বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

#তাবলীগ একটি 'আল ওয়ালা ওয়াল বারয়াহ' বিহীন দল-----------

কোন মন্তব্য নেই:

#তাবলীগ একটি 'আল ওয়ালা ওয়াল বারয়াহ' বিহীন দল-----------
.
.
ইসলামের একটি মোলিক বিষয় হচ্ছে,
'আল ওয়ালা ওয়াল বারায়াহ'।
অর্থাৎ মুমিনদের সাথে বন্ধুত্ব করা ও আল্লাহদ্রোহী সকল প্রকার ত্বাগুতের থেকে সম্পরক ছিন্ন করা।
.
পবিত্র কুরানে এরশাদ হচ্ছে,
"যে ব্যক্তি ত্বাগুতকে অস্বীকার করল এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো,সে তো মজবুত ও শক্ত হাতল ধারন করলো যা কখনো ছিড়ে যাবার নয়।"(বাকারা-২৫৬)।
.
অপর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন,
"আমি অবশ্যইই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসুল প্রেরন করেছি যে,তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগুতকে পরিহার কর।"(নাহল-৩৬)।
.
যারাই যুগে যুগে ইসলামের দাওয়াত প্রচার করেছেন, তারা সকলেই ত্বাগুতকে বরজন করার প্রকাশ্যে ঘোষনা দিয়েছেন।
.
ইব্রাহীম (আ:) সম্পরকে আল্লাহতায়ালা বলছেন,
"ইব্রাহীম ও তার সাথীদের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ। তারা যখন স্বীয় সম্প্রদায়কে বলছিল,'তোমাদের সাথে এবং আল্লাহর পরিবরতে তোমরা যা কিছুর ইবাদত কর তা হতে আমরা সম্পরকমুক্ত।আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করি এবং আমাদের -তোমাদের মাঝে চির শত্রুতা ও বিদ্বেষ শুরু হলো, যতক্ষন না তোমরা এক আল্লাহরর প্রতি ঈমান আন"।
(মুমতাহিনা--৪)
.
অথচ তাবলীগ জামাতের লোকেরা একদিকে ইসলামের কথা বলে আরেকদিকে গনতন্ত্রকে সমর্থন করে।
.
বিশেষ করে বাংলাদেশের তাবলীগ জামায়াত সম্পরকে কোন বন্ধুকে কোতুক করে বলতে শুনেছিলাম যে,
.
"তারা ধর্মীয় ক্ষেত্রে তাবলীগ, আর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ।
.
তাবলীগের আছে 'ছয় উসুল ' আর আওয়ামীলীগের আছে 'ছয় দফা'।
.
তাবলীগ ওয়ালাদের আছে টংগী আর আওয়ামীলীগের টুংগী(পাড়া)।
.
তাবলীগের মুরব্বিরাও থাকেন দিল্লিতে আর আওয়ামীলীগের দাদারাও থাকেন দিল্লিতে।
.
মুলত, তাবলীগওয়ালাদের এই নীতির কারনেই কোন কাফের-মুশরিক, ইহুদি-খ্রিস্টান, হিন্দু-বোদ্ধ, নাস্তিক-মুরতাদ-ধরমনিরপেক্ষ কেউই তাদের বিরোধিতা করেনা।বরং সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে থাকে। অথচ, রাসুল(সা:) এবং তার সাহাবীরা কখনোই ত্বাগুতের সাথে আপোষ করেন নি।আন্তরিকতা,বন্ধুত্ব,ও ভালবাসা স্থাপন করেনি।
.
সুতরাং যেই তাবলীগের মধ্যে রাসুলের সুন্নাহ মোতাবেক আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের কোন কর্মসূচি নেই সেটি আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য কোন সঠিক দল হতে পারেনা।
.
.
.
#বই:দ্বীন কায়েমের সঠিক পথ।
লেখক:মুফতি জসীমুদ্দিন রহমানি হাফিযাহুল্লাহ।
পাতা নং:৬০৩-৬০৪।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top