বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

মনে করো, তুমি রোযা রাখবে।

কোন মন্তব্য নেই:

মনে করো,
তুমি রোযা রাখবে।
তাহলে কি তুমি তোমার পিতা মাতার অনুমতির অপেক্ষা করবে?নিশ্চয়ই না।
যদি তাই হয় তাহলে জিহাদের বেলায় ব্যতিক্রম হবে কেন?
কেন অনুমতির প্রয়োজন হবে?
.
সুতরাং জিহাদ না করার ব্যপারে কখনো কারো আনুগত্য করা যাবেনা।
.
যদি তোমাকে তোমার পিতা বা অন্য কোন ব্যক্তি সুদের কারবার করতে বলেন তাহলে কি তা তোমার জন্য বৈধ হয়ে যাবে?
কেউ ফতোয়া দিলেও কি তা জায়েজ হয়ে যাবে?
.
যদি তোমার পিতা তোমাকে বলে,
হে আমার ছেলে!
এস রো্যাটি ভেংগে ফেল এবং আমার পক্ষ হয়ে এই কাজগুলো আদায় কর কারন আজ আমার কোন সাহায্যকারী নেই।
তাহলে কি তোমার জন্য রোযা ভেংগে ফেলা জায়েজ হবে?
.
তাই আমি বলছি,
নিশ্চয়ই বিশ্বের দিকে দিকে ইসলামি আন্দোলন ও দাওয়াতী কার্যক্রম চলছে আল্লাহর হককে আল্লাহর জমিনে প্রতিস্টিত করার জন্য।
.
আল্লাহর হককে ছিনিয়ে এনে কোন আমির বা শাসকের নিকট পোছে দেয়া আমাদের উদ্দেশ্য নই।আমরা চাইনা আমাদের মাঝে এমন ব্যক্তির উথান ঘটুক যে আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে মানুষের বিধান বাস্তবায়ন করবে।নিজস্ব মনগড়া বিধান মুসলিম উম্মাহর উপর চাপিয়ে দিবে।
তাহলে তো আমরা তাদেরকে রব হিসেবে মেনে নেয়ার শামিল হব।
.
সুতরাং পৃথিবীর কোন প্রান্ত যদি তোমার জন্য সংকীর্ণ হয়ে যায়,
তাহলে তাতে কোন দু:খ নাই।
আল্লাহ তোমার জন্য আরো বহু স্থান খুলে রেখেছেন,উন্মোচিত করে রেখেছেন।
সেখানে তুমি হিজরত করে চলে যাও।
.
কেন তুমি এক সংকীর্ণ স্থানে নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছ?
কেন?
.
তুমি নিজেকে একটি সংস্থায়,
একটি অফিসে আবদ্ধ করে রেখেছ?
.
তাহলে কি তুমি এই স্থানে মরতে চাও?
মনে হয় তুমি তোমার অফিস ছেড়ে দিলে তোমার রিযিক বন্ধ হয়ে যাবে আর তুমি না খেয়ে মরবে।
.
মনে রেখ!
খুব ভাল করে মনে রেখ!
আল্লাহ তোমার রব।
যিনি কুকুরকে রিযিক প্রদান করেন তিনি তোমাকেও রিযিক প্রদান করবেন।
তোমাকেও আহার দিবেন।
তোমাকে তো তিনি দুনিয়াতে চলার জন্য জ্ঞান-বুদ্ধি, আকল দান করেছেন।আমি আমার চোখে কাউকে না খেয়ে মরতে দেখিনি।
.
আমি বলতে চাই,কে সেই শাইখ যার কাছে তোমরা জিহাদের ফতোয়া চেয়েছ?
.
তিনি কি কখনো আফগানিস্থানে এসেছেন?
.
তিনি কি কখনো আফগান জিহাদের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে দেখেছেন?
.
নাকি তোমরা এমন শাইখকে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করো যিনি জানেন না আফগানিস্থান কোথাই অবস্থিত।
এশিয়া, ইউরোপে নাকি আফ্রিকায়?
.
.
.
#বই:তাফসীরে সুরা তাওবা।
লেখক:আমার প্রান-প্রিয় শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ।
পাতা নং:৪৫৫-৪৫৬।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top