সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মাসুদ আযহারের জ্বালাময়ী ভাষন যা আপনার ঈমানকে বাড়িয়ে দিবে ইনশাল্লাহ

কোন মন্তব্য নেই:

লোকেরা তো আমাদের কথাকে আবেগের কথা বলে থাকে।তারা এও বলে যে,আমাদের নাকি দুনিয়ার ব্যাপারে কোন জ্ঞান নেই আরমি ফোরসের ব্যাপারে কোন জ্ঞান নাই।এজন্যই নাকি আমরা শুধু লড় আর মর এই ধরনের কথা বলে থাকি। আফসোসের বিষয় কিছু মুসলিম তো আমাদের কে চিনতেই পারেনা।তারা আমাদেরকে অপরিচিত মনে করে। তারাও এমন কিছু কথা বলে যে,আমাদের মধ্যে এমন কি পেরাশনি আছে যে আমরা সকল মুসলমানকে শুধু অস্ত্র উঠানোর জন্য দাওয়াত দিয়ে যাব?
কিন্তু আমি আপনাদেরকে জিজ্ঞাস করছি,যে ব্যক্তির সামনে তার সাথীদেরকে শহীদ করা হয়েছে, যে  ব্যক্তি মুহাম্মদ (সা:) এর উম্মতদেরকে মরতে দেখেছে, কাতরাতে দেখেছে, যে নিজের যোবনে সোমালিয়ার বাচ্চাদের খুন হতে দেখেছে, যে ব্যক্তি নিজের চোখ দিয়ে বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির হতে দেখেছে, যে কাস্মীরের মায়েদের কাঁদতে দেখেছে,আর্তনাদ করতে দেখেছে,কাতরাতে দেখেছে,যে আফগানিস্তান এর বাদীদের খান্দার হয়ে যেতে দেখেছে,বল
সে কি দুনিয়াতে কীর্তন শুনাবে?????
সে ব্যক্তি দুনিয়াতে কি রামলীলা শুনাবে?????
সে কি বেহায়াপনার নোংরা গীতি গাইবে?????
.
ওহ মুসলমান জাতি!জমিনে এমন জুলুম আর কখনো হইনি যে,কাফেররা মুসলিমদেরকে চ্যালেঞ্জ করছে আর মুসলিমদের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়ার মত কেউ নাই।এমন আর কখনো হইনি যে,আমাদের বোনদের ইজ্জত জমিনের ভিতর সওদা করে দেয়া হচ্ছে, বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে,আর কোন মুহাম্মদ বিন কাসিমের জন্ম হইনি।এমন আর কখনো হইনি যে,মসজিদ ভেংগে ফেলা হচ্ছে আর মুসলমানরা তাদের কারবারে মশঘুল,বেহায়াপনাই মশঘুল।
.
ওহ মুসলমান জাতি!এমন আর কখনো হইনি যে,কাফেররা যুদ্ধের সেজে উপস্থিত হয়ে গেছে আর মুসলমানেরা খারাপ দিনের মত জীবন-যাপন করছে,বেহায়াপনায় মেতে রয়েছে। আজ আমি আপনাদের মনে করাতে চাই যে আমরা মুসলমান,আমরা মুসলমান জাতি। কুরান আমাদেরকে মুমিন বলে, কুরান আমাদেরকে মুজাহিদ বলে।আমিতো আপনাদের এটা মনে করাতে এসেছি যে,আপনারা মাথা ঝুকাতে জন্ম নেননি, দোকানদারি করতে জন্ম নেননি,
বেহায়াপনার মধ্যে নাচার জন্য জন্ম নেননি।আপনি তো এই জমিনে খেলাফতের মুকুট নিয়ে এসেছিলেন,এই জমিনে সম্মানের অধিকার নিয়ে এসেছিলেন, আপনিতো এই জমিনে মুহাফিজ হয়ে এসেছেন,আপনি তো রুজির জন্য ভিক্ষাকারী নন,আপনিতো রুটি তৈরিকারী, রুটি বন্টনকারী ছিলেন।
.
ওহ মুসলমান জাতি!আমি তোমাকে এটা মনে করাতে চাই যে,তোমার আদর্শ কোন ত্বাগুত নই, তোমার আদরশ কোন কাফের নই,তোমার আদরশ কোন মুরতাদ নই,তোমার আদরশ মুহাম্মদ এ মুস্তফা মুহাম্মদ (সা:)।যখম হওয়া নবী, উম্মতের জন্য পাথরের আঘাত খাওয়া নবী,সেই তলোয়ার ওয়ালা নবী, সেই সম্মানওয়ালা নবী,সেই আজমত ওয়ালা নবী, সেই বুলন্দি ওয়ালা নবী,সেই মুক্তিদাতা নবী,সেই তোমার,সেই আমার,সেই আমাদের সকলের।দুনিয়া আজ আমাদেরকে তাদের কাছ থেকে আলাদা করতে চাই,আমি আজ তোমাকে মনে করাতে চাই যে,যদি আমাদের দেহ থেকে আমাদের আত্মাকে আলাদা করা হই, যদি আমাদেরকে হত্যা করা হই,তবুও আমরা মুহাম্মদ(সা:) এর পক্ষ ছাড়ব না ইনশাআল্লাহ।এটা কি কোন অচেনা পয়গাম??
সারা দুনিয়া যদি আমাদেরকে ভাংতে চাই, আমাদের অভ্যন্তরীণ ওইক্য গুরিয়ে দিতে চাই, আমাদেরকে খন্ড বিখন্ড করতে চাই।
.
আমরা যদি আমাদের নবীর ত্বরিকায় থাকার কারনে মুজরিম হই, তাহলে দুনিয়া ধ্বংস হওয়া পরয্যন্ত আমরা মুজরিম-ই থাকব।
যদি নবীর ত্বরিকায় থাকার কারনে আমাদেরকে বিপদগামী বলা হই তাহলে আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পরযন্ত বলতে থাক আমরা শাহাদাতের পথে এগিয়ে হিসেবে আমরা ধরে  নেব।
আফসোস!!কুকুর তার মালিকের পক্ষ কখনো ছাড়েনা, কিন্তু আমরা কি কুকুর এর চেয়ে অধম হয়ে গেলাম যে আমরা আমাদের পাক নবীর পক্ষ ছেড়ে দিব?
.
হে নও-জোয়ান!সত্য করে বল,
তুমি কেন বেচে আছ?
টাকা কামানোর জন্য?
মেয়েদের সাথে ইসকবাজী করার জন্যে? সিনেমা হলের বাইরে লাইন লাগানোর জন্য?
নিজের ঘরের চার দেয়ালকে উঁচু করার জন্য?
বেহায়াপনায় মাতাল হওয়ার জন্য?
নাকি কাফিরকে সাহায্য করার জন্য,
বন্ধুক উঠানোর জন্য?
.
হে নও-জোয়ান!এই আকাশ আমার আর তোমার মত বেহুঁশ আর একটিও দেখেনি।এই জমিন আমার আর তোমার মত নিস্করমা আর একটিও দেখেনি।সত্যি বলছি, এই আকাশ হয়ত আমাদের উপর হাসে,এই আকাশ হয়ত  আমাদের উপর কাদে।
.
হে মুসলমান নও-জোয়ান!
যখন আল্লাহর ওয়াস্তে তোর তীর সদা প্রস্তুত ছিল,দুনিয়ার কুফুর তোর সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতনা কিন্তু আজ তোর কি হইয়ে গেল,তুই কেন চুপ কিরে আছিস??
.
বল হে মুসলমান নও-জোয়ান!
তোর বাহুতে যে শক্তি আছে,তোর বুকে যে অনুপ্রেরণা আছে তোর দেহে যে শক্তি আছে সেটা কেন??শুকরের দেহেও তো রক্ত থাকে।কিন্তু মুসলমানদের শরীর এর রক্ত তো কুরানের আজমতের জন্য হই। মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষার জন্য হই।বল, তুই জীবিত আছিস?আর তোর বোনকে বে-আব্রু করা হচ্ছে,বেইজ্জতি করা হচ্ছে তোর জীবনে কি শান্তি আসতে পারে?
মজা আসতে পারে?
.
হে নও-জোয়ান! কোন জিনিসে হারিয়ে গেছিস তুই?
তুই কোথাই চলে গেছিস?
সব অসহায়ের আর্তনাদ আসছে।
.
হে মুসলমান নও-জোয়ান!
এদিকে আয়,তোর বাহুর শক্তির এখানে খুব দরকার,সব ভাংগা মসজিদ তোকে খুজে বেড়াচ্ছে,সব মা ও বোন তোকে আওয়াজ দিচ্ছে, ইসলামের কান্ডারিরা তোকে আওয়াজ দিতে দিতে গলা বসিয়ে ফেলেছে,কিন্তু তাও তুই শুনিস না।তুই কি নিশ্চুপ দেয়াল হয়ে গেছিস?
তুই কি ইহুদিদের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছিস? ইহুদিদের পন্ডিতেরা তাদেরকে বলছে তোমরা লড় আর তারা লড়তে চলে এসেছে।আর মুসলমান নও-জোয়ান তোকে বলা হচ্ছে তুই লড় আর তুই চুপ করে দাড়িয়ে আছিস।
.
যখন হাতের চুড়ি পরে তুই হেটে যাস,যখন তোর হাতে অডিও-ভিডিওর ক্যাসেট থাকে এই আকাশ তোর উপর কান্না করে, এই জমিন তোর উপর হয়রান হই, তুই কোন নবীর উম্মত আর তুই কি করছিস?
.
তোর বোন তোকে মনে করতে করতে বেইজ্জত হয়ে গেল,তারপরও তোর হুশ নেই,বেহায়াপনায় মেতে আছিস হে নওজোয়ান!এক ঘরে চার দেয়ালে দুই ভাই থাকলে  সেই ঘরের বোনের উপর আংগুল তুলতে কেউ সাহস পাইনা।কেউ আংগুল তুলতে পারেনা।আর ইসলামের চার দেয়ালে তোরা থাকতে তোদের বোনদের মাথা থেকে কাপর উটিয়ে নেয়া হচ্ছে।কোথাই তুই নও-জোয়ান! তুই কোথাই চলে গেছিস?
কেন বেচে আছিস তুই??
কাফেরদের গুলামি করার জন্য,ধনদোলতের পাহাড় বানানোর জন্য,তুই ভুলে গেছিস তোর রব তোর উপর কি দায়িত্ব দিয়ে দিয়ে পাটিয়েছে,তোর স্রষ্টা তোকে কি দায়িত্ব দিয়ে পাটিয়েছে?
তোর আল্লাহ তোকে কি দায়িত্ব দিয়েছে?
.
হে মুসলমান নও-জোয়ান!
তুই আল্লাহর জন্য ফিরে আয়!
তোকে তো কুকুরেরা শিকার করে নিয়ে গেল তুই তো ইসলামের দরজার পাহাড়াদার ছিলি, তুই তোর বোনের অংগনের রক্ষক ছিলি, কুকুরেরা তোকে শিকার করে নিয়ে গেল,
কেউ তোকে সিনেমায় নিয়ে গেল,কেউ তোকে দোকানদারি করতে নিয়ে গেল,
কেউ তোকে নাচাতে নিয়ে গেল,
কাশ্মীর এ তোর বোনের কাপড় উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে আর এখানে তুই বেহায়াপনায় ডুবে তোর মুখ কালো করছিস।তোর কি হয়ে গেল?
.
হে মুসলমান নও-জোয়ান! বুঝা তো যায় না যে,তুই সত্যিই নবীর উম্মত।কোথাই চলে গেছিস তুই কাবার মুহাফিজ কোথাই চলে গেছিস?
.
আমি যখন গাড়িতে বসে তোকে মিউজিক শুনতে দেখি তোর চেহারায় ইংরেজদের চিহ্ন দেখি আমার অন্তর টকরা টুকরা-টুকরা হয়ে যায়।কাফেররা এত পাগল কিভাবে হয়ে গেল যে মুহাম্মদ এ আরাবীয়া (সা:) এর বাচ্চাদের নিয়ে গিয়ে কাফেরদের পোশাক পড়িয়ে দিল?
তুই কি শান্তি পেয়ে গেছিস  নও জোয়ান তুই কি শান্তি পেয়ে গেছিস?
তোর জীবনে কি শান্তি এসে গেছে আমাকে বল।সব দিকে চ্যালেঞ্জ।আমি কোন কোনটার জবাব দিব?
.
মুসলমান নও-জোয়ান ই তো নজরে আসেনা।নইলে আমরা প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ এর জবাব দিতে পারতাম।আমরা মুস্টিময় কিছু নও-জোয়ান পেয়েছি আর আলহামদুলিল্লাহ আমরা অনেক জায়গাতেই দুশমনদের দুরগ গুরিয়ে দিয়েছি।কাল পরয্যন্ত আমাদের কয়েদীদের ব্যাপারে বলা হত আমরা যাকে চাইব রাখব যাকে চাইব মারব।আল্লাহ আমাদের কিছু জোয়ানকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমরা ইন্ডিয়াকে বলেছি, আমাদের রবকে স্বাক্ষী রেখে বলছি যদি ইন্ডিয়ার কোন জেলে আমাদের কোন কয়েদি ভাইকে মারা হই, শহীদ করা হই,আমরাও দুনিয়ার অনেক দেশে, অনেক প্রান্তে হিন্দুদের উল্টা লটকিয়ে দিব ইনশাল্লাহ।আর ইনশাল্লাহ এই কাজের ক্ষমতা আমরা রাখি।যেখানেই আমাদের কিছু নও-জোয়ান মিলেছে আর সেখানেই কয়েদি ভাইদের জান সুরক্ষা হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ।
.
হে মুসলমান নও-জোয়ান! এই ভক্ষকদের তামাশা দেখার জন্য তুই মর।আর তারা ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য নীল নক্সা বানাচ্ছে।
.
তুমি ভুলে গেছ তুমি কে?তোমার কোথাই যাওয়া উচিত আর কোথাই যাওয়া উচিত নয়।তোমার ঘরে তুমি শচীন টেন্ডুল্কারের ছবি ঝুলিয়ে রাখ,অমিতাব্বাচ্চনকে তুমি সালাম কর,লতা মংগাশকারের গান শুন,
কোথাই তুই মুসলমান!!
তোর কি মা আয়েশাকে ভাল লাগেনা?
তাহলে তুই লতার পায়ে গিয়ে কেন পড়লি?
তুই ত্বাগুতকে কেন নিজের আদরশ বানিয়েছিস?
তুই মা আয়েশাকে ভুলে গেলি?
.
তোর তো ক্রিকেট দেখতে হবে,
তোর তো গান শুনতে হবে,
তোর তো চাকরি করতে হবে।
সেটা হালাল ই হোক বা হারাম ই হোক।
তুই কি বুঝবি যে, ইসলামের উপর কি নির্যাতন হচ্ছে।সব কুত্তা আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ করছে,সব শুকর আমাদেরকে দাত দেখাচ্ছে,সব ভেড়া আমাদেরকে আহবান করছে।হে মুসলমান নও-জোয়ান এদের জবাব দাও।এদের সবার জবাব দাও।তুই ফিরে আয় মুসলমান।তুই ফিরে আয়।লাথি মেরে দে এই নোংরা জীবন।আমি শুনেছি কিছু লোক মদকে তাদের জীবন-ধারনের ব্যবসায় বানিয়ে নিয়েছে।তোর কি হয়েছে?
.
তুই কি নবীর দ্বীনকে তার মুখে ছুড়ে মারতে চাস?মদে ডুবে আছে নও-জোয়ান।আমাকে বল মদ খেলে তোর কোন গুনাহ মাফ হয়ে যাবে?
কোন একজনকে বেইজ্জত করলে কি তোর পেট ভরে যাবে?
তোর কি রবের সামনে দাড়াতে হবেনা?
তোর হাতে কি করে মদ আসে?
তোর মহল্লায় কি করে মদ পান করা হই?
যে পাত্র তোর নবী ভেংগে ফেলেছিল তুই কে সেই পাত্র উত্তোলনকারী??
তুই থাকতে তো মহল্লা পবিত্র হওয়া উচিত ছিল।তুই রাস্তায় দাড়িয়ে মেয়েদের সিস বাজাস?
.
ওহ আমার ভাই!তোর কি হয়ে গেল?
আল্লাহ তো তোকে এই জমিনে ইসলামি হুকুমত প্রতিস্টার জন্য পাটিয়েছিল।
আর তুই চাস আমেরিকা পোঁছাতে,ধন-দোলত কামাতে।কানাডা পোঁছাতে আর ডলার কামাতে।তোর কি মনে নেই তুই যদি ইসলামের হয়ে যাস আল্লাহ তোকে ইজ্জত দিবে,
আল্লাহ তোকে আজমত দিবে,ইংরেজরা তোর চাকর হবে।তুই কেন তোর লক্ষ্য থেকে সরে গেছিস?
.
আজ নও-জোয়ান ব্যভিচার এর পাগল হয়ে গেছে।কোন ব্যক্তির ব্যভিচার করে কোন কিছু মিলবেনা।কেয়ামতের দিন লজ্জাস্থান তোর চোখের উপর লটকে থাকবে।তুই তোর বোনের সামনে উলংগ দাঁড়িয়ে থাকবি।কোন মাতালের মদ পান করে কিছু মিলবে না।কেয়ামতের দিন মদ তার মুখ দিয়ে আগুন হয়ে বের হবে।আয়,আজ আমি তোকে এমন এক নেশা দেখায় যে নেশা যার লেগে যায় সব নেশা সে ভুলে যায়।আয় হাতে অস্ত্র উঠা,আল্লাহ্‌র মহব্বতের কসম খা।মন থেকে সব ময়লা-ইসক-মহব্বত বের করে দিয়ে মুহাম্মদ এ আরাবীয়া মুহাম্মদ (সা:) এর ধনুকের তীর হয়ে যা,উনার সুন্নতের তীর হয়ে যা,উনার প্রেমে পরে যা,তারপর ময়দানে বের হও।বল হে আসমান!তুই আর আমার মধ্যে গাফিলতি দেখবি না।হে দুনিয়াবাসী!আমাকে আর মাতাল হতে দেখবে না।এখন মরতে দেখবে আর মারতে দেখবে।কাফেরদের বুক ছিদ্র করে দে।মজা আসবে।যে মজা আসবে যে তুই মদের নেশা ভুলে যাবি।
.
হে নও-জোয়ান!
তুই আমার কথা শুন বা না শুন, তুই শহীদদের রক্ত দেখ বা না দেখ,তুই তোর বোনদের চিতকার শুন বা না শুন,আমরা তোকে ডাকতেই থাকব।আমরা তোর পিছে মেতেই থাকব।আমরা তোকে ইংরেজদের সেবা থেকে ছুটিয়ে এনে মুহাম্মদ (সা) এর আশেক বানানোর চেস্টা করতেই থাকব।
.
হে নও-জোয়ান!তুই আমাদের গুন্ডা বল,আমি তোর শুকরিয়া আদায় করি।তুই আমাদের মোল্লা বল। আমাদের নিয়ে তুই হাসাহাসি কর,আমাদের জিহাদ নিয়ে হাসাহাসি কর,পুলিশ আর ইন্টেলিজেন্স এ গিয়ে আমাদের নামে মামলা কর,আমাদের বিরুদ্ধে ততপর হও,আমাদের রাস্তা বন্ধ করার প্লেন বানা কিন্তু আমি তোর পিছনে পরেই থাকব।আমি তোর জাহান্নামের দিকে যাওয়ার পথকে রুকতে চেস্টা করব।আমি তোকে শেরাপী হতে দিবনা।
আমি তোকে মাতাল হতে দিবনা।
আমি তোকে ব্যভিচারী হতে দিবনা।
রক্তকে মুসলমান করে পয়দা করেছিলেন।রক্তকে মুজাহিদ করে পয়দা করেছিলেন।তুই মায়েদের মান ছিলি,তুই মায়েদের সম্মান ছিলি।বোনদের অহংকার ছিলি।তুই কাবার মুহাফিজ ছিলি।আমি তোকে  তোর স্থান মনে করিয়ে দিতেই থাকব।আমি তোর পায়ে ধরতেই থাকব।আমি তোকে শাহাদাতের অমিয় শুধা দেখাতেই থাকব।
আমি তোকে বলতেই থাকব মুহাম্মদ (সা:) তোর আদর্শ,ইংরেজ কুত্তারা জালিম।
আমি তোকে বলতেই থাকব।তোর চেহারা মুহাম্মদ (সা:) এর মত হওয়া উচিত।
.
হে জোয়ান!
তুই মান বা নামান,শুন বা নাশুন।তুই আমাদের।তুই কাফিরদের না।তুই মুসলিম মায়েদের পেট থেকে জন্ম নিয়েছিস।তুই মুসলমান মায়ের দুধ পান করেছিস।তুই মুসলমান মায়ের দুধ পান করে বড় হয়েছিস।আমরা তোকে কাফির-মুশরিকদের মুহাফিজ হতে দেবনা।তুমি শুন বা নাশুন তোমার মরজি।আমরা তোমাকে শুনাতেই থাকব।
.
আমরা তো কোন ইখতিলাফি ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া করিনা।আমরা তো এগুলো নিয়ে চিন্তাও করিনা।আমরা কাশ্মীর এর বোনকে জিজ্ঞাস করিনি বোন তুই কিভাবে সালাত আদায় করিস?
তুই কিভাবে নামাজ পড়িস?
তোর সাহায্য করব কি করব না?আমরা বলেছি বোন তুই কালিমা পড়েছিস আজ থেকে তুই আমাদের নিজেদের বোনের মত। তোর খাতিরে জান লুটাব, তোর খাতিরে মান লুটাব। তোর খাতিরে জেল খাটবো,তোর খাতিরে হাত কড়া পড়ব,তোর খাতিরে মার খাব।তোর ইজ্জত রক্ষার জন্য লড়তে থাকব।তোর সম্মান রক্ষার জন্য লড়তে থাকব।যতক্ষন না দুনিয়ার কাফিররা তোদের দিক থেকে চোখ না ফিরাবে।আমরা কাফিরদের সাথে কোন আপোষ করব না।আমরা মুজিরিমদের সাথে কোন আপোষ করব না।তাদের সাথে কোন আপোষ করব না।হে নও-জোয়ান! আমার কাছে বোনদের পয়গাম আছে। তারা বলেছে আপনি ছেলেদেরকে ডাকছেন? আপনি আমাদেরকে ডাকুন।দেখবেন আপনি হাজারো বোন পেয়ে যাবেন।যারা বুকে বোম পেতে দুশমনদের ভিতরে হামলা চালাতে তৈরি আছে ইনশাআল্লাহ।
.
হে নও জোয়ান!তুই আর আমি থাকতে বোনদের প্রয়োজন পড়বে???এখন বেচারীরা বোম বাধবে?আমরা এই বোনদের নিরাপত্তাহীনতার কারনে কুকুরদের কাছে ছেড়ে দিয়েছি যাতে তারা ডান্স করে,
যাতে তারা নাচতে শেখে।
.
ওহ মোল্লা ওমর!
আল্লাহ আপনার সম্মান আসমান থেকে বুলন্দ করুক।আমিন।আসমান থেকে বাড়িয়ে দিক।আমিন।আপনি আপনার আফগানীস্থানের বোনদের বাঁচিয়েছেন।সম্মান রক্ষা করেছেন।সেখানে কোন বোনের চেহারা কোন খবিশের নজর পরতে পারেনা।
আর আমরা?
আমরা থাকতে আমাদের বোন বোম বাধবে??
আমরা কি পংগু হয়ে গেছি যে বোনদেরকে
বলব বোন তুই বোম বাধ?
যদি তোমার মধ্যে ঈমান থাকে,তোমার দেহে যদি রক্ত থাকে,
তাহলে বল বোম কি তারা বাধবে নাকি তুমি বাধবে??
.
আমার সমাজের দাড়িওয়ালা মুরব্বী! আমি আপনাদের বয়সে অনেক ছোট।আপনাদের এখন আর ওয়াজ করতে ভাল লাগেনা।
কিন্তু আপনারা আমাদের ব্রেইন, আমাদের আক্কেল।
.
মুরব্বীগন!
আপনারা তো যোবন কাটিয়ে এসেছেন যখন বাহুতে শক্তি থাকে,দেহে তাজা রক্ত থাকে।তবে ইসলামের সম্মান তো পরযন্ত বাজি থাকে। কওমের জন্য সমাজের জন্য আজ আপনাদের অনুপ্রেরণা অনেক বেশি দরকার।
আজ আপনাদের ঘরে এমন কি দাম রয়েছে?
.
যদি তিন বছরের একটি বাচ্চা একটা কথা ২৫ বার জিজ্ঞাসা করে তাহলে প্রত্যেকবার তার উত্তর দেয়া হয়।আর আপনি দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাস করলে আপনার বিবি ধৈর্যহারা হয়ে যান।পুত্রবধূর আওয়াজ উচু হয়ে যায়।আপনার কাসি উনাদের বিরক্ত লাগে।কারন তাদের সম্মান আপনার সাদা দাড়িতে নয়।আপনার সম্পদে,আপনার জমিতে।আপনার বাড়িতে,আপনার টাকাই, আপনার পয়সায়,আপনার ধন-দোলতে।
কিন্তু মুরব্বীগন!আল্লাহ আপনাদের সম্মান দিয়েছেন।আপনার সাদা দাড়িতে নুর দিয়েছেন।এই চিন্তাই থেকোনা যে ছেলে খুশি হোক,ছেলের বো খুশি হোক।এই চিন্তায় থাক যে,এই বয়সে আমি আল্লাহর জন্য কি করতে পারি??
.
আমাদের কাছে এস।দেখ ৮০ বছরের বুড়ারা বন্ধুক নিয়ে দাড়িয়ে আছেন।যাতে তারা যোবনের রিন শোধ করতে পারে।
নিজেদের ছেলেদেরকে জিহাদের জন্য তৈরি করছে।তুমিও এস।নিজের ছেলেকে বল,আমি তোমাকে এইজন্য বড় করেছি যে,তুমি জিহাদে শহীদ হই।তোমার সম্পদ জিহাদের জন্য ঢেলে দাও।তোমার অভিজ্ঞতা জোয়ানদের মাঝে ছড়িয়ে দাও।সব দলের বুজুর্গদের চলে আসা উচিত।প্রতি সেক্টর এ বুজুর্গদের চলে আসা উচিত।যদি আইয়ুব আআনসারী (রা:) ৯৯ বছরের বুড়া হয়ে জিহাদে যেতে পারে,যদি হযরত এ আমর (রা:) ল্যাংড়া হয়ে বুড়া হয়ে যেতে পারেন,যদি হযরত তাবেইন(রা:) ১২০ বছর বয়সে দুশমনদের বুক ভেদ করতে পারেন তাহলে আপনিও পারবেন।নিজের রক্তকে ঠান্ডা হতে দিয়েন না।নিজের সময়কে বিবির সামনে নস্ট করবেন না।
আপনার রব আপনাকে বড় বানিয়েছেন,নিজেকে বড় করে দেখান।আপনি দুনিয়ার সব কন্যাকে বলুন,বেটি আমি বেচে আছি।আমার দেহ জোয়ান নাহোক,আমার আত্মা এখনো জোয়ান রয়েছে।যতদিন বেচে থাকি প্রত্যেক জোয়ানের দরজায় কড়া মারতে থাকব।বেটি তোর মাথার দুপাট্টা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব।
.
আপনারা তো আপনাদের বাচ্চাদেরকেও জিহাদে যেতে দেন না।ছেলে লন্ডন গেলে আপনি কত খুশি হোন,হাতে মিস্টি চলে আসে।সবাইকে ববলতে তথাকেন আল্লাহ কত দয়া করেছেন।তাহাজ্জুদে ঊঠে বলতে থাকেন আল্লাহ ফযল বাড়িয়ে দাও।বরকত বাড়িয়ে দাও।ইংরেজদের গোলামি করতে যাচ্ছে।বাহ!!কি লজ্জাকর!! আর ছেলে যদি জিহাদে যায় তাহলে শোকের মাতম শুরু হয়ে যায়।কোন পরোয়া নেই।কেউ নেই দাদী অসুস্থ হাসপাতালে নিতে হবে কেউ নেই।
.
হে মুরব্বীগন!আপনাদের চেহারাতে সাদা দাড়ি,চেহাড়ার নুর,আপনাদের ছেলে আছে,মুসলমানরা আজ নির্যাতিত হচ্ছে আপনাদের লজ্জা করে না।কেন নিজেদেরকে বাচ্চাদের খেলনা বানাচ্ছেন?
আল্লাহ তো আপনাদের সম্মান দিয়েছেন। এই সম্মানের কদর করা শিখুন।আপনি ময়দানে আসুন তারপর দেখুন আল্লাহপাক আপনার জন্য কি বিনিময় দেন।আফসোস! হিন্দুস্তানে এই মুহুরতে ১০-১২ টি ভয়ংকর হিন্দু সংগঠন রয়েছে।
যেমন সচীনা,আর.এফ.এস,বিনচু হিন্দু পরিষদ,রজেন্দর ভাইয়া,এই সবগুলোর যত লিডার রয়েছে সবার বয়স ৭০/৮০/৯০ বছর।
.
কিন্তু আফসোস!
আমাদের মাতায় হাত রাখার জন্য কোন বুজুর্গ পাইনা,মুরব্বী পাইনা।অনেকে তো বলে নবিজি লড়তে আসেন নি।মিথ্যা কথা।বরং
সারা জীবনভর লড়েছেন,ইসলামের জন্যে জান বাজি রেখেছেন,শেষ বয়স পরয্যন্ত লড়েছেন।আপনাদেরকেও উনার ত্বরিকা জিন্দা করতে হবে।
.
ইংরেজদের দেয়া পদ হারানোর ভয়ে অনেকে যা খুশি তাই করেন,ঈমান বিক্রি করেন,সম্মান বিক্রি করেন,নিজের দেশকে বিক্রি করেন।
.
শুনে নাও হে পদবীওয়ালারা, মাতলামি করনে ওয়ালারা তোমরা জিহাদ করতে হই কর বা নাই কর কিন্তু তোমাদের জবান জিহাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করনা। তাহলে আমরা সেই জবান কেটে ফেলব ইনশাআল্লাহ। ওই কাফেরদের যখনই মন চাই মসজিদের বিরুদ্ধে কথা বলে।ওই কাফেরদের যখনই মন চাই মুজাহিদদের বিরুদ্ধে কথা বলে।আমার কাছে এমন এক বয়স্ক মহিলা বলেছেন উনার ছয় ছেলে শহীদ হয়েছেন।উনার আশা আরো সন্তান জন্মদেন।তারাও জিহাদে শহীদ হোক।৩৬০ জন ব্যক্তিকে খাইয়েছেন।আল্লাহর রহমতে এখন ঘরে ঘরে মুজাহিদ জন্ম নিয়েছেন এবং বিবি সাহেবেরা আমেরিকা গিয়ে জিহাদের দাওয়াত দিয়ে ঘরে ঘরে জিহাদের কথা বলে জীবিত ফিরে এসেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
.
আমি সমাজের বাকি লোকদেরকে বলছি আপনাদের সাথে আমাদের কোন শত্রুতা নাই।আমরা আপনার কুরসি চাইনা।আমরা আপনাদের পদবী  চাইনা।আমরা তো আমাদের বোনদের আজমতের জন্য লড়ছি,সমমানের জন্য লড়ছি।আমরা তো আমাদের কান্না ঝড়াচ্ছি বাবরি মসজিদের জন্য।
আমরা তো আমাদের মুসলমান নও-জোয়ানকে কুফরের পান্ডা থেকে সম্মানের দিকে আহবান জানাচ্ছি। আমরা তো ঈমানের ফেদায়েত তুলে ধরছি।তোমাদের সাথে আমাদের কোন শত্রুতা নেই,লড়াই নেই।আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইন্ডিয়া কে খুশি করার জন্য তাদের সম্মানে আমাদের সাথে দুশমনি করোনা।এই কারনে যে,আমরা শহীদ, আমরা গাজি,আমরা আউলিয়া,যদি আমাদের সাথে টক্কর লাগাও তাহলে আল্লাহও তোমাদের সাথে টক্কর লাগাবে।
.
আল্লাহ তুমি সকলকে হেদায়েত দান কর আমিন।এরাএ একদিন শহীদ হতে আসবেন।এরাও একদিন আসবেন।
.
আমরা এদেশে ইসলামি শরীয়াহ প্রতিস্টা করতে চাই।আমাদের মিশন ইসলামের মিশন,দ্বীনের মিশন। আমরা কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে জিহাদ করছি না।কারো ইশারায় জিহাদ করছি না।জিহাদ রবের হুকুম।জিহাদ মুহাম্মদ(সা:) এর ত্বরিকা। এজন্য আপনারা আমাদের সাথে কাজ করুন।আপনারা আপনাদের কাজ করুন।কাফেরদের ইশারায় এই জিহাদকে বন্ধ করার কথা বলবেন না।এখন আমাদের মুজাহিদ ভাইদের খুব দরকার,এখন নও-জোয়ানদের খুব দরকার। আল্লাহ আপনার ছেলের জান কুরবানি দ্বারা আফগানিস্থানে ইসলামি হুকুমত জিন্দা করেছেন। মুহাম্মদ (সা:) এর ত্বরিকা আপনারা আমাদের সাথে কাজ।করুন আপনারা আপনাদের কাজ করুন জিহাদকে বন্ধ করার কথা বলবেন না।এখন আমাদের মুজাহিদ দেরকে খুব দরকার।এখন আমাদের নও জোয়ানদেরকে খুব দরকার। আল্লাহ ছেলের কোরবানি দ্বারা আফগানিস্থানে ইসলামের হুকুমত জিন্দা করেছেন। আল্লাহ রব্বুল আলামীন আপনার সেই ত্যাগের বরকতে সেই ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।যেটা ইয়াসির আরাফাত এর মতো গাদ্দারেরা ভেংগে দিয়েছে।
.
আমার মহতারাম বন্ধুরা আকাশের দিক থেকে রব ডাকছেন।তোমার জন্য জান্নাত সাজানো হচ্ছে।তোমার ঈমানের দাবি আজ যখন ঘরে ফিরবে তখন ঈমান নিয়ে ফিরবে।মুজাহিদ হয়ে ফিরবে। সব ঘরে ঘরে জিহাদের মাতম জ্বালানো চায়।দুশমন ও ইহুদিকে ঘর থেকে বের করে দাও।
.
হে মুসলমান নও-জোয়ান!
মুহাম্মদ(সা:) এর ত্বরিকা ধর কাফেরদের ত্বরিকা  ছাড়।জিহাদের ঝান্ডা লাগাও।ট্রেনিং এর জন্য বের হয়ে যাও।কোন ঘাবড়ানোর প্রয়োজন নাই।কোন ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নাই।ভয় তো পাবে দুশমনরা।বুক তো শুকাবে দুশমনদের যারা বলেছিল দুই বছরের মধ্যে মুজাহিদীনদেরকে  নিশ্চিহ্ন করে দেবে তারা আজও করতে পারেনি।কিয়ামত পরয্যন্ত পারবেনা ইনশাআল্লাহ। আমি আজকে সব নও-জোয়ানকে,সব দাড়িওয়ালা কে জিহাদের জন্য আহবান করছি।.......
.
আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার এবং আমল করার তোফিক দান করুন আমিন,আমিন,আমিন।
.
......মাসউদ আযহার(জ্বালাময়ী ভাষন).
.

https://moroccotoindonesia.wordpress.com/2015/09/19/নতুন-লেকচার-হে-নওজোয়ানঃ-ম/

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top