মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

যদি আপনি কোন জেনারেল অথবা জজকে জিজ্ঞাসা করেন যে, এই দুনিয়ার খালেক,মালেক, রব, রিযিকদাতা কে? তাহলে অবশ্যই জওয়াব এটিই হবে যে,"আল্লাহ"।

কোন মন্তব্য নেই:

যদি আপনি কোন জেনারেল অথবা জজকে জিজ্ঞাসা করেন যে,
এই দুনিয়ার খালেক,মালেক, রব,
রিযিকদাতা কে?
তাহলে অবশ্যই জওয়াব এটিই হবে যে,"আল্লাহ"।
.
কিন্তু যখন তাকে বলা হয় যে,
তাহলে এই গনতান্ত্রিক বিচারব্যবস্থাকে এবং আইন রচনাকারী পরিষদকে কেন আল্লাহর সমকক্ষ,বরং আল্লাহতায়ালার চেয়েও বড় সাব্যস্ত করেন?
.
কুরানের আইনকে ততক্ষন পর্যন্ত বিচার কারয সম্পাদনের উপযুক্ত মনে করেন না,
যতক্ষন পর্যন্ত না গায়রুল্লাহ তথা পার্লামেন্ট এর পক্ষ থেকে তা অনুমোদন লাভ করে?
.
এমনিভাবে যদি সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে,আল্লাহর হদ্দসমূহ যেমন,বেত্রাঘাত,রজম ইত্যাদির সাথে যখন ঠাট্টা,উপহাস করা হয় তখন তোমরা ক্রোধান্বিত হও না।
.
কিন্তু যদি গনতান্ত্রিক আইনের রিটের সাথে চ্যালেঞ্জ করা হয়,তখন কেন ক্ষিপ্ত বাঘের মত তর্জন-গরজন করতে থাকো এবং পূরন শক্তি দিয়ে তাকে দমন করো?
.
নিজ দেশের সাধারন জনগন ও কালিমায় বিশ্বাসী মুসলমানদের ওপর লাঠিচার্জ করো।কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ করো। আর কোন যুক্তিতে বোমারু বিমান আর মরটার সেল দিয়ে তাদেরকে গনহারে হত্যা করো?
তাহলে কী হবে তাদের জবাব?
.
.
আমরা রহমাতুল্লিল আলামীন (সা:)কে শুধু রবিউল আওয়াল মাসেই নবী বলে মানবো?
সীরাতুন্নবী (সা:) এর বড় বড় মাহফিলে না'তে রাসুল (সা:) এর প্রোগ্রাম বা সেমিনার এবং বিতর্ক অনুষ্টান ইত্যাদি পালন করেই ক্ষান্ত থাকবো?
.
কিন্তু যখন আল্লাহ রাসুল (সা:) কে নিজেদের পারষ্পরিক মুআমালাতের মধ্যে বিচারক জজ বানানোর সময় আসে,
তখন রাসুলুল্লাহ (সা:) ছেড়ে রাসুলের শত্রুদের আইনের মাধ্যমে মীমাংসার জন্য যাওয়া,এই আইনের পবিত্রতা রক্ষা, তার প্রতি ওফাদারী এবং তা সংরক্ষনের শপথ গ্রহন,নবী (সা:) এর উপর এ কেমন ঈমান?
.
.
হে মুহাম্মদ (সা:) এর উম্মতেরা!
একটু ভাবুন!
অন্তরে হাত রেখে বলুন!
যে,এটি কেমন আনুগত্য?
কেমন মুহাব্বাত?
মুহাম্মদ(সা:) কে জীবনের প্রত্যেক ময়দানে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে নবী মানা ছাড়া এই উম্মতের কিশতি গন্তব্যে পোছতে পারবে না।
.
এই লাঞ্চনা অপমান যা বিগত দুই শতাব্দী ধরে উম্মাহর ওপর জেকে বসেছে,
ততক্ষন পর্যন্ত সরবে না যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের জীবনকে মুহাম্মদ (সা:) এর শরীয়তের জন্য আমরা উৎসর্গ না করবো।
.
.
.
#বই:ইসলাম ও গনতন্ত্র।
লেখক:মাওলানা আসেম ওমর হাফিযাহুল্লাহ।
পাতা নং:১৫৯-১৬০।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top