মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

কোরবানী : নিষ্ঠুরতা নাকি বৈজ্ঞানিক ও যৌক্তিক সিস্টেম

কোন মন্তব্য নেই:

কোরবানী : নিষ্ঠুরতা নাকি বৈজ্ঞানিক
ও যৌক্তিক সিস্টেম : -
.
কোরবানী একটি নিষ্ঠুরতা এমন অভিযোগ
অনেকেই করে।এটা প্রানী হত্যা ছাড়া
কিছু নয় এমনটাই তারা বলে বেড়ায়।
এর বিজ্ঞান ও ধর্ম ভিত্তিক মুল্যায়নটি
তাই তুলে ধরলাম।
.
১)জ়ীব হত্যা মহা পাপ।এই যুক্তি যে
ভেজেটেরিয়ানদের এবং একই যুক্তিতে
যারা কোরবানীর বিপক্ষে তাদের কাছে
প্রশ্ন,পশু হত্যা না করলে মানুষ খাবে কি?
(সম্ভ্যাব্য উত্তরঃউদ্ভিদ)
.
জবাবঃজগদীশ অনেক আগেই প্রমান করে
গেছেন,উদ্ভিদের প্রান আছে!!তবে
সেটাকি জীব হত্যা হবে না?
.
.
২)এর পরের কমন যে জবাব,ভেজেটেরিয়া
নরা দেয়,সেটা হলোঃ প্রানী তার
অনুভুতি প্রকাশ করতে পারে।পশু হত্যা/
কোরবানীর সময় তাদের চোখে আর্তনাদ
দেখা যায়,যা নির্মমতা!!উদ্ভিদ তা করতে
পারে না।
.
জবাবঃউদ্ভিদ বিজ্ঞান এটাও প্রমান
করেছে,প্রানীর ন্যায় উদ্ভিদেরো অনুভুতি
প্রকট,কিন্তু তা সে প্রানীর মত বাহ্যিক
ভাবে প্রকাশ করতে পারে না।এই যুক্তি
যদি বাদ দেন তবে খেয়াল করুন,
ধরুন আপনার ২টি সন্তান একটি সুস্থ
অপরটি প্রতিবন্ধি (মুক,বধির,অন্ধ)
কার প্রতি আপনার মমতা বেশি হবে?
কাকে আপনি সবচেয়ে বেশি অনুগ্রহ
করবেন?
খুব স্বাভাবিক ভাবেই যে প্রতিবন্ধি।
কারন সে তার অনুভুতি প্রকাশ করতে
পারে না।
তবে যারা এত জীব হত্যা জীব হত্যা করে
তাদের তো হয় উদ্ভিদ ছেড়ে পশু খাওয়া
উচিত,অথবা না খেয়ে মরে যাওয়া উচিত!
.
.
৩)এবার দেখুন ধর্ম কি বলে,ইসলামে পশু
জবেহ ও কোরাবানীর কিছু নিয়ম আছে
(যদিও তার অনেক গুলি পালন করা হয় না)
.
a)সুস্থ পশু হতে হবে।
.
b)একটির সামনে আরেকটিকে জবেহ করা
যাবে না।
.
c)ধারাল অস্ত্র দিয়ে জবেহ করতে হবে।
.
d)সবচেয়ে গুতুত্ব পুর্ন হলো,সেটাকে বলি
দেয়া যাবে না!!!
.
a,b,c এর পয়েন্ট গুলি দিয়ে সহজেই বুঝা
যায় কেন তা করা হয়েছে।
.
d অনুসারে বলি না দিয়ে ইসলামিক ভাবে
কেন জবেহ করাটা ভালো সেটা দেখুন,
যেকোন প্রানীর স্পাইনাল কর্ড কেটে
ফেললে তার হৃদ ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়
সাথে সাথে,ফলে বলি করা হলে পশুর দেহ
থেকে রক্ত সম্পুর্ন বেড় হতে পারে না।আর
রক্ত হচ্ছে জীবানু পরিবহনের সবচেয়ে
ভালো মিডিয়া।কিন্তু জবেহ করলে সেই
ব্যাপারটি হয় না। এখানে হৃদ ক্রিয়া চালু
থাকে দেহের সকল রক্ত বেড় হওয়া পর্যন্ত।
অবশিষ্ট যা থাকে তা ধৌত করার
মাধ্যমে পরিস্কার হয়।
.
.
৪)আরেকটি বিষয় যুক্ত করা দরকার
প্রানীর দেহে ৮টি অ্যামাইনু এসিড আছে
এক সাথে,যা উদ্ভিদে নাই।আর এর সব
কটাই মানুষের বৃদ্ধির জন্য দরকারি।
আর আমাদের দাতের দিকে তাকালে
দেখা যায়,আমাদের ছেদন দাত ও পেষন
দাত ২টাই আছে।যদি আমাদের শুধু উদ্ভিদ
খাওয়ার জন্য তৈরি করা হত তাহলে কেন
ছেদন দাত?
ছাগলের,গরুর কি আছে?
আবাএ বাঘ ,নেকড়ের দিকে
তাকান...তাদের কেবন ছেদন দাত আছে!!!
পেষন নেই কেন?:)
উত্তর গুলি খুব সহজ
প্রকৃত পক্ষে বেচে থাকতে খাবার
লাগবে,আর তার জন্য কোন না কোন ভাবে
জীব হত্যা আপনাকে করতেই হবে।আর
ধর্মের দিক থেকে স্রষ্টা মানুষ কে সেরা
জীব করে,আর বাকিদের তৈরী করেছেন
আমাদের সেবায়....
.
.
কুরআনের আলো ওয়েব থেকে সংযোজন
Western World এ পশু জবাইয়ের প্রচলিত
নিয়ম(CPB Method):
.
.
Captive bolt pistol(CPB ) নামের এক ধরনের
যন্ত্র দ্বারা পশুর কপালে প্রচন্ড আঘাত
করা হয়। ধারনা করা হয় এতে পশু
unconscious হয়ে পড়ে এবং জবাইয়ের পর
ব্যথা অনুভব করে না।
.
গবেষণা :
.
জার্মানির Hanover University এর প্রফেসর
Wilhelm Schulze এবং তার সহযোগী Dr.
Hazim এর নেতৃত্বে একটি গবেষণা
পরিচালিত হয়। গবেষনার বিষয়বস্তু ছিল :
১. Western World এ প্রচলিত নিয়মে(CPB
Method) এবং
২.ইসলামিক নিয়মে পশু জবাইয়ে পশুর
যন্ত্রণা এবং চেতনাকে চিহ্নিত করা।
.
Experimental Setup:
.
Brain এর surface কে touch করে পশুর
মাথার খুলির বিভিন্ন জায়গায় surgically
কিছু electrode ঢুকিয়ে দেয়া হয়। পশুকে
এরপর সুস্থ হওয়ার জন্য কিছু সময় দেয়া হয়।
তারপর পশুগুলোকে জবাই করা হয়। কিছু
পশুকে ইসলামিক নিয়মে আর কিছু পশুকে
western world এর নিয়মে। জবাই করার সময়
Electro Encephalo Graph (EEG) এবং Electro
Cardiogram (ECG) করে পশুগুলোর brain এবং
heart এর condition দেখা হয়।
...
...
ইসলামিক পদ্ধতিতে জবাইয়ের ফলাফলঃ
.
১. জবাইয়ের প্রথম ৩ সেকেন্ড EEG graph এ
কোন change দেখা যায় না। তারমানে পশু
কোন উল্লেখযোগ্য ব্যথা অনুভব করে না।
.
২. পরের ৩ সেকেন্ডের EEG record এ দেখা
যায় , পশু গভীর ঘুম এ নিমগ্ন থাকার মত
অচেতন অবস্থায় থাকে। হঠাৎ প্রচুর
পরিমানে রক্ত শরীর থেকে বের হয়ে
যাবার কারনে brain এর vital center
গুলোতে রক্তসরবরাহ হয়না। ফলে এই
অচেতন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
.
৩. উপরিউল্লিখিত ৬ সেকেন্ড এর পর EEG
graph এ zero level দেখায়। তারমানে পশু
কোন ব্যথাই অনুভব করেনা ।
.
৪. যদিও brain থেকে কোন সাড়া পাওয়া
যাচ্ছিল না , তবুও heart স্পন্দিত হচ্ছিল
এবং তীব্র খিঁচুনি হচ্ছিল (spinal cord এর
একটা reflex action) । এভাবে শরীর থেকে
প্রচুর পরিমানে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছিল
এবং এর ফলে ভোক্তার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত
মাংস নিশ্চিত হচ্ছিল ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top