মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬

আমাকে একজনে গুলি একটা প্যাকেট করে কাগজে মোড়াইয়া তারপরে সুন্দর করে খামে ডুকাইয়া তারপরে আমার ঠিকানাই পাঠিয়ে দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

আমাকে একজনে গুলি একটা প্যাকেট করে কাগজে মোড়াইয়া তারপরে সুন্দর করে খামে ডুকাইয়া তারপরে আমার ঠিকানাই পাঠিয়ে দিয়েছে।
.
লেখছে যে এটা নমুনা দেয়া হল।পরেরটা বাস্তবে আসবে।কোন জায়গায় হাত দিয়েছেন?কোরান হাদিসের কথা বলবেন সব বলতে যাইয়েন না।
.
আমি পাইলে তাকে উত্তর দিতাম অথবা এখন আমি তাকে উত্তর দিচ্ছি,জানিয়ে দিচ্ছি,
এইরকম ভয় দেখাইবা তোমাদের পীরদেরকে।
.
যাদের দুনিয়াতে ১০ টা বোউ আছে।
.
বাড়ি গাড়ি আছে।
.
শরীর টিপতে লোক লাগে।
.
মাথা টিপা লাগে।
.
পা টিপা লাগে।
.
অথবা যেই বুজুর্গদের চলতে গাড়ি লাগে।
.
আরামদায়ক বাড়ি লাগে।
.
ওইসমস্ত পীর-বুজুরগদেরকে এইরকম ভয় দেখাও।
.
যারা তাদের জীবনটাকে ব্যয় করেছে ইসলামের জন্য,যাদের সবচেয়ে বড় চাহিদা,তামান্না শাহাদাহ।
.
ইসলামের জন্য জীবন দেয়া যাদের সবচেয়ে বড় চাহিদা।
.
তুমি তাকে কিসের ভয় দেখাচ্ছ?????
.
তোমরা যারা ভয় দেখাও ওইটা আমরা চাই,তোমরা যেটা থেকে সাবধান করছ আমরা সেটা কামনা করছি।
.
কাজেই, যারা আজকে ভয় দেখাচ্ছ আমি কুরান এবং হাদিসের কথা বলেই যাব সেজন্য যদি বুলেটের মাধ্যমে আমার বুক ঝাজড়া হয়ে যায় তারপরেও এক মুহুরতের জন্যও বিরত থাকব না ইনশাল্লাহ।।।।।।
.
ভাইয়েরা আমার! মনে রাখবেন,আজকে ইসলামের কথা বললে গত সপ্তাহে আমি বিভিন্ন ফেরকা সম্পরকে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন ফেরকার নাম ধরে বলেছি।যে এই দাওয়াতগুলো আল্লাহর নবীর দাওয়াতের সংগে কোন মিল নাই।আল্লাহর নবী লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিয়েছেন, সাহাবায়ে কেরাম লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিয়েছেন।সেই দাওয়াতের ধাক্কায় গোটা সমাজ আলাদা হয়ে গেছে।লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর মানে হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান চলবে না।আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম চলবে না।আইন চলবে না।আর এখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেয়।তারমধ্যে কি নাই?এইসব বিষয়ে কোন কথাই নাই।
.
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেই মসজিদে আস নামাজ পড়। ঠিক আছে ভাল কথা।কিন্তু এরপরে যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিয়ে রাস্ট্রীয়ভাবে নবীরা দ্বীন কায়েম করে গেছেন তার খবর আছে কিছু?এইজন্য মনে রাখতে হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেয়া ভাল কিন্তু সেই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতটা যেন মুহাম্মদ(সা:) এর দাওয়াতের মত হই।
.
মিশরের সাইয়্যেদ কুতুব(রহ:) কে যখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতের কারনে জেলে বন্ধী করা হল শেষ পরয্যন্ত ফাসির হুকুম হয়ে গেল।ফাসির আগের রাতে জেলখানার ইমাম সাহেব উনার সাথে সাক্ষাত করতে আসলেন। সাইয়্যেদ কুতুব(রহ:) জিজ্ঞাস করলেন আপনি কে?কেনই বা এলেন?ইমাম সাহেব বললেন আমি এই জেলখানার ইমাম। আপনি তো ফাসির আসামি।আগামীকাল আপনার ফাসি হতে যাচ্ছে। যেইসমস্ত মুসলমানদের ফাসি হই আমার দায়িত্ব হচ্ছে জেলখানার ইমাম হিসেবে ফাসির আগে তাদেরকে কালিমা পরানো। তওবা পড়ানো।
.
সাইয়্যেদ কুতুব (রহ:) প্রশ্ন করলেন আচ্ছা কি কালিমা আপনি পড়ান?
ইমাম বলল, আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মদান আব্দুহু ওয়া রসুলুহু। সাইয়্যেদ কুতুব অবাক হলেন। বললেন,আমিতো এই কালিমা বলার কারনে, এই কালিমার উপর বই লিখার কারনে, এই কালিমার দাওয়াত দেয়ার কারনে আমাকে বন্ধী করা হয়েছে, চরম নির্যাতন করা হয়েছে, আমার হাত-পা ভেংগে দেয়া হয়েছে।আমাকে ফাসিতে চড়ানো হচ্ছে।যে সরকার আমাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দেয়ার কারনে ফাসি দিচ্ছে সেই সরকার তোমাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়াবার দায়িত্ব দিয়েছে। তোমাকে বেতন দিচ্ছে।
.
কাজেই বুঝা গেল,তোমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আর আমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ  এক নয়।তোমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ত্বাগুতের কাছ থেকে পয়সা নেই।আর আমার ইলাহা ইল্লাল্লাহ আমাকে ত্বাগুতের হাতে নির্যাতিত করে।তোমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তোমাকে চাকরি দেয়,আমার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আমাকে ফাঁসিতে ঝুলাই।বুঝা গেল ঠিকই, বরতমানেও যারা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত দিচ্ছেন জেনে রাখবেন মুহাম্মদ (সা:) এর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতের কারনে লোকেরা তাকে মারতে উদ্যত হয়েছিল, ঘেরাও করেছিল হত্যা করার জন্য,বাড়ি-ঘর ত্যাগ করতে হয়েছে, কাফের মুশরিকরা বিরুধিতা করেছে।
.
আপনার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াতে সমস্ত ত্বাগুত ইহুদি-নাসারা, বোদ্ধ-হিন্দুদের কোন আপত্তি নাই।আপনার জন্য সারা বিশ্বের ভিসা ফ্রি হয়ে যায়,আপনার জন্য সব জায়গায় ডুকতে দেয়া হয়, বুঝা গেল আপনাকে পাহাড়াদারি করা হই, আপনার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হই।বুঝা গেল আপনার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত আর মুহাম্মদ (সা:) এর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর দাওয়াত এক নই।ভাইয়েরা আমার!সেজন্য মনে রাখতে হবে,আমাদের মনে রাখতে হবে। আমরা দাওয়াত দিব লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর কিন্তু সেই দাওয়াতটা যেন সত্যিকারভাবে নবী মুহাম্মদ (সা:) এর মত নবীওয়ালা দাওয়াত হই।
.
ইসলামে দল তৈরি করার সুযোগ নাই।ইসলামটাই একটা জামাহ।আমাদের পরিচয় আমরা মুসলিম। ইসলামের মধ্যে যে কেহ কোন দল তৈরি কিরল,কোন ফেরকা তৈরি করল সে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তির জন্ম দিল, মুসলমানদের মাঝে আকিদার পার্থক্য হয়ে যায়,কারন দল করলেই দলের কিছু নীতিমালা থাকে। সেই কারনেই যত রকমের দল আছে,ফেরকা আছে ইসলাম ছাড়া, মুসলিম ছাড়া কোন দল তৈরি করার সুযোগ ইসলামে নেই।
.
.
.
#আমার প্রান-প্রিয় শাইখ মুফতি জসীমুদ্দিন রহমানি হাফিযাহুল্লাহর বয়ান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top