মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

#বর্তমান মুসলিম দেশগুলোতে মুরতাদ শাসকদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। ------শাইখ আনোয়ার আল-আওলাকি(রহ:)

কোন মন্তব্য নেই:

#বর্তমান মুসলিম দেশগুলোতে মুরতাদ শাসকদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।
------শাইখ আনোয়ার আল-আওলাকি(রহ:)।
============================
বর্তমান বিশ্বের যেকোন দেশের সেনাবাহিনীর
একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলিমদের শত্রুদের স্বার্থ রক্ষা করা।
এটা হচ্ছে মুসলিম ইতিহাসের মধ্যে অত্যন্ত
জঘন্যতম একটি অধ্যায়!
.
এই সেনাবাহিনীর দ্বারা দুইটি উদ্দেশ্যকে
বাসত্মবায়ন করা হয়।
প্রথমতঃ দেশের রাজা অথবা প্রেসিডেন্ট এবং তার সহচরদেরকে রক্ষা করা,
দ্বিতীয়তঃ এই উম্মতের শত্রু অর্থাৎ ইহুদী এবং আগ্রাসী (আমেরিকার) শক্তির স্বার্থ রক্ষা করা।
.
এই সেনাবাহিনী ইসলামী শারীয়াহ্ ও খিলাফাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিটি পথে বাধা দিচ্ছে। তারা মুসলিমদের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়ে আছে,যারা জিহাদের মাধ্যমে দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
.
এমন কি তারা ঐ সকল মুসলিমদেরকেও বাঁধা দিচ্ছে যারা শান্তিপূর্ণভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে চায়;যেমনটি অতীতে ঘটেছিল আলজিরিয়াতে।
অন্যকথায়, এই সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে কোন ইসলাম থাকবে না।
.
ইসলামিক শরীয়াহ্ অনুযায়ী কোন
ফারদ্ বাসত্মবায়নের জন্য যা কিছু করা দরকার তা পূরণ করাও ফারদ্।
ইসলামিক শরীয়াহ্ প্রতিষ্ঠা করা ফারদ্
এবং একইভাবে আল্লাহর পথে জিহাদ করাও ফারদ্।
.
সুতরাং যদি কোন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছাড়া এই ফারদ্ আমল দুটি পালন করা সম্ভব না হয়,তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাও তখন ফারদ্ হয়ে যায়।
.
এই সেনাবাহিনী মুসলিম দেশগুলোতে মুরতাদ শাসকদের (দ্বীনত্যাগী)-কে রক্ষা করছে। এরা ইসলামী শরীয়াহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে এবং যারা এই শরীয়াহ্-কে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাদেরকে হত্যা করছে।
.
তারা আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করার জন্য
পাকিস্থান, সোমালিয়া এবং পশ্চিমা বিশ্বের
মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
যদি সেনাবাহিনীর অবস্থা এই হয় তবে কেন এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ঐ সকল মুজাহিদীনদেরকে দোষারোপ করা হচ্ছে
যে, ‘তারা মুসলিম বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে’?
.
এটা কোন্ ধরনের বিভ্রান্তকর যুক্তি?
দোষারোপ তো করা উচিত ঐ সকল সেনাবাহিনীদের প্রতি যারা সামান্য বেতনের বিনিময়ে স্বেচ্ছায় সোয়াতের মুসলিমদের হত্যা করছে,বোমা দিয়ে ধ্বংস করছে মসজিদগুলোকে যেমনটি তারা লাল মসজিদের সাথে করেছে এবং সোমালিয়াতে মহিলা ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করছে।

ঐ সেনাবাহিনীরা নিষ্ঠুর পশুর মত!
যারা সামান্য ডলারের বিনিময়ে নিজেদের দ্বীনকে বিক্রি করে দিচ্ছে এবং মানুষরূপী কিছু শয়তানের সামনে তাদের মাথা নত করে আছে।
.
এরাই এই উম্মদের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব।যারা এই সেনাবাহিনীর বিরূদ্ধে যুদ্ধ করছে তাদের উপর আল্লাহর দয়া ও রহমত বর্ষণ করুন এবং যারা এদের
দ্বারা নিহত হচ্ছেন সেই সকল শহীদদের উপর আল্লাহর দয়া ও রহমত দান করুন।
.
মুরতাদ শাসকদের এই সেনাবাহিনীর কিছু বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
*তারা আল্লাহর শারীয়ার বিরুদ্ধে মানব রচিত আইনকে প্রতিষ্ঠিত করছে।
.
*তারা মুসলিম ভূমিগুলোতে অধিষ্ঠিত মুরতাদ (দ্বীন ত্যাগী) শাসকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।
.
*ইসলাম ও কুফরের এই যুদ্ধে তারা কুফরের পক্ষ নিয়েছে।
.
*তারা মুজাহিদীনদের উপর অত্যাচারের নিষ্ঠুর ষ্ট্রিম রোলার চালাচ্ছে, গ্রেফতার করে কাফিরদের হাতে তুলে দিচ্ছে এবং নির্মমভাবে হত্যা করছে।
.
[মহান আল্লাহ্ তা‘য়ালার কাছে আমরা দো‘আ করি তিনি যেন শাইখ আনওয়ার আল-আওলাকিকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন এবং আমাদেরকেও তাঁর এই গৌরবময় পথকে অনুসরণ করার তৌফিক দান করেন।]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top