বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

প্রশ্ন:বরতমানে অনেকে বলে যে,এই যুগে কোন জিহাদ নেই।শুধুমাত্র দাওয়াতের কাজ করতে হবে। দাওয়াতের কাজের মাধ্যমে সবাই যদি ইসলামে চলে আসে তাহলে আর জিহাদের প্রয়োজন কি?তাদের এই বক্তব্য কতটুকু সত্য??

কোন মন্তব্য নেই:

প্রশ্ন:বরতমানে অনেকে বলে যে,এই যুগে কোন জিহাদ নেই।শুধুমাত্র দাওয়াতের কাজ করতে হবে। দাওয়াতের কাজের মাধ্যমে সবাই যদি ইসলামে চলে আসে তাহলে আর জিহাদের প্রয়োজন কি?তাদের এই বক্তব্য কতটুকু সত্য??
.
.
.
#এই প্রশ্নটি করা হয়েছিল মুফতি জসীমুদ্দিন রহমানি হাফিযাহুল্লাহকে।উনি উত্তর দিচ্ছেন,
.
জসীমুদ্দিন রহমানি:::
তাদের এই বক্তব্য সম্পুরন কুরান-হাদিস,
ইজমা এ কিয়াস সবকিছুরই বিরোধী।
কারন পবিত্র কুরানের প্রায় সাড়ে চারশত আয়াতে এবং প্রতিটি হাদিসের কিতাবের একটা বিশাল অধ্যায় জুড়ে জিহাদের বরননা রয়েছে।
.
আল্লাহর রাসুল (সা:) নিজে জিহাদ করেছেন, সাহাবায়ে কেরাম জিহাদ করেছেন,
সমস্ত মুহাদ্দিসীনে কেরাম যারা হাদীস সংকলন করেছেন তারা সকলেই কিতাবুল জিহাদ নামে স্বতন্ত্রভাবে জিহাদের হাদীসগুলো উল্লেখ করেছেন।
.
এখন যারা বলে,বর্তমানে কোন জিহাদ নেই।দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে সবাই যদি সঠিকভাবে ইসলামের ছায়াতলে চলে আসে তাহলে আল্লাহতায়ালা এমনিতেই মুমিনদেরকে খিলাফাত দিয়ে দিবেন।
.
তারা কুরানের একটা আয়াতের দলিল দেয়,
"তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে এই মর্মে ওয়াদা দিয়েছেন যে,তিনি নিশ্চিতভাবে তাদেরকে যমীনের প্রতিনিধিত্ব প্রদান করবেন।যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বীনকে যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তিনি তাদের ভয়-ভীতি শান্তি-নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দিবেন।তারা আমারই ইবাদত করবে।আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবেনা।আর এরপর যারা কুফুরী করবে তারাই ফাসেক।"(সুরা :নুর-৫৫)
.
কিন্তু এই আয়াত যার উপর নাযিল হয়েছিল অর্থাৎ রাসুল (সা:) এবং যাদের সামনে নাযিল হয়েছিল অর্থাৎ সাহাবায়ে কেরাম তারা কি এই আয়াতের অরথ বুঝেন নি?
.
তারা কি এই আয়াতের উপর আমল করেন নি?
.
মূলত এই আয়াতের মধ্যেও জিহাদের নির্দেশ আছে।কেননা এখানে বলা হয়েছে 'যারা নেক আমল করে'  আর নেক আমলের মধ্যে গুরুত্বপূরন একটি আমল হচ্ছে জিহাদ।
.
তাছাড়া জিহাদ বিরোধী লোকেরা বলে থাকে যে,দাওয়াত ও টাবলীগের মাধ্যমে সব লোক ভাল হয়ে গেলে আল্লাহ তায়ালা এমনিতেই খিলাফাত দিয়ে দিবেন।
.
এই বিষয়টা কি রাসুল (সা:) জানতেন না?
.
তিনি কেন জীবনে সরাসরি সাতাশটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?
.
কেন বদরের যুদ্ধে ৭০ জন কাফেরকে হত্যা করলেন এবং ৭০ জন কাফেরকে বন্ধী করলেন?
.
কেন ওহুদের যুদ্ধে নিজে রক্তাক্ত হলেন?
.
আসলে এই সমস্ত লোকদের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা:) ভবিষ্যৎবানী করে গেছেন।যা আমরা হাদীস থেকে দেখতে পাই।
.
'হাসান থেকে বরনিত তিনি বলেন,অচিরেই এমন একটা সময় আসবে যখন লোকেরা বলতে থাকবে যে এখন কোন জিহাদ নেই।যখন সেই সময় আসবে তখন তোমরা জিহাদ করবে।নিশ্চয় জিহাদ-ই হচ্ছে সর্বোত্তম।'
(সুনানে সাঈদ ইবনে মানসুর-২১৯২)
.
'ইব্রাহীম থেকে বরনিত তিনি বলেন,তার সামনে এমন কিছু সম্প্রদায়ের আলোচনা করা হলো যারা বলে এখন কোন জিহাদ নেই।অত:পর তিনি বললেন, এটা এমন কথা যা শয়তান তাদের সামনে উপস্থাপন করেছে।'
(মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বা:৩৩৩৮১)
.
আসলে এটা মিস্টার ইবলিশের শিখানো কথা।
.
.
.
#আমার প্রান-প্রিয় শাইখ মুফতি জসীমুদ্দিন রহমানি হাফিযাহুল্লাহর 'দ্বীন কায়েমের সঠিক পথ' বইয়ের ৩৪২,৩৪৩,৩৪৪ নং পাতা থেকে নেয়া।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top