মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১৬

চরমোনাই পীরের আসল চেহারা

কোন মন্তব্য নেই:

চরমোনাই পীরের আসল চেহারা দলিল প্রমাণ
সহ।
:
আসুন বাতিল ভন্ডপির চরমোনাই
সম্পর্কে জানি। প্রথমত দেখুন কিভাবে
মানুষের টাকা আত্বসাত করে কোটিপতি
হওয়ার ধান্দা করেছিলো ধান্দাবাজ
চরমোনাই পিরের লুটেরা আওলাদ।
লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/
Khaja.BD/videos/1650999208467840/
.
চরমোনাই পীরের কথা তার নিজের
জবানেই শুনুন, সে নিজেই
বলছেঃ ‘’আমিতো এখন আমাকেই চিনি
না, আমি যে কে তাহাই আমি জানি
না, আমি কি জাতি, মুসলমান, না ইহুদী,
না অগ্নিপুজক তাহাও বলিতে পারি না‘’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহী;পৃষ্ঠা নঃ ৯১
.
যে ব্যক্তি বলে যে আমি মুসলিম নাকি
ইয়াহুদি নাকি অগ্নিপুজক তা আমি
জানি না সে কখনই মুসলিম হতে পারে
না, কেননা মুসলিম হলেন সেই ব্যক্তি
যিনি ঈমান আনেন আল্লাহ পাক উনার
প্রতি, উনার ফেরেশ্তা আলাইহিমুস
সালাম উনাদের প্রতি, সম্মানিত
কিতাবসমুহের প্রতি, পরকালের প্রতি,
সম্মানিত রাসুল আলাইহিমুস সালাম
উনাদের প্রতি এবং তাকদীর উনার ভাল
মন্দের প্রতি। আমরা সবাই জানি যে,
ইয়াহুদিরা আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত
কিতাব আল কোরআন এবং মহান আল্লাহ
পাক উনার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ইমান আনে না
এবং অগ্নিপুজকরা না ঈমান আনে
আল্লাহ পাক উনার প্রতি, না ফেরেশতা
আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি, না
সম্মানিত কিতাব সমুহ উনাদের প্রতি না
রাসুলগ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
প্রতি, যে ব্যক্তি নিশ্চিত নয় যে সে কি
মুসলিম, নাকি ইয়াহুদি নাকি
অগ্নিপুজারক সে কাফির, কেননা
ইয়াহুদিরা এবং অগ্নিপুজারকরা কাফির
এবং মুশরিক, আর চরমোনাই পীর সে
নিজেই জানে না সে মুসলিম না
অগ্নিপুজক অর্থাৎ কাফির।
.
.
চরমনাই পীরের মহান আল্লাহ্ সুবাহানাহু
ওয়া তায়ালা উনার সাথে চরম বেয়াদবী
ও অশালীন উপমাঃ -১
”ওগো আমার মাশুক মাওলা!
আপনি আপনার কুদরতি নজরে আমার
দিকে চাহিয়া দেখুন,
আমি এখন আমি নাই, আমি আপনি
হইয়াছি,আর আপনি আমি হইয়াছেন;
আমি হইয়াছি তন, আপনি হয়াছেন
জান” (নাউজুবিল্লাহ)
সূত্রঃ (সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর
রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৪১)
.
মুসলিমরা জানেন যে, আল্লাহ পাক উনার
সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হলেন নুরে মুজাসসাম
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি
উনার প্রিয় বান্দাদের মধ্যে প্রবেশ
করতেন তাহলে তিনি নুরে মুজাসসাম
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার মধ্যেই প্রবেশ করতেন,
মুসলিমরা জানেন যে কোন সৃষ্টির মধ্যে
আল্লাহ পাক তিনি প্রবেশ করা মহান
আল্লাহ পাক উনার শানের বা সম্মানের
বাহিরে।
.
.
চরমনাই পীর সম্পর্কে পবিত্র আল
কোরআন উনার দুটি আয়াত শরিফ উল্লেখ
করলামঃ
মহান আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা
তিনি বলেনঃ ”তারা মহান আল্লাহ পাক
উনাকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় না।
কিয়ামতের দ্বীন সমগ্র পৃথিবী উনার
হাতের মুষ্টিতে থাকবে, আর
আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাজ করা অবস্থায়
উনার ডান হাতে। মাহাত্ম উনারই, তারা
যাদেরকে উনার শরীক করে, তিনি
তাদের থেকে বহু উপরে” পবিত্র সুরা আয-
যুমার ঃ আয়াত ৬৭।
আর তিনি মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিকা
নারী, মুশরিক পুরুষ ও মুশরিকা নারীকে
শাস্তি দিবেন যারা মহান আল্লাহ পাক
উনার সম্পর্কে খারাপ ধারনা পোষণ
করে। তাদের জন্য আছে অশুভ চক্র। মহান
আল্লাহ পাক তাদের উপর রাগান্বিত
হয়েছেন আর তাদেরকে লা’নাত
করেছেন। তাদের জন্য প্রস্তুত করে
রেখেছেন জাহান্নাম। তা কতই না
নিকৃষ্ট আবাসস্থল” সুরা আল-ফাতহ
শরিফঃ আয়াত শরিফ ৬।
.
.
চরমনাই পীরের মহান আল্লাহ সুবাহানাহু
ওয়া তায়ালা উনার সাথে চরম বেয়াদবী
ও অশালীন উপমাঃ -২
মহান আল্লাহ পাক উনাকে প্রেমিকা
হিসাবে সম্বোধন!!! (নাউজুবিল্লাহ)
”হে আমার মাশুক! আপনি আমাকে
আপনার এশকে রাত-দিন মত্ত,
মাতোয়ারা, বে-ক্বারার ও অস্থির
করিয়া রাখুন‘’
সূত্রঃ সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর
রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৫
======================
চরমনাই পীরের এরুপ বেয়াদবী ও
অশালীন কথাই প্রমান করে যে সে
প্রকৃতপক্ষে মুসলিম নাকি কাফির, অবশ্য
সে নিজেই তা জানে না!!! (কিন্তু তার
কথা আমাদের ইঙ্গিত দেয় যে সে কি!!!)
.
.
চরমনাই পীরের মহান আল্লাহ্ সুবাহানাহু
ওয়া তায়ালা উনার সাথে চরম বেয়াদবী
ও অশালীন উপমাঃ ৩
‘’অতিশয় খুব ছুরাত সুন্দরী পর্দার আড়ালে
লুকাইয়া থাকিতে অক্ষম; তুমি তাহাকে
পর্দায় রাখার জন্য দরওয়াজা বন্ধ
করিলেও তিনি জানালা দিয়া মুখ
বাহির করিয়া রুপ দেখাইবেন। তাই হে
মাশুকে হাক্বীক্বী মাওলা! আপনিও আর
একা থাকিতে না পারিয়া আমাদিগকে
নিজ হাতে পয়দা করিয়া, নিজরুপ
দেখাইয়া যখন আশেক বানাইয়াছেন, এখন
কেন গোপন থাকিবেন? দয়া করিয়া
দেখা দেন, প্রান তো মানে না গো”
সূত্রঃ সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর
রচনাবলী; আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১০-১১
===================
চরমনাই পীরের কথাগুলো আসলে কিরুপ
অর্থ বহন করে?
চরমনাই পীর বলেছেঃ “আপনিও আর একা
থাকিতে না পারিয়া আমাদিগকে নিজ
হাতে পয়দা করিয়া” অর্থাৎ মহান
আল্লাহ পাক তিনি আর একা থাকতে না
পেরে আমাদের সৃষ্টি করেছেন, অর্থাৎ
চরমনাই পীরের মতে মহান আল্লাহ পাক
তিনি একা থাকতে সক্ষম নন তাই বাধ্য
হয়ে আমাদের সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু মহান
আল্লাহ পাক তিনি বলেছেনঃ “তিনি
কোন কিছুরই মুখাপেক্ষী নন” (সুরা
ইখলাস শরিফঃ আয়াত শরিফ ৪) অর্থাৎ
তিনি কোন কিছুরই বাধ্য নন, সুতরাং
প্রমানিত হল যে, চরমনাই পীর সম্মানিত
পবিত্র আল কোরআন উনার স্পষ্ট
আয়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে।
এছাড়াও চরমনাই পীরের অপবিত্র
বানীঃ “আপনিও আর একা থাকিতে না
পারিয়া আমাদিগকে নিজ হাতে পয়দা
করিয়া” দ্বারা প্রমানিত হয় যে, যখন
মহান আল্লাহ পাক তিনি আর একা
থাকতে পারছিলেন না তখন তার
একাকীত্ব দূর করার জন্য আমাদের সৃষ্টি
করেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য এটিও সম্মানিত
পবিত্র আল কোরআন উনার স্পষ্ট
আয়াতের বিরুদ্ধে, মহান ও পবিত্র
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা
বলেছেনঃ “আমি জীন এবং মানব
জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদাত করার
জন্য সৃষ্টি করেছি” কিন্তু পীর তো বলছে
ভিন্ন কথা, আসলে সে তো তাই বলবে,
কেননা সে তো জানেই না যে সে কি
মুসলিম নাকি কাফির!!!
.
চরমনাই পীর আরও এগিয়ে বলেছেঃ
“নিজরুপ দেখাইয়া যখন আশেক
বানাইয়াছেন”, অর্থাৎ চরমনাই পীর কে
উনার নিজের রুপ দেখাইয়াছেন, সুতরাং
চরমনাই পীর মহান আল্লাহ পাক উনাকে
দেখেছে!!! চিন্তা করেছেন যে, চরমনাই
পীর কত বড় ব্যক্তি???!!! যে চরমনাই পীর
মহান আল্লাহ পাক উনাকে দুনিয়াতে
বসে দেখেছে!!!
.
ভণ্ডামির একটা সীমা থাকে কিন্তু পীর সে সকল সীমা অতিক্রম করেছে, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি পবিত্র মিরাজ শরিফে গিয়ে মহান
আল্লাহ পাক উনাকে দেখেছেন কিনা
তা নিয়ে মুসলমানদের মাঝে ইখতিলাফ
রয়েছে, আর যদিও নুরে মুজাসসাম
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক
উনাকে দেখে থাকেন তাহলে তিনি তখন
মিরাজে গিয়েছিলেন, কিন্তু চরমনাই
পীর কি মিরাজ শরিফে গিয়েছিলো?
না, তাহলে সে কিভাবে আল্লাহ পাক
উনাকে দেখলো? মহান আল্লাহ পাক
উনাকে এই পৃথিবীতে দেখা সম্ভব নয় যদি
সম্ভব হয় তাহলেও মানুষের ধারনার
বাহিরে, কেননা মুসা কালিমুল্লাহ
আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ
পাক উনাকে বললেন ‘’হে আমার
প্রতিপালক আমাকে দেখা দিন, আমি
আপনাকে দেখবো। তিনি বললেন, আপনি
আমাকে কক্ষনো দেখতে পাবেন না, বরং
আপনি পাহাড়ের দিকে তাকান, যদি তা
নিজ স্থানে স্থির থাকতে পারে তাহলে
আপনি আমাকে দেখতে পাবেন।’’ অতঃপর
উনার প্রতিপালক যখন পাহাড়ে নিজ
জ্যোতি বিচ্ছুরিত করলেন, তখন তা
পাহাড়কে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল আর মুসা
আলাইহিস সালাম তিনি চৈতন্য হারিয়ে
পড়ে গেলেন ” সুরা আ’রাফ:আয়াত ১৪৩।
.
মহান আল্লাহ পাক উনাকে আখেরাতে
দেখা সম্পর্কে নুরে মুজাসসাম
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার হাদীস শরিফঃ ‘’তোমরা
মৃত্যুবরণ করার পূর্বে কিছুতেই তোমাদের
প্রতিপালক আল্লাহ পাক উনাকে দেখতে
পাবে না’’ ফাতহুল বারীঃ হাদিস শরিফ ৮৪৯৩।
.
সুতরাং, হয় মহান আল্লাহ পাক এবং
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম উনারা সত্য বলেছেন অথবা
চরমনাই পীর সত্য বলেছে, মুসলিম
হিসেবে বলবো যে অবশ্যই মহান আল্লাহ
পাক এবং উনার রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য বলেছেন
এবং চরমনাই পীর মিথ্যা বলেছে।
.
.
চরমনাই পীরের মহান আল্লাহ্ তায়ালা
উনার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন
উপমাঃ ৪
”আসুন গো ওহে আমাদের মাশুক! নিরালা
নির্জনে বসি প্রেম আলাপ করি গো”
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১৫
.
চরমনাই পীর আল্লাহ পাক উনাকে এই
পৃথিবীতে ডাকছে প্রেম আলাপ করার
জন্য! (নাউযুবিল্লাহ) আমার চিন্তা হয়
যে, এই পীর কি স্বাভাবিক মস্তিষ্কের
অধিকারী নাকি কয়েকটা নাট-বল্টুর
অভাব আছে? নাকি দুনিয়ার স্বার্থ
অর্জনের জন্য এসব জাহিলিয়াত এবং
বেয়াদবী করে চলছে? মহান আল্লাহ পাক
তিনি ভালো জানেন, সবচেয়ে বড় মূর্খ
তো তারাই যারা এসব কিছু জেনে শুনেও
এই পীরের অনুসরন করছে!
.
লক্ষণীয় বিষয়, পীর মহান আল্লাহ পাক
উনাকে এই পৃথিবীতে ডাকছে, কিন্তু
আমি আগেই সম্মানিত আল কোরআন উল
কারিম উনার আয়াত শরিফ দিয়ে প্রমান
করেছি যে, আল্লাহ পাক উনাকে এই
পৃথিবীতে দেখা সম্ভব নয়, যেখানে মহান
আল্লাহ পাক উনার পাঠানো নূর বা
আলো পৃথিবীর পাহাড় সহ্য করতে না
পেরে পাহাড় ধ্বংস হয়ে গেছে সেখানে
মহান আল্লাহ পাক এই পৃথিবীতে আসলে
এই পৃথিবী কি টিকে থাকতে পারবে? না
কখনই না, কেননা মুসা আলাইহিস সালাম
এই পৃথিবীতে মহান আল্লাহ পাক উনাকে
দেখতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি পারেন
নি, এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি এই
পৃথিবীতে আসার মুখাপেক্ষী নন, অর্থাৎ
পীরের কথাগুলো শুধু মাত্রই বেয়াদবী,
তার কথা থেকে এটাও প্রমান হয় যে পীর
সে সম্মানিত আল কোরআন উনার এই
আয়াত শরিফ উনাকে সম্ভবত জানে না
বা জানলেও ভণ্ডামি করছে, আর একটি
গুরুত্বপূর্ণ কথা, পীর মুসলিম না ইয়াহুদি
তা সে নিজেই জানে না!
.
.
চরমনাই পীরের মহান আল্লাহ্ তায়ালা
উনার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন
উপমাঃ ৫
”ওগো মাওলা!
তোমার বিচ্ছেদের আগুন যেন দোজখের
আগুন!আমি ভুল বলিয়াছি,
তোমার মতো সুন্দর মাশুকের জুদাইর
অগ্নি সম কোন অগ্নি নাই।
তাই বলি, আর দূরে রাখিয়া আমারে
জালাইও না গো ,কত আর জ্বালাইবা, সহিতে পারি না গো” সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ১৬
.
চরমনাই পীর যে শব্দগুলো মহান আল্লাহ
পাক উনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছে ঠিক
সেই শব্দগুলো সাধারণত প্রেমিক-
প্রেমিকারা প্রয়োগ করে থাকে, এরুপ
শব্দ মহাম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া
তা’আলার উনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা
জঘন্য বেয়াদবী, পীর এর সাহস দেখে
আমার অবাক লাগে যে সে মুসলিমদের
মধ্যে এসব কথা ছড়াচ্ছে, অবশ্য তার
সাহস হওয়ারই কথা, যেহেতু তার কিছু
অন্ধ ও মূর্খ অনুসারীও রয়েছে, না,
এখানেই শেষ নয়, আরও বাকী আছে, পীর
আরও বলেছে “আর দূরে রাখিয়া আমারে
জালাইও না গো” অর্থাৎ, মহান আল্লাহ
পাক পীর কে দূরে রেখে জ্বালাচ্ছেন!
তাহলে প্রশ্ন হলো পীরকে মহান আল্লাহ
পাক তিনি কাছে রেখেছিলেন কবে?
যদি পীরকে দূরে রেখে মহান আল্লাহ
পাক তিনি এখন জ্বালিয়ে থাকেন
তাহলে প্রমান হয় যে কোন একদিন মহান
আল্লাহ পাক পীরকে কাছেও
রেখেছিলেন! কিন্তু আমিতো আগেই
প্রমান করেছি যে, পীর নয় কখনও কেউই
মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখেনি, না
সে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে
মিলেছে না আল্লাহ পাক তিনি
মিলেছেন, সুতরাং এটাও প্রমান হয়ে
গেলো যে, পীর কোন দিনও মহান আল্লাহ
পাক উনার কাছে ছিলোনা। কেননা না
মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পৃথিবীতে
এসেছেন এবং না পীর মিরাজ শরিফ
উনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার
কাছে গিয়েছে। সুতরাং আবারও পীর
মিথ্যা বলেছে, পীর আরও বলেছে “কত
আর জালাইবা” জ্বালানো শব্দটিকে
দুভাবে প্রয়োগ করা যায়, এক হলো কোন
কাওকে জ্বালানো অর্থাৎ ‘কষ্ট দেওয়া’
বা ‘বিরক্ত করা’ আর ২য় অর্থটি হল
প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে, যেহেতু
পীরের চরম বেয়াদবী ইতিপূর্বেও বহুবার
করেছে সেহেতু জ্বালানো শব্দের ২য়
অর্থটিকেই ধরে নিচ্ছি কিন্তু ২য় অর্থটি
মহান আল্লাহ পাক উনার ক্ষেত্রে চরম
বেয়েদবীর অর্থ বহন করে, আর যদি প্রথম
অর্থটি ধরে নেই তাহলে হলো কষ্ট
দেওয়া কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনাকে
একমাত্র তার নাফরমান বান্দারাই
কষ্টদেয়, আর ‘বিরক্ত করা’ মহান আল্লাহ
পাক উনার সম্মানের বাহিরে, বিরক্ত
করা মহান আল্লাহ পাক উনার মাখলুকের
গুন কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার নয়,
তাই বিরক্ত শব্দটি মহান আল্লাহ পাক
উনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে না।
কেননা এতে করে তাওহীদুল আসমা ওয়া
সিফাত এর ৫টি শর্ত হতে একটি শর্ত ভঙ্গ
হয়ে শিরক সম্পাদিত হয়, তাওহীদুল আসমা
ওয়া সিফাত এর ৫টি শর্ত হতে একটি শর্ত
হলোঃ “আল্লাহ পাক উনার কোন গুন
উনার মাখলুককে দেওয়া যাবে না যা
তিনি সাব্যস্ত করেন নি এবং মাখলুক এর
কোন গুনও মহান আল্লাহ পাক উনাকে
দেওয়া যাবে না যা তিনি নিজের জন্য
সাব্যস্ত করেন নি” সুতরাং পীরের
কথাগুলো যেই অর্থেই নেই না কেন তা
বেয়াদবী এবং শিরক এর অর্থই বহন করে,
কারন সে(পীর) তো জানেই না যে সে
মুসলিম নাকি মুশরিক (অগ্নিপুজক এবং
মূর্তিপুজকরা মুশরিক)
.
.
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ তায়ালার সাথে
চরম বেয়াদবী ও অশালীন উপমাঃ ৬
”ওগো আমার মাশুক! আপনি বেপর্দা হইয়া
আমার এই বাসায় আসুন’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ৫০
=================
এখানে এই জালিম (চরমনাই পীর) মহান
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা উনাকে
তার ঘরে আসতে বলছে, তিনি আল্লাহ
যিনি সমস্ত কিছুকে সৃষ্টি করেছেন,
যিনি কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন তাকে
পৃথিবীর সামান্যতম একটি ঘরে আসতে
বলছে পীর?, আমি পূর্বেই প্রমান করেছি
যে মহাম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা
তিনি এই পৃথিবীতে আসবেন না যার ফলে
মুসা আলাইহিস সালাম তিনি মহান
আল্লাহ পাক উনাকে দেখতে পারেন নি,
এই পৃথিবীকে মহান আল্লাহ পাক উনার
মাখলুককে ধারন করার জন্য সৃষ্টি
করেছেন আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া
তা’আলা রয়েছেন আসমানের উপর
আরশের উপর, এবং সেখানে থাকাটাই
উনার(মহান আল্লাহ পাক উনার) শান,
পীরের কথাগুলো আমাকে হিন্দুদের
আকীদার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে,
হিন্দুরা মনে করে যে, তাদের প্রতিপালক
মাঝে মাঝে এই পৃথিবীতে আসেন যাকে
তারা(হিন্দুরা) ‘অবতার’ বলে থাকে,
যদিও হিন্দু পণ্ডিতদের মধ্যে মতপার্থক্য
রয়েছে এই “অবতার” শব্দটি নিয়ে, যাই
হোক হিন্দু ধর্মের কথা এখন বাদই দেই,
সুতরাং এটি প্রমানিত হলো যে, পীর
সাহেবের আকীদা আর হিন্দুদের আকীদা
অনেকটাই কাছা-কাছি, এটা হওয়া
স্বাভাবিক, কেননা অগ্নিপূজক আর
মূর্তিপূজকদের মধ্যে মিল অনেক, আর পীর
তো মুসলিম নাকি অগ্নিপূজক এটা সে
নিজেই জানে না।
.
.
চরমনাই পীরের মহান আল্লাহ্ সুবাহানাহু
ওয়া তায়ালা উনার সাথে চরম বেয়াদবী
ও অশালীন উপমাঃ ৭
”মাহবুবের (অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা
উনার) নাম জেকের করা আশেকের নিকট
শরাবের মতো মজা”
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭; আশেক মাশুক পৃষ্ঠা নঃ ২৪
.
চরমনাই পীর মহান আল্লাহ পাক উনার
জিকীরকে শরাব বা মদের সাথে তুলনা
করলো, এবং সে মদকে মজা বলেও
উল্লেখ করলো, কিন্তু ইসলামী শারিয়াত
অনুসারে শরাব বা মদ একটি জঘন্য
পানীয়, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক
উনার জিকীরকে অপবিত্র মদের সাথে
তুলনা করতে পারে, সেই ব্যক্তি কি
ঈমানদার হতে পারে? প্রশ্নটি থেকে
গেলো, আর মনে রাখা জরুরী যে, পীর
মুসলিম না কাফির তা তো সে নিজেই
জানে না।
.
.
চরমনাই পীরের আল্লাহ্ সুবাহানাহু ওয়া
তায়ালা উনার সাথে চরম বেয়াদবী ও
অশালীন উপমাঃ – ৮।
মানুষ যদি মানুষের জন্য পাগল হইয়া
জঙ্গলবাসী হইতে পারে,
যেমন- মজনু লাইলির জন্য,জোলেখা ইউসুফের জন্য,ফরহাদ শিরীর জন্য,তবে আল্লাহ্ পাকের প্রেমিকগন তাঁহার প্রেমে পাগল হইয়া বেহুস-
বেকারারী করিতে পারিবে না কেন”
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭;ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৭
==================
অর্থাৎ, এই ভণ্ড পীর ইউসুফ-জলেখার
বানোয়াট কিচ্ছা-কাহিনীতে বিশ্বাস
রাখে, অর্থাৎ, পীরের মতে ইউসুফ
আলাইহিস সালাম তিনি জুলেখার সাথে
প্রেম করেছিলেন(নাউযুবিল্লাহ) কিন্তু
বিয়ের পূর্বের এসব অবৈধ সম্পর্ক সম্পূর্ণ
হারাম, সুতরাং পীর সাহেব এর কথা
অনুসারে বুঝা যাচ্ছে যে, ইউসুফ
আলাইহিস সালাম হারাম কাজ করেছেন
(নাউযুবিল্লাহ), এটি মূলত নবীদের উপর
একটি চরম অপবাদ, কোন নবী রাসুল
আলাইহিমুস সালাম উনারা কবীরা
গুনাহে লিপ্ত ছিলেন না এবং মহান
আল্লাহ পাক উনার নাফরমানও ছিলেন
না। আর লাইলী-মজনুর বানোয়াট
কাহিনীতেও সে বিশ্বাসী!!! অথচ পবিত্র
সুরা ইউসুফ পড়লেই বুঝা যায় যে পির
সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট কথা বলছে এখন
এই যদি হয় পীরের অবস্থা তাহলে
মুরিদের কি অবস্থা হবে? চিন্তার বিষয়!
আর এমন হওয়া স্বাভাবিক কেননা পীর
সে নিজেই জানেনা মুসলিম না কাফির!
.
.
চরমনাই পীরের মহান আল্লাহ্ সুবাহানাহু
ওয়া তায়ালা উনার সাথে চরম বেয়াদবী
ও অশালীন উপমাঃ – ৯
”কাহারো স্ত্রী যদি খুব সুন্দরী হয়,
আর সে যদি খোজা বা ধ্বজভঙ্গ হয়,
তবে কিছুতেই সে ঐ বিবির সঙ্গে
মিলিতে পারিবে না।
ঠিক এইরুপ মনে করিবেন- যাহার রুহ
খোজা বা মরা,
অর্থাৎ- মাবুদের প্রেম হইতে বঞ্চিত,
তাহার রুহ কিছুতেই মাবুদের সাথে
মিলিতে পারিবে না” (নাউজুবিল্লাহ)
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭;ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৭
=========================
চরমনাই পীর এখানে চরম বেয়াদবী
করেছে, এর ফল মহান আল্লাহ পাক তাকে
দিবেন ইনশাআল্লাহ, স্বামী-স্ত্রীর
মিলন হয় অর্থাৎ, সঙ্গম বা সহবাস বা SEX
, পীর বলেছে স্ত্রী যদি খোজা হয়
তাহলে স্বামী তার সাথে মিলিতে
পারিবে না বা সঙ্গম করতে পারবে না
বা সহবাস করতে পারবে না বা SEX
করতে পারবে না, ঠিক তেমনি যেই
মানুষের রুহ খোজা সে আল্লাহর সাথে
মিলিতে পারিবে না অর্থাৎ, সঙ্গম
করতে পারিবে না বা সহবাস করতে
পারিবে না বা SEX করতে পারবে না,
কিন্তু যদি রুহ খোজা না হয় বরং চরমনাই
পীর এর মত রুহ হয় তাহলে সে আল্লাহর
সাথে মিলিতে পারিবে বা সঙ্গম বা
সহবাস বা SEX করিতে পারিবে
(নাউযুবিল্লাহ সুম্মা নাউযুবিল্লাহ,
আছতাগফিরুল্লাহ), এতো বড় বেয়াদবী
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা
উনার সাথে? যিনি ক্ষুদ্র থেকে শুরু করে
বৃহৎ পর্যন্ত সবকিছুর স্রষ্টা, যার সাথে
কোন কিছুর তুলনা হয় না, উনার সাথে
এতো বড় বেয়াদবি কারী বেয়াদবকে
কখনই কোন মুসলিম ক্ষমা করতে পারে না,
যতক্ষন না সে এই সকল বেয়াদবীর জন্য
তাওবা করে, আসলেই পীর চরমনাই মুসলিম
নাকি কাফির মুরতাদ তা আমার সন্দেহ
হচ্ছে আর এমন হওয়া স্বাভাবিক কেননা
পীর সে নিজেই জানেনা মুসলিম না
কাফির!
.
.
চরমনাই পীরের মহান আল্লাহ্ তায়ালা
উনার সাথে চরম বেয়াদবী ও অশালীন
উপমাঃ – ১০
‘’শরীরের মাশুক স্ত্রীর জন্য যদি আশেক
হইয়া মানুষ জীবন দান করিতে পারে,
তবে রুহের মাশুক মাওলার জন্য কেন অজদ
হাল হইবে না কেন?’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার; প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭; ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৭
.
এই জালিম পীর আবারও স্বামী-স্ত্রীর
মিলনের মাঝে মহান আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তা’আলা উনাকে টেনে এনেছে,
আবারও সেই চরম বেয়াদবী, এদের মত
বেয়াদবদের বিচার মহান আল্লাহ পাক
খুব ভাল ভাবেই নিতে জানেন, তিনি
মহান, প্রজ্ঞাময়।
.
.
চরমনাই পীরের মহান আল্লাহ্ সুবাহানাহু
ওয়া তায়ালা উনার সাথে চরম বেয়াদবী
ও অশালীন উপমাঃ – ১১
”প্রত্যেক জিনিসের মধ্যে একটা তাছির
আছে।যথা অগ্নির তাছির গরম, পানির তাছির
ঠাণ্ডা।যদি স্ত্রীর গায়ে হাত দিলে শরীর গরম
হইয়া উঠে,মাশুকে হাকিকী আল্লাহ্ পাকের নামে
কেন তাছির থাকিবে না?
হ্যা, যদি কেহ খোজা হয়, তবে তাহার
স্ত্রীর শরীরে হাত দিলেও কখনো তাহার
মধ্যে এশক-মহব্বত পয়দা হইবে না,
এমনিভাবে যাহাদের দেল মরা,
তাহাদেরও আল্লাহ্ পাকের নামে কোন
তাছির হইবে না।
.
বন্ধুগন! নিজের স্ত্রীর সঙ্গে মিলিবার
সময় যদি উত্তেজনার সৃষ্টি হইতে পারে,
তবে মাবুদের সঙ্গে রুহ মিলিতে কেন
উত্তেজনার সৃষ্টি হইবে না?”
(ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে
রাজেউন)সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার;প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি
২০০৭;ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা নঃ ৬৯
.
এই জালিম আবারও সু-স্পষ্ট ভাষায়,
স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের সাথে মহান
আল্লাহ্ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা উনার
তুলনা করলো, নারী-পুরুষের যৌন
আকাংখাকে মহান আল্লাহ পাক উনার
সাথে তুলনা করলো, স্ত্রীর সঙ্গে
মিলনের উত্তেজনাকে মহান আল্লাহ
পাক উনার সঙ্গে নিয়ে লাগিয়েছে,
আসলেই এই পীর হয় পাগল না হয় দুনিয়ার
লোভ-লালসায় অন্ধ এর আর নাস্তিকদের
মাঝে কুনো তফাৎ নাই উভয়ে মহান
আল্লাহ পাক উনাকে আপমান করছে।
.
চরমনাই পীরের ইসলামি শরিয়তের সাথে
মারাত্মক ধৃষ্টতাঃ
‘’কামেল পীরের আদেশ পাইলে, নাপাক
শারাব(মদ) দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন
করিয়া তাহাতে নামাজ পড়’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহী;পৃষ্ঠা নঃ ৩৫
.
পীরের উক্ত নির্দেশ থেকে এটি স্পষ্ট
যে, পবিত্র আল কোরআন এবং সুন্নাহ
শরিফ উনাদের মাঝে কি আছে তা তার
জানার দরকার নেই, বরং চরমনাইর মতো
ভণ্ড পীরের নির্দেশ পালন করাই জরুরী।
অবশ্য শুধু মাত্র সম্মানিত মুসলিমরাই
পবিত্র আল কোরআন এবং সুন্নাহ শরিফ
উনাদের নির্দেশ পালন করেন এবং উনার
প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন, কিন্তু
যেহেতু পীর আগেই বলে দিয়েছে যে সে
মুসলিম নাকি কাফির(ইয়াহুদিরাও
কাফির আর অগ্নিপুজকরাও কাফির) তা
তার জানা নেই, সেহেতু পবিত্র কোরআন
এবং সুন্নাহ শরিফের প্রতি তার সম্মান
না থাকাটাই স্বাভাবিক।
.
বিনা প্রমানে চরমনাই পীরের কিতাবে
মারাত্মক বিভ্রান্তিকর তথ্যঃ
‘’স্বামী ভক্তা পর্দানশীন
স্ত্রীলোকগনের চেহারা হাশরের দিন
পূর্ণিমার চন্দ্রের মত রওশন হইবে,
তাহারা বিনা হিসাবে বেহেশতে
যাইবেন’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;
বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭;
খাছ পর্দা ও স্বামীর খেদমতঃপৃষ্ঠা নঃ ৯-১০
.
পীরের কাছে আমার প্রশ্ন, দয়া করে
বলবে কি উপরোক্ত বানীটি কার? এই
কথা তুই কোথায় পেলি? পবিত্র আল
কোরআন উনার কতো নামার আয়াত শরিফ
অথবা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার হাদীস শরিফে কি এইরকম
কোন কথা আছে? নাকি আল্লাহ
সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা তকে অহি করে
এই কথা বলেছেন?
স্বামীর আনুগত্যশীল ও পর্দানশীন নারীর
ফজিলত সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে বহু
সহীহ বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু আমরা
আমাদের জ্ঞান অনুযায়ী যথাসাধ্য
চেষ্টা করেও উপরক্ত কথার সমর্থনে
কুরআন ও হাদীসে কোন বক্তব্য খুজে
পাইনি।
.
তবে উম্মাতে মুহাম্মাদির মধ্যে একদল
লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ
করবেন। যারা এই সৌভাগ্যশীল
ব্যাক্তিদের অন্তভুক্ত হবেন নিম্নে
উনাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলোঃ
ইবন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
তিনি হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন
নাবী করিম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি আমাদের নিকট আসলেন
এবং বললেনঃ আমার সামনে (পূর্ববর্তী
নাবীগণের) উম্মাতদের পেশ করা হল।
(আমি দেখলাম) একজন নবী আলাইহিস
সালাম যাচ্ছেন, উনার সাথে আছেন
মাত্র একজন লোক এবং আরেকজন নবী
আলাইহিস সালাম যার সঙ্গে আছেন
দুইজন লোক। অন্য এক নবীকে দেখলাম,
উনার সঙ্গে আছেন একটি দল, আরেকজন
নবী আলাইহিস সালাম, উনার সাথে কেউ
নেই।
.
আবার দেখলাম, একটি বিরাট দল যা
দিগন্ত জুড়ে আছে। আমি আকাঙ্ক্ষা
করলাম যে, এ বিরাট দলটি যদি আমার
উম্মাত হত। বলা হলঃ এটা মুসা
কালিমুল্লাহ আলাইহিস সালাম ও উনার
কওম। এরপর আমাকে বলা হলঃ দেখুন।
দেখলাম একটি বিশাল জামাত দিগন্ত
জুড়ে আছে। আবার বলা হলঃ এ দিকে
দেখুন, ও দিকে দেখুন। দেখলাম বিরাট
বিরাট দল দিগন্ত জুড়ে ছেয়ে আছে। বলা
হলঃ ঐ সবই আপনার উম্মাত এবং ওদের
সাথে সত্তর হাজার লোক এমন আছে
যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ
করবে। (তাঁদের চেহারাগুলো পূর্ণিমার
চাঁদের আলোর মতো জ্বল জ্বল করবে)
এরপর লোকজন এদিক ওদিক চলে গেল।
নাবী করিম সাল্লালহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তিনি আর তাদেরকে (সত্তর
হাজারের) ব্যাখ্যা করে বলেননি। নাবী
করিম সাল্লালহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
উনার সাহাবীগন এ নিয়ে নানান কথা শুরু
করে দিলেন। উনারা বলাবলি করলেনঃ
আমরা তো শিরকের মাঝে জন্মেছি, পরে
মহান আল্লাহ পাক ও উনার রাসুল
সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
উপর ঈমান এনেছি। বরং এরা আমাদের
সন্তানরাই হবে।
নাবী সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-
এর কাছে এ কথা পৌঁছলে তিনি বলেনঃ
তাঁরা হবে ঐ সব লোক যারা অবৈধভাবে
মঙ্গল-অমঙ্গল নির্ণয় করে না,
(জাহেলী যুগের ন্যায়) ঝাড়ফুঁক বা মন্তর
দ্বারা চিকিৎসা কামনা করে না এবং
আগুনে পোড়ানো লোহার দাগ লাগায় না,
আর তাঁরা তাঁদের প্রতিপালকের উপর
একমাত্র ভরসা রাখে।বুখারী শরিফ ৫৭০৫, ৫৭৫২, ৫৮১১, ৬৪৭২,৬৫৪১, ৬৫৪২।মুসলিম শরিফ ৩৭১-(২১৮)।
.
হাদীসের অর্থ এটা নয় যে, মোটেও কোন
চিকিৎসা করা যাবে না। কারন নাবী
করিম সাল্লালহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
উনাকে ঝাড়ফুঁক করা হয়েছে, তিনি
চিকিৎসা গ্রহন করেছেন, এবং এর
নির্দেশ দিয়েছেন এবং একজন সাহাবী
রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে
শরীরে দাগ দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।
সুতরাং এ ক্ষেত্রে ধারনা করা যায় যে,
উনারা চিকিৎসা ও ঔষধকে আরোগ্য
লাভের একমাত্র কারন হিসাবে গ্রহন
করেননি। হাদীসে যে তিনটি বিষয়ের
কথা বলা হয়েছে, এগুলোর ফলে আল্লাহ্র
উপর ভরসা কমে যায় এবং তাতে হৃদয়
ঝাড়ফুঁক, সেকদাতা ও গনকের দিকে
ধাবিত হয়। এজন্য মহান আল্লাহ্ পাক
উনার প্রতি বন্দার ভরসা কমতি হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে, চিকিৎসা ওয়াজিব অথবা
মুস্তাহাব। কোন কোন অবস্থায় মুবাহ।
রাসুল সাল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেনঃ ‘’আল্লাহ্ তায়ালা হারাম
বস্তুর মধ্যে কোন চিকিৎসা রাখেননি’’
[বাইহাকী ১৯৪৬৩; ইবন হিব্বান ১৩৯১]
.
কুরআন নয় তাদের লিখিত কিতাব ‘খতম’
করার জন্য ও সেই অনুযায়ী আমল করার
জন্য চরমনাই পীরের ধৃষ্টতাপূর্ণ
নাসীহাতঃ
‘’আপনারা প্রত্যেকেই আমার লিখিত
কিতাবগুলোর প্রত্যেকটি কিতাব খরিদ
করিয়া বারবার পড়িয়া খতম করিবেন,
এবং তদানুযায়ি আমল করিবেন’’
সৈয়দ মোহাম্মাদ এছহাক এর রচনাবলী;
আল-এছহাক পাবলিকেশন্স;বাংলাবাজার প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৭; আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহী;পৃষ্ঠা নঃ ১১১
.
আমরা যারা মুসলিম আমাদের
হিদায়াতের জন্য পবিত্র আল কোরআন ও
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার বানীই যথেষ্ট। চরমনাই
পীরের শিরকী কিতাবের কোনই
প্রয়োজন নেই। আর যেহেতু এই ভণ্ড পীর
পবিত্র কোরআন এবং সুন্নাহকে সম্মান
করে না সেহেতু কোরআন খতম করার কথা
বলবেই বা কেনো, আর সে তো জানেই না
যে সে মুসলিম নাকি কাফির!!!
.
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পোষ্ট টা পড়ে যদি
ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট
বক্স এ আপনার মতামত জানাবেন আর
আপনার বন্ধু বান্দব দের সাথে শেয়ার
করতে ভুলবেন্না, আসসালামু
আলাইকুম, ফি আমানিল্লাহ !!! আল্লাহ
তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক বুজ
দান করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top