শুক্রবার, ৩ জুন, ২০১৬

আজকে আমরা এই জুমার খুতবাহ আদায় করছি ঐ মুহূর্তে যখন সারা বিশ্বের ইহুদি খ্রিস্টান হিন্দু বোদ্ধ ঐক্যবধ্যভাবে মাঠে নেমেছে মুসলিম জাতিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য।

কোন মন্তব্য নেই:

#আজকে আমরা এই জুমার খুতবাহ আদায় করছি ঐ মুহূর্তে যখন সারা বিশ্বের ইহুদি খ্রিস্টান হিন্দু বোদ্ধ ঐক্যবধ্যভাবে মাঠে নেমেছে মুসলিম জাতিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য।
.
আপনারা জানেন…মুসলিম জাতির প্রথম কেবলা বাইতুল মুকাদ্দাস আজ ইহুদিদের দখলে,
.
ফিলিস্তিনির মুসলিমদের বাড়িঘরগুলা বুল্ডূজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে,
সেখানে অবুজ শিশুদের বুকটাকে ট্যাঙ্কের গোলা দিয়ে জাজরা করে দেওয়া হচ্ছে,
.
ইরাকের কাছে বিপুল বিধ্বংসী অস্ত্র মজুদ রয়েছে এই মিথ্যা অজুহাতে বোমা হামলা করে হাজার হাজার মুসলিমদেরকে হত্যা করা হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মুসলিমদেরকে পঙ্গু করা হয়েছে,
.
আফগানিস্তানের মুসলিমদেরকে যুগ যুগ ধরে পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হয়েছে,
আপানারা জানেন মুসলিম যুবকদেরকে উলঙ্গ করে পিরামিড তৈরি করেছে ইহুদি খ্রিস্টান জাতি, মুসলিম যুবকদের হত্যা করে তাদের মুখে পেশাব করে দিয়ে উল্লাস করেছে।
.
শুধু এই পরযন্তই নই……মুসলিম জাতির প্রাণপ্রিয় কিতাব আল্লাহ্‌র কালাম কে ওরা আগুনে পুড়িয়েছে, কুরান শরীফের গায়ে ক্রুস চিহ্ন এঁকে দিয়ে তারা উপহাস করে মুসলিম জাতিকে চ্যালেঞ্জ ছুরে দিয়েছে।
.
আপানারা জানেন….মুসলিম জাতির যুবতি সুন্দরি নারিদেরকে গ্রেপ্তার করে কুখ্যাত আবু গারিব কারাগারে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে,
.
পাকিস্তানের মুসলিম জাতিকে আমেরিকা এবং তার দোসরেরা ড্রন হামলা চালিয়ে নিরীহ মুসলিমদেরকে পাইকারি হত্যা করে যাচ্ছে,
.
কাশ্মীরি মুসলমানদেরকে যে কোন মিথ্যা অজুহাতে অহরহ নিধন করে যাচ্ছে,
.
বর্তমানে এই পরযন্তই ক্ষ্রান্ত নই... সকাল বেলা যারা ওম শান্তি ওম শান্তি বলে চিৎকার মেরে পৃথিবীর মানুষকে ধোকা দিচ্ছে……
সেই ন্যাড়া বোদ্ধ জাতি মুসলিম জাতিকে পাইকারি ভাবে হত্যা করা শুরু করেছে।
.
আপনারা জানেন….এই বার্মার ন্যাড়া বোদ্ধরা নিরহ তাবলীগ জামাতের ১০ জন সাথিকে প্রথমে বাসের থেকে নামিয়ে জবাই করে এই হত্যা কাণ্ডের সূচনা করেছে…
.
তাবলীগ জামাতের লোকরা কি জামাত ইসলাম করে ???
তাবলীগ জামাতের লোকরা কি কোনো জংগিবাদি ???
এই নিরীহ তাবলীগি লোকদের মাধ্যমে তারা এই হত্যা কাণ্ডের শুরু করেছে…
.
ভাইয়েরা আমার!
আজকের পত্রিকাগুলো পরবেন।তাবলীগ জামাতের লোকদের তারা কিভাবে জবাই করেছে।এই পরযন্ত তারা প্রায় ৬০০০ মুসলিম  নারি পুরুষকে হত্যা করেছে।
.
আপানারা জানেন….আজকের পত্রিকাই রয়েছে মুসলিম সুন্দরি মেয়েদেরকে ধরে নিয়ে ঐ নাসাকা বাহিনি এবং বোদ্ধরা তাদের সেই যোন তৃপ্তি মিটাচ্ছে,….
মুসলিম যুবকদেরকে ধরে নিয়ে হত্যা করছে…
.
আপনারা জানেন…… মুসলিমদের বাড়িঘরগুলাতে আগুন জ্বালিয়ে গ্রামকে গ্রাম তারা সাফা করে দিচ্ছে,
আগুন নিবানোর নামে পানির পরিবর্তে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ঢেলে দিয়ে মুসলিমদের বাড়ি ঘরগুলাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারকার করে দিচ্ছে।
.
আপনারা জানেন...পত্রিকাই লিখেছে কোন মুসলিম যখন আগুন নিভাতে আসে তাকেও গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে,
মুসলিমদের মসজিদ মাদ্রাসাই এবং তাদের বিভিন্ন বাড়িতে একত্র করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে…..
.
কোন মুসলিম যদি জীবন বাঁচাতে বেড়িয়ে আসে তাকেও কারফিউ ভঙ্গ করেছে বলে অজুহাত দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
.
শুধু এই পরযন্তই নই... এই বোদ্ধরা মুসলিমদের লেবাস জুব্বা টুপি পরিধান করে মুসলিমদের ভিতরে ঢুকে গেয়ে তারপর মুসলমানদের হত্যা করা শুরু করেছে।
.
আপনারা জানেন……যে সমস্ত মুসলিমদেরকে হত্যা করা হচ্ছে এই মুসলিমদেরকে ন্যাড়া করে বোদ্ধদের পোশাক পরিধান করিয়ে বোদ্ধরা মারা গেছে বলে মিডিয়াই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
.
ভাইরা আমার
শুধু এই পরযন্তই নই, আহত মুসলিমদের জন্য সেখানকার সমস্ত মেডিক্যাল গুলাকে জব্দ করে দেওয়া হয়েছে,
কোনো মুসলিমকে মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয় না,
মুসলিমদের জন্য মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে……
মুসলিম যুবকদের মোবাইল গুলে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে...
.
শুধু এই পরযন্তই নই,
প্রতিটি পাড়া থেকে মুসলিমদের নেতৃত্ব দিতে পারে অথবা অর্থ যোগান দিতে পারে এই রকম মুসলিম যুবকদেরকে গুম করে হত্যা করা হচ্ছে।
.
আপনারা জানেন গত ১৩ জুন বুধবার ৩০০ যুবকদেরকে নিয়ে এইরকম হত্যা করেছে।আহত মুসলিমদেরকে যদি কেউ মানবিক কারনে আশ্রয় দেয় তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।এদের মুল ইচ্ছা হচ্ছে বারমার ভু-খন্ড থেকে মুসলিম জাতিকে সম্পূর্ণ রুপে ধ্বংস করে দেয়া।
এইজন্যই তারা প্রথমে তাবলীগ জামাতের ১০ জন সাথীকে জবাই করার মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে।

আমার ভাইয়েরা!
বারমার বিতাড়িত মুসলিম ভাইয়েরা যখন প্রান নিয়ে পালিয়ে ট্রলারে  করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসছিল তখন এদেশের মুসলিম নামধারি সরকারের পা-চাটা গোলাম সীমান্তরক্ষীরা এই মুসলিমদেরকে জোর করে পুশ ব্যাক করে তাদেরকে কুফফারদের হাতে ফেরত দিচ্ছে।
.
শত শত অসহায় অভুক্ত মুসলিমরা তিনটা ট্রলারে  বোদ্ধ নাসাকা বাহিনীরা সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছে।
দুটি ট্রলার শত শত মুসলিমদেরকে নিয়ে সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে আশ্রয়ের সন্ধানে।
ওই ট্রলারগুলাতে খাবার-পানীয়ের অভাবে ইতিমধ্যে অনেকেই মারা গিয়েছে।
.
আপনারা জানেন,
সেখানের মুসলিমরা আমভাবে বিশ্ববাসীর কাছে আহবান করেছে তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য বিশেষ করে তাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশি ভাইদের কাছে।
তারা ফরিয়াদ করে বলছে,পুরা বাংলাদেশে কি এমন একজন মানুষও নেই যে তার মুসলিম এই অসহায় ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে????
.
তারা যেন আল্লাহর সেই আহবানের কথা স্মরন করিয়ে দিচ্ছে আমাদেরকে যা আল্লাহ তায়ালা কুরানে করেছেন,
"ওমা লাকুম লা তু ক্বতিলুনা ফি সাবিলিল্লাহ..............তোমাদের কি হল?
তোমরা কেন আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না???
ওই সমস্ত মুসলিমদের উদ্ধার করার জন্য,অসহায় দুর্বল শিশু ও নারীদের পক্ষে, যারা ফরিয়াদ করে বলছে আল্লাযিনা ইয়াকুলুনা রব্বানা আখ্রিযনা মিন হাজিহিল করিয়াতিজ্জোয়ালিমি আহলুহা।
.
ওহ!রব্বানা!
ওহ রব্বুল আলামীন!
তুমি আমাদেরকে এই জালিম অধ্যুষিত জনপদ থেকে রক্ষা কর,ওয়াযা আল্লানা মিল্লাদুনকা অলিয়াহ, তুমি আমাদের জন্য তোমার পক্ষ থেকে ওলি এবং যোগ্য নেতা নিয়োগ কর।
ওয়াযা আল্লানা মিল্লাদুনকা নাসীরা।
তুমি আমাদের জন্য তোমার পক্ষ থেকে সাহায্য কারী পাঠাও।
সূরা নিসা-৭৫ আয়াত।
এই আহবান কুরানের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা করছেন।
.
আমার ভাইয়েরা!
এই আহবানে সাড়া দেয়ার জন্য আজকে কি আসমান থেকে ফেরেস্থা আসবে নাকি আমাদেরকে সাড়া দিতে হবে???
শ্রোতারা বলল:আমাদেরকেই সাড়া দিতে হবে।
.
আমার ভাইয়েরা,
আজকের এই আহবানে সাড়া দেয়া আমাদেরই দায়িত্ব।
.
আমাদেরকে আবার সালাউদ্দিন আইয়ুবী, মোহাম্মদ বিন কাসিম,তারিক বিন যিয়াদ এর উত্তরসূরি হয়ে আবার ময়দানে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে।
.
সেইজন্য আমি শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের সমস্ত মুসলিমদেরকে আহবান করছি আগামী মংগলবার টেকনাফের থেকে নীলা মাদ্রাসা, বারমাই ছাত্ররা যেখানে পড়াশুনা করে। আমরা সেখানে প্রতিবাদ করার জন্য যাব ইনশাল্লাহ। প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আরাকানের মুসলিমদেরকে জানিয়ে দিব আমরা তোমাদের পাশে আছি।
তোমাদের সংগে আমরা মরতে রাজি।
ইম্মাস শরীয়াহ,ওয়া ইম্মাস শাহাদাহ।
হয়ত শহীদ হব নতুবা তোমাদেরকে উদ্দার করব।যতক্ষন পরয্যন্ত তোমাদেরকে সাহায্য করতে না পারব আমরা কেউ ফিরে আসব না।
.
ভাইয়েরা আমার!
আজকে আমার কিতাবও বের হয়েছে।যে কিতাবের জন্য কয়েকবছর পরয্যন্ত মেহনত করেছি। সেই কিতাব কেন আজকে বের হল জানিনা।
(শাইখ কান্না করতে করতে বললেন)জানিনা এর মধ্যে কি রহস্য রয়েছে।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন এই মুসলিম জাতির জন্য হয়ত এই কিতাবকে একটা গাইডলাইন হিসেবে গ্রহন করেছেন।
.
এই কিতাবের ৩০৯ নং পাতা পরবেন।এখানে লেখে দেয়া হয়েছে সমস্ত ওলামায়ে কেরাম,কোন মাঝহাব, কোন দল,কোন ফেরকার কোন দ্বিমত নেই ইসলামের শুরু থেকে এই পরয্যন্ত সমস্ত ওলামায়ে কেরাম ওইক্যমত পোষন করেছেন যখন চারটা কারনের কোন একটা কারন পাওয়া যায় তখন মুসলিমদের জন্য জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায়।

.....................
##আরও বাকি আছে
আমার প্রান-প্রিয় শায়েখ জসিম উদ্দিন রাহমানির ২০১৩ বয়ান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top