সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সারা বিশ্বের মুসলমানদের উদ্দিপ্ত ও জাগরণ

কোন মন্তব্য নেই:

সারা বিশ্বের মুসলমানদের উদ্দিপ্ত ও জাগরণ::::::
.
আপনি কি কল্পনা করতে পাচ্ছেন?
.
কল্পনা করুন, এক মুসলিম রাষ্ট্রকে
কিভাবে শাসক গোষ্ঠীরা, মুরতাদরা
যারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবি
করে, মুসলমান দেশগুলোকে শাসন করছে।
তারা এমন ভান ধরে, যেন আসলেই তারা
মুসলমানদের জন্য উদ্বিগ্ন।মুসলমানদের
আলেমগণদের, যারা সেই দেশের
মুসলমানরা বিশ্বাস করে, পথ প্রদর্শক
হিসাবে মান্য করে, অথচ তারাই
(আলেমগণরা) ভান ধরে থাকে এবং
বাস্তবে সেই দেশের মুসলমানদের জন্য
কোনো কাজ করছে না। চিন্তা করুন,
মুসলমান সামরিক সৈন্যরাই মুসলমানদের
সুরক্ষার কাজে নেয়। ইসলামের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করা এবং নিজ আত্মা দ্বারা জালিম
শাসকদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করাই হচ্ছে
এদের মূল পরিকল্পনা, উদ্দেশ্য। যে
মুসলমানরা ইসলাম শরিয়াহ আইন “একটি
পূর্ণ জীবন বিধান” প্রতিষ্ঠিত করে
শান্তি ফিরিয়ে আনতে চায় এবং এর
মাধ্যমে সকল নিষ্ঠুরতা, নির্যাতনের
অবসান যারা ঘটাতে চায়, তাদের
বিরুদ্ধেই সামরিক সেনা গোষ্ঠীরা যুদ্ধে
লিপ্ত রয়েছে। চিন্তা করুন, আজকে
মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ নিজেদেরকে
মুসলমান বলে দাবি করে, কিনতু তারা এই
শরিয়াহর বিরোধিতা করে, এবং মানব
রচিত আইন সমর্থন করে, যার মূল উদ্ভাবন
হচ্ছে অমুসলিমরা (কাফেররা)। যারা
তাদের এই পার্থিব বিধিবিধান এবং
সম্পূর্ণ ক্ষমতা শক্তি প্রয়োগ করে পুরো
বিশ্বকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়,
যারা পুরো বিশ্বেকে নিজেদের শাসনে
খাটাতে চায়! চিন্তা করুন, যারা শুধুমাত্র
আল্লাহকে ভালবাসে, যারা শুধু সত্য এবং
ন্যায়ের জন্য অসত্যকে ও অন্যায়কে
দূরীভূত করার জন্য যুদ্ধের আহবান জানায়,
শুধু তাদের বিরুদ্ধেই এই দেশ এবং শাসক
গোষ্ঠীগুলো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তারপর এরা কারারুদ্ধ করে হাজারও-
মিলিয়ন মুসলমানদের, তাদের উপর
নির্যাতন করে, এবং সারা বিশ্ববাসীর
কাছে তাদেরকে “সন্ত্রাসী” নামে
আখ্যায়িত করে, সারা বিশ্বের
সংখ্যাগরিষ্ঠরাই তাদের অসত্যটাকে
বিশ্বাস করে, তাদেরকে সমর্থন করে।
চিন্তা করুন, ঠিক একই শ্রেণীর মানুষেরাই
সারা বিশ্বের মিডিয়া উৎস, ম্যাগাজিন,
টিভি, আউটলেট, অধিকতর ইন্টারনেট
ওয়েবসাইট, সংবাদপত্র, সাংবাদিক
দ্বারা পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করছে।
কেন? যাতে তাদের এই মিথ্যা, রটানো
প্রচারণার মাধ্যম গুলিই সারা বিশ্ব
বাসীর কাছে একমাত্র মূল উৎস হয়ে থাকুক
এবং তাই যেন কেবল তারা দেখে, শুনে
এবং তাতেই মনোনিবেশ করে।চিন্তা
করুন, ঠিক একই ক্ষমতার মানুষেরাই রয়েছে
প্রধান সহযোগী হিসাবে, বিশ্বের
প্রাকৃতিক সম্পদও যেমন- জ্বালানী সঞ্চয়,
বিশ্ব খাদ্য সরবরাহ, সব কিছুর আয়ত্ব
তারা নিয়েছে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে।
চিন্তা করুন, আবার সেই একই শ্রেণীর
ক্ষমতাবানদের মনে একটিই মূল লক্ষ্য। তা
হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার উপর যারা
বিশ্বাসী তাদেরকে ধ্বংস করা, যাতে
কোন এক আল্লাহ বিশ্বাসী ব্যক্তিও
জীবিত না থেকে থাকে। এবং পুরোপুরি
ভাবে সত্যকে নিশ্চিহ্ন করাই সক্ষম হতে
পারে। খেয়াল করুন, সকল প্রকারের
ইন্টেলিজেন্স সংগঠন “সিআইএ, এফবিআই,
কেজিবি”, গোপনে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা
একেকটি পুলিশ সংগঠন, আরবের পুলিশ,
এবং সকল গোপনীয় অন্যান্য
ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলোর সংযুক্তটা
রয়েছে বিশ্বের একটিমাত্র গোপনীয়
সংগঠনের সাথে। এবং এর সম্পৃক্ততায়
থেকে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা যুদ্ধ করছে
ইসলামের বিরুদ্ধে।
.
কল্পনা করুন, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-
ছিটিয়ে রয়েছে কত গোপনীয় কারাগার,
যা কেউই জানে না, এবং তা আমাদের
সুন্দর মুসলমান ভাই ও বোনেদের
উপস্থিতিতে ভরপুর। কেন? কারন তারা
শাসক গোষ্ঠীদের (সরকার) বিরুদ্ধে কথা
বলেছিল ও সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। কারন
তারা ছিল সত্যিকারের আলেম যাদের
ইসলামের উপর ছিল বিশুদ্ধ ও সঠিক
জ্ঞান। যারা অন্যান্যদের থেকে
ইসলামকে বুঝেছিল পরিপূর্ণভাবে। এবং
বৃদ্ধরা যারা পুরোপুরিই নির্দোষ
তাদেরকে বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে
যাওয়া হয়েছে। এবং যারা নিজেদের
পরিবারের সদস্যদের উপর শারীরিক,
মানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে,
পরিবার বাঁচাতে পালটা প্রতিবাদ অথবা
আক্রমণ করতে উদ্ধত হয়েছে, তাদেরকে এই
সব গোপন কারাগারে নিয়ে গিয়ে,
তাদেরকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা
করা হয়েছে। কেউ জানে না এই সব তথ্য
অথবা আসলেই কি এ কারাগার গুলো
বিদ্যমান, জানেনা তারা এই গোপন
কারালয়ের অবস্থান সম্পর্কে। কোন
অভিযোগ বা অপরাধ ছাড়াই তাদের বন্দী
করে নিয়ে যাওয়া হয়। কি কারণে? তারা
শুধু একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকে বিশ্বাস
করতো।
.
কল্পনা করুন, একটি দেশের হাজারও
মুসলিম পুরুষ, মহিলা ও বাচ্চাদেরকে
একটি জাহাজে করে এটলান্টিক
মহাসাগরে পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে
সমুদ্রপথে ছেড়ে দেওয়া হল। তারা একজন
আরেকজনের সাথে শিকল দিয়ে বাঁধা।
এবং তাদেরকে বলা হয়েছে, তাদেরকে
নিজেদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে
যেখানে তারা স্বাধীনভাবে বসবাস
করবে। এই আশাই তারা সবাই উৎসুক এবং
সবচেয়ে বেশি খুশি যে তারা নিজেদের
বাসস্থানে ফিরে চলেছে। কিনতু তাদের
সবার হাত শেকল দিয়ে বাঁধা এবং এই
শেকলটির সাথে সংযুক্ত করা রয়েছে
নৌকার ভারী নঙ্গরটি। নঙ্গরটি
জাহাজের এক কিনারাই চলে গেলো, এখন
সে নঙ্গরটিই অনবরত সেই শেকলে বাঁধা
মানুষদের পানির দিকে ঠেলতে লাগলো,
এবং এক পর্যায় তাদের সবাইকে
মহাসাগরের ঠাণ্ডা শীতল বরফ পানির
গভীরে নিয়ে যেতে থাকলো। শেষপর্যন্ত
ভারী নঙ্গরটি জাহাজ থেকে কেটে
বিচ্চুত করে দেওয়া হল, তারা গভীরে ডুবে
শ্বাসত্যাগ করলো। জাহাজটির মোড় ঘুরে
গেলো এবং আবারও নিজ গন্তব্যে ফিরে
আসতে লাগলো। এমন ভাবে যেন কিছুই
ঘটেনি এবং কর্মকাণ্ডটির সাথে
জড়িতরা ছাড়া এই ব্যাপারে কেউই
জানতে পারলো না, অবগত হল না।
চিন্তা করুন, পুরো বিশ্বের গোপন
ইন্টেলিজেন্স সংগঠন, পুলিশ বাহিনী,
শাসক, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী
তারা সবাই এক শত্রুর অধীনেই ঐক্যবদ্ধ।
এবং তারা তাদেরকে (শত্রুপক্ষকে) অবগত
করে না যে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
পরিচালনা করা হচ্ছে। তারা বরঞ্চ
তাদের সাথে বন্ধুত্বস্বরূপ আচরণ করে এবং
দাবি জানায় তারা খুব অল্পসংখ্যকদের
বিরুদ্ধেই যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। শত্রুরা এই
অসত্যকে বিশ্বাস করে চারিদিকে এটির
প্রচারণা চালিয়ে গভীর নিদ্রাই গেলো।
তাদের নিজেদের জীবন কতোটা
মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন তারা সেই
বিষয়কে আর গ্রাহ্য করলো না এবং
অসচেতনই রয়ে গেলো।
.
যারা স্বাধীন ভাবে বসবাস করতে চায়,
ন্যায়নিষ্ঠার সাথে চলতে চায়, চিন্তা
করুন তাদের বিরুদ্ধে ঠিক একই শ্রেণীর
দেশগুলো, শাসক গোষ্ঠীরা, এবং গোপনে
বিভিন্ন সমাজ রাত দিন ধরে ষড়যন্ত্র
চালিয়ে যাচ্ছে, কিভাবে তারা
ইসলামকে ধ্বংস করতে কামিয়াব হবে।
তারা সবাই একাগ্রতার সাথে কাজ করে
যাচ্ছে, এবং দাজ্জালের আগমন সুগম
করছে, সে আসবে এবং সারা বিশ্বে
একাই রাজত্ব করবে। অধিকাংশরা তাকে
পূজা করবে, তার কথাই উঠাবসা করবে, যা
তাদেরকে সারাজীবনের জন্য
জাহান্নামের আগুনের দিকেই ধাবিত
করবে। চিন্তা করুন, একটিমাত্র “কিতাব”
যা প্রত্যেক ভাষায় লিপিবদ্ধ রয়েছে। সে
কিতাবে আপনার অবগতির জন্য- জীবনে
আপনার সফলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়,
এবং যা কখনই আপনাকে ধোঁকা দিবেনা,
যার (কিতাব) মাধ্যমে আপনি পরিপূর্ণ
ভাবেই বাস্তব উপলব্ধি করতে পারবেন,
সতর্ক থাকবেন। এই “কিতাব” নিয়ে আগমন
করেছিলো এক “সুপুরুষ”, যিনি নিজেই
সবকিছুর বিচার বিশ্লেষণ করে দিয়েছেন,
এই পৃথিবীতে সফলতা ও জান্নাতের দিকে
ধাবিত হতে হলে আপনার করনীয়তা
সম্পর্কে। সবাই জানে এই “কিতাবটি”
সম্বন্ধে, এবং যারা এটিকে পুরোপুরি
বিশ্বাস করে, তাদেরকেই “সন্ত্রাসী” ও
“চরম পন্থী” বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে,
পুরো বিশ্বই তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়
এবং ঘুরে দাড়ায়।
.
দৃশ্যমান যে, এই মানুষদের বিজয়ের কোন
সুযোগই নাই। বলতে চাচ্ছিলাম, আপনি
যদি এই বিষয়টি চিন্তা করেন, যে
মুসলমানদের কোন সুযোগই নেই এবং এই
বিজয় তাদের পক্ষে যে করেই হোক এটি
অর্জন করা অসম্ভব। এখন আপনি আবারো
উপলব্ধি করুন, মুসলমানদের পক্ষে কেউ
নেই শুধু একজন ছাড়া, শুধু মাত্র একজন
ছাড়া! তাদের পক্ষে মহান আল্লাহ
তায়ালা রয়েছেন! নিশ্চয় আল্লাহ তাদের
সঙ্গে রয়েছেন! একমাত্র তাঁর উপর
বিশ্বাস করা এবং সকল প্রকারের পাপ
এবং অবাধ্যতা হতে দূরে অবস্থানে
থাকাই তাদের একটিমাত্র অস্ত্র!
এবং এই সকল কর্মকাণ্ড কি সিংহাসনের
উপরে হচ্ছে না সিংহাসনের নিচে? এ সবই
সিংহাসনের নিচে। এর মানে, মহান
আল্লাহ সবার উপরে রয়েছেন! বিজয়
নিশ্চিত এবং তা অবশ্যই আমাদের!
———————————————————————
এই আহবান আপনাদের প্রত্যেকের
জাগরণের জন্য।
এই পৃথিবী এবং যে সময়ের মধ্যে আমরা
বসবাস করছি, আপনি যদি এর মধ্যে
থেকেই উপলব্ধি করে না থাকেন, তাহলে
হয়তবা আপনি এখনো ঘুমন্ত রয়েছেন অথবা
আপনার চিন্তা শক্তিই পুরোপুরি লোপ
পেয়েছে। কোরআন এর দিকে ফিরে
আসেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এটি মোতাবেক
পূর্ণ জীবনযাপন করুন। দুনিয়ার চাকচিক্য ও
বিলাসিতাকে ভুলে যান। আমরা অল্প
ক্ষণিকের জন্য এই দুনিয়ার মুসাফির, খুব
শীঘ্রয় এই দুনিয়াকে ছেড়ে আমাদের চলে
যেতে হবে। সুতরাং এই জীবনটিকে
বিলাসিতায় উৎসর্গ করবেন না। সদৃশটি ও
স্বচ্ছ ভাবে লক্ষ্যের দিকে মনোনিবেশ
করুন এবং শক্তি সঞ্চারণ করুন। ইসলামকে
জাগরণ এবং উম্মাহদেরকে সহযোগিতার
জন্য যতটুকু আপনার সামর্থ্যে রয়েছে
আপনি ততটুকুই করুন। কেবল ২ টি মাত্র
স্থানেই আমাদের শেষ কেন্দ্রস্থল,
আমাদের অবসান। সুতরাং ভেবে দেখি,
কোন দুইটির একটিতে আমরা অবতরণ করতে
ইচ্ছুক?
.
পিছে তাকানো চলবে না, এখন থেকে
আপনি পূর্ণ এক যথার্থ মুসলমান। আগেকার
“গোনাহগার” ব্যক্তিকে (নিজেকে) ভুলে
যান। এবং পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও শক্তির
সাথে ইসলামের দিকে ফিরে আসুন।
নিজেকে নতুন ভাবে পূর্ণজাগরণ করুন, এই
নতুন আত্মাটিই এখন আপনি নিজে!
এখন থেকে………আপনি একমাত্র আল্লাহ
ব্যতীত আর কাউকে ভয় করেন না, এবং
এখন আপনার একমাত্র লক্ষ্য পরকাল। এবং
এটিই আপনার একমাত্র জ্বালানী যা
আপনার সহায়ক হবে আল্লাহর দ্বীন
ইসলামকে বিজয়ের মাধ্যমে। আপনি যদি
আল্লাহ তায়ালার দ্বীনকে বিজয় করেন,
মহান আল্লাহ তায়ালা নিজে আপনাকে
বিজয় দান করবেন।
.
বার্তাটি আপনাদের জন্য! জেগে উঠুন আপনারা! সময় অতিবাহিত এবং বেশি দেরী হয়ে
যাওয়ার আগেই আপনারা জেগে উঠুন!
এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি। আপনি কি
সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top