সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মুজাহিদের কাছে সাংবাদিক দ্বিতীয় প্রশ্ন

কোন মন্তব্য নেই:

সাংবাদিক:::আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল,আপনারা বাচ এবং বাঁচতে দাও এই কথাই কেন বিশ্বাস করেন না?অর্থাৎ, আপনার কাছে যে জীবন-ব্যবস্থাটি ভাল লাগল আপনি সেটার অনুসরন করুন এবং আমাদের কাছে যে জীবন-ব্যবস্থাটি ভাল লাগে আমরা সেটা অনুসরন করব।আপনার আমল আপনার কাছে আমার আমল আমার কাছে।আপনার কবরে আপনি যাবেন,আমাদের কবরে আমরা যাব।আপনার আমলের ব্যপারে আমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে না আর আমাদের আমলের ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞাস করা হবেনা।আরেকটা কথা হল,দ্বীনের ব্যাপারে কোন জোর-জবরদস্তি নেই।আল্লাহতায়ালা বলেন,লা ইকরাহা ফিদ দ্বীন।তাহলে আপনারা আমাদের উপর কেন জবরদস্তি করে এই জীবন ব্যবস্থাকে চাপিয়ে দিতে চান???????
.
.
মুজাহিদ:::১ম কথা হচ্ছে,আপনার যে প্রশ্ন তা হল সেকুলার লোকদের মস্তিস্ক প্রসুত চিন্তাধারা।অর্থাৎ,মোল্লা-মসজিদে থাকবে আর বাদশাহ তার শাহি মহলে থাকবে।এটা মুসলিমদের চিন্তা-ভাবনা নই।এটা আসলে খ্রিষ্টানদের চিন্তা-ভাবনা যারা তাদের পোপদের দ্বারা নিরযাতিত হচ্ছিল।অত:পর এই কথা উচ্চ স্বরে বলতে লাগল গির্জা আলাদা থাকবে,শাহী মহল আলাদা থাকবে।পোপ এবং পাদ্রীরা গিরজার মধ্যে থাকবে আর বাদশাহ তার শাহী মহলে থাকবে।এই কথা তো মুসলমানদের জন্য প্রযোয্য নই।কারন হল,ইসলাম একটি পুরনাংগ জীবন ব্যবস্থা। এর মাঝে পুরা জীবন ধরনের পদ্ধতি সুস্পষ্টভাবে রয়েছে।২য় কথা হচ্ছে, আপনি অনেক জায়গায় আমাদের প্রতি লক্ষ্য করে বলেছেন যে আপনাদের জীবন ব্যবস্থা। আসলে আমি আপনাকে জিজ্ঞাস করতে চাই এই যে কুরান আমার আপনার সকলের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে।
কুরানের মাঝে অনেক জায়গায় উল্লেখ রয়েছে  'ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানু' অর্থাৎ হে ঈমানদারগন। এই কথাটি আল্লাহতায়ালা শুধু আমাদেরকে লক্ষ্য করে বলেছেন??এই কথা প্রত্যেক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করেই বলেছেন যারা ঈমান এনেছে। যেহেতু আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকেই লক্ষ্য করেই বলেছেন তাহলে যে ব্যক্তি দাবী করবে যে সে আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে তাহলে তার তো উচিত আল্লাহর সকল বিধি-বিধান কে মেনে নেয়া।৩য় কথা হচ্ছে, আপনি বলেছেন আমরা জবরদস্তি করছি অথচ কুরানে এসেছে লা ইকরাহা ফিদ দ্বীন অর্থাৎ দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই।এই আয়াতের ব্যাখ্যা আমাদের ভালভাবে বুঝা উচিত যে এখানে কি বলা হয়েছে??লা ইকরাহা ফিদ দ্বীন অর্থাৎ ইসলামে প্রবেশ করার জন্য কোন জোর জবরদস্তি নেই।আয়াতের পরের অংশে রয়েছে হেদায়েত গোমরাহি থেকে সুস্পস্ট হয়ে গেছে।অর্থাৎ সত্য মিথ্যা থেকে আলাদা হয়ে গেছে অর্থাৎ কাউকে বাধ্য করার প্রয়োজন নাই।এটা হল ইসলামে দাখিল হওয়ার পুরবে।কোন খ্রিষ্টানকে পিটিয়ে পিটিয়ে মুসলিম বানাতে পারবেন না,কোন ইহুদিকে পিটিয়ে পিটিয়ে মুসলিম বানাতে পারবেন না।এইজন্যই তো মুসলমানরা যখন জিহাদে বের হই তখন প্রথমে দাওয়াত দেই,দাওয়াত যদি কবুল না করে তাহলে তার গর্দান উড়িয়ে দেয়া হইনা বরং তাদেরকে জিজিয়া বা ট্যাক্স দেয়ার জন্য আহবান করা হই।যে তোমরা আমাদের নিরাপত্তাই থাকবে।আমাদের শরীয়তে যে নির্ধারিত ট্যাক্স রয়েছে তোমরা আমাদেরকে তা দিয়ে দাও। যদি এই কথাও তারা না মানে তখনি যুদ্ধ শুরু হই।অর্থাৎ আমাদের ইসলামি শরীয়তে বাচ এবং বাঁচতে দাও এর বাস্তবায়ন রয়েছে।আমরাও থাকব তোমরাও থাক।তোমরাও বাচ,আমরাও বাচি।এই অধিকার  শুধুমাত্র আমাদের জীবন-ব্যবস্থা ইসলামেই রয়েছে।অন্য কোন ধরমে এই অধিকার নেই।
.
আপনাকে আরেকটা কথা বলি বাচ এবং বাঁচতে দাও এই কথাতো শুধুমাত্র আমাদের ক্ষেত্রেই বলা হই।তাহলে মুজাহিদিনগনের উপর কেন বোমা হামলা করা হচ্ছে??আমাদের একটা নিজস্ব বিশ্বাস রয়েছে।আর গনতান্ত্রিকরা বলে প্রত্যেকেরই তার দাবি উত্তাপন করার স্বাধীনতা রয়েছে। আমরাতো আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছি।লাল মসজিদের লোকেরা তো তাদের অধিকার আদায়ের দাবি জানিয়েছিল মাত্র।তাহলে কেন তাদের উপরে বোমা বরষন করা হয়েছিল??কোথাই গেল বাচ এবং বাঁচতে দাও এই স্লোগান??এইগুলো হচ্ছে জনগনকে ধোকা দেয়ার ও প্রতারণার ফাদে ফেলার জন্য কিছু মিথ্যা কথা।এগুলো হচ্ছে সাইনবোর্ড এ লেখা কিছু অনর্থক কথাবার্তা।
.
আমি আপনাকে এই কথাও বলতে পারি যে, লা ইকরাহা ফিদ দ্বীন এই কথার সম্পরক মুসলিমদের সাথে নই।আপনি ইচ্ছা করলে সকল তাফসীর খুলে দেখতে পারেন এবং এর দলিল কি?এর দলিল হচ্ছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর বানী:"বাচ্চারা যখন সাত বছর বয়সের হবে তখন তাদেরকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং তাদেরকে প্রহার কর,তাদেরকে মার যখন তাদের বয়স ১০ বছর বয়সের হই।"ভাই ১০ বছর বয়সের বাচ্চা সে তো মাসুম বাচ্চা।অথচ নামাজের জন্য তাকে মারার হুকুম দেয়া হচ্ছে।তাহলে নাউজুবিল্লাহ!তাহলে কি আমরা রহতাল্লিল আলামিন এর ব্যাপারে অপবাদ দিব??এটা তো আল্লাহর রাসুলের নির্দেশ।যে নামাজের জন্য তাকে প্রহার কর অথচ সেতো বালকও হইনি এবং নামাজ তার জন্য ফরযও হইনি বরং নফল।নফল ইবাদতের জন্য তাকে মারার হুকুম দেয়া হচ্ছে।তো আমার ভাই।মুসলমানরাতো কোন অনিয়মতান্ত্রিক জাতি নই।বরং তাদের উপর একটি কমান্ডিং কন্ট্রোল বিদ্যমান রয়েছে।মুসলমানগনতো জুন্দুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর সৈনিক এবং সেনাবাহিনীতে যেমন নিয়মতান্ত্রিকতা ঠিক থাকে ঠিক তেমনিভাবে মুসলমানদের মাঝেও তা বিদ্যমান এবং যতক্ষণ পরযন্ত তারা এই নিয়ম-নীতি কে ঠিক রেখেছিল ততক্ষণ পরযন্ত তারা বিজয়ী ছিল।যেদিন থেকে আমরা অনিয়মতান্ত্রিক হয়েছি সেদিন থেকে আমাদের পতন শুরু হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top