সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

একজন ত্বাগুতের জমের জ্বালাময়ী ভাষন

কোন মন্তব্য নেই:

আসসালামু আলাইকুম ভাই
আল্লাহর জন্য বলছি আপনাকে এই লেখাটা পুরা একবার পড়ুন।ভুল-ভ্রান্তি জানাবেন।মতামতের আশায় আছি।
.
আমরা গুনাহে কাবীরা নিয়ে আলোচনা করছিলাম।সালাত তরক করা, সালাতের গুরুত্ব না দেয়া, এই সম্পরকে আলোচনা পেশ করছিলাম।মুলত,সালাত ইসলামের একটা স্তম্ভ।রাসুল(সা:) বলেছেন ইসলামের ৫টি স্তম্ভ আছে।এগুলোর একটি হচ্ছে সালাত।
.
সালাত এমন একটি বিষয় যেটা আল্লাহ রব্বুল আলামীন তার হাবিব কে মেরাজে ডেকে তারপর হাদিয়া হিসেবে দিয়েছিলেন।সালাতের মাধ্যমে মুলত একজন মানুষ মুসলিম না গাইরে মুসলিম তা চেনা যায়।এই কারনেই আল্লাহরর রাসুলের যুগে যারা মুনাফিক ছিল তারাও জামাতের সাথে সালাত আদায় করত।
.
আল্লাহর রাসুল(সা:) বলেছেন,আমার ইচ্ছা হই নামাজের ইমামতি একজনকে দিয়ে আর আমি এলাকাই বেড়িয়ে পরি আর যুবকদেরকে লাকড়ি জমা করতে বলি।যারা সালাতের সময়ে জামাতে হাজির না হই তাদের ঘর বাড়িগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিই। এতগুরুত্ব সালাতের জামাতের।
হাইয়্যা আস সালাহ যখন ডাক আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে তখন মানুষ যারা ঘুমিয়ে থাকে,যারা দুনিয়ার কাজে থাকে তাদের সম্পরকেই মুলত বলা হয়েছে ফাওয়াইলুল্লিল মুসাল্ল্যিন।ওয়াইল দোজক হচ্ছে মুসল্লিদের জন্য যারা স্বলাত থেকে অমনোযোগী থাকে।
.
এইজন্য ইমাম যদি বেদাতিও হই, তারপরেও সমস্ত ওলামাদের ওইক্যমতে জামাত তরক করা জায়েজ নাই।যদি আকিদাগত বেদাতি হই,যার আকিদার মধ্যে গন্ডগোল আছে এবং সেটা শিরকের পর্যায়ে তাহলে মুসলিম-ই থাকেনা। এইরকম বিদাতির পিছনে সালাত আদায় করা যাবেনা।নতুবা যদি আমলগত বেদাতিও হই আর বেদাতমুক্ত কোন মসজিদ না পাওয়া যায় তাহলে ওই মসজিদেই নামাজ আদায় করতে হবে।চেস্টা করতে হবে ইমামকে সংশোধন করার জন্য, আর সংশোধনযোগ্য না হলে তাকে তারাবার জন্য।
.
অনেকেই দ্বীন বেশি বুঝার কারনে জামাতে নামাজ পড়াই বন্ধ করে দেই।শেষ পরয্যন্ত বেনামাজি হয়ে যায়।দলিল আছে,আব্দুল্লাহ ইবনে উমর এর একটা হাদিস, তিনি একবার একটা মসজিদে গেলেন, কোন একটা বেদাতি কাজ দেখার কারনে তিনি বললেন, আমাকে এই বেদাতি মসজিদ থেকে নিয়ে চল।এটা দিয়ে তারা জামাত না পরার দলিল দেয়।মুলত তখন বেদাতমুক্ত অনেক মসজিদ ছিল।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া(রহ:) তার প্রসিদ্ধ ফতোয়ার কিতাব মাজমু আতওয়াল ফাতওয়া কিতাবে স্পষ্ট উল্লেখ করে বলেছেন ইমাম যদি বেদাতি হই আশেপাশে বেদাতমুক্ত কোন মসজিদ না পাওয়া যায় তাহলে বেদাতি মসজিদে সালাত আদায় করা যাবে।
.
সুতরাং অনেকে আছে হঠাত ইসলামে আসার কারনে দ্বীন বেশি বুঝার কারনে সব একেবারে কাফের হয়ে গেছে, বেদাতির পিছনে নামাজ পড়া যাবেনা। এই জাতীয় যারা ফতোয়া দেয় তাদের  কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে।
আমি একটা কথা বার বার বলি যে আকিদার ক্ষেত্রে একদিকে মুরজিয়া।যারা বলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়লেই সে মুসলিম।এরপরে সে যা করে আল্লাহকে সে গালাগালি করুক, রাসুলকে গালাগালি করুক,ইসলামের কোন বিধানকে অস্বীকার করুক তারপরও মুসলমান। এই হল মুরজিয়া।
.
আরেকদিকে আছে খাওয়ারেজ।যাদের বক্তব্য হচ্ছে গুনাহে কাবীরা করলেই সে কাফের হয়ে যায়। এটা খাওয়ারেজ।আল্লাহর রাসুল (সা:) বলেছেন,এই খাওয়ারেজদের সম্পরকে যারা হচ্ছে জাহান্নামের কুকুর। আমি যদি এদেরকে পেতাম আদ জাতির মত এদেরকে কতল করে ফেলতাম।এত কঠোরভাবে আল্লাহর রাসুল (সা:) সাবধান করেছেন।
.
সেজন্য একদিকে আমরা জামায়াতের গুরুত্ব দিব।বিশেষ করে ঈদের সালাত,জুমার সালাত।এগুলো কোন অবস্থাতেই যদি ঈমাম বেদাতিও হয় তারপরও সালাত তরক করা যাবেনা।
.
তবে যেটা বারবার বলছি তা হচ্ছে এই,এখন যদি কোন ইমাম এই আকিদা পোষন করে,মুহাম্মদ খোদা নেহি খোদা সে জুদা নেহি।মুহাম্মদ (সা) খোদা নই।তবে খোদা থেকে ভিন্নও নই।তাহলে তো ইহুদিদের মত, খ্রিষ্টানদের মত ঈসা (আ:) কে ওরা আল্লাহর পুত্র বানিয়েছে আর এরা নবীকে আল্লাহর অংশ বানিয়েছে। এক ধাপ উপরে।আল্লাহর নবী আমাদের নবীজি আল্লাহর জাতি নুরের থেকে তৈরি। আল্লাহর যে অংশ তার একটা অংশ থেকে তৈরি হয়েছে।আল্লাহর নবী সবজায়গায় হাজির -নাজির।এই জাতীয় আকিদা পোষন করে যারা এই বেদাতির পিছনেও সালাত হবেনা।এটাও মনে রাখতে হবে।
.
এইরকরম ভাবে যে সমস্ত ইমামরা এখন সেকুলারিজমে বিশ্বাসী,ইমাম ধরম নিরপেক্ষ, ইমাম গনতন্ত্রে বিশ্বাসী, গনতন্ত্র ছাড়া ইসলাম কায়েম সম্বব না।এটা পরিস্কার বুঝতে হবে ইসলাম একটা স্বতন্ত্র দ্বীন,পুরনাংগ দ্বীন।ইসলাম আসার পরে সাহাবায়ে কেরাম যেভাবে সমস্ত আদরশ, সমস্ত মতবাদ, সমস্ত চিন্তা-ভাবনা,সব গুলো বর্জন করে সবক্ষেত্রে ইসলামকে মেনে নিয়েছিলেন ওটার নাম ইসলাম।
.
আর যারা মসজিদে ইসলামের কথা বলে,ইসলাম মানা যাবে,বাহিরে ইসলাম চলবে না,ব্যবসায় -বানিজ্যে ইসলাম চলবে না,আদালতে ইসলাম চলবে না,ব্যাংক এ ইসলাম চলবে না,সংসদে ইসলাম চলবে না,বংগভবনে ইসলাম চলবে না,গনভবনে ইসলাম চলবে না,সব জায়গা থেকে ইসলামকে বিতাড়িত করে শুধু মাত্র মসজিদে ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং এটা সে বিশ্বাস করে যে এই যুগে ইসলামের সব কাজ চলেনা।এইরকম সেকুলার,এইরকম ধরমনিরপেক্ষ, এইরকম মতবাদে যারা বিশ্বাসী এই লোকগুলোর পিছনেও নামাজ পড়া জায়েজ হবেনা।
.
কাজেই একদিকে এই বিষয়গুলো ক্লিয়ার থাকতে হবে।কিছু আছে আমলগত বিদাতি। এমনি মিলাদ পরে কিন্তু সে বিশ্বাস করেনা যে আল্লাহর রাসুল কিন্তু সে বিশ্বাস করেনা যে আল্লাহর রাসুল হাজির নাজির,রাসুল (সা:) আল্লাহর জাতি নুরের তৈরি।সে বিশ্বাস করেনা যে ওলিদের কাশফু খোলা।চোখ বন্ধ করলেই সব দেখে।এই সমস্ত আকিদা যাদের তারা শিরকের গুনাতে লিপ্ত আছে।অনেকে আবার বিশ্বাস করে পীর সাহেবদের কাশফু খোলা।আরশ,কুরশি,লোহ কালাম সব  তাদের নখ-দরপে।চোখ বন্ধ করলে সব দেখে।এই।সমস্ত গুনাবলি কার??আল্লাহর গুনাবলি।
.
আমাদের দেশে দুই ধরনের আলেম আছে। একটা হচ্ছে রেজবী গ্রুপ বা বেরলভী গ্রুপ।এরা বিশ্বাস করে নবী হাজির -নাজির,সব দেখেন।আর আরেকটা  গ্রুপ আছে দেওবন্দী গ্রুপ যারা এরা এই আকিদায় বিশ্বাস করেনা।এখানে আরেকটা আছে সেটা হচ্ছে ওলিরা সব দেখে।তাহলে ওরা দোষ করল কি?ওরা তো নবীরা সব দেখে, নবীরা সব শুনে দোষটা করেছে  আর তুমি বিশ্বাস কর ওলিরা সব দেখে।তুমি তো আরেকধাপ নিচে নামলা।এই আকিদা বিশ্বাসগুলো আছে।ওলিরা চক্ষু বন্ধ করলে সব দেখে, ওলিরা দুনিয়া চালায়।একেক এলাকায় একেকজন কুতুব আছে। এই কুতুবরা ওই একেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রন করে।এই রকম বিশ্বাস যাদের আছে এইরকমভাবে যারা বিশ্বাস করে আল্লাহতায়ালা বান্দার সাথে মিশে একাকার হয়ে যায়।
.
বইতে লিখে দিয়েছে যে,মান্সুর হাল্লাজ নামে একজন বুজুর্গ ছিল।আসলে বুজুর্গ কি ইতিহাসটা আগে বলে দিই।আল বিদায়া-ওয়ান নিহায়া ইতিহাসের সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য কিতাব।বাংলা আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলা করেছে।মান্সুর হাল্লাজ এর জীবনির অংশ বের করেন।তারপরে দেখেন। এই লোকটা হিন্দুদের যে আকিদা আল্লাহতায়ালা বান্দার সাথে মিশে একাকার হয়ে যায়,আল্লাহর ভিন্ন কোন অস্তিত্ব নাই,আল্লাহ সব কিছুর মধ্যে বিরাজমান,মিশে আছে।এই আকিদা এদেশের অনেকেরই আছে।না বুঝার কারনে করলে আপনারা তাকে ক্ষমা করে দিবেন।কিন্তু বুঝে শুনে যদি কেউ বলে আল্লাহতায়ালা সব কিছুর মধ্যে মিশে আছেন। এটা পরিস্কার আপনারও বুঝতে হবে কুরানে স্পস্ট আয়াত আছে। আল্লাহতায়ালা বলছেন আর রহমানু আলাল আরশইস তাওয়াহ।কুরানের স্পষ্ট আয়াত এখানে আল্লাহ তায়ালা বললেন আল্লাহতায়ালা কোথাই? আরশের উপরে।
.
এটাও যদি আপনি না বুঝেন তাহলে আপনার বুঝার জন্য আরো সহজ করে বলছি।যদি কোন দলিল প্রমান না বিশ্বাস করেন একটা দলিল যথেস্ট আপনার বুঝার জন্য।তাহচ্ছে মেরাজের ঘটনা কুরানে আছে, বুখারী-মুসলিমসহ হাদিসের সব কিতাবে আছে। বিস্তারিত তাফসীর এর কিতাবগুলোতে আছে। আল্লাহর নবী (সা:) মেরাজে গিয়েছেন প্রথম আসমান ভেদ করে, দ্বিতীয় আসমান ভেদ করে, ত্রিতীয় আসমান ভেদ করে এভাবে সাত আসমান ভেদ করে তারপরে গেলেন।আল্লাহ যদি এদেশের আকিদা যা বিশ্বাস করে সুফি সাহেবরা সব কিছুর মধ্যে মিশে থাকতেন তাহলে আল্লাহর নবীকে আসমান ভেদ করে মেরাজে যাওয়ার কোনই প্রয়োজন ছিল?
না।
কোথাই যাবেন?
আল্লাহ তো আপনার মধ্যে মিশে আছে। কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নাই।
.
এমনিভাবে বুখারীর সহি হাদিসে বলা হয়েছে,আল্লাহ তায়ালা প্রতিরাতের শেষ ত্রিতীয়াংসে প্রথম আসমানে অবতীর্ণ হন এবং ডাকেন কে আছ গুনাহগার, কে আছ ক্ষমা চাও এইরকরম ডাকতে থাকেন।আল্লাহ যদি সবকিছুর মধ্যে মিশে থাকেন তাহলে প্রথম আসমানে অবতীর্ণ হন কোথা থেকে?
.
এমনিভাবে কুরানুল কারীমকে নাযিল করা হয়েছে।নাযিল বলে উপর থেকে নিচে নামাকে।কুরান কোথাই ছিল আরশে ছিল।তাহলে যদি আল্লাহতায়ালা সবজায়গায় থাকেন তাহলে কুরান আরশ থেকে নামার কি প্রয়োজন?
এই রকম একটা আর দুইটা না একশ দলিল পেশ করা যাবে ইনশাল্লাহ।
.
কিন্তু এদেশের সুফিবাদ এ বিশ্বাসী একশ্রেনীর আলেমদের বিশ্বাস এবং পীরদের বিশ্বাস, মুরিদদের বিশ্বাস আল্লাহতায়ালার ভিন্ন কোন অস্তিত্ব নাই।আল্লাহ তায়ালা সব কিছুর মাঝে মিশে আছেন।আল্লাহতায়ালার সাথে বান্দা মিশে একাকার হয়ে যায়।
.
এই কারনে ওই সুফিজম এর প্রতিস্টাতা মান্সুর হাল্লাজ এক পর্যায়ে দাবি করল আনাল হ্বাক,আমিই আল্লাহ। কারন সে দেখল যে, যখন আমার মধ্যে আল্লাহ আছেন তাহলে আমি কে?
আমার কোন অস্তিত্ব নাই।এই গাছ আল্লাহ, মাছ আল্লাহ, পশু-পক্ষি আল্লাহ, সব কিছুই আল্লাহ।
.
এইজন্য হিন্দুদের আকিদা হচ্ছে হাজার কল্লা এক আল্লাহ। কল্লা বুঝেন তো?
ইন্ডিয়াতে বলে ওরা হাজার কল্লা এক আল্লাহ। মানে সব ভিন্ন ভিন্ন অস্তিত্ব।সবার মধ্যে এক আল্লাহ বিরাজমান। এগুলোর কারো কোন অস্তিত্ব নাই,মানুষের কোন অস্তিত্ব নাই।কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই।এই যে বিষয়গুলো আছে এটা সুফীদের আকিদা।
.
আমাদের আকিদাটা কি?
আল্লাহতালা সব জায়গায় বিরাজমান তার এলম এর দিক থেকে।মানে আল্লাহর জ্ঞান, আল্লাহর এলম সবজায়গায় বিরাজমান। বিষয়টা পরিস্কার?
আল্লাহ আরশে আছেন।
.
আর আল্লাহ যে সবজায়গায় বিরাজমান বলা হই সেটার অরথ যদি এই হই যে আল্লাহর জ্ঞান,আল্লাহর এলম সর্বত্র বিরাজমান তাহলে ঠিক আছে।আর যদি বলা হয় আল্লাহ সব জায়গায় বিরাজমান, তার মানে হচ্ছে আল্লাহর অস্তিত্ব সবগুলোর মধ্যে ছড়াইয়া আছে, আল্লাহর ভিন্ন কোন অস্তিত্ব নাই।তাহলে সবগুলোকে আল্লাহ মানার কারনে লোকটা শিরকে লিপ্ত আছে।
.
মান্সুর হাল্লাজ এই আকিদা পোষন করেছে প্রথম।আর এই জঘন্য শিরকি-বিদাতি আকিদা এই মান্সুর হাল্লাজ এবং ইবনে আরাবী ঢুকিয়েছে। আর তাদের মাধ্যমে এই দেশের সুফিবাদিইজমে বিশ্বাসী যারা, পীর-মুরিদিতে বিশ্বাসী যারা তারা এটাকে সাপ্লাই করেছে সারা মুসলিমদের অন্তরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে।যে মান্সুর হাল্লাজ জিকির করেছে আনাল হ্বাক,আনাল হ্বাক। আমিই আল্লাহ, আমিই আল্লাহ। ঠিকই সে এই জিকির করেছে।তাফসীর কিতাব,আল বিদায়া-ওয়ান নিহায়া কিতাবে,তারিকে বাগদাদ,তারিখুল উমাম ইতিহাসের যত গ্রহনযোগ্য কিতাব সব কিতাবে আছে এই আকীদা যখন সে প্রকাশ করা শুরু করল তথকালীন সময়ে বাগদাদ ছিল এলমের সেন্টার,পুরা দুনিয়ার এলমের মারকাজ।যে কারনে বাগদাদের সমস্ত ওলামায়ে কেরাম ফতোয়া দিল যে তাকে কতল করে ফেল এবং সেই ফতোয়া অনুযায়ী তাকে কতল করে ফেলা হয়েছে।কিচ্ছা শেষ।
.
কিন্তু সুফিদের বইতে,চরমোনাই পীরের প্রায় বইতে,প্রায় বয়ানে আপনারা পাবেন আমার বাসায় বই সংরক্ষন করা আছে।আর নইলে বাংলা বাজার গিয়ে আল ইসহাক প্রকাশনী থেকে কিনে নিবেন।ওদের প্রায় বইতে আশেক -মাসেক এর বই এইরকমভাবে মাওয়াইযে সাকিয়া, মাওয়াইযে কারিমিয়া এই বইগুলোর প্রত্যেকটা বইতে আছে মান্সুর হাল্লাজ জিকির করতে করতে ফানা হয়ে যেত।আনাল হ্বাক দাবি করত।এটা আলেমরা বুুঝতে পারে নাই।যেই কারনে তাকে জেল খানায় আবদ্ধ করেছে।
.
জেলখানায় বাদশাহ একবার সাক্ষাত করতে গেলেন, গিয়া দেখেন জেলখানাও নাই,মান্সুর হাল্লাজও নাই, শিকলও নাই,একেবারে পানি থৈ থৈ করছে। এরপরে আবার আরেকদিন গেলেন,গিয়া দেখেন জেলখানাও ঠিক আছে,শিকলও ঠিক আছে,কিন্তু মান্সুর হাল্লাজ নাই।আরেকদিন গিয়া দেখে সবই ঠিকই আছে।এবারে ধরল মান্সুর হাল্লাজকে।মান্সুর!এই ব্যাপারটা কি?প্রথমদিন দেখলাম কিছুই নাই।কি হয়েছিল?মান্সুর হাল্লাজ উত্তর দিল।যেদিন তুমি দেখেছ,এখানে জেলখানা নাই,শিকল নাই,আমিও নাই,কিছুই নাই,পানি থৈ থৈ করছে সেদিন স্বয়ং আল্লাহ আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন।(নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক)।
এইজন্য সাগর হয়ে গেছে। আর যেদিন তুমি দেখেছ জেলখানা পড়ে আছে, শিকল পরে আছে,আমি নাই,ওইদিন আমি নিজে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম।
.
ওই ব্যাটা!! তুই না আগে বললি? আল্লাহ তোর মধ্যে বিরাজমান।আল্লাহ তোর সাথে কোথা থেকে সাক্ষাৎ করতে আসল আর সব কিছু সাগর হয়ে গেল।
.
আবার তুই দাবি করলি তোর মধ্যে আল্লাহ আছে,তুই শিকল ফেলাইয়া,জেলখানা ফেলাইয়া কৈ দেখা করতে গেলি।এই শয়তানি আকিদা, ভন্ড আকিদা, এই বেদাতি আকিদা,শিরকি আকিদা চরমোনাই পীরের বই প্রত্যেকটাতে আছে।
.
এটা হল ভাল পীর।আমি চরমোনাই এর নাম এইজন্য বলছি না যে সবচেয়ে খারাপ এটা।বরং চরমোনাই এর নাম এইজন্য বলছি যে পীরদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল পীর এটা।এটা দিয়ে অন্যদেরকে বুঝাচ্ছি।ভাল পীরের আকিদা যদি এই হই তাহলে যে পীরেরা দাবি করে যে সে আল্লাহর সাথে ডাইরেক্ট দেখা করে এই পীরদের আকিদা কত জঘন্য!
.
এই রকম আকিদা পোষন করে যে পীর আর যে মুরিদেরা তাদের পিছনে নামাজ পরা যায়েজ হবেনা।এইজন্য আকিদাগত বিষয়গুলো ক্লিয়ার থাকতে হবে।আকিদা ক্লিয়ার রেখে, আকিদা পরিস্কার রেখে আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান এর অরথ যদি এই হই আল্লাহর এলেম সবত্র বিরাজমান তাহলে ঠিক আছে।কথা পরিস্কার??
.
আল্লাহ তায়ালা আলিমুম বিযাতিস সুদুর।মানুষের অন্তরের মধ্যে যে কল্পনা করে তাও আল্লাহ জানেন।আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে একটা পিপড়া যদি হাটে আল্লাহতায়ালা তার আওয়াজ পরয্যন্তও শুনতে পান।আমাবশ্যার রাতে যদি কালো পাহাড়ে কালো পাথরের উপরে একটা কালো পিপীলিকা  হাটে আল্লাহতায়ালা তা দেখেন। অর্থাৎ আল্লাহর এলম, আল্লাহর জ্ঞান, আল্লাহ তায়ালা সবকিছু দেখেন এবং শুনেন। এই অরথে তিনি সর্বত্র বিরাজমান যদি হয় তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই।
কিন্তু যদি অরথ এই হই আল্লাহতায়ালার অবতারত্বে বিশ্বাসী।হিন্দুরা যেমন বিশ্বাস করে রামের মধ্যে স্বয়ং ভগবান অবতরন করেছিলেন।রাম হচ্ছে ভগবানের অবতার। এইরকম বুজুর্গদের মধ্যে আল্লাহ মিশে যায়।
.
এই ভারতীয় অনেক তাফসীরও লিখেছে।তাফসীর এ মাঝাহারি।এই দেশের প্রায় সব তাফসীর বিভাগে, মাদ্রাসায় পড়ানো হই।ভারতের লেখা তাফসির, এই  তাফসীর এর ইন্নি আলামু মাআলা তালামুন এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে লিখেছে, বান্দা আল্লাহর কাছে অগ্রসর হতে হতে আল্লাহর সাথে মিশতে মিশতে বান্দার আল্লাহর সংগে সত্তাগতভাবে একাকার হয়ে যায়।এটা ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে যে তাফসীর এ মাঝহারির বাংলা করেছে সেখানে হুবুহু এই বাংলাই করেছে।
.
এইজন্য আমি বলি তাফসীর কিতাব পড়বেন ঠিকই কিন্তু কোন তাফসীর?ভারতীয় তাফসীর, বাংলাদেশের লেখা তাফসীর, ইন্ডিয়ার লেখা তাফসির, পাকিস্থানের লেখা এই তাফসীরগুলোকে বর্জন করে আল্লাহর নবীর হাদিসের মাধ্যমে তাফসির আছে।তাফসীর ইবনে কাসীর সেটা পড়তে পারেন। নতুবা আপনি তাফসীর পরেও গোমড়াহ হবেন।তাফসীর এর মধ্যেও গোমড়াহি ছড়ানো হয়েছে।
.
আল্লাহর নবী (সা:) একজন মেয়ে মুমুরষ অবস্থায় সে মুসলিম না গাইরে মুসলিম তা পরীক্ষা করার জন্য জিজ্ঞাস করলেন যে,বল আল্লাহ কোথাই?
মেয়েটি ইশারায় উত্তর দিল। উপরে।আল্লাহর নবী বললেন যে,সে মুসলিম।তাকে তুমি মুমিন হিসেবে গ্রহন কর। তাহলে পরিস্কার হয়ে গেল আল্লাহতায়ালা কোথাই আছেন?
আরশে।এর প্রমান কোথাই আছে?
কুরানে আছে,হাদিসে আছে।আর রহমানু আলাল আরশিস তাওয়া।
.
আরশে আছে এটা বুঝলাম কিন্তু এখানে পরিস্কার এটাও রাখতে হবে আরশে আল্লাহ কিভাবে আছেন?
আমি যেভাবে একটা চেয়ারে বসে আছি যদি এভাবে কল্পনা করেন তাহলে ভুল। ইমাম মালেক (রহ:) এই বিষয়টাকে ক্লিয়ার করে দিয়েছেন।উনি বলেছেন, ইসতাওয়াহু মালুম ওকাইফিয়াতুল মাঝহুল ইমানাহুয়া ওয়াজিবুন।আল্লাহতায়ালা আরশে সমাসীন তা আমরা জানলাম আল্লাহ তায়ালা প্রতি রাতে প্রথম আসমানে অবতীর্ণ হন তা আমরা জানি এমনিভাবে
আল্লাহ্‌তায়ালা শবে-কদরে প্রথম আসমানে অবতীর্ণ হন তা আমরা জানি কিন্তু আল্লাহতায়ালা আরশে কিভাবে আছেন তার পদ্দতি আমরা জানি না।ঈমান রাখা ফরয, কিন্তু এই সম্পরকে এর বেশি জানতে চাওয়াও জায়েজ নাই।কারন কি?কারন হচ্ছে এই, দুনিয়ায় আমাদের জ্ঞান, আমাদের এলেম সীমিত।আমাদের সবিকিছুই সীমিত। আমাদের দ্রিস্টিসীমা সীমিত, আমাদের শ্রবনশক্তি সীমিত,আমাদের জ্ঞান শক্তি সীমিত,এই কারনে আল্লাহকে নিয়ে এর বেশি চিন্তা করার কোন সুযোগ দুনিয়াতে আমাদের নাই।বিষয়টা ক্লিয়ার?
.
আমরা জানলাম আল্লাহ কোথাই আছেন?আরশে।আর আল্লাহর এলেম কোথাই আছেন?সবত্র বিরাজমান।কুরানের অনেক জায়গায় আছে, অহুয়া মা আকুম -আল্লাহ তোমাদের সংগে আছেন তুমি যেখানেই থাক।এই সংগে থাকার মানে কি??প্রধানমন্ত্রী একজনকে বললেন যাও তুমি কাজটা কর আমি তোমার সংগে আছি।তার মানেটা কি??তার মানে হচ্ছে আমার সাহায্য, আমার নুসরাত তোমার সংগে আছে।
.
একজন মন্ত্রী একটা পুচকে মস্তানকে বলল যা ব্যটা গিয়ে ওরে খুন করে আস।আমি তোর সাথে আছি।তার মানে কি মন্ত্রী তার সংগে খুন করতে যাবে?না।মন্ত্রীর সমর্থন,সাহায্য তার সংগে আছে।কুরানের কিছু কিছু আয়াতে বলা আছে যেমন আল্লাহর রাসুল(সা:) গাহরে সুউরে যখন ছিলেন তখন আবু বক্কর সিদ্দিক(রা:) বললেন,ইয়া রসুলুল্লাহ! ওই তো কাফেরদের পা দেখা যাচ্ছে।ওরা নিচের দিকে তাকালেই আমাদের দেখে ফেলবে।আমরা ধরা পরে যাচ্ছি।আল্লাহর রাসুল সা: তখন বলেছিলেন কুরানে আসছে লা তাহসান ইন্নাল্লাহা মা আনা-ভয় পেয়োনা,নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের সংগে আছেন।সুফি সাহেবরা পেয়ে গেছে দলিল। এইযে আল্লাহ আমাদের সংগে আছেন।এটা দিয়ে বুঝাইয়া দিল।এই সংগে থাকার মানে কি?তুমি ভয় পেয়োনা।আল্লাহ আমাদের সংগে আছেন। আল্লাহর নুসরাত, আল্লাহর সাহায্য আমাদের সংগে আছে।তিনি আমাদেরকে দেখছেন।তিনি আমাদেরকে শুনছেন। আমাদের সব জানেন।এই অরথে আল্লাহ আমাদের সংগে আছেন।বিষয়টা ক্লিয়ার হল??
.
অনেকেই এই বিষয়টা পরে আতকে উঠে।কারন এদেশের মানুষের আকীদা হচ্ছে আল্লাহ সব জায়গায় বিরাজমান।আল্লাহ সবকিছুর মধ্যে মিশে আছে।বুজুর্গদের অন্তরে আল্লাহ মিশে থাকেন।আবার একটা হাদিস তৈরি করেছেন,বাবারা-"কুলুবুল মুমিনীন আরশুল্লাহ"।বাবারা মুমিন বান্দার কলবটা হচ্ছে আল্লাহর আরশ।ফুসফুস করে সুর দিয়া মেয়েলি সুরে বলে দিল আর চোখের পানি  ঝড়াইল আর কি কান্না জুড়ে দিল। একটা ফার্সি কবিতাও আছে।আমি আসমানে সামাই হইনা, জমিনে সামাই হইনা।আমি মুমিন বান্দার কলবে সামাই হয়ে যায়।
এই ধরনের কিছু কবিতা, কিছু জাল হাদিস। এটা কোন হাদিস নাকি?
কুলুবিল মু'মিনীন আরশুল্লাহ-মুমিন বান্দার কলবটাই আল্লাহর আরশ।কি সুন্দর কথা!!!
আল্লাহ কুরানে বলেছেন,ওহুওয়া রব্বুল আরশিল আজীম।মহান আরশের মালিক।সে আরশ বানাই দিছে কোনটাকে?
মুমিন বান্দার কলব আল্লাহর আরশ হয়ে গেছে। এইযে গাঁজাখুরি, মিথ্যা, ভুয়া, নিজেরা তৈরি করে উম্মতকে যারা গোমড়াহ করেছে।
.
আমি এইজন্য বলেছি বিদাতির পিছনে নামাজ পরা যাবে ঠিকই কিন্তু সেই বিদাতি যদি আকিদাগত বিদাতি হই,শিরকগত বিদাতি হই,এমন চরম আকিদাসম্পন্ন হই তাহলে এইরকম বেদাতিরর পিছনে নামাজ পরা যাবে না।যাই হোক আমি বলিতেছিলাম গুনাহে কাবীরা প্রসংগে।সেখান থেকে সালাত এর গুরুত্ব, সালাত তরক করা গুনাহে কাবীরা, জামায়াত তরক করাও গুনাহে কাবীরা। এই প্রসংগে কিছু কথা বলা প্রয়োজন ছিল সেটা বলে দেয়া হল।
.
আকিদাগত মুশরিক যদি হই, শিরকে লিপ্ত যদি হই তাহলে এইরকম ইমামের পিছনে সালাত আদায় করা যাবে না।আর যদি আকিদাগত শিরক না থাকে আমলগত বিদাত থাকে  তাহলে তার পিছনে সালাত আদায় করবেন। জামায়াত তরক করবেন না।এরপরে আমি আপনাদেরকে বলি যারা বাহির থেকে আসেন আপনারা মসজিদ ছাড়বেন না।মসজিদ ছাড়লে দুইটা ক্ষতি। এক হল আপনি যে হ্বক কথা বলবেন, তোহিদের দাওয়াত দিবেন মসজিদ ছাড়লে আপনি সেই সুযোগ পাবেন না।দুই নাম্বার কারন হল,মসজিদ ছাড়লে শয়তান আপনাকে গ্রাস করবে।আপনি জামায়াত তরক করলেন,এরপরে ঘরে কয়েকদিন পরলেন, এরপরে নামাজ টাইমমত পরা হবেনা।টাইম উল্টা পাল্টা হবে।সবশেষে বেনামাজি হবেন।
.
এইজন্য খবরদার! আপনি নিজের ঈমানকে রক্ষা করা প্রথম দায়িত্ব।জামায়াত তরক করে বিদাত থেকে বাচতে গিয়ে আরবিতে একটা প্রবাদ আছে, ব্রিস্টির ভিজা থেকে বাঁচতে গিয়ে ঝরনার নিচে গিয়ে দাড়িয়ে গেছে।এখন আপনি বিদাত থেকে বাচতে গিয়ে বেনামাজি হয়ে যাচ্ছেন।এইরকম কিছু বিভ্রান্তি আমাদের সমাজে ছড়াচ্ছে কিছু লোকে।
.
এমনও কিছু লোক আছে যেটা আমি বলি যে সালাতের মধ্যে পদ্ধতিগতভাবে হাদিস এর বিভিন্ন বরননা আছে।এই কারনে ফেকিহ মাসায়েলে অনেক ইমামদের মতামত ভিন্ন হয়ে আছে। যেমন,মনে করুন ইমাম শাফি,ইমাম মালেক,ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল, ইমাম ইবনে তাইমিয়া আরো অনেক ইমাম এদের বক্তব্য হচ্ছে নামাজে রাফে ইয়াদিন করতে হবে।তাকবীরে তাহরিমার সময়ও, রুকুতে যাওয়ার সময়ও,রুকু থেকে উঠার সময়েও।আমিন জোরে বলা মুস্তাহাব বলেছেন উনারা।ভাল কথা এগুলো ভাল হাদিসে আছে। যারা করতে চাই করবে।কিন্তু ইমাম আবু হানিফা(রহ:) তিনি আবার কিছু হাদিসের কারনে বলেছেন তাকবীরে তাহরিমার সময় শুধু রাফেল ইয়াদিন করবে অন্য সময় করবে না।এখন আমি এটা বিতর্কতে যাচ্ছি না।দুই পক্ষই কিছু দলিল পেশ করছে।সহী একটাই। আপনি দেখবেন হাদিস দ্বারা মিলাবেন। সেটা আপনি আমল করেন।এখন যারা অন্যটা আমল করছে তাদের আপনি বললেন কাফের হয়ে গেছে।
.
এখন যে আমিন জোরে বলে আস্তে যারা বলে তাদের কাফের বলে দিল। যে রফে ইয়াদিন করে যারা না করে তাদের কাফের বলে দিল।এইটা আগের আসলাফরা, সালাফদের মধ্যে কেউ এইরকম করেন নাই।মতভেদ আজকে তৈরি হইনি।
.
বুখারী শরিফের সহীহ হাদিসে বলা হয়েছে,একজন বিচারক যখন ইজতিহাদ করে একটি সঠিক রায় দেই তখন সে দুইটা আজর পাবে,আর যদি ইজতিহাদ করে ভুল করে বসে তাহলে পাবে একটা আজর।ঠিক মাজহাবের ইমাম যারা তারা চেস্টা করছেন তারা মাঝহাব তৈরি করে যাননি।তারা ওস্তাদ একজন শিক্ষক।হাদিস কুরান নিয়ে গবেষণা করেছেন, সহী জিনিসটা বের করার চেস্টা করেছেন।এই কারনে তাদের মধ্যে কিছু কিছু মতভেদ তৈরি হইয়েছে।এরপরেও প্রত্যেক ইমাম বলেছেন ইযা সাহহাল হাদিসু ফাহুওয়া মাজহাবী।আবু হানিফা(রহ:) এই কথা বলেছেন।
.
হানাফি মাজহাবের যত গুরুত্বপূরন কিতাব সব কিতাবে আছে।মুফতি কোরস যারা করে  তাদের প্রথম যে কিতাবটা পড়ানো হই শরহে উখুদে রুদহুল মুফতি এখানে বার বার এই কথা বলা হয়েছে ইমাম আবু হানিফা(রহ:) বলেছেন ইযা সাহহাল হাদিসু ফাহুয়া মাজহাবি।কোন হাদিস যখন সহীহ বলে প্রমানিত হবে সেটাই আমার মাজহাব।তারমানে আমার কথার সংগে যদি কোন হাদিসের সংগে সংঘর্ষ হই,আমার কথাটা ফেলে দিয়ে তোমরা হাদিসের কথাটাকে মানবে।
.
আরো লেখা রয়েছে,কোন মুফতির জন্য,কোন আলেমের জন্য জায়েজ হবেনা আমার কথা দিয়ে ফতোয়া দেয়া যতক্ষন পরয্যন্ত সে না জানবে কুরান বা হাদিসের কোন দলিল থেকে আমি কথাটা গ্রহন করেছি।দলিলটা কি?এইটা না জেনে অন্ধ অনুসরন করে আমার কথা দিয়ে ফতোয়া দেয়া কোন আলেমের জন্য জায়েজ হবেনা।
.
তাহলে ইমামদের দোষ দেয়া যাবে?
ইমামরা কি মাজহাব তৈরি করে গেছেন?
ইমামরা বলে গেছেন কুরান-হাদিসকে তোমরা ধারন করবে।উনারা সাধ্যমত চেস্টা করেছেন কুরান-হাদিসের সহী জিনিসটাকে বয়ান করার জন্য।আমরা সেটাই বিশ্বাস করি।সুতরাং কোন ইমামকে যারা গালিগালাজ করে,ইমামদেরকে যারা কাফের বলে দেয়,আমরা এদের সংগে নাই।এই বিষয়টা পরিস্কার রাখতে হবে।ফেকহি মাসায়েল আর আকিদার মাসায়েল ভিন্ন জিনিস।
.
আজকে এখানে অনেকেই আছেন বিভিন্ন আকিদার লোক আছেন,বিভিন্ন দলের লোক আছেন,আমি স্পস্টভাবে বলতে চাই এই ভারতবর্ষতে যিনি হাদিস প্রথম নিয়ে আসেন সমস্ত হাদিসের সনদের মধ্যে যার নাম আসে, এই ভারতবর্ষতে আগে হাদিস ছিলনা।এদেশের মানুষ শুধু ফিকাহর কিতাব পড়ত।কারন মুসলিমদের খিলাফাত ব্যবস্থা ছিল,দিল্লী শাসন করত মুসলমানরা বিচার -আচার চলত ইসলামি ফিকাহর কিতাবে দিয়ে। এই কারনে ফিকাহর চরচা ছিল বেশি।এমনকি ফতোয়া এ আলমগীরি লেখা হয়েছিল বাদশাহ আলমগীর এর তত্তাবধানে।যেহেতু বাদশাহ আলমগীর এর তত্তাবধানে ওলামায়ে কেরাম দেশ পরিচালনার জন্য,বিচারকার্য পরিচালনার জন্য লিখেছিলেন।
.
এখনো এই দেশের মাদ্রাসাগুলোতে সিলেবাস দেখলে দেখবেন মাদ্রাসায় প্রথম ভরতি ক্লাস ফিকাহর কিতাব,
দ্বিতীয় ক্লাসে মালামিদ্দা মিনহু ফিকাহর কিতাব,
ত্রিতীয় ক্লাসে নুরু লিযা ফিকাহর কিতাব,
চতুর্থ ক্লাসে কুদুরী ফিকাহর কিতাব,
পরের ক্লাসে কাঞ্জুদ্দাকায়ে ফিকাহর কিতাব,
পরের ক্লাসে শরহুল বিকায়া ফিকাহের কিতাব,
পরের ক্লাসে হিদায়া ফিকাহর কিতাব।
.
ফিকাহর কিতাব পরতে পরতে যখন মাথা যখন নস্ট হয়ে যায়,
হাদিসের ধারে কাছেও নাই,
ছাত্ররা যখন মনে করে এখন আমরা আলেম হয়ে গেছি,চল বাড়ি যায় তখন ডাক দিয়ে বলে না না দাড়াও হাদিস রয়ে গেছে। এক বছরে বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ,ইবনে মাজাহ,মোয়াত্তা ইমাম মালেক, মোয়াত্তা ইমাম মোহাম্মদ, ত্বহাবী শরিফ,এইরকম ১০-১২টা কিতাব একবছরে পড়াইয়া দেয়।কেমন পড়ান পড়াই ঠেলাটা তো বুঝতেই পারছেন।
.
এগারো-বার বছর পরয্যন্ত ফিকাহর কিতাব পড়াইতে পড়াইতে হাদিসের গুরুত্ব যখন মাথা থেকে উঠে যায় তখন ডাক দিয়া ১ বছরে সব হাদিসগুলো পড়িয়ে দেয়।যে পড়াই সেও বুঝেনা,আর যারে পড়াই সেও বুঝেনা।যার কারনে এদেশের মানুষগুলোর মধ্যে হাদিসের এলেম ঢুকে নাই,কুরানের এলেম ঢুকে নাই।তার পরিবরতে মাজহাব ঢুকে গেছে।ফিকাহ ঢুকে গেছে।
.
এটা যদি কারো বুঝতে অসুবিধা হই মাদ্রাসার সিলেবাসগুলো পড়েন।দেখবেন যে হাদিস কোন পর্যায়ে গিয়ে আছে।এরপরে আসেন।আকিদার বয়ানও নাই কোন কিতাবে।আকিদার কিতাব আছে একেবারে শেষে।মিশকাতের বছরে গিয়ে।তাও শরহে আকাঈদ আর আকীদাতুত তহবী নামে ছোট একটা কিতাব পড়ানো হই।এই হলো আকিদার বিষয়।যেই কারনে এই দেশের মানুষ জানত না হাদিস কি জিনিস।এদেশের মানুষ জানত না আকিদা কি জিনিস।সেই কারনে ভারতবর্ষ এর মুসনাদুল হাদিস বলা হই যাকে ইমাম শাহ ওয়ালীউল্লাহ মোহাদ্দেস দেহলভী(রহ:) তিনি সর্বপ্রথম এই উপমহাদেশ এ দিল্লীতে হাদিস নিয়ে আসেন।হাদিসের দারস শুরু করেন।ক্লাস শুরু করেন।
.
উনি যখন দেখলেন ভারতবর্ষ এর লোকেরা হাদিস অনুযায়ী সালাত পরেনা তারা রফে ইয়াদিন করেনা,উনি এগুলো করতেন, ভারতবর্ষতে এসে উনি এগুলো করলেন না।উনি যদি এগুলো করেন তাহলে উনার কথা এখন আর কেউ শুনবেন না।সেই কারনে উনি আমলগতভাবে এগুলো করেন নাই।উনাকে যখন জিজ্ঞাস করা হল হাদিসে এগুলো আছে আপনি কেন করছেন না?উনি বলছেন,আমি নিজে রফে ইয়াদিন করিনা,আমিন জোরে বলিনা,কিন্তু যারা আমিন জোরে বলে, রফে ইয়াদিন করে আমি তাদেরকে ভাল জানি যা করেনা তাদের চেয়ে।কারন সহী হাদিসগুলো তে রফে-ইয়াদিন করার কথা আছে, আমিন জোরে বলার কথা আছে কাজেই এগুলো যারা করে তারা হাদিস অনুযায়ী আমল করে আমি তাদেরকে ভাল জানি যারা করেনা তাদের চেয়ে।
.
যাই হোক,বিষয়টা এইরকম আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা এদেশে আগে তাওহীদের দাওয়াত পেশ করছি, শিরক আর বিদাতের বিরুদ্ধে দাওয়াত পেশ করছি।এদেশের মানুষ কুরান সুন্নাহর আকিদা জানেনা।এদেশের মানুষ ইসলাম কায়েমের জন্য সঠিক পদ্ধতি জানেনা।সে কারনে আমরা এই মোলিক কাজগুলো করছি।
.
অনেকেই আমাদের এই দাওয়াতকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেন।হাতেমবাগের খতিব সাহেব সহী হাদিসের কথা বলেন নিজে রফে ইয়াদিন করেনা কেন?আমি বিষয়টা আজকে সবার কাছে ক্লিয়ার করে দিলাম।হাদিসে আছে আপনারা করেন।আমরা ভিন্ন পরিবেশ থেকে এসেছি।আমরাও জানি সহী হাদিস আমল করলে করেন না করলে অসুবিধা নাই।কিন্তু এইগুলো নিয়ে যদি কেউ বাড়াবাড়ি করে -রফে ইয়াদিন না করলে কেউ কাফের হয়ে যায়, আমিন জোরে না বললে তার নামাজ বাতিল হয়ে যায়।
.
আজকেও আমাকে একজনে জিজ্ঞাসা করেছে একদল লোকে ফতোয়া দেয় নামাজের মধ্যে রফে ইয়াদিন না করলে নামাজ বাতিল হয়ে যায় এই সম্পরকে আপনার মন্তব্য কি?আমি আজকে সেজন্য এই ফতোয়া পরিস্কার করে দিচ্ছি যারা বলে নামাজে রফে ইয়াদিন না করলে নামাজ বাতিল হয়ে যায় অথবা কাফের হয়ে যায় অথবা সে বিদাতি হয়ে গেছে এই লোকগুলো পরিস্কার খাওয়ারেজ।
.
এইগুলো সম্পরকে আমার আকিদা-বিশ্বাস ইসলামের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য,মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি ছড়ানোর জন্য, মুসলমানদের মধ্যে গোমড়াহি ছড়ানোর জন্য,আকিদা নস্ট করার জন্য একটা চক্রান্ত করেছে।সেই চক্রান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য কিছু খুচরা লোক এই ফতোয়া শুরু করেছে।আমি  স্পস্ট করে বলছি এই আকিদা যারা পোষন করেন যে নামাজে রফে ইয়াদিন
.না করলে নামাজ বাতিল,আমিন জোরে না বললে সে কাফির হয়ে যায় আমি তাদেরকে তওবা করার আহবান করছি।তওবা করেন। কোন মুসলমানকে কাফের বললে সে নিজে কাফের হইয়ে যায়।
.
এইজন্য খবরদার!
তাকফীর করার ক্ষেত্রে(কাফের বলার ক্ষেত্রে) খুব সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত আবশ্যক।যাই হোক আমি গুনাহে কাবীরা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। জামায়াতের গুরুত্ব বয়ান করতে গিয়ে ইমামের গুরুত্ব আসল।কোন জায়গায় সালাত আদায় করা যাবে কোন জায়গায় যাবেনা এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।
.
যেইসমস্ত মসজিদগুলোতে ভিতরে মাঝার আছে, মসজিদের দেয়ালের বাহিরে যদি মাঝার থাকে তাহলে নামাজ পরা যাবে।তবে শরত হল ওই মাঝারের টাকা দিয়ে যদি ইমাম সাহেবকে বেতন দেয়া হয়,ওই মাঝারের টাকা দিয়ে যদি মসজিদ তৈ করা হই তাহলে নামাজ পরা যাবে না।যে মাঝারে সেজদা হই, যে মাঝারে পুজা হই যেই মাঝারে আগরবাতি মোমবাাতি দেয়া হই,যে মাঝারে পয়সা কালেকশন হই এই মাঝারের টাকা দিয়ে যদি মসজিদ তৈরি করা হই অথবা মাঝার মসজিদের ভিতরে থাকে এই মসজিদগুলোতে নামাজ পরা যাবেনা।কারন কবরস্থান আর পায়খানায় নামাজ পরা নিষেধ আছে।ওটা তো কবরস্থান,মসজিদ না।যে মমসজিদের ভিতরে কবরস্থান সেটা কবরস্থান না মসজিদ?এটা কবরস্থান।আর কবরস্থানে নামাজ পরা জায়েজ নাই।
.
কাজেই ফতোয়া খেয়াল রাখবেন।এই ফতোয়া আপনাকে আর কেউ দিবেনা।কারন এই ফতোয়া দিলে অনেকের রিজিক বন্ধ হয়ে যায়,হ্বাক কথা বললে গুলি খাওয়ার ভয় থাকে।
.
আমাকে একজনে গুলি একটা প্যাকেট করে কাগজে মোড়াইয়া তারপরে সুন্দর করে খামে ডুকাইয়া তারপরে আমার ঠিকানাই পাঠিয়ে দিয়েছে।লেখছে যে এটা নমুনা দেয়া হল।পরেরটা বাস্তবে আসবে।কোন জায়গায় হাত দিয়েছেন?কোরান হাদিসের কথা বলবেন সব বলতে যাইয়েন না। আমি পাইলে তাকে উত্তর দিতাম অথবা এখন আমি তাকে উত্তর দিচ্ছি,জানিয়ে দিচ্ছি, এইরকম ভয় দেখাইবা তোমাদের পীরদেরকে। যাদের দুনিয়াতে ১০ টা বোউ আছে।বাড়ি গাড়ি আছে। শরীর টিপতে লোক লাগে। মাথা টিপা লাগে।পা টিপা লাগে।অথবা যেই বুজুর্গদের চলতে গাড়ি লাগে।আরামদায়ক বাড়ি লাগে।ওইসমস্ত পীর-বুজুরগদেরকে এইরকম ভয় দেখাও।যারা তাদের জীবনটাকে ব্যয় করেছে ইসলামের জন্য,যাদের সবচেয়ে বড় চাহিদা,তামান্না শাহাদাহ।ইসলামের জন্য জীবন দেয়া যাদের সবচেয়ে বড় চাহিদা।তুমি তাকে কিসের ভয় দেখাচ্ছ?????তোমরা যারা ভয় দেখাও ওইটা আমরা চাই,তোমরা যেটা থেকে সাবধান করছ আমরা সেটা কামনা করছি।কাজেই, যারা আজকে ভয় দেখাচ্ছ আমি কুরান এবং হাদিসের কথা বলেই যাব সেজন্য যদি বুলেটের মাধ্যমে আমার বুক ঝাজড়া হয়ে যায় তারপরেও এক মুহুরতের জন্যও বিরত থাকব না ইনশাল্লাহ।।।।।।
.
ভাইয়েরা আমার! মনে রাখবেন,আজকে ইসলামের কথা বললে গত সপ্তাহে আমি বিভিন্ন ফেরকা সম্পরকে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন ফেরকার নাম ধরে বলেছি।যে এই দাওয়াতগুলো আল্লাহর নবীর দাওয়াতের সংগে কোন মিল নাই।আল্লাহর নবী লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিয়েছেন, সাহাবায়ে কেরাম লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিয়েছেন।সেই দাওয়াতের ধাক্কায় গোটা সমাজ আলাদা হয়ে গেছে।লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর মানে হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান চলবে না।আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম চলবে না।আইন চলবে না।আর এখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেয়।তারমধ্যে কি নাই?এইসব বিষয়ে কোন কথাই নাই।
.
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেই মসজিদে আস নামাজ পড়। ঠিক আছে ভাল কথা।কিন্তু এরপরে যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিয়ে রাস্ট্রীয়ভাবে নবীরা দ্বীন কায়েম করে গেছেন তার খবর আছে কিছু?এইজন্য মনে রাখতে হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেয়া ভাল কিন্তু সেই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতটা যেন মুহাম্মদ(সা:) এর দাওয়াতের মত হই।
.
মিশরের সাইয়্যেদ কুতুব(রহ:) কে যখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতের কারনে জেলে বন্ধী করা হল শেষ পরয্যন্ত ফাসির হুকুম হয়ে গেল।ফাসির আগের রাতে জেলখানার ইমাম সাহেব উনার সাথে সাক্ষাত করতে আসলেন। সাইয়্যেদ কুতুব(রহ:) জিজ্ঞাস করলেন আপনি কে?কেনই বা এলেন?ইমাম সাহেব বললেন আমি এই জেলখানার ইমাম। আপনি তো ফাসির আসামি।আগামীকাল আপনার ফাসি হতে যাচ্ছে। যেইসমস্ত মুসলমানদের ফাসি হই আমার দায়িত্ব হচ্ছে জেলখানার ইমাম হিসেবে ফাসির আগে তাদেরকে কালিমা পরানো। তওবা পড়ানো।
.
সাইয়্যেদ কুতুব (রহ:) প্রশ্ন করলেন আচ্ছা কি কালিমা আপনি পড়ান?
ইমাম বলল, আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মদান আব্দুহু ওয়া রসুলুহু। সাইয়্যেদ কুতুব অবাক হলেন। বললেন,আমিতো এই কালিমা বলার কারনে, এই কালিমার উপর বই লিখার কারনে, এই কালিমার দাওয়াত দেয়ার কারনে আমাকে বন্ধী করা হয়েছে, চরম নির্যাতন করা হয়েছে, আমার হাত-পা ভেংগে দেয়া হয়েছে।আমাকে ফাসিতে চড়ানো হচ্ছে।যে সরকার আমাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেয়ার কারনে ফাসি দিচ্ছে সেই সরকার তোমাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়াবার দায়িত্ব দিয়েছে। তোমাকে বেতন দিচ্ছে।
.
কাজেই বুঝা গেল,তোমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আর আমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ  এক নয়।তোমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ত্বাগুতের কাছ থেকে পয়সা নেই।আর আমার ইলাহা ইল্লাল্লাহ আমাকে ত্বাগুতের হাতে নির্যাতিত করে।তোমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তোমাকে চাকরি দেয়,আমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আমাকে ফাঁসিতে ঝুলাই।বুঝা গেল ঠিকই, বরতমানেও যারা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিচ্ছেন জেনে রাখবেন মুহাম্মদ (সা:) এর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতের কারনে লোকেরা তাকে মারতে উদ্যত হয়েছিল, ঘেরাও করেছিল হত্যা করার জন্য,বাড়ি-ঘর ত্যাগ করতে হয়েছে, কাফের মুশরিকরা বিরুধিতা করেছে।
.
আপনার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতে সমস্ত ত্বাগুত ইহুদি-নাসারা, বোদ্ধ-হিন্দুদের কোন আপত্তি নাই।আপনার জন্য সারা বিশ্বের ভিসা ফ্রি হয়ে যায়,আপনার জন্য সব জায়গায় ডুকতে দেয়া হয়, বুঝা গেল আপনাকে পাহাড়াদারি করা হই, আপনার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হই।বুঝা গেল আপনার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত আর মুহাম্মদ (সা:) এর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত এক নই।ভাইয়েরা আমার!সেজন্য মনে রাখতে হবে,আমাদের মনে রাখতে হবে। আমরা দাওয়াত দিব লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর কিন্তু সেই দাওয়াতটা যেন সত্যিকারভাবে নবী মুহাম্মদ (সা:) এর মত নবীওয়ালা দাওয়াত হই।
.
ইসলামে দল তৈরি করার সুযোগ নাই।ইসলামটাই একটা জামাহ।আমাদের পরিচয় আমরা মুসলিম। ইসলামের মধ্যে যে কেহ কোন দল তৈরি কিরল,কোন ফেরকা তৈরি করল সে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তির জন্ম দিল, মুসলমানদের মাঝে আকিদার পার্থক্য হয়ে যায়,কারন দল করলেই দলের কিছু নীতিমালা থাকে। সেই কারনেই যত রকমের দল আছে,ফেরকা আছে ইসলাম ছাড়া, মুসলিম ছাড়া কোন দল তৈরি করার সুযোগ ইসলামে নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top