মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

গনতন্ত্র-একটি কুফুরী জীবন ব্যবস্থা-১

কোন মন্তব্য নেই:

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন- ব্যবস্থা।
যেখানে সমাজস্থ মানুষের জন্য পুরো
একটা ফ্রেমওয়ার্ক দেওয়া আছে।
.
আল্লাহ বলছেন,
আজ আমি তোমাদের জন্যে
তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে
দিলাম , তোমাদের প্রতি আমার
অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং
ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন
হিসেবে পছন্দ করলাম।( সুরা মায়িদাহঃ 3 )
.
উক্ত আয়াতে আল্লাহ দ্বীন বলতে
ইসলামকে তাঁর পছন্দের জীবন ব্যবস্থা
হিসেবে আমাদের জন্য নির্ধারিত করে
দিয়েছেন। পুরো কোরআন বিশ্লেষন করলে
আমরা দেখতে পাব যে , সেখানে
রাজনীতি , অর্থনীতি ,বিচার ব্যবস্থা সহ
মানুষের জীবনের প্রয়োজনীয় সকল
বিষয়াদি সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ বর্ণনা
করেছেন। এমনকি ব্যবসায়িক লেনদেন
থেকে শুরু করে উওরাধিকার সম্পত্তির
ভারসাম্যপুর্ণ বন্টন প্রনালী পর্যন্ত বর্নিত
হয়েছে। সংক্ষেপে বলতে পারেন ,
Complete Framework for Human
society .
.
এখন প্রশ্ন হল, আমরা যে গনতন্ত্র নিয়া
চিল্লা পাল্লা করছি সেটা অশুদ্ধ বা
আল্লাহর বিধান বহির্ভুত কি - না ?
.
উত্তর হচ্ছেঃ অবশ্যই আল্লাহর বিধান
বহির্ভুত এবং কুফরী যা কোরআন- সুন্নাহ
বিরোধী।
.
এখন কোরআনের আলোকে সেটাই
আপনাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করব
ইনশাআল্লাহ্।
.
আল্লাহ্ কোরআনে বহুবার বলছেন তিনি
সর্বময় ক্ষমতার একক মালিক।
#যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই
জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে
কঠিনতর। ‌ [ 2 :165 ]
.
# তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের
উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য
সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন , তখন
সেটিকে একথাই বলেন , ‘ হয়ে যাও ’
তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়। ‌ [ 2 :117 ]
.
# নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক
বিষয়ের উপর ক্ষমতাশীল। ‌ [ 3 : 165 ]
তিনি বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন
.
# যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ
তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের
পালনকর্তা। [ 1 : 2 ]
এবং মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি
করেছেন একমাত্র তাঁরই ইবাদত করার
জন্য। [ ৯ ]
.
# আমার এবাদত করার জন্যই আমি
মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।
[ 51 : 56 ]
.
বস্তুত এগুলো আমরা সবাই জানি। কিন্তু
গনতন্ত্র যে শিরক ও কুফরি এটা জেনেও
অনেকে মানতে রাজী নয়।
.
গণতন্ত্র এসেছে কোথা থেকে আর গনতন্ত্র
কি শিখায় ?
.
উত্তরটি যদিও সবার জানা তবুও বলছি ,গনতন্ত্র এসেছে কাফিরদের কাছ থেকে আর গনতন্ত্র শেখায় যে,
জনগণই হচ্ছে সকল ক্ষমতার উৎস।
অথচ আল্লাহ বলছেন , তিনি- ই
সকল ক্ষমতার মালিক।
.
আর এই জনগণ জালিম লোককেও ভোট
দিয়ে ক্ষমতায় বসাতে পারে যে কিনা
ক্ষমতায় এসে স্বয়ং আল্লাহ্ তা' আলার
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।তবুও কি আমরা
বলব গনতন্ত্র শিরক - কুফরি নয় ?
.
এবার আসি , গনতন্ত্র কিভাবে আল্লাহ্
তা ' আলার বিধানকে অস্বীকার করে
কুফরিতে লিপ্ত।
.
* আল্লাহ্ তা ' আলা সুদকে সম্পূর্ণভাবে
হারাম করেছেন এবং সুদের সাথে
জড়িতদের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
.
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি
হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে
ভয় করতে থাক , যাতে তোমরা কল্যাণ
অর্জন করতে পারো। [ 3 :130 ]
.
আর গণতান্ত্রিক সরকার সংসদে আইন পাস
করে সুদের কারবারে লিপ্ত ব্যাংকগুলোকে লাইসেন্স দিয়ে সুদকে বৈধ করে দিয়েছে।
.
* আল্লাহ্ তা ' আলা মদ ও মদের ব্যবসাকে
হারাম করেছেন।
হে মুমিনগণ , এই যে মদ , জুয়া , প্রতিমা
এবং ভাগ্য - নির্ধারক শরসমূহ এসব
শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়।
অতএব , এগুলো থেকে বেঁচে থাক - যাতে
তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। ‌ [ 5 :90 ]
.
আর গণতান্ত্রিক সরকার সংসদে আইন পাস
করে মদের ব্যবসাকে লাইসেন্স দিয়ে বৈধ
করে দিয়েছে।
.
* আল্লাহ্ তা ' আলা জিনা বা
ব্যাভিচারকে হারাম করেছেন।
আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো
না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ
পথ। ‌ [ 17 :32 ]
.
আর গণতান্ত্রিক সরকার সংসদে আইন পাস
করে ব্যাভিচার বা যৌন ব্যবসাকে
লাইসেন্স দিয়ে বৈধ করে দিয়েছে।
.
* আল্লাহ্ তা ' আলা ছেলে - মেয়েদের জন্য
পৈত্রিক সম্পত্তি বণ্টনের বিধান
দিয়েছেন।
.
আর গণতান্ত্রিক সরকার সংসদে আইন পাস
করে আল্লাহ্ তা' আলার বিধানকে
অস্বীকার করে নিজেদের মন গড়া বিধান
জারি করেছে।
.
* গণতান্ত্রিক সরকার দেশের বিভিন্ন
স্থানে জনগনের অর্থ খরচ করে কাফির-
মুশরিকদের অনুকরণ করে ভাস্কর্য/ মিনার
নির্মাণ করে সেখানে গিয়ে ফুল পূজা
করার , নিরবতা পালন করার ব্যবস্থা
করেছে যা কিনা শিরক ( শিরক মানে
আল্লাহর সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন
করা) ।
.
* গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় গিয়ে
জনগনের অর্থ খরচ করে তাদের প্রিয়
নেতা - নেত্রীদের ছবি সমস্ত সরকারী
অফিসে টাঙিয়ে ছবি পূজার ব্যবস্থা
করেছে।
.
* ' হরতাল ' একটি তথাকথিত গণতান্ত্রিক
অধিকার যা পালন করতে গিয়ে জনগনের
নানারকম দুর্ভোগ পোহাতে হয়, ক্ষতি হয়
জানমালের , আগুন দেয়া হয় সরকারী বা
জনসাধারণের গাড়ীতে।
.
অর্থাৎ সমাজে ফিতনা - ফ্যাসাদ সৃষ্টি
করা হয় যা কিনা হত্যার চেয়েও জঘন্য
অপরাধ।
.
এক মুসলিম অপর মুসলিমকে হত্যা করছে।
এভাবে একের পর এক চাইলে অনেক অনেক
উদাহরণ দেয়া যাবে। যারা বিষয়গুলো
নিয়ে ভাবেন এবং জানেন তাদের জন্য
এতটুকুই যথেষ্ট।
.
.
.
গণতন্ত্রের স্বরুপ ও খেলাফাত ব্যবস্থা
------ ------------- ----------------
মানব রচিত সকল মতবাদ ব্যর্থ বলে
প্রমানিত হয়েছে, পুঁজিবাদ ,
সমাজতন্ত্র, কম্যুনিজম বর্তমানে নিভু
নিভু অবস্থায় বেচে আছে, গণতন্ত্রই
একমাত্র মতবাদ "যেটা উপরে মিষ্টি ,
ভিতরে তিক্ত " এখনো মুসলিম
জাতিকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে ,
মিশরে আমরা গণতন্ত্রের নমুনা
দেখেছি , রবার্ট ফিক্স নামক একজন
বিখ্যাত সাংবাদিক মন্তব্য করেন, " এই
ঘটনার পরে মুসলিম জাতিকে ব্যলট
বক্সের উপকারিতা বুঝালেও তারা
তাতে খুব কমই শুনবে। "
.
বুঝা গেল গণতন্ত্র একটি ধোকা মাত্র ,
ইউরোপ এর কোনো চর্চা করেনা,
গণতন্ত্রে সব মানুষের ভোটাধিকার
সমান একথা বলেও তারা এই গণতন্ত্র
মানেনা ।
.
অথচ ইসলাম মানুষের উপর মানুষের
প্রভুত্ব খতম করেছে , আল্লাহ আর
বান্দার মাঝখানে কারো নেতৃত্ব কে
ইসলাম অস্বিকার করেছে , খলিফা
নির্বাচিত হবে কোরআন অনুযায়ী ,
অর্থাৎ কোরআনের পরীক্ষায় যে
ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তীর্ণ হবে সে হবে
খলিফা , জনসাধারণ তাকে
নির্বাচিত করতে বাধ্য ! ৪ খলিফা
এভাবেই নির্বাচিত হয়েছিলেন , এমন
নয় যে কারো বাবা কাঊকে ক্ষমতার
মসনদে বসিয়েছিলেন, এমন ও নয়
যাকে তাকে ৫১% ভোটের বিনিময়ে
রাষ্ট্র প্রধান ঘোষণা করা হয়েছিল।
মানুষ আল্লাহর খলিফা
__________________
এই পৃথিবীতে মানুষকেই একমাত্র
স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, এই বিশাল
সৃষ্টি রাজিতে এই মানুষই স্বাধীন
ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, ও আল্লাহর অবাধ্য হতে পারে, অন্যথায় সমগ্র স্রষ্টি জগত আল্লাহর আদেশের বাধ্য ও আল্লাহর বন্ধনা করতে ব্যস্ত।
এখানেই মানুষের জন্য পরীক্ষা।
যেহেতু আল্লাহর বিরুদ্ধাচারণ করার
শক্তি আর কাওকে দেওয়া হয়নি ,
এমনকি ফেরেশতারাও নিজেদের
ইচ্ছায় কিছুই করার ক্ষমতা রাখেনা ।
সমগ্র সৃষ্টি জগত কে এই মর্মে আদেশ
করা হয়েছে, আর প্রত্যেকেই নিজ
নিজ অবস্থান থেকে মানুষের
কল্যাণে নিয়োজিত।
.
এবার আল্লাহ বলেন :
“আর তোমার পালনকর্তা যখন
ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি
পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি
বানাতে যাচ্ছি । ” সুরা বাকারাহ:৩০
.
“ তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে স্বীয়
প্রতিনিধি করেছেন। অতএব যে কুফরী
করবে তার কুফরী তার উপরই বর্তাবে।
কাফেরদের কুফর কেবল তাদের
পালনকর্তার ক্রোধই বৃদ্ধি করে এবং
কাফেরদের কুফর কেবল তাদের ক্ষতিই
বৃদ্ধি করে। ” সুরা ফাতির ৩৫ ; ৩৯
.
উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ে মানুষকে
আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি
বলা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকেই জানি
একজন প্রতিনিধির কাজ কি?
প্রতিনিধি পাঠানো হয় কেন ?
বোঝার সুবিধার জন্য বলছি তুলনা
করার জন্য নয়ঃ যেমন আমি কোনো
কারণে নির্দিষ্ট কাজে অংশ নিতে
পারছিনা , তখনই আমি আমার
প্রতিনিধিকে পাঠাই আমার
পরিবর্তে কাজ টি সমাধান করতে,
এক্ষেত্রে সে অবশ্যই আমার আদেশ
মানতে বাধ্য নতুবা সে কিভাবে
আমার পরিবর্তে আমার কাজ সমাধান
করবে ?
.
আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন এই
বিশাল আকাশ ও নক্ষত্র রাজি, সমগ্র
বিশ্ব জগত ও প্রকৃতির অবদান সকল
মানুষের প্রতি সমান।একটি আম
গাছকে লক্ষ্য করুন , সে কি তার ফল
দিতে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ
করেছে ? সে কি গরিব কে টক ফল আর
ধনী কে মিষ্টি ফল দান করেছে ? এটা
এজন্য যে , সে আল্লাহর পক্ষ থেকে
আদিষ্ট মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ না
করার জন্য যার কোন স্বাধীন
ইচ্ছাশক্তি নেই মানুষের মত।
.
ঠিক এটাই মহান আল্লাহ মানুষের
কাছে চান বলে আসমানী কিতাব
গাইড লাইন হিসেবে দিয়েছেন এবং
নবী -রাসুলগনকে নেতা ও বার্তাবাহক
হিসেবে পাঠিয়েছেন সেই কাজ
কিভাবে করতে হবে। যেহেতু মানুষকে
স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দেওয়া হয়েছে
তাই আমরা আল্লাহর আদেশ ইচ্ছে
করলে মানতে পারি অথবা নাও
মানতে পারি। যেমনঃ প্রকৃতি
আল্লাহর আদেশ মানে বলেই আপনি
তাতে কোনো অসঙ্গতি দেখতে
পাবেন না।
.
আল্লাহ বলেন :আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ , যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের
সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর
বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী।
অতএব ,আপনি তাদের পারস্পারিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন ,তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে ,তা ছেড়ে তাদের
প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না।আমি
তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও
পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন,
তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে
দিতেন , কিন্তু এরূপ করেননি- যাতে
তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন ,তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব ,দৌড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর।তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয় ,যাতে
তোমরা মতবিরোধ করতে।(সুরা মায়িদাহ ৫:৪৮)
.
এটাই আমাদের প্রতি মহান আল্লাহর
আদেশ।
.
.
.
খেলাফত কি?
---------- ------------------ --------------- ----------------
এই খলিফা শব্দ টি থেকেই খেলাফত
শব্দটির উৎপত্তি। খলিফার কাজকেই
খিলাফত বলা হয়।অতএব পৃথিবীতে
মানুষের সার্বিক জীবন ব্যবস্থা আল্লাহ প্রদত্ত চুড়ান্ত বিধান কোরআনের আলোকে পরিচালিত
করার নাম -ই খিলাফাত।সুতরাং
খেলাফাত ব্যবস্থায় নির্বাচন পদ্বতি
হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতা
নির্বাচন ,তার শাসন পদ্ধতি হবে
কোরআন অনুযায়ী , তার রাষ্ট্রের
প্রত্যেক স্তর ও অঙ্গ সংগঠন আল্লাহর
দেয়া নিয়ম অনুযায়ী হবে।সুদ প্রথা ,মদ ,মানুষের তৈরী বিচার -ব্যবস্থা বিলুপ্ত হবে--এখানেই তার
সাথে গণতন্ত্র , সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র
অথবা অন্য সকল মতবাদের সংঘাত।
.
.
.
খিলাফত ব্যবস্থার উজ্জল দৃষ্টান্ত
৪ খলিফার শাসনামল :
------------- ------------------ ---------- --------------
ইসলামের জন্ম লগ্ন থেকেই এই চার
খলিফা তাদের ঈমানের অগ্নি
পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন, এবং
ঈমানের কঠিন পরীক্ষায় তারা
উত্তীর্ণ হয়েছিলেন । সমগ্র মুসলিম
বিশ্বে তাঁরা ঈমানের দিক থেকে
শ্রেষ্টত্বের চূড়ান্তে আরোহন করতে
পেরেছিলেন। তাদের কারো মনে
খিলাফতের নুন্যতম আশা ও ছিলনা ,
প্রত্যেককে জোর করে এই আসনে
বসানো হয়েছিল , অতএব তাদের
শাসনামলে তারা আল্লাহর
প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এভাবে ,
যেমন আল্লাহর রাজত্বে সাগর তলের
একটি মাছ ও উপোস থাকেনা, ৪
খলিফার শাসনামলে তাদের রাজ্যে
একটি কুকুর ও না খেয়ে থাকতে
পারতনা ।
.
.
.
চার খলিফার নির্বাচন পদ্বতি
-------------------- ---------------- ---------------
রাসুলের ওয়াফাতের সময় তিনি
কাউকে নির্বাচিত করে যাননি, আবু
বকর (র : ) এর মর্যাদা , তাঁর প্রতি
রাসুলের অগাধ ভালবাসা ও তাঁর
অসুস্থতার সময় নামাজের দায়িত্ব
পালনকারী আবু বকর ( র : ) কে সংগত
কারণেই খলিফা হিসেবে মনোনীত
করা হিয়েছিল , রাসুলের সুদীর্ঘ ২৩
বছর নবুয়াতি জিন্দেগীতে তাঁর
মর্যাদা ও ইসলামের প্রতি তার
দায়িত্ব বোধ আর বলার অপেক্ষা
রাখেনা । রাসুল সাঃ এর মৃত্যুর পর
হযরত আবু বকর রাঃ এর চেয়ে ইসলামী
বিশ্বে যোগ্য উত্তরসুরী আর কেউ
ছিলনা।
.
আবু বকর রাঃ মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে
আসলে তিনি হযরত ওমর ( র : ) কে
নির্বাচিত করে যান। আবু বকর ( র : )এর
পরে ইসলামের ইতিহাসে তিনিই
সবচেয়ে যোগ্য ছিলেন ।সমস্ত মুসলমান
গণ তাঁর হাতে বায়আত গ্রহণ করেন।
অতপর উমর ( রাঃ ) আততায়ীর হাতে
ছুরিকাহত হলে তিনি ৬ সদস্য বিশিষ্ট
একটি কমিঠি গঠন করেন,
উল্লেখ্য ,তাঁরা সেই যুগের সব চাইতে বেশি
ইসলামের ধারক বাহক ছিলেন ।তাঁরা
সমস্ত মুসলিম জাহানের সাথে পরামর্শ করে ওসমান ( র : ) কে নির্বাচিত করেন।তিনি খারেজি বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হলে তখন আলী রাঃ এর
প্রতিদ্বন্দ্বী কেও ছিলনা ,অতএব
তাঁকেই নির্বাচিত করা হয়েছিল ।
সমগ্র মুসলিম জাহানের ঐক্যমতে
আলী ( রাঃ ) এর পরে যোগ্য নেতৃত্বের
অভাবে খেলাফাত ব্যবস্থা ম্লান
হতে লাগল। উল্লেখ্য যে, আমিরে
মুয়াবিয়ার শাসনামলে ও ইসলামের
স্বর্ণযুগ অব্যাহত ছিল , কিন্তু তাঁর
নির্বাচন পদ্ধতিতে ইসলামী শরিয়া
বোর্ড ও মুসলিম জনগনের অকুন্ঠ সমর্থন
ছিলনা বলেই "খলিফা "থেকে তাঁর
নাম হয়ে যায় "আমির " । পরবর্তিতে
তাঁর পুত্র ইয়াজিদের ক্ষমতায়
আরোহনের মাধ্যমে খিলাফাত
ব্যবস্থার মৌলিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে
যায়।আর এখান থেকে শুরু হয়
বিপথগামী রাজতন্ত্র শাসনব্যবস্থা।
অতএব এ থেকে কিছু জিনিস লক্ষ্য
করা যায় : -
( ১ ) চার খলিফা ইসলামের ধারক বাহক
ছিলেন।
.
( ২ ) কোরআন ছিল তাঁদের চালিকা
শক্তি ,
.
( ৩ ) যে কেউ মন চাইলে টাকা বা
পেশি শক্তির জোরে এখানে প্রার্থী
হতে পারেনি, ইসলামী সর্বোচ্চ বোর্ড
যাদের কে মনোনয়ন দিয়েছিল তারাই
মূলত প্রাথী হতে পেরেছিল ।
.
( ৪ ) খলিফা গনের একে অপরের মধ্যে
নুন্যতম আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিলনা।
শ্রেষ্টত্বের মানদন্ডে যিনি উত্তীর্ণ
হয়েছিল তাকেই পরবর্তী খলিফা
নির্বাচিত করা হয়েছিল। এখানেই
রাজতন্ত্রের সম্ভাবনা সমূলে
উৎপাটিত হয়ে যায়।
(বর্তমানে যারা সৌদি শাসকদের ইসলামের ধারক
বাহক মনে করে তারা আসলেই
বিভ্রান্তিতে আছে)
.
( ৫ ) এই পর্যায়ে এসে খলিফা
নির্বাচনের পদ্ধতি ছিল , খলিফার
হাতে হাত রেখে প্রত্যেক মুসলিম
ব্যক্তি শপথ করা যে , আমরা ততক্ষণ
আপনার আনুগত্য করব যতক্ষণ আপনি
আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের আনুগত্য
করেন।
.
এই পদ্ধতি এমন ছিলনা যে নির্বাচিত
করে একজনকে বসিয়ে দিলাম , সে যা
করে পরবর্তিতে সব কিছু আমাদের
মানতে হবে, এখানে একজন
খলিফাকে প্রতিদিন জনগনের কাছে
পরীক্ষা দিতে হত , সরাসরি প্রশ্নের
সম্মুখীন হতে হত , শুধু তাই নয় হযরত উমর
( রাঃ ) এর শাসনামলে একজন গভর্নর
নিরীহ এক ব্যক্তিকে অন্যায় ভাবে
বেত্রাঘাত করেছিল বলেই ঐ
গভর্ণরের উপর লক্ষ লক্ষ হাজীদের
সামনেই ঐ নির্যাতিত ব্যক্তিকে
প্রতিশোধ নেওয়ার স্বাধীনতা
দিয়েছিলেন উমর (রাঃ ) ।
খিলাফত ব্যবস্থায় মত প্রকাশের
স্বাধীনতা , ব্যক্তি স্বাধীনতা ছিল ।
রাষ্ট্রীয় সম্পদের হিসাব নিকাশ
জনগনের কাছে উম্মুক্ত ছিল। শাসকগন
জনগনের কল্যানে ব্যস্ত ছিলেন।
তারা মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান
করতেন।
.
.
.
গণতন্ত্র কি?
.
গণতন্ত্রের প্রবক্তা আব্রাহাম লিঙ্কন
এর মতে :
It is a government of the people by the
people and for the people
এটি একটি জনগনের সরকার , জনগনের
জন্য ও জনগনের মাধ্যমে নির্বাচিত।
আপাতত দৃষ্টিতে এটা অত্যন্ত সুন্দর
সরকার ব্যবস্থা বলে পুরো পৃথিবীতে
এই মতবাদ গ্রহণযোগ্যতা পায় । কিন্তু
কেউ এই গণতন্ত্র পুরাপুরি মানেনি।
গণতন্ত্রের ধারক বাহক আমেরিকা
সর্ব প্রথম এই নিয়মের চরম লঙ্ঘন
করেছে , তাদের দেশে যে কেও
প্রার্থী হতে পারেনা, দেশের
সর্বোচ্চ পর্যায়ের বোর্ড কর্তৃক
কাইকে প্রার্থী হিসাবে পছন্দ করা
হলেই কেবল সে প্রার্থী হতে পারে।
অতএব সাধারণ জনগনের ভোট পাওয়ার
পর তাকে আবার সেই বিশেষ বোর্ড
কর্তৃক নির্বাচনে জয়ী হতে হয়। অতএব
সে প্রেসিডেন্ট হতে পারে।
এটাকে তারা প্রত্যক্ষ ভোট বলে।
.
সুতরাং লিঙ্কনের মতবাদ জনগনের
মধ্যে ২ ভাগে ভাগ হয়ে গেল।
( ১ ) বিশেষ জনগণ
( ২ ) সাধারণ জনগণ
.
সাধারণ জনগণ এর ভোটের পর বিজয়ী
প্রার্থীকে আবার বিশেষ জনগনের
ভোটের মোখুমখি হতে হয়।যেই বিশেষ
জনগনই ইতিপূর্বে প্রার্থী নির্বাচন
করেছিল। এই বোর্ড দেশের স্বাধীনতা
সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে অতপর দেখা
যায় এই বোর্ডই মূলত নির্বাচনে
কলকাঠি নাড়ে, সাধারণ জনগণ নয়।
ফলে আমেরিকা তে সরকার পরিবর্তন
হলেও কখনো নীতির পরিবর্তন হয়না।
দ্বিতীয় নির্বাচন পদ্ধতি হল, প্রত্যক্ষ
ভোটের মাধ্যমে; যেখানে মানুষ
সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি
নির্বাচিত করে। যেটা বাংলাদেশের
মত দেশগুলোতে প্রচলিত।
.
.
.
গণতন্ত্রের কুফল
____________
গণতন্ত্রের অসুবিধাগুলো ব্যাপক এবং
বিস্তৃত। আমি এ ব্যাপারে যথাসাধ্য
সংক্ষেপে আলোচনার চেষ্টা করব
ইনশা আল্লাহ।
.
*গণতন্ত্রে মানুষের যোগ্যতার তুলনায়
চাটুকারিতার মূল্য বেশী , ফলে যে যত
বেশী মিথ্যা বলে মানুষকে ধোকা
দিতে পারে সেই নির্বাচিত হয়।
.
*এখানে যোগ্যতা বিবেচনার কোন
বালাই থাকেনা। জনগনকে ভোটের
আগে ঘুষ খাওয়ানো হয়। সবচেয়ে
বেশী ঘুষ আদান প্রদান হয় খোদ
মার্কিন মুল্লুকে।
.
*এই ব্যবস্থায় ৫১ % ভোটের উপর
ভিত্তি করে বাকি ৪৯ % মানুষের
মতামত কে সরাসরি অগ্রাহ্য করা হয়।
মোটামুটি গণতন্ত্র না সার্বজনীন
ব্যবস্থা , না এটা রুচিশীল সৎ
নেতৃত্বের স্বাধিনতা নিশ্চিত করে।
.
* এখানে তথাকথিত অর্থনৈতিক
মুক্তির নামে ঋনপ্রদানকারী
প্রতিষ্ঠানগুলো গরিব সাধারন
মানুষের রক্ত চুষে খায়। গরিব আরো
গরিব হয় , ধনী আরো ধনী হয়। উন্মুক্ত
বাজার ব্যবস্থার নামে স্থানীয়
সাধারন উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত
পন্যের অবমুল্যায়ন করা হয়। যেখানে
কতিপয় মাল্টি -ন্যাশনাল পুরো
বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হয়ে
দাঁড়ায়।
.
*বিচার ব্যবস্থার বালাই থাকে না ;
ক্ষমতাসীনরা তাদের ইচ্ছামত
বিচারকের কলকাঠি নাড়ে। যেখানে
একজন প্রমানিত খুনের সাজা -প্রাপ্ত
আসামীও ক্ষমা পাওয়ার ভুরিভুরি
দৃষ্টান্ত রয়েছে। এর বাইরে স্থানীয়
পর্যায়ে যে দল যখন ক্ষমতায় , তার
নেতাকর্মীর জন্য সাত -খুন মাফ।
.
*সমাজে অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ
গনতান্ত্রিক সমাজের একটা অংশ
হয়ে দাড়িয়েছে।
সুতরাং যতসামান্য আলোচনা থাকে
প্রতীয়মান হয় যে গনতন্ত্র কোন
কল্যান কর ব্যবস্থা তো নয়ই বরং
এটা আবেগ তাড়িত বিষয় ও ক্ষণ ভঙ্গুর
শাসন ব্যবস্থা যেখানে অবৈধ অর্থ
এবং পেশি শক্তির মহড়া একটা
প্রধান ভিত্তি। কোন সুস্থ এবং
স্বাভাবিক মানসিকতার মানুষের
পক্ষে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার
অংশগ্রহন করে সমাজের কল্যান সাধন
সম্ভব নয়।
কোরআনে শিরক এবং কুফরির
শাস্তি
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা
করেন না , যে লোক তাঁর সাথে
শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর
নিম্ন পর্যায়ের পাপ , যার জন্য
তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক
অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর
সাথে , সে যেন অপবাদ আরোপ
করল। ‌ [ 4 :48 ] সুরা নিসাঃ ৪৮
--------------------------------------------------------------------
সুতরাং খেলাফত -ই একমাত্র সমাধান।
সেজন্যই আল্লাহ খেলাফত প্রতিষ্ঠা
বাধ্যতামুলক এবং যোগ্যতা অর্জনের
শর্তাবলী নির্ধারন করে দিয়েছেন।
শর্তসমুহ হচ্ছেঃ
( 1 ) আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও সৎকর্মশীল হওয়া,
.
( 2 ) শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা
এবং
.
( 3 ) আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক
না করা।
.
আল্লাহ্ বলেনঃ“
তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন
করে ও সৎকর্ম করে , আল্লাহ তাদেরকে
ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই
পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন।
যেমন তিনি শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন
তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি
অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে
( ইসলাম ), যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ
করেছেন এবং তাদের ভয়- ভীতির
পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান
করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং
আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না।
এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই
অবাধ্য।[ সূরা নূর ; ২৪ : ৫৫ ]
.
দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা
বাধ্য - বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে
হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে
গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী
‘ তাগুত ’ দেরকে মানবে না এবং
আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে , সে
ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা
ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন
এবং জানেন। ( সূরা - বাকারা : ২ : ২৫৬)
.
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে , তাগুত কি? তাগুত
হচ্ছে মানুষের তৈরী জীবন -ব্যবস্থা।
যা উপরে এতক্ষন ধরে আলোচনা
করলাম। যেমন -গনতন্ত্র , সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র ইত্যাদি।
.
একে জেনে অবিশ্বাস ও অস্বীকার করতে হবে।
আর সেজন্য আল্লাহ কিয়ামতের দিন হ
আমল নামা হাতে দিয়ে বলবেন ,
পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব।
আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্যে
তুমিই যথেষ্ট। ( সুরাঃ বনী ইসরাইল ১৭ : ১৪ )
.
আল্লাহ সবচাইতে বেশি খুশি হয় যখন
বান্দা তার ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহ ' র
দিকে প্রত্যাবর্তন করে এবং সে অনুযায়ী
নিজের জীবন পরিচালিত করে । আল্লাহ
বলেন ,তারা আল্লাহর কাছে তওবা করে না
কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না
কেন ? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু।
( সূরা মায়েদাহ ৫ : ৭৪ )
.
আর যে তওবা করে , ঈমান আনে এবং
সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল থাকে,
আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল। ( সুরা
তাহা : ৮২ )
.
রাসুল ( সঃ ) বলেন , " প্রতিটি মানুষই
ভুলকারী আর ভুলকারীদের মধ্যে তারাই
উত্তম যারা তাওবাকারী " l [ তিরমিযী ,
২৪২৩ ]
.
আশা করি আমি পাপী - গুনাহগার , আমার
পাপ মাফ করার মত নয় এমন আশঙ্কা
আমরা করব না । আমরা মনেপ্রাণে শত
ভাগ বিশ্বাস রাখি সত্যের দিকে
প্রত্যাবর্তনকারী বান্দার উপর আল্লাহ
সবসময় দয়াবান । তবে আল্লাহ তাদের
ক্ষমা করেন না যারা বুঝে - শুনে শয়তানের
মত গুনাহের উপর সবসময় স্থির থাকেন ।
তাদের ব্যাপারে আল্লাহ কোরআনে
বলেন ,
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা
নেই , যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন
কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু
উপস্থিত হয় , তখন বলতে থাকেঃ আমি
এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের
জন্য , যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ
করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক
শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। ( সুরা
নিসাঃ ৪ : ১৮ )
.
এছাড়াও আল্লাহ বলছেন;
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ
করেছেন , তদনুযায়ী ফায়সালা করে না ,
তারাই কাফের।
.
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ
করেছেন , তদনুযায়ী ফয়সালা করে না
তারাই জালেম।
.
যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন ,
তদনুযায়ী ফয়সালা করে না , তারাই
পাপাচারী।
.
( সুরা মায়েদা , আয়াত ৫: ৪৪ , ৪৫ ,৪৭ ) ;
============================

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top