লাস-৬: প্রবেশ করানো হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’নামক একটি কবিতা। যেখানে রয়েছে হিন্দুদের দেবীদূর্গার প্রশংসা।
.
৩) ক্লাস-৬: সংযুক্ত হয়েছে ‘লাল গরুটা’ নামক একটিছোটগল্প। যা দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শেখানোহচ্ছে গরু হচ্ছে মায়ের মত, অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ।
.
৪) ক্লাস-৬: অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদেরতীর্থস্থান রাচি’র ভ্রমণ কাহিনী।
.
৫) ক্লাস-৭: `লালু’ নামক গল্পে বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়াহচ্ছে পাঠাবলীর নিয়ম কানুন।
.
৬) ক্লাস-৮: পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়ন’ এরসংক্ষিপ্তরূপ।
.
৭) ক্লাস ৯-১০: প্রবেশে করেছে ‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতা। কবিতাটি হিন্দুদের ধর্মসম্পর্কিত ‘মঙ্গলকাব্যের অন্তর্ভূক্ত, যা দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনাসূচক কবিতা।
.
৮) ক্লাস ৯-১০: অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ভারতের পর্যটন স্পট ‘পালমৌ’ এর ভ্রমণ কাহিনী।
.
৯) ক্লাস ৯-১০: পড়ানো হচ্ছে ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ শিরোনামে বাউলদের বিকৃত যৌনাচার।
.
১০) ক্লাস ৯-১০: ‘সাকোটা দুলছে’ শিরোনামের কবিতা দিয়ে ৪৭ এর দেশভাগকে হেয় করা হচ্ছে, যা দিয়ে কৌশলে ‘দুই বাংলা এক করে দেওয়া’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভূক্ত হতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
.
১১) ক্লাস-৯-১০: প্রবেশ করেছে ‘সুখের লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা, যা হিন্দুদের রাধা-কৃষ্ণের লীলাকৃর্তণ।
.
পাঠ্যপুস্তকে ইসলামকে বাদ দিয়ে যে হিন্দুত্ববাদ প্রবেশ করানো হয়েছে এটা সর্বপ্রথম বুঝতে পারার কথা মুসলিম শিক্ষক সমাজের। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় তারা বিষয়টি
নিয়ে কোন প্রতিবাদ করেনি। এছাড়া মুসলিম অভিভাবক সমাজেরও উচিত ছিলো বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করা,বলা- “কেন তার সন্তানকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে হিন্দুত্ববাদ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে ?”
.
সত্য কথা তিতা, তবুও বলতে হয়- প্রতিবাদহীন মুসলিম সমাজ আজ বোবা শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
.
লেখাটি পাবেন- http://goo.gl/74HCVo

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top