সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

শিয়ারা কি কাফের????????

কোন মন্তব্য নেই:

শিয়ারা কাফের?????????
.
.
তোমরা যারা শিয়াদের মুসলিম বলো !!!
আমাদের দেশের অনেক মুসলিমের মনেই
ভুল ধারণা যে, শিয়া সম্প্রদায় অন্য আর
দশটা উপদলের মতই ইসলামের একটি
শাখামাত্র। অনেকেই আবার ইরানকে
আদর্শ মুসলিম দেশ হিসেবে কল্পনা
করেন। শিয়া সুন্নি বিভক্তির নাম শুনলেই
তারা হা হা করে তেড়ে আসেন। তারা
বলেন, আমরা নাকি মুসলিমদের ঐক্য নষ্ট
করছি। তারা প্রশ্ন করে কুর’আন হাদিসের
কোথায় শিয়া সুন্নির উল্লেখ আছে?
মানলাম কুর’আন হাদিসের কোথাও
শিয়াদের উল্লেখ নেই। কিন্তু হিন্দুধর্ম,
জৈনধর্ম বা পরবর্তীতে যদি আরো নতুন
কোন ধর্মেরও উৎপত্তি হয়ে থাকে, কুর’আন
হাদিসে না থাকার ফলে কি সেগুলো সত্য
হয়ে যাবে? কিংবা সেগুলো কি ভ্রান্ত
নয়? ‘উলামারা কি শিয়াদের ব্যাপারে
নিশ্চুপ?
.
ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
“আমি একজন ইহুদি, একজন নাসারা
কিংবা একজনরাফেজির (শিয়া) পিছনে
সালাত আদায়ের মধ্যে কোন পার্থক্য
দেখি না। তাদের জবাই করা পশু খাওয়া
যাবে না, তাদের সালাম দেয়া যাবে না,
তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না, তাদের
সাথে বিয়ে দেয়া হবে না এবং তাদের
দেখতে যাওয়া যাবে না।”
[খালক আফ’আলুল ইবাদ]
.
আরবি শিয়া শব্দের অর্থই হলো গোষ্ঠী।
শিয়ারাই হলো রাজনৈতিক কারণে
মুসলিমদের মূল জামা’আত থেকে
স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রথম
গোষ্ঠী, যারা পরবর্তীতে নিজেদের
মনগড়া ভ্রান্ত আকিদা গড়ে নিয়েছে।
শিয়াদের মধ্যেও ভাগ আছে। ইমামিয়্যাহ,
ইসনে আশারিয়্যাহ, ইসমাইলি,
নুসাইরিয়্যাহ প্রভৃতি। এদেরকেই রাফেজি
বলা হয়। শুধুমাত্র যায়িদিয়া সম্প্রদায়
ছাড়া বাকি শাখাগুলোর আকিদা কুফরে
পরিপূর্ণ।
.
নিচে আমরা শিয়াদের আকিদা থেকে
১১০ টি কারণ বেছে নিয়েছি, যা থেকে
আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হবো যে,
শিয়ারা মুসলিম নয় বরং কাফির।
.
আলোচনার সুবিধার্থে ১১০ টি কারণকে
আমরা ৫ টি বিভাগে ভাগ করেছি –
ক) সাধারণ বিষয়সমূহ
খ) আল্লাহ
গ) কুর’আন
ঘ) নাবী এবং সাহাবিগণ
ঙ) ইমামাত
.
.
.
ক) সাধারণ বিষয়সমূহ
১। শিয়া কালিমা মুসলিমদের শাহাদাহ
থেকে ভিন্ন। তাদের কালিমা হলো – লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি
‘আলিউন ওয়ালিউল্লাহি ওয়াসিয়্যু
রাসুলুল্লাহি ওয়া খালিফাতুহু বিলা
ফাসলিন।
.
২। শিয়ারা তাদের আযানে “আশহাদু
আন্না ‘আলিউন ওয়ালিউল্লাহ” ও
“হুজ্জাতুল্লাহ” এবং “হাইয়্যা আলা
খাইরিল আমাল” যুক্ত করেছে।
.
৩। শিয়াদের মতে দ্বীনের পাঁচটি খুঁটি
হলো – ওয়ালিয়াত/ইমামাত, সালাত,
সাওম, যাকাত এবং হাজ্জ।
.
৪। প্রত্যেক সালাতের পর সবাইকে বলতে
হয় – হে আল্লাহ! আবু বাকর, উমার, উসমান,
মুয়াবিয়া, আইশাহ, হাফসাহ, হিন্দ এবং
উম্মুল হাকামের উপর লানত বর্ষণ করুন।
.
৫। মিথ্যা বলা খুবই ভাল এবং সাওয়াবের
কাজ।
.
৬। নিজের বিশ্বাসকে গোপন রাখা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
.
৭। প্রতারণা এবং প্রবঞ্চনা একটি মহৎ
কাজ।
.
৮। তাকিয়া (একজন মনেপ্রাণে যা
বিশ্বাস করে, তার ঠিক বিপরীত বলা বা
করার ভান করা) বৈধ।
.
৯। সম্পূর্ণ ধর্মের দশ ভাগের নয় ভাগ হলো
তাকিয়া।
.
১০। একটি পশুর মতই একজন অমুসলিমের
গোপন অঙ্গের দিকে তাকানোও বৈধ।
.
১১। শুধুমাত্র চামড়ার রঙকেই ঢেকে
রাখতে হবে (চামড়া রঙ করা হলে কোন
ব্যক্তি কাপড় ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে
পারবে) ইমাম বাকির কোন ধরনের
পোশাক ছাড়াই সম্মুখে এসেছিলেন এবং
তার মতে এরূপ করা বৈধ কারণ তিনি তার
গুপ্তাঙ্গে চুন মেখে নিয়েছিলেন।
.
১২। গুহ্যদ্বার দিয়ে সহবাস করা বৈধ।
.
১৩। কোন সাক্ষী ছাড়াই বিয়ে পড়ানো
বৈধ।
.
১৪। কোন ব্যক্তি যদি মলমূত্রে পতিত কোন
খাবার ধুয়ে এক গ্রাস পরিমাণ খায়,
তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
.
১৫। মুতা বিয়ে বৈধ (সাময়িক বিয়ে/
নির্দিষ্ট কোন সময়ের জন্য নারীদেহ
ভাড়া দেয়া)।
.
১৬। মুতা’র সাওয়াব সালাত এবং সাওমের
চেয়েও বেশি।
.
১৭। কোন ব্যক্তি একবার মুতায় অংশ
নিলে সে হুসাইনের সমান মর্যাদা লাভ
করে। এভাবে দুইবার হলে হাসান, তিনবার
হলে ‘আলি এবং চারবার হলে রাসুলুল্লাহর
সমান মর্যাদা লাভ করে।
.
১৮। যে কেউই তিনবার মুতায় অংশ নেয়,
সে জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে
মুক্ত করে নেয়।
.
১৯। কোন ব্যক্তি চাইলে অন্য আরেকজনকে
নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাসের বৈধতা
দিতে পারে।
.
২০। সুন্নিরা কুকুরের চেয়েও অধম।
.
২১। সুন্নিরা জারজ সন্তানের চেয়েও
নিকৃষ্ট।
.
২২। ইরানে কোন সুন্নিকে তাদের
সন্তানের নাম আবু বাকর, উমার বা
আয়িশাহ রাখতে দেয়া হয় না।
.
২৩। শিয়া মতবাদ অনুসারে, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
গোপনে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ৭০
ফুট লম্বা একটি পাণ্ডুলিপি হস্তান্তর
করেছেন। যাতে প্রত্যেকটি হালাল,
হারাম এমনকি আঁচড় দেয়ার শাস্তির
কথাও বর্ণিত আছে। একে আলির সাহিফা
বলা হয়।
.
২৪। জাফ্র হলো চামড়ার তৈরি একটি
পাত্র যাতে বনি ইসরাইলের সকল নাবী,
ওয়াসি এবং উলামার জ্ঞান সংরক্ষিত
আছে।
.
২৫। ইমাম জাফর সাদিক এবং আবু
বাশিরের মধ্যবর্তী এক আলোচনায়
ফাতিমার মুসহাফ সম্পর্কে বলেন, এটি
এমন একটি মুসহাফ যা তোমাদের
কুর’আনের তিনগুণ। আল্লাহর কসম, এর
একটি শব্দও তোমাদের কুর’আনে নেই।
.
২৬। হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর
শাহাদাতের সময় ফিরিশতারা ভুল
করেছিল এবং তাদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি
হয়েছিল।
.
২৭। অযুর সময় পা ধৌত করার পরিবর্তে
শুধুমাত্র মাসাহ করতে হয়।
.
২৮। তিলাওয়াতে সাজদা এবং জানাযার
সালাত অযু কিংবা গোসল ছাড়াই আদায়
করা যায়।
.
২৯। শিয়া ইমামদের কাবরের দিকে মুখ
করে সালাত আদায় বৈধ।
.
৩০। সাওম ভাঙ্গা হয় সূর্যাস্তের ১০-১৫
মিনিট পর।
.
৩১। রামাদানে তারাবিহর সালাত পড়া হয়
না।
.
৩২। মুতা দাওরিয়্যাহ বৈধ (দশ বা বিশজন
পুরুষ এক রাতে একজন মহিলার সাথে
শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা)।
.
৩৩। কারবালার মাটি কাবার চেয়েও
পবিত্র।
.
৩৪। আলির কাছে “ইয়া আলি, মাদাদ” বলে
সাহায্য চাওয়া শির্ক নয়।
.
.
খ) আল্লাহ
৩৫। আল্লাহ ভুল করেন এবং আল্লাহ ভুলে
যান।
.
৩৬। রাগান্বিত হলে, আল্লাহ বন্ধু এবং
শত্রুর মাঝে পার্থক্য করতে পারেন না।
.
৩৭। আল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিদের ভয়
পেতেন।
.
৩৮। মানুষের বিবেক মানুষের জন্য যা ভাল
মনে করে সে অনুসারেই আল্লাহকে বিচার
করতে হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।
.
৩৯। আল্লাহ সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা নন।
.
.
গ) কুর’আন
৪০। কুর’আন অসম্পূর্ণ এবং একে বিকৃত করা
হয়েছে।
.
৪১। শিয়া কুর’আন চূড়ান্ত ইমামের কাছে
সংরক্ষিত আছে যিনি গত ১২০০ বছর ধরে
ইরাকের কোন একটি গুহায় লুকায়িত
আছেন।
.
৪২। বর্তমান কুর’আন শিয়া কুর’আন থেকে
সম্পূর্ণ আলাদা।
.
৪৩। প্রচলিত কুর’আনের আয়াত সংখ্যা
৬০০০ এর বেশি কিন্তু শিয়া কুর’আনের
আয়াত সংখ্যা ১৭,০০০ এরও বেশি।
.
.
ঘ) নাবী/সাহাবিগণ
৪৪। আদম আলাইহিস সালাম শাইত্বানের
চেয়েও খারাপ।
.
৪৫। আদম আলাইহিস সালাম বিদ্রোহী,
ঈর্ষান্বিত এবং হিংসুক ছিলেন।
.
৪৬। নাবীরাও ভুল করেন যা তাদের নবুয়্যত
বিনষ্ট করে দেয় যেমন ইউসুফ আলাইহিস
সালাম।
.
৪৭। ইসমাইলি শিয়ারা নবুয়্যতের
ক্রমধারায় বিশ্বাস করে।
.
৪৮। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সৃষ্টিকূলের
ব্যাপারে ভীত ছিলেন এবং সঠিক ভাবে
দ্বীন প্রচার করেননি।
.
৪৯। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আল্লাহর দেয়া একটি
উপহার গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি
জানিয়েছিলেন।
.
৫০। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম দ্বীন শিক্ষা দেয়ার
বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন।
.
৫১। আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইচ্ছা এবং
ক্ষমতা ছিল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের তালাক
দেয়ার।
.
৫২। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণ নাবী পরিবারের
সদস্য নন।
.
৫৩। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর অধিকাংশ
সাহাবাই মুরতাদ হয়ে ইসলাম থেকে বের
হয়ে গেছেন।
.
৫৪। প্রত্যেককেই ৪ জন পুরুষ আবু বাকর,
উমার, উসমান, মুয়াবিয়া এবং ৪ জন নারী
আইশাহ, হাফসাহ, হিন্দ, উম্মুল হাকাম
থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন ঘোষণা করতে
হবে।
.
৫৫। উপরোক্ত সাহাবাদের প্রত্যেক
সালাতের পর অভিশাপ দিতে হবে।
.
৫৬। আইশাহ এবং হাফসাহ রাদিয়াল্লাহু
আনহা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে বিষ প্রয়োগ করেছে।
.
৫৭। আইশাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা
বিশ্বাসঘাতক ও মুনাফিক ছিলেন এবং
তাঁকে জঘন্যতম উপাধিগুলোতে সম্বোধন
করা হয়।
.
৫৮। আইশাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা ব্যভিচার
করেছিলেন।
.
৫৯। রাসুলের মৃত্যুর পর দশজনেরও কম
সাহাবা ইসলামের উপর স্থির ছিলেন।
.
.
ঙ) ইমামাত
৬০। শিয়ারা ১২ জন ইমামের ধারণায়
বিশ্বাসী।
.
৬১। ইমামগণ নাবীদের মতই আল্লাহ কর্তৃক
মনোনীত।
.
৬২। ১২ জন ইমাম রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমমর্যাদার
অধিকারী।
.
৬৩। প্রথম ইমাম হলেন আলি রাদিয়াল্লাহু
আনহু এবং সর্বশেষ ইমাম ইরাকের একটি
গুহায় লুকায়িত আছেন।
.
৬৪। ইমামগণ তাদের মায়ের উরু থেকে
জন্মলাভ করেন কারণ জননাঙ্গ অপবিত্র।
.
৬৫। ইমামগণ সর্বত্র বিরাজমান।
.
৬৬। ইমামগণ নাবীদের মতই নিষ্পাপ।
.
৬৭। ইমামগণের উপর ঈমান আনা ফারদ।
কোন ইমামকে অস্বীকার করা একজন
নাবীকে অস্বীকার করার মতই কুফর।
.
৬৮। ইমামগণের শর্তহীন আনুগত্য ফারদ।
.
৬৯। ইমামগণের কাছে ওয়াহি আসে।
.
৭০। নাবী রাসূলগণের কাছে আসা মু’জিযা
যেমন তাদের নবুয়্যতের প্রমাণ, ইমামগণের
মু’জিযাও তাদের ইমামাতের প্রমাণ।
.
৭১। ইমামগণ শারিয়াহর যে কোন বিধান রদ
করার ক্ষমতা রাখেন। তারা হালালকে
হারাম এবং হারামকে হালাল ঘোষণা
করতে পারেন।
.
৭২। আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং
অন্যান্য ইমামদের মর্যাদা নাবীদের
চেয়েও বেশি।
.
৭৩। ইমামগণের জ্ঞান নাবীদের চেয়ে
বেশি।
.
৭৪। সম্পূর্ণ সৃষ্টি এমনকি নাবীদেরও সৃষ্টি
করা হয়েছে শুধুমাত্র ইমামগণের খাতিরে।
.
৭৫। ইমামগণের ইমামাতের ব্যাপারে
নাবীরাও বাইয়াত দিয়েছেন।
.
৭৬। ইমামগণের ইমামাত মেনে নেয়ার
কারণেই নাবীদের নবুয়্যত দেয়া হয়েছে।
.
৭৭। আল্লাহ নাবী এবং সমগ্র সৃষ্টিজগতের
উপর ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ইমামগণের
ওয়ালিয়াত মেনে নেয়া বাধ্যতামূলক
করে দিয়েছেন।
.
৭৮। নাবীগণ ইমামগণের নূর থেকে নূর লাভ
করেছেন।
.
৭৯। কিয়ামাতের দিন আলি রাদিয়াল্লাহু
আনহু সকল নাবীদের সম্মুখে থাকবেন।
.
৮০। কিয়ামাতের দিন আলি রাদিয়াল্লাহু
আনহু বসবেন আল্লাহর আরশের ডান পাশে
এবং নাবীগণ বসবেন বাম পাশে।
.
৮১। নাবীদের দু’আ ইমামগণের মধ্যস্থতায়
কবুল করা হয়।
.
৮২। আদম আলাইহিস সালাম ইমামগণের
মর্যাদায় ঈর্ষান্বিত হয়েছিলেন, একারণে
তিনি ‘উলুল আযম আম্বিয়াদের মধ্যে
অন্তর্ভুক্ত নন।
.
৮৩। ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে
সর্বপ্রথম নবুয়্যত, অতঃপর খুল্লাত (তাঁকে
আল্লাহর খালিল বা বন্ধু বানানো
হয়েছিল) এবং শুধুমাত্র এরপরই তাঁকে
ইমামাত দেয়া হয়েছিল।
.
৮৪। আইয়ুব আলাইহিস সালাম ‘আলি
রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইমামাত নিয়ে সন্দেহ
পোষণ করেছিলেন, একারণেই তিনি কঠিন
পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
.
৮৫। মুসা আলাইহিস সালাম যদি জীবিত
থাকতেন, তাঁকেও ইমামগণের আনুগত্য
মেনে নিত হতো।
.
৮৬। ইউনুস আলাইহিস সালাম ‘আলি
রাদিয়াল্লাহু আনহুর ওয়ালিয়াত
অস্বীকার করেছিলেন, একারণেই তাঁকে
মাছ গিলে ফেলেছিল।
.
৮৭। সম্পূর্ণ পৃথিবী ইমামগণের
অধিকারভুক্ত।
.
৮৮। শিয়ারা এই কথাটি আলি
রাদিয়াল্লাহু আনহুর বলে প্রচার করে যে,
“আমি জীবন এবং মৃত্যু প্রদান করি। আমি
চিরঞ্জীব এবং আমি মৃত্যুবরণ করি না”।
.
৮৯। ইমামগণ সকলের মনের কথা জানেন।
.
৯০। শিয়ারা বলে, রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আলিকে বলেছেন,
হে আলি! তুমি এই উম্মাতের দাইয়ান
(যিনি পুরষ্কৃত করেন) এবং তুমিই তাদের
জন্য দায়ী থাকবে। তুমি কিয়ামাতের
দিন আল্লাহর ‘রুকন ই আযম’ হবে। শুন!
লোকেরা তোমার দিকে আসবে এবং
তুমিই তাদের হিসাব গ্রহণ করবে।
পুলসিরাত তোমার, মীযান তোমার এবং
মউকাফ তোমার।
.
৯১। অনেক শিয়াই আলি রাদিয়াল্লাহু
আনহুকে “জান্নাত ও জাহান্নামের
বণ্টনকারী” নামে ডেকে থাকে। বিখ্যাত
শিয়া আলিম বাকির মাজলিসি তার বই
বিহার উল আনোয়ারে একটি অধ্যায়ের
নাম রেখেছেন “নিঃসন্দেহে তিনিই
(আলি) জান্নাত ও জাহান্নামের
বণ্টনকারী”।
.
৯২। বাকির মাজলিসি তার বই হায়াতুল
কুলুব বইতে লিখেছেন, “ইমামাতের
মর্যাদা নবুয়্যতের চেয়ে বেশি”।
.
৯৩। ইমামগণের নিকট অতীত ও ভবিষ্যতের
সকল জ্ঞান বিদ্যমান এবং আকাশ ও
পৃথিবীর কোন কিছুই তাদের কাছে গোপন
নেই।
.
৯৪। ইমামগণ জানেন, কখন তাদের মৃত্যু
ঘটবে।
.
৯৫। ইমামগণ এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি
মানুষের ঈমান এবং নিফাকের অবস্থা
সম্পর্কে অবগত। তাদের কাছে কারা
জান্নাতে যাবে আর কারা জাহান্নামে
যাবে তার একটি তালিকা আছে।
.
৯৬। ইমামগণ বিশ্বের সব ভাষা জানেন
এবং সেসব ভাষায় কথা বলেন।
.
৯৭। ইমামগণ পশু পাখিদের ভাষা জানেন।
.
৯৮। ইমামগণ প্রতি জুমার সন্ধ্যায় মিরাজে
যান। এসময় তারা আল্লাহর আরশ পর্যন্ত
পৌঁছে যান এবং সেখানে তাদের গভীর
জ্ঞান দান করা হয়।
.
৯৯। প্রতি লাইলাতুল কাদরে ইমামগণের
নিকট আর-রুহ এবং ফিরিশতারা একটি
বিশেষ বই নিয়ে আসেন।
.
১০০। ইমামগণ জন্মের সাথে সাথেই সকল
ঐশী কিতাব পড়ে ফেলেন।
.
১০১। ইমামগণ সকল নাবীদের মু’জিযা
প্রদর্শনে সক্ষম।
.
১০২। ইমামগণের সঙ্গীদের মধ্যকার
সংগঠিত তর্ক নিয়ে শিয়ারা কোন
সমালোচনা করে না।
.
১০৩। ইমামগণের সঙ্গীরা সত্যবাদী,
বিশ্বাসভাজন এবং অনুগত ছিলেন না।
.
১০৪। ইমামগণের সঙ্গীরা দ্বীনের উসুল
এবং ফুরু অর্জন করেননি।
.
১০৫। চূড়ান্ত ইমাম গত ১২০০ বছর ধরে
ইরাকের একটি গুহায় লুকায়িত আছেন।
তিনি যখন আত্মপ্রকাশ করবেন, রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং
আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে বাইয়াত
(আনুগত্যের শপথ) দিবেন।
.
১০৬। চূড়ান্ত ইমাম আবু বাকর এবং উমারের
শরীর কাবর থেকে উত্তোলন করবেন এবং
তাঁদের নগ্ন শরীর ঝুলিয়ে রাখবেন। তিনি
তাঁদের চাবুক মারবেন এবং এক দিন ও
রাতের মাঝে ১০০০ বার তাঁদের মৃত্যু
ঘটাবেন।
.
১০৭। আইশাহকে জীবন দেয়া হবে এবং
তাঁকেও চূড়ান্ত ইমাম চাবুক মারবেন।
.
১০৮। চূড়ান্ত ইমাম সকল সুন্নিকে জবাই
করবেন এবং তিনি আলিমদের দিয়ে শুরু
করবেন।
.
১০৯। কেউ যদি শিয়া ইমামদের ধারণা
বিশ্বাস না করে, সে কাফির এবং
অমুসলিম।
.
১১০। যখন ৩১৩ জন বিশ্বস্ত শিয়া একত্রিত
হবে, চূড়ান্ত ইমাম আত্নপ্রকাশ করবেন।
.
এবার আসুন, ক্লাসিক্যাল আলিমগণ
শিয়াদের সম্পর্কে কী বলে গিয়েছেন তা
দেখা যাক –
শাইখ মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল লাতিফ আল
আশ-শাইখ তার সময়কার রাফেজিদের
সম্পর্কে বলেছেন, “আর বর্তমান সময়ে
তাদের অবস্থা আরো নিকৃষ্ট এবং করুণ।
কারণ তারা তাদের আকিদায় আউলিয়া,
আহলুল বাইত এবং অন্যান্যদের ব্যাপারে
সম্মানের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত রকমের
বাড়াবাড়ি করছে এবং বিশ্বাস করে যে
বিপদ কিংবা সুখের সময় তারা ভাল বা
খারাপের ক্ষমতা রাখে। এবং তারা একে
আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার মাধ্যম মনে
করে। এবং তারা একে ধর্মের অংশ
বিবেচনা করে। একারণেই যারা তাদের
এই অবস্থার কারণে তাদের কুফর সম্পর্কে
সন্দেহ পোষণ করে, তাহলে সে নাবীগণ
কী নিয়ে এসেছেন এবং কিতাবগুলোতে
কী নাযিল করা হয়েছে সে সম্পর্কে
অজ্ঞ। তার উচিত মৃত্যুর পূর্বে নিজের
ঈমানকে পরীক্ষা করে দেখা”।
ইমাম মালিক রাহিমাহুল্লাহ সূরা
ফাতহের ২৯ নং আয়াতটি রাফেজিদের
উপর কুফরির দলিল হিসেবে গ্রহণ
করেছেন। কেননা তারা সাহাবিদের
প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে। আর
যারাই সাহাবিদের প্রতি শত্রুতা পোষণ
করে, তারা কাফির। এই মাসয়ালায়
উলামাদের একটি দলও ইমামের সাথে
একমত পোষণ করেছেন। [তাফসির ইবন
কাসির]
.
ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
“আমি একজন ইহুদি, একজন খ্রিস্টান
কিংবা একজন রাফেজির পিছনে সালাত
আদায়ের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখি না।
তাদের জবাই করা পশু খাওয়া যাবে না,
তাদের সালাম দেয়া যাবে না, তাদের
সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না, তাদের সাথে
বিয়ে দেয়া হবে না এবং তাদের দেখতে
যাওয়া যাবে না”। [খালক আফ’আলুল ইবাদ]
.
ইমাম সামা’নি রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
“উম্মাহর মাঝে ব্যাপারে ইজমা রয়েছে
যে, শিয়ারা হলো কাফির। কারণ তারা
বিশ্বাস করে, রাসুলের সাহাবিরা
পথভ্রষ্ট, তারা তাঁদের ইজমাকে
অস্বীকার করে এবং তাঁদের ব্যাপারে
এমন সব কথা বলে তাঁদের সাথে মানানসই
নয়”। [আল-আনসাব]
.
ইবন কাসির রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “আর
তারা সাহাবিদের সম্পর্কে এমন ধারণা
পোষণ করে, তাঁদের বিরুদ্ধে অসৎ হওয়ার
এবং রাসুলের বিরুদ্ধে আঁতাত করার
অভিযোগ আনে এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিচার ও
আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে। যারাই এই
পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান নিয়েছে,
তারা নিজেদের ইসলামের গণ্ডি থেকে
বের করে নিয়েছে এবং ইমামদের ইজমা
অনুযায়ী তারা কুফরি করেছে। আর
মদ্যপান ছেড়ে দেয়ার থেকেও তাদের
রক্ত ঝরানো বেশি হালাল”। [আল-
বিদায়া ওয়ান-নিহায়া]
.
ইমাম আব্দুর রহমান ইবন মাহদি
রাহিমাহুল্লাহ বলেন, জাহমিয়্যাহ এবং
রাফিজিয়্যাহ ভিন্ন দুটি ধর্ম। [খালক
আফ’আলুল ইবাদাহ]
.
এছাড়াও ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল, মুহাম্মাদ
ইবন ইউসুফ আল-ফিরইয়াবি, আহমদ ইবন
ইউনুস, ইবন কুতাইবা আদ-দিনাউরি, আব্দুল
কাদির আল-বাগদাদি, আল কাজি আবু
ইয়ালা, ইবন হাযম আয-যাহিরি, আবু হামিদ
আল-গাজ্জালি, ইবন তাইমিয়্যাহ, ইবন
আবিদিন, আবু হামিদ মুহাম্মাদ আল-
মাকদিসি, আব্দুল মাহাসিন আল-
ওয়াসিতি রাহিমাহুমুল্লাহ আজমাঈন
থেকে রাফেজিদের কাফির হওয়ার
ব্যাপারে যুক্তি ও বর্ণনা পাওয়া যায়।
স্থান সংকুলান না হওয়ায় যা এখানে
উল্লেখ করা হলো না।
গ্রন্থ সহায়িকা
.
১। শিয়া বিলিফ, শাইখ খালিদ মাহমুদ,
পিএইচডি, ইসলামিক একাডেমি অফ
ম্যানচেস্টার
.
২। হিদায়াতুস শিয়া, শাইখ খালিল
আহমেদ শাহারানপুরি
.
৩। তুহফাহ ইতনা ‘আশারিয়্যাহ, শাহ আব্দুল
আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভি
.
৪। শিয়া কায় হাজার সাওলন কা
জাওয়াব, শাইখ হাফিয মুহাম্মাদ
মিইয়ানওয়ালউয়ি
.
৫। আকাইদুস শিয়া, মুহাম্মাদ ফারুক
.
৬। আয়াত বাইয়্যিনাত, শাইখ সাইয়্যিদ
মুহাম্মাদ মাহদি আলি খান
.
৭। মাসালা তাহ্রিফায় কুর’আন পুর বিনরি
টাউন কা তাহকিকি ফাতওয়া, মুফতি
মুহাম্মাদ ইনামুল্লাহ
.
৮। ইরশাদুস শিয়া, শাইখ মুহাম্মাদ
সরফরাজ খান, মাকতাবাহ সাফদারিয়্যাহ
.
৯। খোমাইনিজম অর ইসলাম, শাইখ
জিয়াউর রাহমান ফারুকি
.
১০। শিয়াইজম এক্সপোজড, মাজালিসুল
উলামা, সাউথ আফ্রিকা
.
১১। সুন্নি স্ট্যান্ড পয়েন্ট অন শিয়াস,
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত, ফর সুপ্রিম
কোর্ট অফ পাকিস্থান
.
১২। দ্য ট্রুথ এবাউট শিয়াইজম, মাজালিসুল
উলামা, সাউথ আফ্রিকা
.
১৩। শিয়া মাযহাব কায় চালিস বুনিয়াদি
আকিদা, শাইখ আব্দুস সাকুর লখনৌভি
.
১৪। সুন্নি শিয়া মুত্তাফাকাহ তারজামাহ
কুর’আন কা আযিম ফিতনা, শাইখ কাজি
মাযহার হুসাইন
.
১৫। শিয়া ইতনা আশারিয়্যাহ অর
আকিদাহ তাহ্রিফি কুর’আন, শাইখ মাঞ্জুর
নোমানি
.
১৬। শিয়া মাযহাব, শাইখ আশিক ইলাহি
বুলন্দশহরি
.
১৭। তাইদ মাযহাব আহলুস সুন্নাহ
তারজামাহ রাদ রাওাফিদ, ইমাম
মুজাদ্দিদে আলফে সানি
.
১৮। আসসাওয়াইকুল মুহ্রিকাহ, শাইখ ইবন
হাজার আল-হাইতামি
.
১৯। দ্য ডিফারেন্স বিটুইন দ্য শিয়া এন্ড
দ্য মেজরিটি অফ মুসলিম স্কলারস, সাইদ
ইসমাইল
.......
#যদি কোন শিয়া লোক নিজেকে এই আকীদাগুলোর ভিন্নমত পোষন করে তাহলে সেটা ভিন্ন কথা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top