বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা কী ?-(part-1)

কোন মন্তব্য নেই:

সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা
কী ?-(part-1)
.
যে মতবাদটিকে ইংরেজিতে
secularism বলা হয় তার আরবি
প্রতিশব্দ হিসেবে বহুলভাবে ﻋﻠﻤﺎﻧﻲ
[‘আলমানি] শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আর বাংলায় এর (সত্যের অপলাপকৃত)
অনুবাদ করা হয় ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’
শব্দ দিয়ে। তাহলে দেখা যাক সে
সেকুলারিজম (বা তথাকথিত
ধর্মনিরপেক্ষতা) কী? ছোট্ট একটি
প্রশ্ন, কিন্তু তার উত্তর চাই স্পষ্ট,
নিখুঁত ও বিস্তারিত। এ প্রশ্নের সঠিক
উত্তর প্রত্যেক মুসলিমের জানা-
থাকা জরুরি। আল্লাহর মেহেরবানী
যে, এ পর্যন্ত সেকুলারিজমের উপর বহু
গ্রন্থ লিখা হয়েছে, আমাদের কর্তব্য
শুধু জানা ও আমল করা।
.
এবার প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করি,
তবে এ জন্য আমাদের বেশী কষ্ট
করতে হবে না, কারণ যেখানে
‘সেকুলারিজম’ বা তথাকথিত
‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ মতবাদের জন্ম,
সে পাশ্চাত্য দেশসমূহে লিখিত
অভিধানগুলো আমাদেরকে সেটার
অর্থ খোজা ও সন্ধান করার কষ্ট
থেকে মুক্তি দিয়েছে।
.
ইংরেজি অভিধানে secularism শব্দের নিম্নরূপ
অর্থ এসেছে:
১. পার্থিববাদী অথবা বস্তুবাদী।
২. ধর্মভিত্তিক বা আধ্যাত্মিক নয়।
৩. দ্বীনপালনকারী নয়, দুনিয়াবিমুখ
নয় [a]।
.
একই অভিধানে secularism শব্দের
সংজ্ঞায় এসেছে:
“secularism এমন একটি দর্শন, যার
বক্তব্য হচ্ছে, চরিত্র-নৈতিকতা ও
শিক্ষা ধর্মীয় নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত
হতে পারবে না”।
.
‘ব্রিটিশ বিশ্বকোষ’-এ আমরা দেখি,
সেখানে সেকুলারিজম সম্পর্কে বলা
হয়েছে: “সেকুলারিজম একটি
সামাজিক আন্দোলন, যার একমাত্র
লক্ষ্য মানুষদেরকে পরকালমুখী থেকে
ফিরিয়ে এনে দুনিয়ামুখী করা”।
Encyclopedia Britanica নামীয়
ব্রিটিশ বিশ্বকোষে Atheism বা
‘নাস্তিকতা’ শিরোনামের অধীন
secularism এর আলোচনা এসেছে।
তাতে Atheism তথা নাস্তিকতাকে
দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
১. তাত্ত্বিক নাস্তিকতা ( ﺇﻟﺤﺎﺩ ﻧﻈﺮﻱ )
২. ব্যবহারিক নাস্তিকতা ( ﺇﻟﺤﺎﺩ ﻋﻤﻠﻲ )।
‘বিশ্বকোষ’ সেকুলারিজমকে দ্বিতীয়
প্রকার নাস্তিকতার অন্তর্ভুক্ত করেছে ।[b]
.
এ আলোচনা থেকে দু’টি বিষয়
স্পষ্ট হল:
.
এক. সেকুলারিজম একটি কুফরি দর্শন ,
তার একমাত্র লক্ষ্য দুনিয়াকে
দ্বীনের প্রভাব মুক্ত করা।
সেকুলারিজম একটি মতবাদ, তার কাজ
হচ্ছে পার্থিব জগতের সকল বিষয়কে
ধর্মীয় বিধি-নিষেধ থেকে মুক্ত
রেখে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,
সামাজিক, আদর্শিক ও পারস্পরিক
সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার নিজের
তৈরি বিধান দেওয়া ও সকল স্তরে
নেতৃত্ব প্রদান করা।
.
দুই. সেকুলারিজমের সাথে জ্ঞান বা
বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই, যেমন
কতক কুচক্রী মানুষদেরকে প্রতারণার
ফাঁদে ফেলার জন্য বলে,
সেকুলারিজম অর্থ ‘ব্যবহারিক
বিজ্ঞানের উপর গুরুত্বারোপ ও তার
প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা’।
এ বক্তব্যের অসারতা ও সত্য গোপন
করার অপকৌশল আমাদের বর্ণিত অর্থ
থেকে স্পষ্ট, যা আমরা গ্রহণ করেছি
‘সেকুলারিজম’ এর সুতিকাগার থেকে,
যে সমাজে তার জন্ম ও পরিচর্যা
হয়েছে।
.
তাই ‘সেকুলারিজম’ এর অর্থ যদি করা হয়
ধর্মহীনতা, তাহলে তার সূক্ষ্ম ব্যাখ্যা ও
সঠিক অর্থ প্রকাশ পাবে এবং তাতে
অপলাপের কিছু থাকবে না, বরং যথার্থ
অর্থই স্পষ্ট হবে।
সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা) এর
বিবিধ রূপ সেকুলারিজমের দু’টি রূপ রয়েছে। যার একটি অপরটি থেকে জঘন্য:
.
প্রথম রূপ:
সরাসরি নাস্তিকতা: এ প্রকার
সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা)
দ্বীনকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান ও
সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অস্তিত্বকে
অস্বীকার করে। তা ধর্মীয় কোনো
বিষয় স্বীকার করে না, বরং যারা
আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতি ঈমানের
দাওয়াত দেয়, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
ঘোষণা করে। এ জাতীয়
সেকুলারিজমের (ধর্মনিরপেক্ষতার)
অনুসারীরা নিজেদের কুফরি,
অশ্লীলতা ও কুকর্মে আত্মগর্বী ও
অহংকারী। তাদের কুফরির ফয়সালা
করা সকল মুসলিমের পক্ষে সহজ।
আলহামদুলিল্লাহ তাদের বিষয়টি
মুসলিমদের নিকট স্পষ্ট। কোনো
মুসলিম তাদের দিকে ধাবিত হয় না,
তবে যে দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে
চায় সে ব্যতীত। এ ধরনের
সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা)
জনসাধারণের নিকট কম বিপজ্জনক,
তারা সাধারণ মানুষকে সহসা ধোঁকায়
ফেলতে সক্ষম নয়, তবে দ্বীনের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, মুমিনদের
সাথে শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করা
এবং তাদেরকে কষ্ট দেওয়া, অথবা
জেল দেওয়া অথবা হত্যা করা
ইত্যাদি ক্ষেত্রে তারাও কম ক্ষতিকর
নয়।
.
দ্বিতীয় রূপ:
পরোক্ষ নাস্তিকতা [1] :
এ প্রকার নাস্তিকতা আল্লাহর
অস্তিত্বকে অস্বীকার করে না,
তাত্ত্বিকভাবে তার উপর ঈমান আনে,
তবে দুনিয়ার কোনো বিষয়ে দ্বীনের
কর্তৃত্ব মানে না । তাদের শ্লোগান
দুনিয়াকে দ্বীন থেকে পৃথক কর।
জনসাধারণকে ধোঁকায় ফেলা ও
বিপথগামী করার ক্ষেত্রে এ প্রকার
নাস্তিকতা বা সেকুলারিজম
(তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা)
অপেক্ষাকৃত বেশি বিপজ্জনক। কারণ
তারা আল্লাহর অস্তিত্বকে
অস্বীকার ও তার দ্বীনের বিরুদ্ধে
প্রকাশ্য বিদ্রোহ করে না, তাই
তাদের কুফরির প্রকৃত অবস্থা অনেক
মুসলিমের নিকট প্রচ্ছন্ন ও অস্পষ্ট
থাকে। [2]
.
দ্বীনের সঠিক জ্ঞান ও পর্যাপ্ত ইলম
না থাকার কারণে তারা
সেকুলারিজমকে (তথাকথিত
ধর্মনিরপেক্ষতাকে) কুফরি বলে মনে
করে না। এ কারণে মুসলিম দেশসমূহের
অধিকাংশ সরকার সেকুলার
(তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ) মতবাদের
অনুসারী। অনেক, বরং অধিকাংশ
মুসলিম তাদের হাকিকত জানে না।
এ প্রকার সেকুলারিজমের
(ধর্মনিরপেক্ষতার) অনুসারী
সংগঠনগুলো দ্বীন ও দ্বীনের দাওয়াত
প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
করেও নিশ্চিত থাকে, কেউ তাদের
কাফের ও দ্বীন থেকে খারিজ বলবে
না। কারণ, তারা প্রথম প্রকারের
ন্যায় প্রকাশ্য নাস্তিকতাসহ
আত্মপ্রকাশ করেনি। তাদের কাফের
না বলা মুসলিমদের মূর্খতার প্রমাণ।
আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি,
তিনি আমাদেরকে ও সকল মুসলিমকে
সঠিক জ্ঞান দান করুন। মুসলিম
উম্মতকে দ্বীন বুঝার তৌফিক দিন,
তারা যেন এসব সংস্থা ও সংগঠন
থেকে আত্মরক্ষা গ্রহণ করে।
অতএব দ্বীন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল
কোনো মুসলিম সেকুলার বা
তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ
মতাবলম্বীদের কথা বা লেখনীতে
আল্লাহর নাম অথবা রাসূলের নাম
অথবা ইসলামের নাম শুনে বা দেখে
আশ্চর্য হয় না[3] , বরং তারাই আশ্চর্য
হয় ও বিস্ময় প্রকাশ করে, যারা
তাদের প্রকৃত অবস্থা জানে না।
.
মোদ্দাকথা:
.
উভয় প্রকার সেকুলারিজম
(ধর্মনিরপেক্ষতা) স্পষ্ট কুফরি, এতে
কোনো সন্দেহ ও সংশয় নেই । যদি কেউ
উল্লেখিত কোনো প্রকার
ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ মনেপ্রাণে
মেনে নেয়, সে ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত
ও মুরতাদ হয়ে যাবে। আল্লাহ
আমাদের হিফাজত করুন। কারণ,
ইসলামই হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন তথা
জীবন বিধান, মানুষের জীবনের সকল
ক্ষেত্রে তার স্পষ্ট বিধান রয়েছে,
হোক তা আধ্যাত্মিক, রাজনৈতিক,
অর্থনৈতিক, চারিত্রিক বা
সামাজিক কোনো শাখা। ইসলাম
কখনো কোনো মতবাদকে তার
বিধানে হস্তক্ষেপ করার অনুমতি দেয়
না। ইসলামের সকল শাখায়
পরিপূর্ণরূপে প্রত্যেক মুসলিমের
প্রবেশ করা ফরয। আল্লাহ তা‘আলা
ইরশাদ করেন:
﴿ ﻳَٰٓﺄَﻳُّﻬَﺎ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﻣَﻨُﻮﺍْ ﭐﺩۡﺧُﻠُﻮﺍْ ﻓِﻲ ﭐﻟﺴِّﻠۡﻢِ ﻛَﺎٓﻓَّﺔٗ
٢٠٨ ﴾ ‏[ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ٢٠٨ ‏]
“হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে
পূর্ণরূপে প্রবেশ কর”। [4]
কুরআনুল কারিমের কতক বিধান গ্রহণ
করে কতক বিধান ত্যাগকারীকে
আল্লাহ তা‘আলা কাফের বলেছেন।
ইরশাদ হচ্ছে:
﴿ ﺃَﻓَﺘُﺆۡﻣِﻨُﻮﻥَ ﺑِﺒَﻌۡﺾِ ﭐﻟۡﻜِﺘَٰﺐِ ﻭَﺗَﻜۡﻔُﺮُﻭﻥَ ﺑِﺒَﻌۡﺾٖۚ ﻓَﻤَﺎ
ﺟَﺰَﺍٓﺀُ ﻣَﻦ ﻳَﻔۡﻌَﻞُ ﺫَٰﻟِﻚَ ﻣِﻨﻜُﻢۡ ﺇِﻟَّﺎ ﺧِﺰۡﻱٞ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺤَﻴَﻮٰﺓِ
ﭐﻟﺪُّﻧۡﻴَﺎۖ ﻭَﻳَﻮۡﻡَ ﭐﻟۡﻘِﻴَٰﻤَﺔِ ﻳُﺮَﺩُّﻭﻥَ ﺇِﻟَﻰٰٓ ﺃَﺷَﺪِّ ﭐﻟۡﻌَﺬَﺍﺏِۗ ﻭَﻣَﺎ
ﭐﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻐَٰﻔِﻞٍ ﻋَﻤَّﺎ ﺗَﻌۡﻤَﻠُﻮﻥَ ٨٥ ﴾ ‏[ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ٨٥ ‏]
“তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে
ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার
কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা
তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা
ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে
পারে? আর কিয়ামতের দিনে
তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ
করা হবে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ
সে সম্পর্কে গাফেল নন”। [5]
.
ইসলামে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত
কোনো বিষয় যে প্রত্যাখ্যান করল,
সে কাফের ও পথভ্রষ্ট, যদিও তার
প্রত্যাখ্যান করা বিষয়ের পরিমাণ
খুবকম ও সামান্য হয়। অতএব পার্থিব
রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ইসলামের
সকল বিধান যে প্রত্যাখ্যান করে, সে
কাফের বলার অপেক্ষা রাখে না,
যেমন সেকুলারিজম বা
ধর্মনিরপেক্ষতার অনুসারীরা।
দ্বিতীয়ত ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের
অনুসারীদের মাঝে ইসলাম
বিনষ্টকারী কারণও রয়েছে, যেমন
তারা বিশ্বাস করে নবী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ থেকে
অন্য কারও আদর্শ উত্তম, অনুরূপ তার
ফয়সালা থেকে অন্য কারও বিচার-
ফয়সালা উত্তম। এ কারণেও তারা
কাফের। [ 6]
.
শায়খ আব্দুল আযীয ইবন বায
রাহিমাহুল্লাহ বলেন: “ইসলাম
বিনষ্টকারী চতুর্থ প্রকারের
অন্তর্ভুক্ত ঐ ব্যক্তি, যে বিশ্বাস করল
মানুষের তৈরি আইনি সংস্থাগুলো
ইসলামী শরীয়তের বিধান থেকে
উত্তম, অথবা বিশ্বাস করল যে, বিংশ
শতাব্দীতে ইসলামী বিধান
বাস্তবায়ন করা যুক্তিসঙ্গত নয়, অথবা
ইসলাম প্রগতির অন্তরায়, অথবা বলল
ইসলাম শুধু ব্যক্তি ও তার রবের মধ্যেই
সীমাবদ্ধ, মানুষের জীবনের অন্য
কোনো অংশে প্রবেশ করার
অধিকার ইসলামের নেই”। [7]
.
[1] আমরা সেকুলারিজম বা
ধর্মনিরপেক্ষতাকে সরাসরি
নাস্তিকতা ও পরোক্ষ নাস্তিকতা
দু’ভাগে ভাগ করেছি, কারণ সাধারণ
লোকেরা নাস্তিকতা বলতে আল্লাহর
অস্তিত্ব অস্বীকার করাকেই বুঝায়,
অথচ সেকুলারিজম বা তথাকথিত
ধর্মনিরপেক্ষতাও এক প্রকার
নাস্তিকতা, বরং নাস্তিকতার একটি
শাখা হচ্ছে সেকুলারিজম বা
তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা।
.
[2] দ্বীনের সাথে পরোক্ষ
নাস্তিকতা বা সেকুলারিজমের
(ধর্মনিরপেক্ষতার) সংঘর্ষ অনেকের
নিকট স্পষ্ট নয়, কারণ তাদের নিকট
দ্বীন হচ্ছে ধর্মীয় কয়েকটি ইবাদতের
নাম। তাই এ পরোক্ষ সেকুলারিজম
(পরোক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতা) যেহেতু
মসজিদে সালাত আদায় ও বায়তুল্লাহ
শরীফের হজকে নিষেধ করে না,
তারা ধারণা করে নিয়েছে যে,
ধর্মনিরপেক্ষতা দীন বিরোধী নয়।
কিন্তু দীনকে যারা সঠিকভাবে
বুঝেন, তারা অবশ্যই জানেন যে,
সেকুলারিজম (তথাকথিত
ধর্মনিরপেক্ষতা) দীনের সাথে
সাংঘর্ষিক। যে মতবাদ মানুষের
জীবনের সব শাখায় আল্লাহর
শরীয়তকে নিষিদ্ধ ও হারাম ঘোষণা
করেছে, তার চেয়ে স্পষ্ট ও কঠিন
ইসলাম বিরোধী কোনো মতবাদ কি
আছে? যদি তারা তা বুঝে!
.
[3] কারণ তারা ভালো করেই জানে
যে এরা এগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে
মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। [সম্পাদক]
.
[4] সূরা বাকারা: (২০৮)
.
[5] সূরা বাকারা: (৮৫)
.
[6] দেখুন: শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল
ওয়াহহাব রহ. রচিত ﻧﻮﺍﻗﺾ ﺍﻹﺳﻼﻡ
গ্রন্থের ইসলাম বিনষ্টকারী চতুর্থ
প্রকার। আরো দেখুন: শায়খ আব্দুল
আযীয ইবন বায রহ. রচিত ﺍﻟﻌﻘﻴﺪﺓ
ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ গ্রন্থের (২৭) নং পৃষ্ঠা।
[7] দেখুন: শায়খ আব্দুল আযীয ইবন
বায রহ. রচিত ﺍﻟﻌﻘﻴﺪﺓ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ গ্রন্থের
(২৭) নং পৃষ্ঠা।
.
[a] ‘দুনিয়াবিমুখিতা’ বা
‘সংসারবিরাগী’ খৃস্ট ধর্মে একটি
ইবাদতগত বিষয়। খৃস্টানগণ এ
বিদ‘আতটি আবিস্কার করেছে।
সুতরাং যখন তারা বলে, সেক্যুলার
অর্থ, ‘সংসারবিরাগী নয়’ তখন তারা
এর দ্বারা অর্থ নেয় যে, সে
ইবাদতকারী নয়। মুসলিমরা মনে করে
যে সংসারবিরাগী হওয়া বিদ‘আত।
কিন্তু খৃস্টানরা এটাকে বিদ‘আত মনে
করে না। তারা এটাকে তাদের
সত্যিকার দ্বীন মনে করে। সুতরাং
যখন কেউ বলবে যে, অমুক
সংসারবিরাগী নয় তখন সে এর দ্বারা
উদ্দেশ্য নেয় যে, লোকটি ইবাদতের
ধার-ধারে না। ‘বিদ‘আত করে না’ এ
অর্থ উদ্দেশ্য নেয় না।
.
[b] নাস্তিকতার উপর আভিধানিক
বিশ্লেষণ ড. মুহাম্মদ যায়ন আল-হাদি
রচিত ﻧﺸﺄﺓ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﻧﻴﺔ বা ‘সেকুলারিজম
এর উৎপত্তি’ গ্রন্থ থেকে গ্রহণ করা
হয়েছে।
.
মূলঃ ধর্মনিরপেক্ষতা ও তার কুফল
মুহাম্মদ শাকের আশ-শরীফ
অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ
যাকারিয়া

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top