সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সাধারন মুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি আহবান

৪টি মন্তব্য:

ফাইনাল রেন্ডারঃ তাওহীদি জনতার
প্রতি আহ্বান (পর্ব-১)
.
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
আলহামদুলিল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু
আলা রসুলিল্লাহ।
.
সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আমরা
মুসলিম জাতি। হযরত মুহাম্মদ (সা) এর
উম্মত। আমরা একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত
করি। আমরা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে
ভয় করি না। আমরা আল্লাহর হুকুমের
বাইরে অন্য কারো আনুগত্য করি না।
আমরা একমাত্র আল্লাহরই আইন মানি।
তাঁর আইন ছাড়া হাসিনা, খালেদা,
এরশাদ কিংবা এজাতীয় কোন তাগুত
মুরতাদদের বানানো মানব রচিত কুফুরি
আইন আমরা মানি না। তাওহীদের
কালিমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”
আমাদের এসব কিছুই শিক্ষা দেয়। মুহাম্মদ
(সা)-ই আমাদের দ্বীনী, পারিবারিক,
সামাজিক, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয়,
আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রে একক ও
একমাত্র আদর্শ। অন্য কোন জাতীয়,
বিজাতীয় ব্যাক্তি- হোক সেটা গান্ধী
কিংবা জিন্নাহ, মুজিব কিংবা জিয়া,
মওসেতুন কিংবা প্লেটু আমাদের আদর্শ
হতে পারে না। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন
বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য যারা
আল্লাহর কাছে ও আখেরাতে আশা রাখে
তাদের জন্য আল্লাহর রাসুল (সা) এর
মধ্যেই রয়েছে উত্তম আদর্শ”।
.
সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা,
রাসুলুল্লাহ (সা) কে কটুক্তিকারী
কিংবা হেয়োকারীর শাস্তি হচ্ছে কতল
তথা হত্যা। ইমাম মালেক (রাহি) ও ইমাম
আহমদ (রাহি) বলেছেনঃ “এই শ্রেণীর
অপরাধীরা তওবা করলেও তাদেরকে
হত্যা করতে হবে।”
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলেছেনঃ
“বলো, তোমরা কি আল্লাহ্, তাঁর আয়াত,
তাঁর রাসুল (সা) এর বেপারে তামাশা
করছিলে? কোন অজুহাত পেশ করো না,
তোমরা কাফের হয়ে গেছো-ঈমান আনার
পর”
.
রাসুলুল্লাহ (সা) কে গালিদানকারী
কিংবা কটুক্তিকারীদেরকে সাহাবী গন
কারো অনুমতি ছাড়াই, কারো হুকুমের
অপেক্ষা না করেই হত্যা করেছেন। এবং
রাসুলুল্লাহ (সা) পরবর্তিতে তা অনুমোদন
করেছেন।
.
এ ব্যাপারে এক দাসী হত্যার ঘটনা আবু
দাউদের ৪৩৬১ এবং সুনানে নাসায়ীতে
৪০৮১ নম্বর হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসটির সারাংশ নিম্নরূপঃ
একজন অন্ধ সাহাবী, যার একজন দাসী
ছিলো। যে ছিলো তাঁর উম্মু ওয়ালাদ।
কিন্তু এই দাসী আল্লাহর রাসুল (সা)কে
অভিশাপ দিতো। তাঁকে এই কাজ না করার
করার জন্য সেই অন্ধ সাহাবী সাবধান
করার পরেও সেই দাসী বিরত হতো না। এক
রাতে সেই দাসী আল্লাহর রাসুল (সা) কে
অভিশাপ দিয়েই যাচ্ছিলো। তখন সেই
অন্ধ সাহাবী একটু ছুরি নিয়ে সেই দাসীর
পেটে বিদ্ধ করলেন এবং চাপ দিতে
থাকলেন যতক্ষন না সেই দাসির মৃত্যু হয়।
সকালে আল্লাহ্র রাসুল (সা) এর নিকট
খবর পৌছলো। আল্লাহ্র রাসুল (সা)
লোকজনকে একত্রিত করে বললেনঃ “আমি
আল্লাহর নামে তোমাদের আদেশ করছি,
যে এই কাজটি করেছো সে উঠে দাঁড়াও।”
সেই সাহাবী উঠে দাঁড়ালেন। এবং রাসুল
(সা) এর সামনে এসে বলতে লাগলেনঃ
“হে আল্লাহর রাসুল, আমিই সেই ব্যাক্তি-
যে তাকে হত্যা করেছে। সে আপনাকে
অভিশাপ দিতো এবং তাঁকে বিরত হতে
বলার পরেও সে বিরত হত না। তাঁর গর্ভ
থেকে আমার মুক্তার মত সন্তান হয়েছে
এবং সে নিজেও আমার প্রতি খুব সদয়
ছিলো। কিন্তু গতরাতে সে আপনাকে
অভিশাপ দিতে লাগলো। তারপর আমি
ছুরি দিয়ে আঘাত করলাম ও হত্যা
করলাম।”
.
আল্লাহ্র রাসুল (সা) বললেনঃ “জেনে
রেখো, ঐ মহিলার কোন রক্তমূল্য
নেই” (সুবহান আল্লাহ্)
ঠিক তেমনি ভাবে রাজিব ওরুফে থাবা
বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু,
অনন্ত বিজয়, নিলয় নীল দের রক্তের কোন
মূল্য নেই। যারাই রাসুলুল্লাহ (সা) কে
নিয়ে তামাশা করবে, কটুক্তি করবে
তাদের রক্তের কোন মূল্য নেই।
.
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহি) উল্লেখ্য
করেছেন, আলেমগন একমত যে কোন
ব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ (সা) কে হেয়ো
করলে সে কাফির, মুরতাদ হয়ে যায়। তাঁর
শাস্তি হচ্ছে তাঁকে কতল করে দেয়া। এ
ব্যাপারে সকল ওলামায়েকেরাম এর
ইজমা সংগঠিত হয়েছে। এ ধরনের বর্ণনা
আরো বর্ণিত হয়েছে ইবনে মঞ্জুর (রাহি)
থেকে, কাজী ইয়াদ (রাহি) থেকে এবং
ইমাম খাবতাবি (রাহি) থেকে।যা
“আসসারিবাল মাসলুল আলা শাতিবির
রসুল” নামক কিতাবে স্পষ্ট রূপে বর্ণনা
করা হয়েছে। এই রাজিব ওরুফে থাবা
বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু,
অনন্ত বিজয়, নিলয় নীল শ্রেণীর সকল
নাস্তিক মুরতাদ যারা রাসুলুল্লাহ (সা) এর
বিরুদ্ধে কটুক্তি করছে তাদের রক্তের
কোন মূল্য নেই। তাদেরকে অনায়াশে
হত্যা করা যাবে। এর জন্য কারো অনুমতি
লাগবে না, এর জন্য কারো কাছে ধরনা
দিতে হবে না। বরং তাদের হত্যা করা
অন্যতম একটি সওয়াবের কাজ। এটা
আমাদের ঈমানের দাবি। অতএব, রাজিব
ওরুফে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়,
ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়, নিলয় নীল
শ্রেণীর যারাই রাসুলুল্লাহ (সা) কে
কটুক্তি পূর্বে করেছে, বর্তমানে করছে ও
ভবিষ্যতে করবে তাদের একটা একটা করে
খুঁজে বের করে হত্যা করতে হবে। এটাই
করণীয়, এটাই দ্বীন ইসলাম, কারন তাদের
রক্তের কোন মূল্য নেই। তাদের
হত্যাকারীকে কিছুই বলা হবে না।
.
প্রিয় তাওহীদি জনতা, আমাদের এই
জমিনে এসম নাস্তিক মুরতাদ ব্লগার চক্র
বহুদিন যাবত ইহুদী খ্রিষ্টানদের এক
সুগভির চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে মাঠে
নেমেছে। আর তাদের সাথে যোগ
দিয়েছে এদেশের মুরতাদ সরকার। এসব
কিছুই সম্ভব হয়েছে কারন, আমাদের এই
জমীনে বর্তমানে ইসলামি শরীয়ত কায়েম
ও বিজয়ী নেই। বর্তমানে কাফের মুরতাদ
সরকার সমূহ আওয়ামীলীগ, বি এন পি,
জাতীয়পার্টি, জাসদ ইত্যাদি কুফুরিপন্থী
দলের দ্বারা গঠিত গনতান্ত্রিক সরকার
আর ইসলামি শরীয়ত বাদ দিয়ে মানব
রচিত কুফুরি ও শির্কি আইনের প্রবর্তন
করেছে।
.
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ
আল্লাহর পাশাপাশি তারা তাদের
পন্ডিত ও সংসার বিরাগীদেরকে তাদের
পালনকর্তারূপে গ্রহন করেছে মারিয়ামের
পুত্র “মাসিহ”কেও। অথচ তারা আদিস্ট
ছিলো একক ইলাহ এর ইবাদতের জন্য।
তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তারা তাঁর
সাথে যে সমস্ত শরীক সাব্যস্ত করে তাঁর
থেকে তিনি পুতঃপবিত্র।
.
ইহুদী নাসারাদের প্রসঙ্গে এই আয়াত টি
নাজিল হয়েছিলো। আল্লাহর রাসুল (সা)
যখন সাহাবায়েকেরাম এর মসলিসে এই
আয়াত টি তিলাওয়াত করলেন। তখন রাসুল
(সা) এর দরবারে ইহুদীদের পন্ডিত আদি
বিন হাতিম (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। আদি
বিন হাতিম (রাঃ) রখন সবে মাত্র মুসলিম
হয়েছেন। আদি বিন হাতিম (রাঃ) বলে
উঠলেন ইয়া রাসুলুল্লাহি (সা) আমরা তো
কখনো আমাদের ওলী বুজুর্গদের কে
আমাদের আহবার রূহবান, আমাদের
ধর্মজাজকদেরকে আমাদের আল্লাহর
আসনে বসাইনি। তখন রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেনঃ আল্লাহ্ যা হালাল করেছেন
তারা কি তা হারাম করতো না ? আল্লাহ্
যা হারাম করেছেন তারা কি তা হালাল
করতো না ? এবং তোমরা কি সেটা মেনে
নিতে না ? আদি বিন হাতিম (রাঃ)
বললেনঃ হ্যাঁ, তাতো করতাম। তখন
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ আল্লাহর
হালাল কে তারা হারাম করতো আর
আল্লাহর হারামকে তারা হালাল করতো
আর তোমরা সেটা মেনে নিতে এটাই হলো
তাদের ইবাদত।
.
আমাদের দেশের কাফের মুরতাদ
সরকারগুলো এখানে নব্য আহবার রূহবান এর ভুমিকা নিয়েছেন। যুগ যুগ ধরে
মুসলমানদের উপর এই কুফুরি শির্কি আইন
তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অ তাদেরকে
প্রতারণায় ফেলে চাপিয়ে রেখেছে।
যেমন, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা
মদকে হারাম করেছেন, আর এই মুরতাদ
সরকারগুলো মদকে হালাল করে দিয়েছে।
মদের লাইসেন্স দিচ্ছে। আল্লাহ্ সুবহানাহু
ওয়াতায়ালা জিনা/ভ্যাবিচারকে হারাম
করেছেন, আর এই মুরতাদ সরকারগুলো
পতিতাবৃত্তির জন্য লাইসেন্স দিচ্ছে।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা সুদকে
হারাম করেছেন, সুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
ঘোষণা করেছেন, আর এই মুরতাদ
সরকারগুলো সুদের ভিত্তিতে পুরো
অর্থনিতি পরিচালনা করছে। সুদের
ভিত্তিতে ব্যাংক পরিচালনার লাইসেন্স
দিচ্ছে। অথচ আল্লাহ সুবহাহু ওয়াতালা
বলেছেনঃ তারা কি জাহিলিয়াতের
বিধিবিধান চায়? অথচ আল্লাহর চেয়ে
উত্তম বিধানদাতা আর কে রয়েছে ?
আল্লাহর বিধানের চেয়ে উউতম বিধান,
উত্তম ফয়সালা আর কার রয়েছে ?
অত্যন্ত দুঃখ্যজনক হলেও সত্য তারা এই
সমস্ত জাহেলি/বাতেলি আইনকে বলছে
যুগোপযোগী আইন। আর আহকামুল
হাকিমিন আল্লাহর দেয়া আইনকে বলছে
মধ্যযুগিও শাসন। এটা তাদের আরেকটি
সুস্পষ্ট কুফুরি। এছাড়াও এদেশের মুরতাদ
সরকারগুলো যুগ যুগ ধরে সারা বিশ্বে
মুসলমানদের সাথে যুদ্ধরত ইহুদী, খ্রিস্তান,
হিন্দু, বৌদ্ধ দেশগুলোর (যেমনঃ
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, মায়ানমার
ইত্যাদি) পা চাটা গোলামের ভুমিকা
পালন করছে। এদেরকে বন্ধু, সাহাজ্যকারী
ও পরামর্ষক হিসেবে গ্রহন করছে।
.
আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতালা বলেছেনঃ “হে
মুমিনগন, তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে
আওলিয়া, বন্ধু, অভিভাবিওক, রক্ষক
হিসেবে গ্রহণ করো না। কারন তারা একে
অপরের আওলিয়া। তোমাদের মধ্যে যে
তাঁদেরকে বন্ধু হিসেবে মেনে নিবে,
সাহায্যকারী হিসেবে মেনে নিবে সে
তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ্
জালিমদেরকে পথ পদর্শন করেন না।”এই
মুরতাদ সরকার গুলো এদেশে ইহুদী,
খ্রিস্টান, হিন্দুদের কুফুরি/শির্কি আদর্শ
ও ক্রিষ্টি কালচার প্রচার প্রসার করছে।
এবং কুফুর সরকার হিসেবে ইহুদী,
খ্রিস্টান, হিন্দুদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন
করছে। এদের শিক্ষানীতি, এদের
নারিনিতি আমাদের এই মুসলমান দেশে
চাপিয়ে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে
বাংলাদেশের আলেম সমাজ অনেক
আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। সেই সব
আন্দোলনের কারনে অনেক আলেম, অনেক
মাদ্রাসার ছাত্র শহীদ হয়েছেন। জেল
জরিমানার শিকার হয়েছেন। এই নাস্তিক
মুরতাদ সরকার সমুহ ইহুদি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ,
হিন্দুদের বন্ধু ও আওলিয়া হয়ে ইতিমধ্যে
দ্বীন ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে।
.
আপনি জানেন কি ভাই?
অন্যান্য বেশীরভাগ মুসলিম দেশের মতোই
বাংলাদেশের মুসলিম নামধারী
শাসকরাঃ
.
১.যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের উপর মানবরচিত
কুফরী-শিরকী আইন চাপিয়ে রেখেছে।
.
২.আল্লাহ মদ হারাম করেছেন আর এই
শাসকগুলো মদের লাইসেন্স দিচ্ছে, মদ
বিক্রির অনুমতি দিচ্ছে।
.
৩.আল্লাহ জ্বিনা হারাম করেছেন আর
এরা পতিতাবৃত্তির জন্য লাইসেন্স
দিচ্ছে।
.
৪.আল্লাহ সুদকে হারাম করেছেন, সুদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন আর এরা
সুদের ভিত্তিতে পুরো অর্থনীতি
পরিচালনা করছে। সুদের ভিত্তিতে
ব্যাংক পরিচালনার লাইসেন্স দিচ্ছে।
.
৫.এরা মানবরচিত কুফরী আইনকে বলছে
‘যুগ উপযোগী আইন’ আর ইসলামী
শরীয়াতকে বলছে ‘মধ্যযুগীয় শাসন’।
.
৬.এরা পর্দা, দাঁড়ি, টুপিসহ পুরো দ্বীন
ইসলামকে নিয়ে প্রতিনিয়ত হাসি-
তামাশা করছে।
.
৭.এরা নাস্তিক-মুর্তাদ সাহিত্যিক,
বুদ্ধিজীবি, ব্লগারদেরকে ‘বাক-
স্বাধীনতার’ নামে আল্লাহ, তাঁর রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও
দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে যা ইচ্ছা বলার
সুযোগ দিচ্ছে। এদেরকে রক্ষা করে এদের
কুফরীতে সাহায্য করছে।
.
৮.এরা যুদ্ধরত কাফিরদেরকে সমুদ্রপথ,
আকাশ সীমা, বিমান বন্দর ইত্যাদি
ব্যবহার করতে দিয়ে, গোয়েন্দাবৃত্তি করে
মুসলমান-মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে
কাফেরদেরকে সাহায্য করছে। (২০০১
সালে আগ্রাসী আমেরিকাকে
আফগানিস্তানের মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে
এদেশের আকাশ-সীমা ব্যবহারের সুযোগ
দেয়া হয়েছে)
.
৯.এরা সংসদ ভবনে কোরআন-সুন্নাহ
বিরোধী নিত্য নতুন কুফরী আইন প্রণয়ণ
করছে।
.
১০.এরা মহিলাদের হিজাব করতে বাধ্য
করা যাবে না – এ আইন করেছে।
.
১১.এরা সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে
নারী ও পুরুষদের সমান গণ্য করতে চাপ
দিচ্ছে।
.
১২.এরা যে কোন ইসলামী বইকে বলছে
‘জংগী বই’।
.
১৩.এরা ইসলামের গুরুত্বপূর্ন ফরজ বিধান
জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে ‘সন্ত্রাস ও
জঙ্গীবাদ’ বলে নিষিদ্ধ করে জিহাদের
বিরোধিতা করছে।
.
১৪.এরা মুরতাদের শাস্তি হত্যাকে তাদের
কুফরী মতবাদ ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী
বলে এর বিপরীতে অবস্থান গ্রহন করেছে।
.
১৫.এরা আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক নির্ধারিত
হুদূদ এর বিধানকে নিজেদের উদ্ভাবিত
আইন-বিধান দ্বারা পরিবর্তন করে
দিয়েছে। এর মাধ্যমে যেন আল্লাহ
তায়ালার চেয়ে অধিক উপযোগী আইন-
বিধান দাতা হিসেবে নিজেদেরকে
তারা জাহির করতে চাচ্ছে।
.
এভাবে তারা আরো অনেক সুস্পষ্ট কুফরী
(কুফরুন বাওয়াহ) প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে।
.
আল্লাহ সুবনাহাহুওয়াতালা বলেছেনঃ “হে
মুমিনগন, তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে
আওলিয়া, বন্ধু, অভিভাবক, রক্ষক হিসেবে
গ্রহণ করো না।কারন তারা একে অপরের
আওলিয়া। তোমাদের মধ্যে যে তাঁদেরকে
বন্ধু হিসেবে মেনে নিবে, সাহায্যকারী
হিসেবে মেনে নিবে সে তাদেরই
অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ্ জালিমদেরকে পথ
পদর্শন করেন না।”
এই মুরতাদ সরকার গুলো
এদেশে ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দুদের কুফুরি/
শির্কি আদর্শ ও ক্রিষ্টি কালচার প্রচার
প্রসার করছে। এবং কুফুর সরকার হিসেবে
ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দুদের এজেন্ডা
বাস্তবায়ন করছে। এদের শিক্ষানীতি,
এদের নারিনিতি আমাদের এই মুসলমান
দেশে চাপিয়ে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে
ইতিমধ্যে বাংলাদেশের আলেম সমাজ
অনেক আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। সেই
সব আন্দোলনের কারনে অনেক আলেম,
অনেক মাদ্রাসার ছাত্র শহীদ হয়েছেন।
জেল জরিমানার শিকার হয়েছেন। এই
নাস্তিক মুরতাদ সরকার সমুহ ইহুদি,
খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, হিন্দুদের বন্ধু ও
আওলিয়া হয়ে ইতিমধ্যে দ্বীন ইসলাম
থেকে খারিজ হয়ে গেছে।
এরই পরিক্রমায় এদেশের সকল নাস্তিক
মুরতাদ ব্লগার চক্রকে ইহুদী নাসাদের পা
চাটা গোলাম সরকার নিরাপত্তা দিচ্ছে,
সমর্থন দিচ্ছে। তরুন সমাজকে বিভ্রান্ত
করে ওদের মতো নাস্তিক মুরতাদ হিসেবে
তৈরি করার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
.
এদেশের মুসলমানদের গায়ে এক বিন্দু রক্ত
থাকতে এই জঘন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন
করতে দেয়া হবে না, ইনশা-আল্লাহ্। এই
নাস্তিক মুরতাদ রাজিব ওরুফে থাবা
বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু,
অনন্ত বিজয়, নিলয় নীলদেরকে ডিজিটাল
মুরিতাদ সরকার শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত
করছে। হিন্দু বৌদ্ধ মুসলমান সবাইকে
নিয়ে এই ডিজিটাল মুর্তাদ সরকার এই
নাস্তিকের (রাজিব) জানাজার নামাজ
আদায় করে দ্বীন ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টা
করেছে। এই নাস্তিক মুর্তাদ রাজিব
ওরুফে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়,
ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়, নিলয়
নীলেরা যা করতো ব্লগে সেতা বাস্তবে
রূপায়ন করে দেখিয়েছে এই ডিজিটাল
মুরতাদ সরকার। আল্লাহ্ তাদের উপর লা’নত
বর্ষণ করুন।
.
প্রাণপ্রিয় তাওহীদি জনতা, এটা
আমাদের সবার কাছে সবার কাছে সুস্পষ্ট
যে, এই সব মানব রচিত কুফুরি মত পন্থি দল
(যেমনঃ আওয়ামীলীগ, বি.এন.পি,
জাতীয়পার্টি ইত্যাদি) কে ভোট দেয়া,
সমর্থন করা, তাদের পক্ষে মিছিল মিটিং
করা, তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে
সহযোগিতা করা, তাদের পক্ষে কথা বলা,
তাদের পক্ষে কলম ধরা ইত্যাদি সবই হচ্ছে
শির্ক, কুফুর, হারাম ও বিদয়াত।
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ
“আপনি কি তাদেরকে দেখেন নি যে,
তারা দাবি করে তারা আপনার প্রতি যা
অবতির্ন হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা
অবতির্ন হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর
ঈমান এনেছি। কিন্তু তারা বিরোধীয়
বিষয়কে তাগুতের দিকে নিয়ে যেতে
চায়।”
.
ঈমানের দাবি করার পর কুফুরি আইন
ব্যবস্থায় শুধু মাত্র বিচার চাওয়ার ইচ্ছা
থাকায় আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাদের
ঈমানের দাবীকে নাকচ করে দিয়েছেন।
তাহলে এই কুফুফি শির্কি আইন, বিধান,
মতবাদের জন্য যারা কাজ করে তাদের
ব্যাপারে ইসলামের হুকুম কি হতে পারে?
ভালোভাবে চিন্তা করুন।
.
সালফে সালেহিনগণ, মুজিতাহিদ ইমামগণ
ও পরবর্তি যুগের ইমামগণের মধ্যে এবং
সকল মাজহাবের এ ব্যপারে ইজমা রয়েছে
যে কোন মুসলিম এলাকার শাসকের মধ্যে
এই রখপন সুস্পষ্ট কুফুরি দেখা গেলে তাঁর
সাথে সসস্ত্র জীহাদ, ক্বীতাল করে
তাঁকে হটিয়ে ইসলামী শরিয়ত জারি করা
হচ্ছে ওই এলাকার সামর্থবানদের উপর
ফরজে আ’ইন। আর যদি সামর্থ না থাকে
তাহলে শক্তি সামর্থ অর্জন করা হচ্ছে
ফরজে আ’ইন। আর সেই শাসকদের সমর্থনে
যদি কোন বাহিনী থাকে তাহলে তবে এই
মুরতাদ বাহিনী সহ ওই সরকারকে উৎখাত
করা হচ্ছে ফরজে আ’ইন।
এর দলীল হলো ওবায়দা ইবনে সাবেদ (রা)
বর্ণিত হাদিস। এখানে তিনি বলেছেনঃ
রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে ডাকলেন।
এবং আমরা তাঁকে বায়াত দিলাম। তিনি
তখন আমাদের থেকে যে বায়াত নেন তার
মধ্যে ছিলোঃ আমরা শুনবো ও মানবো
আমাদের অনুরাগে ও বিরাগে, আমাদের
সংকটে ও সাচ্ছন্দে এবং আমাদের উপর
অন্যকে প্রাধান্য দিলেও যোগ্য ব্যাক্তির
সাথে আমরা নেত্রিত্ত নিয়ে কোন্দল
করবো না। রাসুল (সা) বললেনঃ যতক্ষন না
তোমরা তার মধ্যে কোন প্রকাশ্য কুফুরি
দেখতে পাবে। এবং তোমাদের কাছে
তাঁর বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট
দলীল থাকবে।
.
উল্লেখ্যিত হাদিস থেকে এ বিষয়টি
স্পষ্ট বুঝে আসে যে আল্লাহ রাসুল (সা) এ
ব্যপারে বায়াত নিলেন আনুগত্ত্বতার জন্য
শাসকদের। কিন্তু শাসকদের মাঝে যদি
সুস্পষ্ট কুফুরি দেখা যায় তাহলে তাঁর
বিরুদ্ধে বিদ্রহ করার জন্য আল্লাহর রাসুল
(সা) অনুমোদনও দিয়েছেন।
.
এ ব্যপারে ইজমা উল্লেখ্য করে সহিহ
বুখারীর ভাষ্যকার আল্লামা বদরুদ্দিন
আইনী (রাহি) বলেছেনঃ “দাউদী (রাহি)
বলেছেন, আলেমরা এ ব্যপারে একমত যে,
শাসক জালিম হলে যদি সামর্থ থাকে
ফিতনা ও জুলুম ছাড়া তাঁকে অপসারন
করার তাহলে তা ওয়াজিব। তা না হলে
ধৈর্য্য ধরা ওয়াজিব।” অন্যরা বলেছেনঃ
ফাসিক ও বিদয়াতির কাছে নেতৃত্ব দেয়া
যাবে না। যদি সে প্রথমে ন্যায় পরায়ন
থাকে ও পরে বিদাত ও জুলুম করে তাহলে
তাঁর অপসারন ও বিরুদ্ধাচারন এর
ব্যাপারে মতবেধ রয়েছে। সঠিক মত হচ্ছে
তা না করা, যতক্ষন না সে কুফুরি করে।
যদি সে কুফুরি করে তখন তাকে অপশারন ও
তার বিরুদ্ধাচরন করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
ইমদাদুল ক্বারী, সারহে সাহীহুল বুখারী,
কিতাবুল ফিতান এর মধ্যে এই বিষয়টি
উল্লেখ্যিত রয়েছে।
.
এ ছাড়াও এই মুরতাদ সরকার গুলোর
নিরাপত্তা দানকারী বাহিনী সমূহ
(যেমনঃ র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আর্মি
ইত্যাদি) হচ্ছে কুফুরের বাহিনী। তাদের
সাথে যুদ্ধ করাও আমাদের উপর ফরজ।
এরাই মুরতাদ সরকারের নির্দেশক্রমে
আন্দোলনরত আলেম ওলামে হয়রানী
করছে, আলেম ঊলামাদেরকে কোন সভা
সমাবেশ বা মতবিনিময় পর্যন্ত করতে
দিচ্ছে না। এরাই এই তাওহীদি জনতার
বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাওহীদি
জনতার রক্ত ঝরাচ্ছে। দেশ রক্ষার
অজুহাত দেখিয়ে এই মুরতাদ সরকার গুলো
এই বাহিনী গুলোর অনেককে ধোকায়
ফেলে আল্লাহ্র দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে
লিপ্ত করে রেখেছে। আর অন্যান্যরা
দুনিয়ার সামান্য বেতনের লোভে তাদের
আখেরাতকে বিক্রয় করে দিয়েছে।
এদের ব্যপারে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন
বলেছেনঃ “যারা ঈমানদার তারা লড়াই
করে আল্লাহ্র পথে। আর যারা কাফের
তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। সুতরাং
তোমরা লড়াই করতে থাকো শয়তানের
আওলিয়াদের বিরুদ্ধে। আর শয়তানের
চক্রান্ত একান্তই দুর্বল”।
.
যারা দ্বীন ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করে
এই বাহিনীগুলো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে
লিপ্ত হয়। এদেশের মুরুতাদ সরকারগুলো এই
মুরতাদ নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমেই
তাদের কুফুরি শির্কি আইন জারি
রেখেছে। মুরতাদ বাহিনী গুলো না
থাকলে এই কাফের মুরতাদ সরকার
এদেশের মানুষের উপর তাদের এই শির্কি
আইন এক দিনও কায়েম রাখতে পারতো
না।
.
তাই এই জমিনে আল্লাহ্র রাসুল (সা) এর
ব্যপারে কটুক্তি ও তামাশা বন্ধ করতে
হলে এই জমিনে দ্বীন ইসলাম এর
শরিয়তকে বিজয় করার জন্য আমাদেরকে
সর্বাত্তক জিহাদ ও ক্বিতাল করতে হবে।
দল মত মাজহাব মাসলাখ নির্বিশেষে
ফুরুয়ী ইখতিলাফ ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে
আমরা সবাই এই দ্বীন ক্বায়েমের
জিহাদে শরীক হবো। আমরা আনসার হবো।
আমরা মুজাহিদ হবো। নিজেদের জান ও
মাল আল্লাহ্র রাস্তায় কোরবানি দিবো
ইনশা-আল্লাহ্।
আল্লাহ্র দ্বীন ও শরীয়ত এই জমিনে
কায়েম না করে আমরা ঘরে দিরে যাবো
না ইনশা-আল্লাহ্।
.
আমাদের সবার কন্ঠে ঘোষিত হোক,
“হয়তো শরিয়ত, নয়তো শাহাদাৎ”।
.
আমরা কি সেই উত্তম ব্যবসায় শামিল হবো
না? যে ব্যপারে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন
বলেছেনঃ “হে ঈমানদারগণ, আমি কি
তোমাদের এমন এক বানিজ্যের সন্ধান
দিবো? যা তমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি
থেকে মুক্তি দিবে। আর তা হলো এই যে,
তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল (সা) এর
প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং
আল্লাহ্র পথে নিজেদের ধন সম্পদ জীবন
পন সবকিছু দিয়ে জিহাদ করবে।এটাও
তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা
জানো।”
.
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে হক্ব কে হক্ব
হিসেবে চিনার এবং অনুস্মরণ করা
তৌফিক দিন। এবং বাত্বিলকে বাত্বিল
হিসে চিনার এবং এর থেকে দূরে থাকার
তৌফিক দান করুন। আমীন।
আমরা এই আহ্বানটি সকলের কাছে পৌছে
দিবো ইনশাআল্লাহ্।
.
হে আল্লাহ্ আপনি স্বাক্ষী থাকেন।আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি।
হে আল্লাহ্ আপনি স্বাক্ষী থাকেন। আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি।
হে আল্লাহ্ আপনি স্বাক্ষী আপনি থাকেন।আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি।
.
পোষ্ট টি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার
করুন...

৪টি মন্তব্য:

 
back to top