সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মুজাহিদের কাছে সাংবাদিকের প্রশ্ন

1 টি মন্তব্য:

সাংবাদিক:::::যদি ইসলামি বিধি-বিধান দেশে কায়েম করতে চান তাহলে আপনারা নির্বাচন এ অংশগ্রহণ করুন।জনগণ যদি ইসলামি জীবন ব্যবস্থা না চাই তাহলে কেন আপনারা  জোরপূর্বক জনগনের উপর এই ইসলামি শাসন ব্যবস্থাকে চাপিয়ে দিচ্ছেন??
.
মুজাহিদ:::::আপনার কথার সারাংশ এই যে,জনগণ যদি চাই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে।আর জনগণ যদি না চাই তাহলে প্রতিস্টিত হবেনা।ভাই,আমি প্রথমেই বলেছি যে,আমরা গনতান্ত্রিক লোক নই।আমরা ভোট এবং নির্বাচনের মাধ্যমে রাস্ট্রক্ষমতা অরজন করতে চাইনা।এটা হচ্ছে আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থা। আর আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থাকে চাই কেউ মানুক অথবা না মানুক এটাকে বাস্তবায়ন করা হবে।আল্লাহতায়ালা বলেছেন,"আল্লাহ এবং তার রসুলের পক্ষ থেকে যখন কোন ফয়সালা হয়ে যায় তখন কোন মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীর এই অধিকার থাকেনা যে ইচ্ছা হলেই সেটাকে গ্রহন করবে ইচ্ছা হলেই সেটাকে বর্জন করবে।"
বরং বাধ্যতামূলকভাবে তাকে গ্রহন করতেই হবে।এটা আল্লাহর হুকুম।ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ। হুকুম শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালারই।যেভাবে আমাদের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে জনগনের ভোটের প্রয়োজন পরে না,রোজা রাখার ক্ষেত্রে জনগনের রায়ের প্রয়োজন হই না ঠিক তেমনিভাবে জিহাদ করার ক্ষেত্রেও,ইসলামি বিধি-বিধান তথা শরীয়াহ কায়েমের ক্ষেত্রেও জনগনের ভোটের কোনই প্রয়োজন নাই। যদি জনগনের ইচ্ছার উপরই সবকিছুকে ছেড়ে দেয়া হই তাহলে আমি আমার বুদ্ধিমান জাতির  কাছে এই প্রশ্ন করতে চাই যে,জনগন যদি রাজপথে নেমে আসে এবং এই দাবি জানাই যে,সমকামিতাকে বৈধতা দিতে হবে।অর্থাৎ পুরুষে পুরুষের সাথে বিবাহ এবং নারীর সাথে নারীর বিবাহ এটার অনুমোদন দেয়া হোক।তাহলে কি এটার অনুমোদন দিয়ে দেয়া হবে????আমার বুদ্দিমান জাতির সামনে এই প্রশ্নটি উত্তাপন করতে আমার লজ্জা হচ্ছে।আলহামদুলিল্লাহ, আমার দেশের মুসলিমরা কখনোই এই প্রশ্ন জানাবে না।পার্শ্ববরতী রাস্ট্র ভারতের সুপ্রীমকোরট থেকে অনুমোদন চলে এসেছে।এটাতো বড়ই লজ্জাজনক কথা যে আমরা জনগনের কথামত চলব।আমার জন্য যেমন আল্লাহর বিধান মানা জরুরি ঠিক তদ্রুপ আপনার জন্যও আল্লাহর বিধান মানা জরুরি।এককথায়,দেশের মুসলিম তথা সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্যও আল্লাহর বিধান মানা জরুরি।আমরা জনগনের ইচ্ছা অনুযায়ী চলব না।জনগণ থেকে ভোটও চাইব না।
.
আমরা ওইভাবেই ক্ষমতাই যেতে চাই যেভাবে রাসুলুল্লাহ(সা) মক্কা বিজয়ের পর মুশরিকিনদের থেকে ক্ষমতা অরজন করেছিলেন। তিনি জিহাদের মাধ্যমেই রাস্ট্র ক্ষমতা অরজন করেছিলেন ও শক্তির মাধ্যমেই তিনি ইসলাম প্রতিস্টা করেছিলেন।আলজাজায়ের এর মধ্যে ৯৯% ভোট পেয়ে নামধারী ইসলামি দলগুলো ক্ষমতাই এসেছিল।সেখানেও তারা ইসলামের জন্য কিছুই করতে পারেনি। কোন ইসলামি বিধানই প্রতিস্টা করতে পারেনি। মদের দোকানগুলো চালু ছিল,পতিতালয় গুলো খোলা ছিল।পর্যটনের নামে অশ্লীলতার ছয়লাব হয়েছিল।এজন্য বলি যদি কুয়োর মধ্যে ব্যাং থাকে তাহলে রাস্ট্র ক্ষমতাই এসেও কোন লাভ নেই।আমরা জানি মিশরের ইখওয়ান উল মুসলিমিন যাদেরকে ইসলামিক দল মনে করা হই তাদের সাংগঠনিক প্রধান মুহাম্মদ মুরশির তো কুরসি সিংহাসন অরজন হয়েছে কিন্তু শরীয়া প্রতিস্টিত হইনি।আর কখনো তারা এভাবে শরীয়া প্রতিস্টিত করতেও পারবে না।কারন যেভাবে তারা ক্ষমতায় আসছে এই পদ্ধতি ইসলামি পদ্ধতি নই।এটা কিভাবে সম্ভব?যে আপনার পার্লামেন্ট এ একদিকে আবু জাহেল,আবু লাহাব বসে থাকবে। আবার সেই পার্লামেন্ট এ আবু বকর,ওমরও বসে থাকবে।এটা তো বোধগম্য কথা না।আমরা আমাদের জনগনকে সম্মান করি।কিন্তু আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানের সামনে কাউকে অগ্রাধিকার দেইনা।আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে ইসলামি জীবন-ব্যবস্থা প্রতিষ্টা করতেই হবে। ইসলাম অনুযায়ী জীবন যাপন অতিবাহিত করতে হবে।এজন্য আমরা সকলে একমত হইয়েছি যে,আমরা মুসলমান আমরা আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা  করব।এজন্য সকল মুসলমানদেরও সংকল্পবদ্ধ হওয়া উচিত।
.
ভাই যে গাড়ি ডিজেল দ্বারা চলে আর সেখানে আপনি পেট্রোল ঢেলে জোর জবরদস্তি করছেন যে কেন চলছেনা?পুরা দুনিয়ার মানুষই আপনাকে আহম্মক ও নির্বোধ বলবে।ভাই আমরা মুসলমান।আমরা ইসলামি জীবন ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত জাতি।তো আমাদের আজকে কি হয়ে গেল?যে আমরা আজকে পশ্চিমাদের কাজ থেকে কিছু জীবন-ব্যবস্থা ধার করছি।আবার অন্যদের কাছ থেকে কিছু ধার নিচ্ছি।আমাদের এর কোনই প্রয়োজন নেই।আমাদের কাছে তো একটি পরিপূরন জীবন-ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে এবং সব বিষয়ে আইন-কানুন মজুদ রয়েছে এবং ১৩০০ বছর পরযন্ত দীর্ঘ কাল ধরে কারো থেকে ধার করা ব্যতিত আমরা শাসন-ব্যবস্থা পরিচালিত করেছি। সার কথা হচ্ছে,আমরা ইসলামি পদ্ধতি অনুযায়ী শাসন ক্ষমতাই অধিস্টিত হতে চাই।আমরা চাই নির্দিষ্ট কোন জীবন-ব্যবস্থার কাছে আবেদন না করতে।আর জনগনের কাছে ভোটও ভাইবনা।আল্লাহর বিধান চাই কেউ মানুক বা না মানুক আমরা এটাকে প্রতিস্টিত করবই।এই সংকল্প আপনারও করা উচিত।যেহেতু আমরা মুসলমান সেজন্য আমাদের ইসলাম অনুযায়ীই জীবন পরিচালনা  করা উচিত।এটাতো সেকুলার লোকদের চিন্তাভাবনা যে,ধরম শুধুমাত্র নামাজ-রোজার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবে।এটাতো খ্রিষ্টানদের আকীদা। ইহুদিদের আকীদা। ইনশাল্লাহ, আমাদের দ্বীনের মাঝেতো সকল বিধি-বিধান বিদ্যমান এবং এই জীবন ব্যবস্থা দিয়ে আমরা ১৩০০ বছর যাবত শাসন করেছি এবং আমাদের পূরব পুরুষরা পুরা দুনিয়ার নেতরিত্ব দিয়েছেন। বিষয়টা এমন বিষয় নই যে,আমরা কিছু গরীব, ফকির,দরবেশরা কিভাবে রাস্ট্র পরিচালনা করব??আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের পুরব পুরুষরা পুরা দুনিয়া পরিচালনা করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আমরা পরিচালনার যোগ্যতা রাখি।ইনশাল্লাহ আবারো তাই হবে,যা রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন জিহাদের মাধ্যমেই রাস্ট্রক্ষমতা দখল অত:পর শরীয়তের প্রতিস্টা। এইজন্য আমরা দেখছি যে,বিভিন্ন নামধারী ইসলামি সংগঠন ক্ষমতাই আসছে কিন্তু লাঞ্চনা অপদস্থতা ব্যতীত আর কিছুই অরজন হচ্ছে না।এগুলো দেখে দেখে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা অরজন করেছি।
.
.
আমি আপনাকে আরেকটা কথা বলি,আমরা আমাদের জীবন-ব্যবস্থাকে প্রতিস্টা করতে কেন লজ্জাবোধ করি? কাফেররা তো লজ্জাবোধ করে না!!কুফফাররাও তো নিজেরাই উলংগ থাকে। নাউজুবিল্লাহ!আমাদেরকেও বলে যে তোমরাও উলংগ হয়ে যাও।
.
তারা যে একটা কথা বার বার বলে যে,জনগন যা চাইবে তাই হবে।সবাইকে যার যার ধরম পালন করতে দেয়া উচিত।এই কথাগুলো পশ্চিমা বিশ্বে কেন কার্যকর হইনা??
ফ্রান্স এ আমাদের যেসকল মুসলিম বোনেরা বোরকা পরতে চাই তাদেরকে কেন বোরকা পরতে দেয়া হইনা।যখন আমরা আমাদের দ্বীনের উপর চলতে চাই তখন আমাদেরকে কট্টরপন্থী,মোলবাদী,উগ্রবাদী এধরনের হাজারো শব্দ দ্বারা কটাক্ষ করা হই।এটাকে আপনি কি বলবেন???????

1 টি মন্তব্য:

 
back to top