শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জামায়াত ইসলাম কি সঠিক দল ১০০%

কোন মন্তব্য নেই:

জামায়াতে ইসলামী এর আন্দোলন কে কোন কোন দিক থেকে আপনার সঠিক মনে হচ্ছেনা,,,,,????"
.
এখন আমি বলছি, জামাতের শুধু আন্দোলনকে কেন পুরো নীতিকে কেন আমরা সমর্থন করি না।
.
১) নারী নেতৃত্বের সাথে আপোষ:
.
--আবু বাকরা (রাঃ) হতে বর্ণিত- রাসুল [সাঃ] বলেছেন, সে জাতি কখনোই সফলকাম হবেনা, যারা তাদের শাসনভার কোন নারীর হাতে অর্পণ করে।
[সহীহ বুখারী, ১০ম খন্ড, ফিতনা অধ্যায় , হাদীস নং- ৬৬১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত]
.
--আমি বলবো না যে, নারী শাসক হওয়া হারাম বা নিষেধ। কারণ, এখানে হারাম বা নিষেধ শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু এই শাসক দ্বারা যে উক্ত শাসিত জাতি ইহকালেও উন্নতি করতে পারবে না, সেটা কিন্তু স্পষ্ট। আর যার ভিতরে কোন কল্যাণ নেই, তার থেকে দূরে থাকাই মুসলিমদের জন্য ভালো। যেমন: পবিত্র কোরআনে রহমান আল্লাহ্‌ উল্লেখ করেছেন যে, "তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়" - [২-২১৯]।
মদের মধ্যে উপকারিতা আছে, কিন্তু তবুও সেটা হারাম, কারণ, এর মধ্যে আছে মহাপাপ। তেমনি, নারী নেতৃত্ব বা শাসক হারাম না, কিন্তু এর মধ্যে আছে মহা অকল্যাণ। আর যারা কোন নারী'কে শাসক হতে সাহায্য করে, হোক তারা সাধারন জনগণ, অথবা কোন ইসলামী দল, তারা অবশ্যই উক্ত জাতির অকল্যাণই কামনা করছে।
.
২) কাফরদের সাথে বন্ধুত্ব ।
-- কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করা , অন্তরঙ্গ হওয়া , তাদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়ার আশা করা ইত্যাদি ব্যাপারে 'রহমান আল্লাহ্‌' কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেছেন । যেমন ...
.
" হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না , তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক , তাতেই তাদের আনন্দ । শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয় । আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে , তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য । তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো , যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও " - [আল-ইমরান-১১৮]
.
"সেসব মুনাফেককে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব । যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য । - [আন-নিসা-১৩৮,১৩৯]
.
" হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে । তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে ? " - [আন-নিসা-১৪৪]
.
" হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না । তারা একে অপরের বন্ধু । তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত । আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না " - [আল-মায়েদাহ-৫১]
.
-- আরও অনেক দলিল দেয়া যায় , কাফের'দের সাথে বন্ধুত্ব করা , অন্তরঙ্গ হওয়া , তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করার ব্যাপারে নিষেধের উপরে।কিন্তু আমরা দেখতে পাই , ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে বা ইসলাম শব্দ দলের সাথে জুড়ে দিয়ে কিছু দল কাফেরদের সাথেই সবচেয়ে বেশী আতাত করছে । আমেরিকা , ইউরোপ , ভারত , চিন , রাশিয়ার সু-নজর পাবার জন্য তারা সর্বসময় ব্যাতিব্যস্ত রয়েছে । আর এর এক মাত্র কারন ক্ষমতায় যাওয়া । অথচ ক্ষমতা দেবার মালিক একমাত্র আল্লাহ্‌ । দেখুন 'রহমান আল্লাহ্‌' সে কথা স্পষ্ট ভাবে কোরআনে বলে দিয়েছেন ...
.
" বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী । তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর । তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ । নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল " - [আল-ইমরান-২৬]
.
এই আয়াত দ্বারা তো স্পষ্ট হয়ে যায় ... ক্ষমতা দেয়া বা রাজ্য দেয়া বা শাসক করে দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্‌'র । কিন্তু কিছু দল আল্লাহ্‌'র যায়গায় কাফেরদের সেই ক্ষমতার মালিক ভেবে নিয়েছে । তাদের গ্রিনসিগন্যালের আশায় অপেক্ষা করছে । অথচ এরা যদি আল্লাহ্‌'র দেয়া পন্থায় চেষ্টা করতো , তবে 'রহমান আল্লাহ্‌' চাইলে অবশ্যই তাদের'কে শাসক বানিয়ে দিতে
.
৩) কাফেরদের নির্বাচনী বিজয়ে শুভেচ্ছা ।
-- এটা একটা গর্হিত গুনাহ এবং অজ্ঞতার কাজ । যেখানে রাসুল [সাঃ] নিজেই বলছেন ... " আমি কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যই আদিষ্ট হয়েছি , যে পর্যন্ত না তারা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলে - [সুত্র- সুরা আনফাল , আয়াত ৩৮,৩৯,৪০, তাফসির ইবনে কাসীর] । সেখানে সেই তাদের বিজয় বা ক্ষমতার আসনে বসা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো কোন মুমিনের কাজ হতে পারে না । যেখানে রাসুল [সাঃ] তার সাহাবী [রাঃ] সহ পূর্বের অনেক নবীদের বিরুদ্ধে পর্যন্ত এই ইহুদী , কাফের , মুশরেক যুদ্ধ করেছে , এক আল্লাহ্‌'র হুকুম অমান্য করেছে এবং এখনও সেটাই করে যাচ্ছে । মুসলিম নারী , শিশু , বয়-বৃদ্ধ কাউকে ছার দিচ্ছে না । শুধু মাত্র মুসলিম হত্যা করার জন্য , শুধু মাত্র শরিয়ার বিরোধিতা করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে টনে টনে বোমা মেরে মুসলিম হত্যা করছে , সেখানে সেই তাদের বিজয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের কর্মের সমর্থন দেয়া মানে , আপনি প্রকাশ্য মুনাফেক । আর কোন মুনাফেক দিয়ে শরিয়া কায়েম হবে , এটা আমরা কস্মিনকালেও বিশ্বাস করি না।
.
৪) কুফরি আইনের আওতায় তাগুদের সাথে জোট করে ক্ষমতায় যাওয়া ।
-- তারা হেকমতের নামে কোরআনের হুকুম'কেই পরিবর্তন করে দিচ্ছে বা অমান্য করা শুরু করে দিয়েছে । তারা অতীতে মানব রচিত আইনের মাধ্যেম ক্ষমতায় গিয়েছিল , কোন এক নারীর নেতৃত্বে । তারা মানব রচিত আইন দিয়েই তখন শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করেছিল । অথচ কোন মানব গোষ্ঠীর ক্ষমতা নেই , নিজেই নিজের জীবন বিধান রচনা করা , সেটা মেনে চলা । 'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
.
" শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা [সৃষ্টি যার , বিধান তার] " - [আল আ’রাফ-৫৪]
.
" আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই " - [ইউসূফ-৪০]
.
অথচ তারা সেই কাজটাই করেছে । তারা নিজেরাই নিজেদের জীবন বিধান রচনা করছে এবং সেটা নিজেরা মানার পাশাপাশি নিরস্ত্র নিরীহ মুসলিমের উপরে সেটা চাপিয়ে দিচ্ছে , মানতে বাধ্য করছে । তারা খুব চাতুরতার সহিত সেটা করেছে । ময়লা আবর্জনার মধ্যে দাড়িয়ে নিজেকে পবিত্র বলা আর মানব রচিত আইনে শাসন কার্যপরিচালনা করে নিজেদের দুর্নীতি মুক্ত ঘোষণা করা একই কথা । তারা নিজেদের সৎ বলে প্রচার করছে , অথচ তারা বসেই ছিল ময়লা আবর্জনার মধ্যে তথা মানব রচিত আইনের মধ্যে । 'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
.
" নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না । আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব " - [আল বাক্বারাহ-১৭৪]
.
"হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে বলেঃ আমরা মুসলমান, অথচ তাদের অন্তর মুসলমান নয় " - [আল মায়েদাহ-৪১]
.
আজকাল কিছু মোল্লা বের হইছে , তারা সুবিধাবাদী বয়ান করে মিম্বরে দাড়িয়ে । কিছু লুকায় , কিছু প্রকাশ করে এক দিকে স্রস্টা'কেও [আল্লাহ্‌] খুশী রাখতে চায় , আবার অন্য দিকে সৃষ্টি'কেও [মানব] খুশী রাখতে চায় । তারা দুনিয়ার ক্ষমতার লোভে , ক্ষমতার স্বার্থে , অর্থের স্বার্থে নিজেদের পেটে আগুন ঢুকাচ্ছে । শরিয়ার কোন বিষয় গোপন করলে , বিচারের দ্বীন আল্লাহ্‌ তাদের সাথে কথাই বলবেন না । অথচ এরা , শুধু গোপন নয় , বরং বিপরীত বিধানই রচনা করে নিয়েছে । এদের ব্যাপারে আল্লাহ্‌'ই উত্তম ফয়সালা করবেন , ইনশা'আল্লাহ । যারা ক্ষমতা পেয়েও আল্লাহ্‌'র দেয়া বিধান দিয়ে ফয়সালা করে না , তাদের উদ্দেশ্যে 'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
.
" যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের " - [আল মায়েদাহ-৪৪]
.
" যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম " - [আল মায়েদাহ-৪৫]
.
" যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী " - [আল মায়েদাহ-৪৭]
.
৫) তাগুদের সাথে জোট করে ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করা ।
-- তারা অতীতের গর্হিত কাজ আবারও করার চেষ্টা করছে ... তারা এখনও সেই মানব রচিত আইনেই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করছে । আর সেটাও মানব তৈরি পদ্ধতিতে । 'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
.
" বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন । আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু " - [আল-ইমরান-৩১]
.
" বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না " - [আল-ইমরান-৩২]
.
" যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে " - [আল-আহযাব-২১]
.
-- যারা রাসুল [সাঃ] এর পথ অবলম্বন করে না বরং বিমুখতা অবলম্বন করে , তাদের'কে আল্লাহ্‌ কাফের বলেছেন । আমি ঐ দল'কে কাফের দল বলবো না । কারন , তারা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' উচ্চারন করে । কিন্তু তাদের কর্ম ? তারা মুখে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলে কর্ম করছে কাফেরদের পন্থায় । অথচ 'রহমান আল্লাহ্‌' বার বার বলেছেন ... রাসুল [সাঃ] মধ্যেই আছে উত্তম আদর্শ , রাসুল [সাঃ] এর দেখানো পথ , পন্থা , পদ্ধতিতে জীবন যাপন করো । সেটা পারিবারিক , সামাজিক অথবা রাষ্ট্রীয় জীবন ব্যবস্থা পর্যন্ত । কিন্তু সেটা তারা না করে , সেই পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম চালাচ্ছে । যেই পদ্ধতি কাফের রাষ্ট্রে চলছে , সেই পদ্ধতি এরাও এখানে চালাচ্ছে বা সেই পদ্ধতিতেই চেষ্টা করছে । অথচ কাফেরদের বিপরীত করার হুকুমই আমাদের দেয়া হয়েছে ।
.
তাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই ... তাগুদ , জালেম হাসিনাকে  হটাবার জন্য আপনারা আরেক তাগুদের সাথে জোট বেধে , তাকে কেন ক্ষমতায় বসাতে চাইছেন ? এরা উভয়েই তো মানব রচিত আইনেই দেশ পরিচালনা করবে । তাহলে এদের উভয়ের মধ্যে তফাৎ কি ? এছাড়া আজকে যে হাসিনাকে আপনারা শত্রু মনে করছেন , এই হাসিনাই একদিন আপনাদের বন্ধু ছিল । আর বর্তমান জোটের নেত্রি ছিল শত্রু । আজ পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে বলে , হাসিনা হয়ে গেছে শত্রু আর খালেদা হয়ে গেছে বন্ধু । আগামীকাল যে আপনারা আবারও শত্রু পরিবর্তন করবেন না । সেটার গ্যারান্টি কে দিবে ? এর মানে আপনারা ক্ষমতার লোভে ইসলাম'কে ব্যবহার করছেন । ইসলামের জন্য ইসলাম'কে ব্যবহার করছেন না । আপনারা ঘুরে ফিরে সেই মানব রচিত আইন কায়েমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন । আপনারা সেই জাহিলদের সাহায্য করছেন , যারা আল্লাহ্‌র আইনের বিপরীতে নিজেরা আইন লিখে নিয়েছে ।  আর আপনাদের উদ্দেশ্য করে 'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
.
" তারা কি জাহেলিয়াত আমলের ফয়সালা কামনা করে ? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম ফয়সালাকারী কে ? " - [আল মায়েদাহ-৫০]
.
৬) শিরকে শুভেচ্ছা ।
-- এর চাইতে নিকৃষ্ট কাজ আর কি হতে পারে ? যারা আল্লাহ্‌'র সাথে শিরক করে , সেই তাদের'কে তাদের ঐ শিরকি কাজের জন্য অভিনন্দ জানানো , শুভেচ্ছা জানানো ' কি পরিমান মূর্খতা সেটা হয়তো তারা ধারনাও করতে পারছে না । আপনি কি একজন চোর'কে চুরির জন্য শুভেচ্ছা জানাবেন ? আপনি কি একজন ব্যাভিচারি'কে তার ব্যাভিচারের জন্য শুভেচ্ছা জানাবেন ? যদি জানান , তবে আপনি ঐ চুরিকে সমর্থন দিলেন । আপনি ঐ ব্যাভিচার'কে সমর্থন দিলেন । তবে আপনি কিভাবে একজন মুসলিম হয়ে , এক আল্লাহ্‌ বলে স্বীকার করে , ঐ মুশরেকদের শিরকি কাজে সমর্থন দিচ্ছেন ? তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ? এর মানে আল্লাহ্‌'র সাথে শিরক করার ব্যাপারে আপনার কোন দ্বিমত নেই । অন্যেরা শিরক করলে আপনি সেখানে বিরোধিতা না করে বরং শুভেচ্ছা দিবেন ? এই আপনার ইসলাম ? এই আপনার মুসলিম পরিচয় ? 'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
.
" অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে " - [ইউসূফ-১০৬]
.
তারা হচ্ছে সেই অধিকাংশের অন্তর্ভুক্ত । যারা শিরকের কাজে উৎসাহ দেয় , যদিও তারা মুসলিম হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয় ।
.
৭) মদিনা সনদ ও হুদাইবার সন্ধির ভুল ব্যাখা ।
-- তাগুদের সাথে , মানব রচিত আইনের ধারক বাহকদের সাথে জোট করার ব্যাপারে যখনই তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় , তখন তারা মদিনা সনদ ও হুদাইবার সন্ধি খানা সামনে তুলে ধরে বলে , দেখুন ... ইসলামের স্বার্থে রাসুল [সাঃ] ইহুদী'দের সাথে মুশরেকদের সাথে সন্ধি করেছিলেন । তাদের এই যুক্তি যে যুক্তিহীন সেটা তারা উপলব্ধি করতে পারে না । মদিনা সনদের এক ধারায় আছে ... যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে , কেউ কারো ধর্মের ব্যাপারে বাধা প্রদান করবে না ।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ... রাসুল [সাঃ] ইহুদীদের সাথে চুক্তি করে কিন্তু ইহুদীদের ধর্ম পালন করা শুরু করে দেননি । আর না তাদের কোন রীতিনীতি পালন করেছেন । বরং উভয়েই আলাদা আলাদা অবস্থানে যার যার ধর্ম পালন করছেন । ঐ সন্ধির পরেও রাসুল [সাঃ] সেই ওহির পথেই হেঁটেছেন । ইহুদীদের অনেক ভালো পন্থা থাকলেও রাসুল [সাঃ] সেটা না গ্রহন করেছেন আর না নিজে পালন করেছেন । কিন্তু আপনারা ? আপনারা তাগুদের সাথে জোট করে আপনারা নিজেরাই তাগুদ বনে গেছেন । আপনারাই অতীতে মানব রচিত আইনে ক্ষমতায় ছিলেন । আপনারা আবারও সেই আইনে ক্ষমতায় যেতে চাইছেন । আপনাদের আন্দোলন , আপনাদের রাজনৈতিক কর্মসূচী সহ সব কিছু হচ্ছে মানব রচিত পন্থায় । তাহলে আপনাদের সাথে মদিনা সনদের ঐ ধারার সাথে কিভাবে মিল খুজে পান ?
.
এছাড়া ... হুদাইবার সন্ধি তৎকালীন সময়ের হিসেবে একটা পররাষ্ট্র চুক্তি হিসেবে গুরুত্ব পায় । কারন , তখন মক্কা ছিল মুশরেকদের শাসনের আওতায় । আর রাসুল [সাঃ] ছিলেন মদিনার নেতা বা শাসক । উক্ত ২ ভুমিরে মুসলিম এবং মুশরেক শাসকদের মধ্যে একটা নিরাপত্তা চুক্তি বা শান্তি চুক্তি করা হয় ।
.
কিন্তু আপনারা আর ঐ তাগুদের মাঝে কোন সীমানা প্রাচির তৈরি হয়েছে যে ... আপনারা পররাষ্ট্র চুক্তির দোহাই দিয়ে তাদের সাথে সন্ধি করে জোট বদ্ধ হলেন । নাকি আপনারা এক দেশে আছেন আর খালেদা আরেক দেশে ? আর আপনারা ২ দল মিলে হাসিনার দেশ দখল করতে চাইছেন ?
.
৮) হরতাল/অবরোধ ।
-- প্রথমত হরতাল বলতে কোন শব্দ ইসলামে নেই । হ্যা ... অবরোধ আছে , তবে সেটা অবশ্যই যুদ্ধের ময়দানে , যুদ্ধের কৌশল হিসেবে। কিন্তু তারা কি যুদ্ধ করছে ? না , বরং তারা নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে । ঐ মানব রচিত আইনে নির্বাচন করে , ঐ মানব রচিত আইনে ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করছে । আর এই হরতাল , অবরোধ সেই কারনে দিচ্ছে । না এখানে তাগুদের কোন ক্ষতি হচ্ছে আর না ইসলামের উপকার হচ্ছে । বরং ক্ষতি হচ্ছে সাধারন মুসলিমের । আর সাধারন মুসলিমের জান মালের ক্ষতি করার অনুমতি ইসলাম দেয় না , একমাত্র যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া আর সেটাও শর্ত সাপেক্ষ ।
.
রাসুল [সাঃ] বলেছেন ... তোমরা রাস্তায় বস না । সাহাবী'রা [রাঃ] বললো ... রাস্তায় না বসে উপায় নেই । আমরা রাস্তায় বসে গল্প গুজব করি । রাসুল [সাঃ] বললেন ... যদি তোমরা রাস্তায় বসতেই চাও তো , রাস্তার হক আদায় করো । সাহাবী'রা [রাঃ] জিজ্ঞেস করলো ... রাস্তার হক কি ? রাসুল [সা:] বললেন ... দৃষ্টি নত রাখা , কাউকে কষ্ট না দেয়া , সালামের উত্তর দেয়া , সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা । [বুখারি]
.
অথচ এরা রাস্তায় এসে সাধারন মানুষের গাড়ি'তে আগুন দেয় মানব রচিত আইনে ক্ষমতায় যাবার কারনে । সৎ কাজের আদেশ দিবে দূরের কথা উলটো তারাই অসৎ কাজ করে বেড়ায় রাস্তায় এসে । মানব রচিত আইনের জন্য শরিয়ায় হুকুম অমান্য করে ... এই সব গাড়ি ভাঙ্গা , আগুন দেয়া , রাস্তা অবরোধ করে রাখার অনুমতি নেই , বরং এটা গুনাহের কাজ । শরিয়ার স্বার্থে করা যায় , যদি সেটা যুদ্ধের ভুমি হয় [শর্ত সাপেক্ষ] ।
.
৯) জ্বিহাদ না করে মক্কা জিন্দেগী উদযাপন করা ।
-- তাদের যখনই বলা হয় , আপনারা জ্বিহাদের ডাক দিচ্ছেন না কেন ? জ্বিহাদ করছেন না কেন ? তখন সর্ব প্রথম যে মাথা মোটা টাইপের কথা শুনা যায় , সেটা হচ্ছে ... আমরা না হয় না করছি , কিন্তু আপনারা কেন করছেন না ? এই উত্তরের মানে দাড়ায় ... আমি বা আমরা হচ্ছি তাদের পথপ্রদর্শক । আমরা করলে তারাও করবে , আমরা না করলে তারাও করবে না । এতে আমরা জ্বিহাদ না করার কারনে গুনাহগার হয়ে জাহান্নামে গেলে , তারাও জাহান্নামে যেতে রাজি আছে আমাদের পিছনে পিছনে । কি রকম অবাক করা মন্তব্য করে তারা ।
.
এছাড়া ... মক্কা জিন্দেগী তো আছেই । আমার জানতে ইচ্ছে করে ... মক্কা জিন্দেগী , মদিনা জিন্দেগী গুলো কে আলাদা করলো ? শরিয়া কি এখন পরিপূর্ণ না ? নাকি কোরআন অথবা হাদিসের কোথাও উল্লেখ আছে ... এই সময়ে মক্কা জিন্দেগীর আমল করবে আর ঐ সময়ে মদিনা জিন্দেগীর আমল করবে  । আচ্ছা , যুক্তির খাতিরে ধরেই নিলাম তারা মক্কা জিন্দেগীতে আছে । তো সুমাইয়া [রাঃআনহা] কি কারনে শহীদ হলেন ? বেলাল [রাঃ] কে কেন তপ্ত বালির উপরে বুকে পাথর চাপা সহ্য করতে হল ? যেহেতু তখন জ্বিহাদের হুকুম আসেনি , তাই তারাও আপনাদের মত হেকমতের উপরে নির্ভর করে 'আহাদ' 'আহাদ' না বলে বরং বলতো ... আপাতত মার খাওয়া থেকে বাচার জন্য আমরা মুশরেকদের প্রতিমা গুলোকে মেনে নেই , যেহেতু মুশরেকদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ করার শক্তি নেই । পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে না হয় আমরাও এরশাদ পলটি মারবো । তারা কি কেউ এমন কিছু করেছে ? নাকি তারা শত অত্যাচার সহ্য করেও শরিয়া থেকে এক চুল বিচ্যুত হয়নি  । তাহলে আপনারা কোন হেকমতের দোহাই দিয়ে মক্কা জীবনে চলে গেলেন আর তাগুদের সাথে মিশে কুফরি মেনে নিলেন এবং সেটা পালন করা শুরু করলেন ? 'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
.
" তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয় । পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর । আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর । বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না " - [আল বাক্বারাহ-২১৬]
.
এখানে না আছে মক্কা জিন্দেগীর কথা আর না আছে মদিনা জিন্দেগীর কথা । বরং আল্লাহ্‌ স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন ... যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে । যেমন দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ , রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে । কেউ নামাজ অথবা রোজা পালন না করার জন্য যদি অপদার্থের মত যুক্তি দেয় , তবে কি আপনি সেই যুক্তি মেনে নিবেন ? তাহলে , ফরয হওয়া জ্বিহাদ'কে কেন অপদার্থের মত যুক্তি দিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে । বরং শুধু মাত্র মৌখিক যুক্তি দিয়ে তারা এই আয়াত'টাকেই অস্বীকার করে ফেলছে । এদের কর্ম দেখে 'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
.
" আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয় " - [আল বাক্বারাহ-১৯৩]
.
খেয়াল করুন এখানে ... আল্লাহ্‌ এখানে লড়াই করতে বলছে দ্বীন কায়েমের জন্য , নির্বাচন না । অথচ তারা এই আয়াতের একেবারে উলটো কাজটা করছে । তারা অস্ত্রের যুদ্ধ'কে ভোট যুদ্ধ বানিয়ে নিয়েছে । অথচ কাফের'রা ঠিকই মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্রের ব্যবহার করছে ।
.
বদরের যুদ্ধে তো মাত্র ৩১৩ জন্য লড়াই করেছে প্রায় ১,০০০ মুশরেকের বিরুদ্ধে , আর আল্লাহ্‌ মুমিনদের বিজয় দান করেছেন । তাহলে আপনারা কেন করছেন না । এমন প্রশ্ন করার পরে উত্তর যা পেয়েছি , সেটা আরও অবাক করার মত । তারা বলে ... আপনারা তো জ্বিহাদের দাওয়াত প্রচার করছেন , তো আপনারা কি এখনও ৩১৩ জন হননি ? নাকি কম্বলের তলে বসেই জ্বিহাদ জ্বিহাদ করবেন সারা জীবন ? যারা জ্বিহাদের দাওয়াত প্রচার করে , তাদের এরা কম্বলি বলে ব্যঙ্গ করে ।
.
তাদের এই কথার জবাব আমি দিবো না , দিবেন আল্লাহ্‌ । 'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
.
"হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য । তোমাদের মধ্যে যদি ২০ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে ২০০'শ এর মোকাবেলায় । আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে ১০০ লোক, তবে জয়ী হবে ১,০০০ কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন " - [আল-আনফাল -৬৫]
.
"এখন বোঝা হালকা করে দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর এবং তিনি জেনে নিয়েছেন যে, তোমাদের মধ্য দূর্বলতা রয়েছে । কাজেই তোমাদের মধ্যে যদি দৃঢ়চিত্ত ১০০ লোক বিদ্যমান থাকে, তবে জয়ী হবে ২০০'শ এর উপর । আর যদি তোমরা ১,০০০ হও তবে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী জয়ী হবে ২,০০০ এর উপর আর আল্লাহ রয়েছেন দৃঢ়চিত্ত লোকদের সাথে " - [আল-আনফাল -৬৬]
.
" হে নবী, আপনার জন্য এবং যেসব মুসলমান আপনার সাথে রয়েছে তাদের সবার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট " - [আল-আনফাল -৬৪]
.
এখন আমরা ৩১৩ জন হলে , বিজয় পাবো ১,০০০ উপরে ইনশা'আল্লাহ । কিন্তু তাগুদের বাহিনী কি ১,০০০ এখন ? নাকি লাখের উপরে ? তাহলে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কতজন মুমিনের দরকার ? হ্যা , এই লোকবল আছে ঐ ব্যঙ্গকারীদের দলে । তাদের দলের কর্মী বাহিনী লাখের উপরে । তারা ১ লক্ষ কর্মী জ্বিহাদে নামলে বিজয় পাবে ২ লক্ষের উপরে । তাদের ২ লক্ষ কর্মী জ্বিহাদে নামলে বিজয় পাবে ৪ লক্ষের উপরে ইনশা'আল্লাহ । কারন , আল্লাহ্‌ নিজেই বলে দিয়েছেন ... মুসলিমের সাথে আল্লাহ্‌ আছেন , এবং আল্লাহ্‌'ই যথেষ্ট শত্রু বিরুদ্ধে বিজয়ী হবার জন্য । তাহলে এখন কারা সামর্থ্য থাকতেও জ্বিহাদ না করে বসে আছে ? আমরা , নাকি যাদের পর্যাপ্ত কর্মী বাহিনী আছে তারা ?
.
এছাড়াও কেউ কেউ এই আয়াত দিয়ে বলেন ...
.
" মুমিনগণ! তোমরা যা কর না, তা কেন বল ? তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক " - [আছ-ছফ - ২,৩]
.
এই আয়াত দেখে আমাদের অনেক ভাই চুপ হয়ে যায় । ভাবে , হায়! আমি তো জ্বিহাদ করি না , তাহলে আমি জ্বিহাদের কথা লিখি কেন ? এর মানে আমি গুনাহের কাজ করছি।
.
যেই সব ভাই ঐ রকম ভাবেন , তাদের ভুল ভাঙ্গাবার জন্য বলি ... আপনি কি কখনো লিখেছেন ... আপনি জ্বিহাদ করছেন ? এই আমি কি কখনো লিখিছি ... আমি জ্বিহাদ করছি ? না ... বরং আমরা জ্বিহাদের জন্য ঘুমিয়ে থাকা মুসলিম'কে জাগ্রত করছি , জ্বিহাদ যে আমাদের উপরে ফরয , জ্বিহাদ যে মুসলিমদের হারানো সম্মান ফিরিয়ে দেবে সেই সচেতনতা তৈরি করছি । আমি যেমন এখনও জ্বিহাদ করিনি , তেমনি এখন পর্যন্ত আমি কোথাও লিখিনি বা বলিনি যে ... আমি জ্বিহাদ করছি । দাওয়াত আর জ্বিহাদ ২ টা আলাদা বিষয় । আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী জ্বিহাদের দাওয়াত দিচ্ছি । আহ্বান করছি সামর্থ্যবান'দের এগিয়ে আসার জন্য । কুফরি ত্যাগ করে আল্লাহ্‌'র বিধান শক্ত ভাবে আঁকড়ে ধরার জন্য । রাসুলের তরিকায় শরিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য । তাই , আমাদের কর্মের সাথে উপরের ঐ আয়াতের কোন মিল নেই অথবা আমরা ঐ আয়াতের বরখেলাপ বা অসম্মান করছি না ।
.
জ্বিহাদে না আসার জন্য অনেক বাহানার মধ্যে অন্যতম বাহানা হচ্ছে ... কাফের'রা আমাদের উপরে আক্রমন করবে । আমেরিকা , ইউরোপ , রাশিয়া , চিন , ভারত আমাদের উপরে বোমা মারবে । দেশটা কি আফগান , পাকিস্তান বানাতে চান ... ইত্যাদি । তাদের এই ভয়ের উদ্দেশ্যে 'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
.
" অতঃপর যখন তাদের প্রতি জ্বিহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে । এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয় । আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না । ( হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত । আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম । আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না " - [আন নিসা-৭৭]
.
আপনাদের আমি আবারও আহ্বান করি , আপনারা বেড়িয়ে আসুন জ্বিহাদের জন্য । মুসলিম উম্মাহ'কে আহ্বান করুন জ্বিহাদে যোগ দানের জন্য । ভয় করুন এবং ভরসা করুন একমাত্র আল্লাহ্‌'কে । নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ আমাদের নিরাস করবেন না । 
.
এছাড়া আপনাদের যদি শরিয়া কায়েমের নিয়ত থাকে , আপনাদের যদি জ্বিহাদ করার নিয়ত থাকে , তো আপনাদের উচিত ছিল শক্তি অর্জন করা , অস্ত্র সংগ্রহ করা । কোই , এমন কিছু কি আপনারা করছেন ? আপনাদের দল গঠন করা হয়েছে আজ ৭৪ বছর হতে চললো । বাংলাদেশে আপনারা ৪৪ বছর ধরে রাজনীতি করছেন । এর মধ্যে তো দেখলাম না আপনাদের জ্বিহাদের প্রস্তুতি । আরে না না ... এই গুলো করলে আপনাদের নাম আমেরিকার জঙ্গি লিস্টে চলে আসবে , এইটা তো হতে দেয়া যাবে না । আল্লাহ্‌ রাগ করুক , কিন্তু আমেরিকা যাতে আপনাদের উপরে রাগ না করে ... এটাই তো আপনাদের নীতি , তাই না ?
.
১০) দাড়ি ।
'রহমান আল্লাহ্‌' বলেন ...
" আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয় " - [আল-ইমরান-১৩২]
.
সেই আনুগত্য কিভাবে করতে হবে ? দুনিয়াতে কেবল একজন মানুষ আছে , যার আনুগত্য আমরা অন্ধ ভাবে করতে পারি । আর তিনি হচ্ছেন রাসুল [সাঃ] । আর আল্লাহ্‌ বলছেন ... রাসুলের আনুগত্য করতে , অনুসরন করতে , আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে । রাসুল [সাঃ] অনুসরন , আদেশ-নিষেধ মানা মানেই আল্লাহ্‌ আদেশ-নিষেধ মেনে চলা । কারন ... মা আয়শা [রাঃআনহা] কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ... রাসুল [সাঃ] চরিত্র কেমন ছিল । তখন মা আয়শা [রাঃআনহা] উত্তর দিয়েছিলন ... কোরআন হচ্ছে রাসুল [সাঃ] এর চরিত্র বা জীবন যাপনের বিধান।
.
এখন , দাড়ি রাখার ব্যাপারে রাসুল [সাঃ] নিষেধ নেই , বরং আদেশ আছে । ইবনে উমর [রাঃ] বলেন , রাসুল [সাঃ] বলেছেন ... তোমরা ইহুদী , মুশরেকদের বিরোধিতা করো । দাড়ি লম্বা করো বা ছেড়ে দাও , আর গোঁফ ছোট করো । [বুখারি, মুসলিম]
.
এখন আনুগত্য বা অনুসরন যখন করবো ,তখন প্রতিটি ক্ষেত্রেই করতে হবে । কারন , রাসুল [সাঃ] নবুয়ত্য পাবার পরে নিজ থেকে কিছুই করেন'নি , বলেননি । তাই , দাড়ি রাখার ব্যাপারে যে হুকুম দিয়েছেন , এটা পরোক্ষ ভাবে আল্লাহ্‌'র সমর্থনের হুকুম বলে মানতে পারি । কিন্তু আমাদের শিবিরের ভাই সাহেব'দের দাড়ি দেখলে বুঝাই যায় না , ওনার গালে দাড়ি আছে কি নাই । অনেকের মুখে তো দাড়িই নাই । এই তো গতকাল কোন এক ভাই একজনের ছবি শেয়ার করে বললো ... উনি অসুস্থ , ওনার জন্য দোয়া করেন । তার পদবি দিলো , তিনি তথাকথিত একটা ইসলামী দলের থানা পর্যায়ের [সঠিক মনে নেই] কর্মী বা নেতা । তো ঐ দোয়ার আহ্বান দেখে আমি সেখানে বললাম ... উনি কি মুসলিম ? আমার এই প্রশ্ন করার কারন হচ্ছে ... তাকে দেখা বুঝার উপায় নেই , সে মুসলিম কিনা । কোন মুশরেকের চেহারা আর তার চেহারার মাঝে কোন তফাৎ নেই । দাড়ি বিহীন একজন ইসলামী নেতা উনি । আর এই কারনেই আমি প্রশ্ন করলাম উনি মুসলিম কিনা । কারন , উনি মুশরেকও হতে পারে , আর আমি কোন মুশরেকের জন্য দোয়া করতে পারি না । শুধু ইসলামী দলের কর্মী হলেই যে মুসলিম হয়ে যাবে এইটা আমি মানি না । কারন ... মুসলিম হয় নিজের আমলের উপরে নির্ভর করে , ইসলামী দলের কর্মী হিসেবে না । তেমনি ... শিবিরের ভাইদের দাড়ির আমল দেখলেই বুঝা যায় , তারা আসলে প্রকৃত পক্ষে কতটুকু ইসলামের অনুসরন করে । যদিও এই ব্যাপারে তারা এখনও অনেক উদাসীন।
.
১১) মিথ্যা প্রচার ।
-- রাসুল [সাঃ] বলেন ... একজন মানুষ মিথ্যাবাদী হবার জন্য এই টুকুই যথেষ্ট যে ... সে যা শুনে তাই প্রচার করে ।
.
ঠিক এমনি ভাবে এরা চাঁদের গায়ে আল্লামা সাঈদি সাহেব'কে দেখার মত মিথ্যাটাকে এমন ভাবে প্রচার করেছিল , যেন এটাই সত্য । তাদের ওহি নাজিলের স্থান [নাউজুবিল্লাহ[ বাঁশের কেল্লা পেজ এটা ফলাও করে প্রচার করে । জিন্দা পীর বাঁশের কেল্লা সাহেব এইটা বলছে , এইটা কি মিথ্যা হতে পারে ... ব্যস , আর কে কাকে রুখে দাড়ায় । পুরো অনলাইন তো ছরিয়ে দেয়ই এই মিথ্যা , সেটা এক সময় জাতিয় পর্যায়ে পর্যন্ত আলোচিত হয় । যারা এই মিথ্যাটা প্রচার করলো , তারা নাকি ইসলামী দলের কর্মী । অথচ তারা এ সংবাদ'টা যাচাই বাছাই করার চিন্তা করলো না । জাতিয় পর্যায়ের মিথ্যা যারা বলে , তারা আবার নিজেদের ইসলামী দল হিসেবে পরিচয় দেয় কিভাবে ? তারা তো মিথ্যাবাদী । তারা যা শুনে , তাই প্রচার করে অন্ধের মত । আর আমরা জানি , সকল পাপের শুরু হয় মিথ্যা দিয়েই । 
.
১২) অন্ধ আনুগত্য ।
-- এদের অন্ধ আনুগত্য দেখে আমি অবাক না হয়ে পারি না । এদের কেন্দ্রীয় নেতারা একের পর এক ইসলাম বিরোধী সিদ্ধান নিচ্ছে , অথচ এদের কোন রকম প্রতিবাদ নেই । বরং কেউ কিছু বললে , এরা উলটো তাকে চেপে ধরতে চায় । আমিরুল মুমিনিন ওমর [রাঃ] গায়ে অতিরিক্ত কাপড় দিয়ে জামা দেখে এক ব্যেক্তি যখন প্রতিবাদের এক সময় বলেই দিলো যে ... আপনি যদি এমন করতেন তবে আমার এই তলোয়ার দিয়ে আপনার গর্দান উড়িয়ে দিতাম । সেখানে , এই সব নেতাদের তো এতো দিনে দুনিয়া ছাড়া করা উচিত ছিল । কিন্তু না ... ঐ যে অন্ধ আনুগত্য , এতে নেতা কুফরি করুক , তবুও সে যা বলবে , তাই সঠিক । অথচ এই অন্ধ আনুগত্যের একমাত্র দাবিদার রাসুল [সাঃ] ।
.
১৩) ইসলামী দল সেটা প্রমান করতে না পারা ।
-- তারা ইসলামী দল বলে নিজেদের পরিচয় দেয় । কিন্তু ইসলামী দল হিসেবে তাদের কর্মের সাথে শরিয়ার মিল দেখিয়ে কোন দলিল এখন পর্যন্ত উপস্থাপন করতে পারেনি তারা । শরিয়া কায়েম করার মত একটা দলের কর্মের পক্ষে তো পুরো কোরআন কথা বলবে । কিন্তু সেই কোরআন থেকে একটা আয়াতও তারা উপস্থাপন করতে পারে না , যেটা তাদের কর্মের সাথে মিলে । তবুও তারা ইসলামী দল । আফসোস হয় আমার তাদের এমন অপদার্থ মূলক বিবেচনা দেখে ।
.
১৪) গঠনতন্ত্রের সাথে কর্মের অমিল থাকা ।
-- ইসলামী দল প্রমান করার জন্য প্রায় সময় তারা গঠনতন্ত্রের উদাহরন দেয় । একদিন তো একজন প্রায় ২০/২৫ টা ধারা আমার সামনে উপস্থাপন করে বললো ... পড়ে দেখেন , আমরা ইসলামী দল কিনা । আমি টাকে প্রশ্ন করলাম ... আচ্ছা গঠনতন্ত্রের সাথে তো কর্মেরও মিল থাকতে হবে তাই না ? গঠনতন্ত্রে লিখা আছে , আল্লাহ্‌ সকল ক্ষমতার মালিক । অথচ আপনারা ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করছেন বা অতীতে ক্ষমতায় ছিলেন ... সৃষ্টি তথা জনগন সকল ক্ষমতার মালিক , এই আইনে । তো এখানে গঠনতন্ত্রের সাথে তো আপনাদের কর্মের কোন মিল নেই । তাহলে ঐ লিখিত আকারের গঠনতন্ত্রের মূল্য কি ? যদি সেটা কর্মে না দেখান ? তাদের ব্যাপার'টা অনেকটা এমন ...  মুমিন নামের চোর চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লো । এখন , জামায়াতের নেতারা বলছে ... একে ছেড়ে দিন । দেখেন না .. ওর নাম মুমিন । আর আমি বলছি , না একে ছাড়া যাবে না , কারন ও চোর , এতে ওর নাম মুমিন হোক অথবা ইনু হোক । ওর কর্মের কারনে ও চোর সাব্যস্ত হইছে , নাম কি সেটা জরুরি না এখানে ।
.
তেমনি ... গঠনতন্ত্রে কি লিখা আছে সেটা জরুরি না , জরুরি হচ্ছে ... আপনারা কর্মে কি করছেন । যেমন ... আপনি সব যায়গায় পরিচয় দেন আপনি মুসলিম । কিন্তু আপনি মদ পান করেন , আপনি মুশরেকদের পূজায় গিয়ে তাদের সাথে একাত্মতা দেখান । আপনি জেনা , ব্যভিচার করেন । আপনি অহেতুক মানুষের উপরে জুলুম করেন , আপনি অহেতুক মানুষ'কে হত্যা করেন । এখন , আপনি শুধু মাত্র মুসলিম পরিচয় দিলেই তো মুসলিম হয়ে যাবেন না । কোরআনে যে হুকুম দেয়া আছে , সেই গুলো না মানলে আপনি মুসলিম হন কিভাবে ? নাকি কোরআনের সাথে কর্মের মিল না থাকলেও চলবে ? যেখানে সাধারন নামাজ ছাড়ার কারনে রাসুল [সাঃ] বলেছেন ...  মুশরেক ও মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সলাত । সেখানে পুরো কোরআনের উলটো পথে চলতে আর সে মুসলিমই থাকে না । তেমনি আপনারা গঠনতন্রের সম্পূর্ণ উলটো চলে কিভাবে নিজেদের ইসলামী দল বলেন । যেখানে আপনার পুরো রাজনৈতিক কর্ম হচ্ছে কাফেরদের পন্থা অনুসরন করে ।
.
১৫) শিয়া অনুসরন ।
-- তারা স্বপ্ন দেখে , ইরানের মত বিপ্লব ঘটিয়ে বাংলার জমিনেও শরিয়া কায়েম করবে । এর জন্য এরা প্রায় সময় ইরানের উদাহরন দেয় । আর শিয়াদের কাফের বলতে ইতস্ত বোধ করে। এরা পশ্চিমা কাফেরদের অনুসরন করে , এরা শিয়া কাফেরদের অনুসরন করে । অথচ এরা শরিয়ার পথ অনুসরন করে না । অনলাইনে শিয়াদের পক্ষে কিছু শিয়া ছাড়া কিছু জামায়াত সমর্থকও তর্ক বিতর্ক করে । এমনকি অনেক শিয়া জামায়াত সমর্থক হয়ে তর্ক করতে আসে । শিয়া আর জামায়াতের মধ্যে অনেক ভালোবাসা দেখা যায় । 
.
১৬) শহীদ হবার ভুল ব্যাখা দিয়ে ইসলাম'কেই বিকৃত করা ।
-- খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটা বিষয় । মানব রচিত আইনের জন্য এরা নিজের প্রাণ পর্যন্ত উৎসর্গ করে দিচ্ছে । হাসিনা তাগুদ'কে হটিয়ে আরেক তাগুদ খালেদা'কে ক্ষমতায় নেবার জন্য এরা নিহত হচ্ছে । আর কেউ নিহত হলেই তাদের জীবিত সমর্থক গুলো শহীদ শহীদ বলে চিৎকার শুরু করে দেয় । বলি শহীদের সংজ্ঞা কি , সেটা জানো ?
.
রাসুল [সাঃ] বলেছেন ... যে একমাত্র আল্লাহ্‌ দ্বীন কায়েমের জন্য মারা গেল , সেই প্রকৃত শহীদ হল । এছাড়া যে নিজেকে বীর প্রমানে নিহত হল বা সম্পদের লোভে লড়াই করে নিহত হল , সে শহীদ হল না ।
.
তো আপনারা কি কারনে নিহত হচ্ছেন ? শরিয়া কায়েমের জন্য ? যদি উত্তরের যায়গায় "হ্যা" বলেন তো আপনি মিথ্যা বলছেন । কারন , আমরা দেখতে পাচ্ছি আপনারা লড়াই করছেন মানব রচিত আইনের জন্য । গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য । এইটা কি শরিয়া ? আর হরতাল দিয়ে , রাস্তায় সাধারন জনগনের সম্পদের ক্ষতি করা কি জ্বিহাদ ? এই গুলো করতে গিয়ে নিহত হলে কি তাকে শহীদ বলে ? আপনাদের এমন ডগি স্টাইলে মৃত্যুর চেয়ে তো পানিতে পড়ে মারা যাওয়া , দেয়াল চাপায় পড়ে মারা যাওয়া , পেটের পিড়ায় মারা যাওয়া উত্তম । অন্তত শহীদের মৃত্যুর সওয়াব পাওয়া যাবে ।
.
১৭) মজলুম সেজে থাকার ভান করা । মজলুমদের সাহায্য না করা ।
-- এদের এতো এতো নেতা কর্মী আছে , এতো এতো অর্থ আছে ... অথচ এরা মার খাচ্ছে আর নিজেদের মজলুম হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরছে । এদের নেতাদের ফাঁসি দেয়া হচ্ছে , আর এরা হাসিনাকে অভিশাপ দিচ্ছে । বলি , জুলুমের বিরুদ্ধে শুধু অভিশাপ দিয়ে কি নেতাদের গলা থেকে ফাঁসির দড়ি সরাতে পারছেন ? শক্তি থাকতেও সেটা ব্যবহার না করে অভিশাপ দেয়ার পন্থা কোই পেলেন ?
.
আমাদের দেশে এখন নাস্তিক মুশরেক গুলো মাথা চারা দিয়ে উঠেছে । মা-বোন'দের বোরখা খুলে ফেলছে । ভাইদের মাথা থেকে টুপি ফেলে দিচ্ছে , পাঞ্জাবী পড়ার কারনে কলেজে ঢুকতে দিচ্ছে না । কোই , এই মজলুমদের পক্ষে আপনারা কি একটুও প্রতিবাদ করছেন ? তাদের সাথে একাত্মতা হয়ে এর প্রতিরোধ করছেন ? আপনারা ইসলামী দল ? আপনারা না শরিয়ার ধারক বাহক ? অথচ আজ মুসলিম হবার কারনে পর্দা করার কারনে আমার বোনের দেহ থেকে বোরখা খোলা হচ্ছে , আর আপনারা এখনও নীরব আছেন । ধিক্কার দেবার ভাষা খুজে পাচ্ছি না আমি ।
.
১৮) নাস্তিক হত্যার বিচার দাবি করা ।
-- আপনাদের আরও একটা এবং অন্যতম মুনাফেকি কাজ হচ্ছে ... নাস্তিক হত্যাকারীদের বিচার চাওয়া । এটা নিয়ে বিস্তারিত লিখার প্রয়োজন নেই । আর প্রয়োজন নেই কোন দলিল রেফারেন্সের । একজন সাধারন মুসলিম , যে কিনা আল্লাহ্‌'কে ভালবাসে , রাসুল [সাঃ] কে ভালবাসে ... সে কোন দিন , কখনো আল্লাহ্‌ এবং রাসুল [সাঃ] কে যারা অপমান করে , গালি দেয় , তাদের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করতে পারে না । না , এটা অবশ্যই মুনাফেকের লক্ষন । এটা কোন ইসলামী দলের কাজ হতে পারে না । আবারও বলি ... আপনাদের কর্মই বলে দেয় আপনারা ইসলামী দল না , আপনারা শরিয়া কায়েম করার লক্ষ্যে আগাচ্ছেন না , আপনারা আল্লাহ্‌'র চাইতে কাফেরদের বেশী ভয় পান।
.
১৯) কাফেরদের সুরে সুর মিলিয়ে মুজাহিদ'দের সন্ত্রাসী বলা ।
-- এটা তো আপনাদের নিয়মিত রুটিনের জঘন্য একটা কাজ । যুগ শ্রেষ্ঠ মুজাহিদ'দের যখন আপনারা জঙ্গি বলেন , সন্ত্রাসী বলেন , দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী বলেন ... আল্লাহ্‌'র কসম ... তখন আপনাদের কসে একটা চর দিতে ইচ্ছে করে । কাফেরদের মুত্র মাড়িয়ে মুজাহিদ'দের সন্ত্রাসী বলা মানে আপনি রাসুল [সাঃ] কে সন্ত্রাসী বলছেন , আপনি সাহাবীদের [রাঃ] সন্ত্রাসী বলছেন । কারন ... আমার রাসুল [সাঃ] ছিলেন মুজাহিদ , আমার রাসুলের [সাঃ] এর সাথি তথা সাহাবী'রা [রাঃ] ছিলেন মুজাহিদ । আল্লাহ্‌'র রাসুল [সাঃ] প্রতিটি সৈন্য দলের সাথে মুজাহিদ হয়ে যুদ্ধে যাবার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন । আর আপনারা সেই মুজাহিদ'দের সন্ত্রাসী জঙ্গি বলেন । অথচ আপনারা কি ? আপনারা কুফরি করছেন , আপনারা তাহুদের গোলাম হয়ে গেছেন। ধিক্কার আপনাদের , ধিক্কার আপনাদের তথাকথিত ইসলামী দল'কে । যারা ইসলামের নাম বিক্রি করে খায় , আর নিজেরাই ইসলামের ক্ষতি করে।
.
২০. অন্যান্য বেশীরভাগ মুসলিম দেশের মতোই
বাংলাদেশের মুসলিম নামধারী শাসকরা বড় কুফুরীতে নিমজ্জিত। কিন্তু জামায়াত ইসলাম এই ত্বাগুত,কাফের,মুরতাদ সরকারকে কাফের বলতে নারাজ।নিম্নে প্রমান দেয়া হল:
.
১.যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের উপর মানবরচিত
কুফরী-শিরকী আইন চাপিয়ে রেখেছে।
.
২.আল্লাহ মদ হারাম করেছেন আর এই
শাসকগুলো মদের লাইসেন্স দিচ্ছে, মদ
বিক্রির অনুমতি দিচ্ছে।
.
৩.আল্লাহ জ্বিনা হারাম করেছেন আর
এরা পতিতাবৃত্তির জন্য লাইসেন্স
দিচ্ছে।
.
৪.আল্লাহ সুদকে হারাম করেছেন, সুদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন আর এরা
সুদের ভিত্তিতে পুরো অর্থনীতি
পরিচালনা করছে। সুদের ভিত্তিতে
ব্যাংক পরিচালনার লাইসেন্স দিচ্ছে।
.
৫.এরা মানবরচিত কুফরী আইনকে বলছে
‘যুগ উপযোগী আইন’ আর ইসলামী
শরীয়াতকে বলছে ‘মধ্যযুগীয় শাসন’।
.
৬.এরা পর্দা, দাঁড়ি, টুপিসহ পুরো দ্বীন
ইসলামকে নিয়ে প্রতিনিয়ত হাসি-
তামাশা করছে।
.
৭.এরা নাস্তিক-মুর্তাদ সাহিত্যিক,
বুদ্ধিজীবি, ব্লগারদেরকে ‘বাক-
স্বাধীনতার’ নামে আল্লাহ, তাঁর রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও
দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে যা ইচ্ছা বলার
সুযোগ দিচ্ছে। এদেরকে রক্ষা করে এদের
কুফরীতে সাহায্য করছে।
.
৮.এরা যুদ্ধরত কাফিরদেরকে সমুদ্রপথ,
আকাশ সীমা, বিমান বন্দর ইত্যাদি
ব্যবহার করতে দিয়ে, গোয়েন্দাবৃত্তি করে
মুসলমান-মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে
কাফেরদেরকে সাহায্য করছে। (২০০১
সালে আগ্রাসী আমেরিকাকে
আফগানিস্তানের মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে
এদেশের আকাশ-সীমা ব্যবহারের সুযোগ
দেয়া হয়েছে)
.
৯.এরা সংসদ ভবনে কোরআন-সুন্নাহ
বিরোধী নিত্য নতুন কুফরী আইন প্রণয়ণ
করছে।
.
১০.এরা মহিলাদের হিজাব করতে বাধ্য
করা যাবে না – এ আইন করেছে।
.
১১.এরা সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে
নারী ও পুরুষদের সমান গণ্য করতে চাপ
দিচ্ছে।
.
১২.এরা যে কোন ইসলামী বইকে বলছে
‘জংগী বই’।
.
১৩.এরা ইসলামের গুরুত্বপূর্ন ফরজ বিধান
জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে ‘সন্ত্রাস ও
জঙ্গীবাদ’ বলে নিষিদ্ধ করে জিহাদের
বিরোধিতা করছে।যারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য যারা দিন রাত জান মালের বিনিময়ে চেস্টা করে যাচ্ছে তাদেরকে এরা বলে জংগীবাদী,মোলবাদী।এদের কোন সাপোটার পাওয়া গেলে পরযন্ত এরা গ্রেপ্তার করে।
.
১৪.এরা মুরতাদের শাস্তি হত্যাকে তাদের
কুফরী মতবাদ ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী
বলে এর বিপরীতে অবস্থান গ্রহন করেছে।
.
১৫.এরা আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক নির্ধারিত
হুদূদ এর বিধানকে নিজেদের উদ্ভাবিত
আইন-বিধান দ্বারা পরিবর্তন করে
দিয়েছে। এর মাধ্যমে যেন আল্লাহ
তায়ালার চেয়ে অধিক উপযোগী আইন-
বিধান দাতা হিসেবে নিজেদেরকে
তারা জাহির করতে চাচ্ছে।
.
১৬.আল্লাহ বলছেন,যারা আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করে তারা কাফের।মায়েদা:৪৪।
এই কুফুরী, মুরতাদ সরকারগুলো আল্লাহর বিধান কুরান সুন্নাহ বাদ দিয়ে মানবরচিত বিধান গনতন্ত্র দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে।
.
১৭.আল্লাহ বলছে কুফফারদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন না করতে,তাদেরকে বন্ধু না বানাতে।মায়েদা:৫১
কিন্তু এরা কুফফারদের সাথে দহরম-মহরম সসম্পর্ক রাখছে।মুসলিম দেশগুলোতে যারা হত্যা নির্যাতন চালাচ্ছে সেই আমেরিকা,ন্যাটো, জাতিসংঘতে এরা সৈন্য পাটাচ্ছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য।
.
এভাবে তারা আরো অনেক সুস্পষ্ট কুফরী
(কুফরুন বাওয়াহ) প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে।কিন্তু জামায়াত ইসলামও এদের বিরুদ্ধে একশনে যেতে নারাজ।
.
আমরা জিহাদি মানহাজের ভাইয়েরা জামাতের আন্দোলন কেন, তাদের নীতিকে কেন সমর্থন করি না তার ২০টা কারণ দিলাম। আপনি এবার এগুলো খণ্ডন করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top