বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬

সাংবাদিক: আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল,পাকিস্থান এটি একটি মুসলিম দেশ।আর মুসলিম দেশে কালিমা পড়নে ওয়ালা মুসলিমদের সাথে লড়াই করাও কি জিহাদ???আপনি এই বিষয়টি কুরান ও হাদিসের আলোকে স্পষ্ট করবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

সাংবাদিক:
আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল,পাকিস্থান এটি একটি মুসলিম দেশ।আর মুসলিম দেশে কালিমা পড়নে ওয়ালা মুসলিমদের সাথে লড়াই করাও কি জিহাদ???আপনি এই বিষয়টি কুরান ও হাদিসের আলোকে স্পষ্ট করবেন।
.
.
মুজাহিদ:
........আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন সেটা আজকাল অধিকাংশ মানুষই করে থাকে।পাকিস্থানে যে যুদ্ধটি হচ্ছে এটি কালিমা পড়নেওয়ালা মুসলিমদের সাথেই হচ্ছে। তাহলে এটাকে কি জিহাদ বলা যাবে কি?
.
আপনার প্রশ্নটির জবাব এভাবে দেয়া যায়।এধরনের কালিমা পড়নেওয়ালা নামধারী মুসলিমদের সাথে ইসলামের শুরুযুগ থেকেই যুদ্ধ চলে আসছে।
.
উদাহরণ স্বরুপ:
হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা:) এর যুগে যাকাত  অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যখন তিনি তলোয়ার উঠালেন সেই সময়েও এই একই প্রশ্ন উঠেছিল।এরা নামাজ পড়ে,রোজা রাখে,হজ্ব করে এবং এরা কোন মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত নেই তাহলে এদের বিরুদ্ধে কেন তরবারি উঠানো হচ্ছে?
.
কিন্তু হযরত আবু বকর (রা:) বলেছেন,যারা রাসুল (সা:)এর যুগে যারা রশিসহ একটা উঠ যাকাত দিত আজকে যদি তারা বলে উঠ যাকাত দিব কিন্তু তার সাথে উঠের রশি দিবনা তাহলে আমি আবু বকর তাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষনা করলাম।তাদের মাঝে একটিমাত্র ঈমান ভংগের কারন পাওয়া যাওয়ার কারনে তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন।তা হল আল্লাহতায়ালার একটা বিধানকে অস্বীকার করা।অথচ এরা ছিল কালেমা পড়নেওয়ালা মুসলিম।
.
আবার আপনি যদি দেখেন হোসাইন (রা:) যাদের বিরুদ্ধে কারবালা অভিমুখে রওনা করেছিলেন তারা কি ছিল?তারাও মুসলিম-ই ছিল।যখন তাদের মাঝে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল তখন পুরা মুসলিম জাতি এই বিষয়ে একমত পোষন করেছে যে,হযরত হোসাইন (রা:) শহীদ তথা জান্নাতি।আর উনার বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে তারা জাহান্নামি।
.
অনুরুপভাবে,
ইমাম আবু হানিফা (রা:)যখন দেখলেন লোকেরা আব্বাসীয় জালিম খলিফা মানসুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন তিনিও জনগনকে যুদ্ধের ব্যাপারে সমর্থন দিলেন।
.
একইভাবে,
আমরা যদি ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করি,
তাহলে আমরা দেখতে পাব ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল  তথা তালেবানরা তখন কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল?
তারা ছিল আহমেদ শাহ মেহসুদ হেকমতিয়ার বোরহানুদ্দিন গাদ্দানীর মত কালিমা পড়নেওয়ালা মুসলিম।
সে সময় পাকিস্থানের সমস্ত ওলামায়ে কেরাম তালেবানদের জিহাদকে সমর্থন করেছিল।
কেন সমর্থন করলেন?সমর্থন করলেন কারন তালেবানরা যেহেতু শরীয়ত প্রতিস্টার জন্য যুদ্ধ করেছেন সেহেতু এটা অবশ্যই অবশ্যই জিহাদ বলে গন্য হবে।
তখন দেওবন্দেরও সকল ওলামায়ে কেরামগন এই অভিমতটি দিয়েছিলেন।
.
অনুরুপভাবে,
বরতমানে আফগানিস্থানে হামিদ কারজাই এবং তার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে  যে জিহাদ চলছে এটাকেও পাকিস্থানি ওলামায়ে কেরাম সমর্থন করেছেন।
কারন আমেরিকাকে যারাই সাহায্য সহযোগীতা করবে তাদের বিরুদ্ধেও জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে হোক না তারা কালিমা পড়নেওয়ালা মুসলিম।
.
কিন্তু
যখনই পাকিস্থানের ব্যাপারটি সামনে আসছে বলা হচ্ছে তখনই দ্বীমুখীনীতি ফুটে উঠছে।বলা হচ্ছে,এদের বিরুদ্ধে কেন যুদ্ধ করব?এরা তো কালিমা পড়নেওয়ালা মুসলিম।এদের সাথে আসলে যুদ্ধ করার কারন হলো,পাকিস্থানের এই ত্বাগুতি সরকার আমেরিকার পক্ষ অবলম্বনকারী এবং জিহাদের পথে সরবপ্রথম বাধাদানকারী।
আর জিহাদের পথে যেটাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে সেটাকেই দুর করার সর্বাত্মক চেস্টা করতে হবে।
.
ফিকাহর কিতাবে একটা মাসালাহ রয়েছে।যদি কাফেররা কিছু মুসলিমকে বন্ধী করে  এবং তাদেরকে ঢালস্বরুপ ব্যবহার করে এক্ষেত্রে সকল ওলামায়ে কেরাম ওইক্যমত পোষন করেছেন যে,তখন মুসলিমদের জন্য বৈধ হবে,ঢালস্বরুপ যে সকল মুসলিমকে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রথমে তাদেরকে হত্যা করা তারপরে কাফেরদেরকে হত্যা করা।তবে এই নিয়্যতে হত্যা করতে হবে আমরা কাফেরদেরকে হত্যা করার চেস্টা করছি মুসলিমদেরকে নয়।
.
লক্ষ্য করুন,
যে লোকগুলোকে বাধ্য করে সামনে রাখা হয়েছে তাদের হত্যার ব্যাপারে শরীয়ত অনুমোদন দিয়ে থাকে।এটাকে জিহাদ বলে স্বীকার করে থাকে।
.
তাহলে যেসকল লোকেরা আমেরিকার পক্ষ নিয়ে জিহাদের পথে বাধা দিচ্ছে,
মুজাহিদদের বন্ধী করে আমেরিকার হাতে তুলে দিচ্ছে তাদেরকে হত্যা করা বা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কেন জিহাদ হবেনা???????????????
এটাকে অবশ্যই জিহাদ বলে বিবেচিত করতে হবে।
.
এতক্ষন পরযন্ত সাধারন কিছু বিষয় আপনার সামনে তুলে ধরলাম যাতে করে আপনার সংশয় দুর হয়ে যায় এবং আপনি যাতে বুঝতে পারেন আসলে আমরা আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি।আর আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে যারাই বাধা দিচ্ছে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও অস্ত্র ধরছি।যাতে করে বাধাবিপত্তি দুর হয়ে যায়।এটা হল প্রথম বিষয়।
.
এবারে দেখা যাক,
কুরানুল কারীমে আল্লাহপাক এসম্পর্কে কি বলেছেন।আপনার প্রশ্নের একটা অংশে এও ছিল যে,আমি বিষয়টাকে যেন কুরান-হাদিসের আলোকে ফুটিয়ে তুলি।
.
কুরানুল কারীমের সুরা মায়িদার ৫১ নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন,
হে ঈমানদারগন!তোমরা ইয়াহুদী এবং নাসারাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহন করোনা।
কেননা তারা একে অপরের বন্ধু।
তোমাদের মধ্যে যদি কেউ তাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহন করে তাহলে তারাও তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
এটাতো হল এই আয়াতের অরথ।
.
এবার আমরা দেখব ঈমাম কুরতুবী(রা:) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় কি বলেছেন,তিনি এই আয়াতের শেষ অংশের ব্যাখ্যায় বলেন,তাদের সাথে সেই আচরনই করা হবে যা কাফেরদের সাথে করা হই।সে ব্যক্তি কোন মুসলিমের সম্পদের ওয়ারিস হবেনা।তার মরনের পর তার সম্পদও মুসলিম ওয়ারিসদের মাঝে বন্টিত হবেনা।
.
ঈমাম কুরতুবী রহ. আরো বলেন,যেভাবে ইয়াহুদী নাসারারা আল্লাহ ও তার রাসুলের অবাধ্যতা করেছে ঠিক তদ্রুপ এই কালেমা পড়নেওয়ালা মুসলিমরাও আল্লাহ ও তার রাসুলের অবাধ্যতা করেছে।
.
সুতরাং দুনিয়াতে যেভাবে ইয়াহুদী নাসারাদের সাথে শত্রুতা রাখা ফরয,ঠিক তেমনিভাবে এই নামধারী মুসলিমদের সাথেও শত্রুতা রাখা ফরয।
.
মুফাসসিরিনেকেরাম একথা স্পস্ট করে বলেছেন যে,যদি কেউ কাফেরদের সাথে মিলে মুসলিমদের সাথে লড়াই করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে হবে।
.
আপনার মনে যেভাবে প্রশ্নটি উদয় হয়েছে ঠিক তেমনিভাবে রাসুল সা. এর যুগেও কিছু মানুষের মনে এই ধরনের প্রশ্ন উদয় হয়েছিল।
.
কিছু লোক হিজরত এর পরে মক্কায় কাফেরদের সাথে রয়ে গিয়েছিল এবং তারা কাফেরদের যুদ্ধের ব্যাপারে সাহায্য সহযোগীতা করত।অপরদিকে তারা যখন মুসলিমদের সাথে মিলিত হত তারা তখন বলত আমরা মুসলিম।
সেই সময়ে সাহাবায়ে কেরামের একটা জামায়াত বলল,এই সমস্ত নামধারী কালিমা পড়নেওয়ালা মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই কর এবং তাদের যেখানে পাও সেখানে বন্ধী কর।
তখন সাহাবায়ে কেরামের অন্য একটা জামায়াত বলল, শুধুমাত্র হিজরত না করার কারনেই আমরা এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব????
অথচ হিজরত না করার কারনে তো কালিমাপড়নেওয়ালা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায়না।
রাসুল সা.প্রথমে এই ব্যাপারে চুপ ছিলেন।পরবরতীতে আল্লাহ্‌ তায়ালা ওহী নাযিল করলেন।সুরা নিসার ৮৯ নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন,"তারা চাই তোমরা কুফুরী কর,যেমনিভাবে তারা কুফুরি করেছে। অত:পর তোমরা যাতে করে কুফুরিতে তাদের সমান হয়ে যাও।তোমরা তাদের কাউকে বন্ধুরুপে গ্রহন করোনা।যতক্ষন পরয্যন্ত না তারা আল্লাহর রাস্তাই হিজরত করে।অতপর, তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় অরথ্যাত হিজরত না করে তাহলে তাদের বন্ধী কর, যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর।
কুরানুল কারীমের এই আয়াত দ্বারা স্পস্ট হয়ে যায়,কেউ যদি মুসলিম হয়েও মুসলিমদের মোকাবেলায় কুফফারদের সহযোগীতা করে তাহলে তাদের ব্যাপারেও আল্লাহতায়ালার এই স্পস্ট হুকুম তাদেরকে বন্ধী কর আর যেখানে পাও সেখানে হত্যা করে দাও।
.
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরানুল কারীমের অনেক জায়গায় বলেছেন, এইসকল কালিমা পড়নেওয়ালা মুসলিমদের দুই ধরনের চেহারা।কখনো এরা মুসলিমদের সাথে আবার কখনো এরা কাফেরদের সাথে।
.
আর বর্তমান এই পাকিস্থান সরকার স্পস্টভাবে কুফফারদের সাথে জড়িত।
এইজন্যই আমরা এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি।
.
এইরকমভাবে কুরানের সুরা আল ইমরানের ২৮ নাম্বার আয়াতে আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন,মুমিনরা যাতে মুমিন ব্যতীত কাফেরদেরকে বন্ধু না বানাই,আর যে কাফেরদের বন্ধু বানাল তাহলে তার সাথে আল্লাহর কোন সম্পরক নাই।
.
ঈমাম শাওকানী রহ. ফাতহুল কাদীরের মধ্যে এই আয়াতের তাফসীরে বলেন,তার সাথে আল্লাহ তায়ালার কোন সম্পরক নাই এবং সে পরিপুরনভাবে ইসলাম থেকে বহিস্কার হয়ে গেছে।
.
ঈমাম তাবারি রহ. তার তাফসীরে তাবারীতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,তার সাথে তো আল্লাহতায়ালার কোন সম্পরক নেই,বরং সে দ্বীন থেকে ফিরে যাওয়াই এবং কুফুরির মাঝে প্রবেশ করার কারনে সে আল্লাহতায়ালা থেকে মুক্ত।
.
আল্লামা আনুসী রহ.রুহুল বায়ানীতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন,একজন মুসলিমের বন্ধু হওয়ার আসল হ্বকদার আরেকজন মুসলিমই।আর মুসলিমকে বন্ধু বানানোর বিপরীত হল কাফেরদেরকে বন্ধু বানানো।সুতরাং কাফেরদেরকে যারা বন্ধুরুপে গ্রহন করল,সাহায্য সহযোগীতা করল তারাও মুসলিমদের শত্রু হিসেবে গন্য হবে।
.
সুতরাং যে ব্যক্তি মুসলিমদের শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব করবে তাদেরকে মুসলিমদের শত্রু হিসেবে বিবেচিনা করা হবে।যেমনিভাবে মুসলিমদের শত্রুদেরসাথে যুদ্ধ করা হবে ঠিক তেমনিভাবে তাদের সাথেও যুদ্ধ করা হবে।
.
অতএব এই ক্ষেত্রে কুরানুল কারীম,ফোকাহায়ে কেরাম,সকল ওলামায়ে কেরাম ওইক্যেমত পোষন করেছেন,যে ব্যক্তি কাফেরদের বন্ধু বানাবে তার সাথেও যুদ্ধ করতে হবে।কেননা সে তাদের সাহায্য করার কারনে এখন আর মুসলিম নেই বরং কাফের এ পরিনত হয়ে গেছে।
.
সুতরাং,
বরতমানে আমরা যখন হামিদ কারজাই এর বিরুদ্ধে অথবা আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি তখন পাকিস্থানের প্রেসিডেন্ট রাজা গিলানী বা জাদ্দারির মত নামধারি মুসলিমরা আমেরিকাকে সাহায্য করছে।
.
ন্যাটো বাহিনীর মালামাল পাকিস্থানের ভু-খন্ড দিয়ে সাপ্লাই দিচ্ছে।
.
আর যেসকল মুজাহিদীরনরা আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তখন পাকিস্থানের সেনাবাহিনী আমেরিকার পক্ষ নিয়ে এই মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
.
আপনি একটু লক্ষ্য করে দেখুন,
পাকিস্থানের বন্দরগুলো যদি আমেরিকার যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহের জন্য না হত,
.
পাকিস্থানের ইন্টেলিজেন্স গোয়েন্দা সংস্থা আমেরিকার মদদ না যোগাতো,
.
যদি পাকিস্থান আমেরিকাকে ঘাটি দিয়ে সাহায্য না করত তাহলে আমেরিকা এক বছরেও আফগানে যুদ্ধ করতে সক্ষম হতো না।
অথচ ৮-১০ বছর যাবত আমেরিকা আফগানে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।এর প্রধান কারন হল,পাকিস্থান প্রশাসনের সহযোগীতা।
.
অতএব,আমরা তাদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছি যারা কাফেরদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহন করেছে।
.
সকল ফোকাহায়ে কেরাম,ইজমায়ে উম্মাহ এব্যাপারে ওইক্যমত পোষন করেছেন যে,যদিও তারা মুখে কালিমা উচ্চারন করে।
.
সুতরাং কুরান-হাদিসের আলোকে আপনার সামনে বিষয়টা স্পস্ট করা হলযে,আমরা যাদের সাথে যুদ্ধ করছি তারা কাফেরদের বন্ধুরুপে গ্রহন করে,সব রকমের সাহায্য সহযোগীতা করে তাদের গোলামি করে তারা আজ কাফেরে পরিনত হয়ে গেছে।
.
সুতরাং আমরা কোন মুসলিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিনা বরং কাফের ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top