সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আপনারা দাড়িওয়ালারাই একনাম্বার জংগী!

কোন মন্তব্য নেই:

আসসালামু আলাইকুম ভাই আমার
আল্লাহরর জন্য বলছি।লেখাটা একটু পরুন।খুবই ভাল লাগবে ইনশাল্লাহ।।।
.
এই পোস্টটি মুনাফিকদের কলিজায় আঘাত হানবে (ইনশা আল্লাহ)
--------------------------------
জঙ্গী কাকে বলে?ও তার কি কি শর্ত?
.
আমরিকা ও তাদের দালালরা অনেক পূর্ব থেকেই ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে রেখেছে, সেই কুখ্যাত, অভিসপ্ত, নিকৃষ্ট,ঘৃনিত বুশ অনেক পূর্বেই ঘোষনা করেছিল যে,পৃথীবিতে শুধুমাত্র দুইটি দল থাকবে, একটি
হল আমাদের দল, অন্যটি হল জঙ্গীদের দল, বাংলাদেশ সরকার তাদের সাথে সাথে স্বুর মিলিয়ে জঙ্গী দমন ও নির্মূলের ঘোষনা করে, তাই তাদের কর্ম ও বাস্তবতার নিরিখে জঙ্গীর সংজ্ঞা ও শর্ত তুলে ধরা হল।
.
☞① প্রশ্ন: যারা অস্ত্র, বোমা,বারুদ ইত্যাদি রাখবে,বানাবে তারা কি জঙ্গী ?তাহলে তো
মুজাহিদীনের নিকট অল্প অল্প ছোট ছোট
অস্ত্র, আর তোমাদের নিকট যুদ্ধ বিমান,
ট্যাঙ্ক, বোমা, পারমানবিক অস্ত্র, সহ আরো
অনেক কিছু রয়েছে, তাহলে তো তোমরা
সবচেয়ে বড় জঙ্গী?
☞ উত্তর : না, এগুলো রাখার কারনে কেউ জঙ্গী হয় না।
.
☞② প্রশ্ন: যারা অস্ত্রে সজ্জিত, জীবন বিলিয়ে
দেওয়ার জন্য প্রস্তুত সৈন্য, ফৌজ রাখে, তারা কি জঙ্গী ? তাহলে তো মুজাহিদীন কোথাও চারশ, পাচঁশ, এক হাজার, দুই হাজার,পাচঁ দশ হাজার, আর তোমাদের তো 20 লক্ষ, ইন্ডিয়ার 16 লক্ষ, চিনের 22 লক্ষ সৈন্য ইত্যাদি
তাহলে তো তোমরা বড় জঙ্গী ?
☞উত্তর : না, সৈন্য রাখা জঙ্গী হওয়ার আলামত না বরং গৌরব, শক্তির আলামত।
.
☞③ প্রশ্ন :যারা নিরপরাদ, নিরস্ত্র, সাধারন লোকদের হত্যা করে, তারা কি জঙ্গী?তাহলে তো মুজাহিদীন কয়জনকে মেরেছে ?আর তোমরা তো সেই ইরাকে,আফগানিস্তানে, মিয়ানমারে, ফিলিস্তিনে, আফ্রিকায়,
আমরিকা আবিস্কারের পর লক্ষ লক্ষ, রোম
আবিষ্কারের পর লক্ষ লক্ষ, শাপলা চত্তরে, হিরুসিমায় লক্ষ লক্ষ হত্যা করেছ, তাহলে তোমরা সবচেয়ে বড় জঙ্গী ?
☞উত্তর : না , এ কারনে কেউ জঙ্গী হয় না
.
☞④প্রশ্ন: আচ্ছা তাহলে যারা স্বাধীনতার
জন্য শ্লোগান দিবে, অস্ত্র হাতে নিবে,
তারা কি জঙ্গী? তাহলে হিন্দুস্তান,
বাংলাদেশ, সুদান, স্কটল্যন্ড, চিলি, ত্রিপুরা,
আসাম, ব্রিটেনে যারা আওয়াজ উঠিয়েছে,
উঠাচ্ছে তারা বড় জঙ্গী?
.
☞ উত্তর : না, এ কারনে কেউ জঙ্গী হয় না, স্বাধীনতার জন্য স্লোগান উঠানো বৈধ, ন্যায্য অধিকার।
☞আচ্ছা, তাহলে জঙ্গী কে ?কি কি শর্ত
পাওয়া গেলে জঙ্গী হবে ?
--------------------------------
☞ উত্তর : যেই…মুসলমান অস্ত্র হাতে মজলুম মুসলমানদের মুক্তির জন্য লড়াই করবে,যারা ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্টার জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকবে,তারাই জঙ্গী।
.
☞ শর্ত মাত্র দুইটি,
০১। মুসলমান হওয়া,
২। জিহাদ করা, তারা কাশ্মির, আফগানিস্তান ,ইরাক,সিরিয়া,চেচিনিয়া,বসনিয়া,ফিলিপাইন, ফিলিস্তিন,বা বাংলাদেশেই হোক না কেন।
.
☞ তাহলে খুব ভাল করে শুনে রাখ যে, যারা প্রকৃত মুসলমান তারা অবশ্যই জঙ্গী, নিশ্চয় জঙ্গী, কারন এটাই কোরআনের, রাসূল সা: এর, সাহাবায়ে কিরাম রা: এর শিক্ষা ৷ যারা জিহাদকে অস্বীকার করবে তারা কাফের, যারা অবহেলা করে ছেড়ে দিবে তারা ফাসেক,
গুনাহগার ৷সুতারাং পৃথিবীর কোন শক্তি জঙ্গীদেরকে শেষ করতে পারবে না, নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাবে,নাস্তানাবোদ হয়ে যাবে, আকল পূজারী ও জ্ঞান পাপীদের খোদা আমরিকাও রক্ষা পাবে না, বাংলাদেশ সরকারও নয়, সকল মুসলমানের ঈমানকে আল্লাহ তায়ালা
হেফাজত করুক, আমিন ৷আমিন।আমিন।
.
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে
পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।যদি বের না হও, তবে আল্লাহ
তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (9:38-39)
.
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।(8:39)
.
মূসার পরে তুমি কি বনী ইসরাঈলের একটি দলকে দেখনি,যখন তারা বলেছে নিজেদের নবীর কাছে যে, আমাদের জন্য একজন বাদশাহ নির্ধারিত করে দিন যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি। নবী বললেন, তোমাদের প্রতিও কি এমন ধারণা করা যায় যে, লড়াইর হুকুম যদি হয়,তাহলে তখন তোমরা লড়বে না? তারা বলল, আমাদের কি হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করব না। অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি নিজেদের ঘর-বাড়ী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। অতঃপর যখন লড়াইয়ের নির্দেশ হলো,তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তাদের সবাই ঘুরে দাঁড়ালো। আর আল্লাহ তা’আলা জালেমদের ভাল করেই জানেন।(2:246)
.
ভাল লাগলে শেয়ার করুন ভাই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top