শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬

তাবলীগ জামায়াতকে যাচাই করি

৩টি মন্তব্য:

আসুন যাচাই করে দেখি ইলিয়াসী
তাবলীগ জামাতকে
.
কুরআন খুলেন, হাদিস খুলেন আর যাচাই
করেন। তারপর নিজের মন্তব্য ব্যক্ত করেন।
আপনি তাবলিগ জামায়াত করবেন, দ্বীন
প্রচার করবেন, নিজে দ্বীন পালন করবেন
মাশাআল্লাহ ভালো কথা। আপনি দ্বীন
ইসলামের জন্য নিজের পরিবার পরিজন
ছেড়ে ইসলাম প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত
করবেন মাশাআল্লাহ বেশ ভালো কথা।
‘‘তোমরা সর্বোত্তম জাতি, তোমদের সৃষ্টি
করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য।
তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দিবে
এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে। আর
আল্লাহর উপর ঈমান আনয়ন করবে।” [সূরা
আলে ইমরান: ১১০]
.
নিতান্তই আবেগের বসে আপনাকে
তাবলিগ জামায়াত করতে হলে আপনাকে
কিছু কাজ পারতেই হবে নতুবা তাবলিগ
জামায়াত ত্যাগ করতে হবে। যারা
তাবলিগ জামায়াতের সাথে জড়িত আছে
বা চিল্লা দিয়েছেন বা এর সাথে জড়িত
নন কিন্তু দেখে ভালো লাগে তাই সমর্থন
দেন তারা একটু যাচাই করবেন।
অন্ধের মত অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট নয় বরং
প্রাসঙ্গিক বিষয়ে উপযুক্ত জবাব দিবেন।
যে কেউ একটু যাচাই করলেই দেখতে
পাবেন ফাজায়েলে কিতাবের শিরক
গুলো তুলে ধরলে তারা সেই শিরক নিয়ে
কিছুই বলে না কিন্তু উল্টা পাল্টা গালি
গালাজ করে। তারা শিরক এর বিষয়টা
স্বীকার করে তা পরিহার করবে বললেই
কিন্তু সংশোধন হয়ে যায়। কিন্তু তারা তা
করে না । তারা তুই তুকারী করবে, অশ্লীল
গালি গালাজ করবে। আর অন্য প্রসঙ্গ
টেনে তর্ক করবে।
.
তাবলিগ জামায়াত নাকি রাসুল (সাঃ)
থেকেই চালু। অথচ আমরা এর পক্ষে
কোনো দলিল পাই না। তাবলীগী
জামাতের শুরু ১৯২৬ সালে উত্তর ভারতের
মেওয়াত নামক এলাকা থেকে। তাবলীগী
জামাতের ধারণা,লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও
কর্মপদ্ধতি রচনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ
ইলিয়াস। ইনি ছিলেন উত্তর ভারতের
শাহরানপুরের মাযহারুল উলুম মাদ্রাসার
শিক্ষক।কেউ যদি প্রমান করতে পারেন
১৯২৬ সালের পূর্বেও আরবে চিল্লা ছিল,
তাবলিগ জামায়াতের নিয়মে গাস্ত
মাশোআরা ছিল তাহলে আমরা
তাত্ক্ষনিক মেনে নিব ইনশাআল্লাহ।
আপনি পারবেন এই কাজ গুলো করতে
তাবলিগ জামায়াতে ? চেষ্টা করে
দেইখেন তো তাবলিগ জামায়াতের সাথে
থেকে এই কাজ গুলো পারেন কিনা। হয়
আপনাকে তারা বের করে দিবে নতুবা
আপনি বাধ্য হবেন তাদের থেকে বের হয়ে
আসতে। তাবলিগ জামায়াত যদি হক্ক হয়ে
থাকে আর আপনার দাবি সত্য হয়ে থাকলে
আপনাকে আজকেই আহবান করছি যান
এবং চেষ্টা করুন সফল হলে ডাকবেন
আমরাও যোগ দিব ইনশাআল্লাহ।
.
১। সালাত আদায়ে মানুষকে আহবান
করবেন এটা সৎ কাজ । সঠিক সালাত
আদায় পদ্ধতি নিজে আয়ত্ত করবেন,
অন্যকে শেখাবেন। সহিহ হাদিসের
প্রেক্ষিতে রফল ইয়াদায়িন করবেন, বুকে
হাত বাধবেন, সালাম ফিরিয়েই মুনাজাত
ধরবেন না। হাদিসে বর্ণিত জিকির
আজকার করবেন। বানানো নাওয়ায়তুআন
নিয়ত, জায়নামাজের দুআ পড়বেন না।
সম্মিলিত মুনাজাত করবেন না। আপনি
বুকে হাত বাধাবেন, রফল ইয়াদায়ন, জোরে
আমিন বলবেন তাহলে তারাই আপনাকে
বের করে দিবে, নিশ্চিত থাকেন।
.
২। গাস্তে যখন তাবলিগী ফাজায়েলে
কিতাব থেকে তালিম হয়, যখন শিরকি
কথাগুলো আসবে তার বিরোধিতা করবেন
। আপনি বিরোধিতা করবেন গায়েবী
বিষয় সম্পর্কিত কিচ্ছাগুলোর। বা আপনি
এই কিচ্ছাগুলোর সঠিক রেফারেন্স দাবি
করেন। আপনি এই কিতাবের ভুলগুলো বাদ
দিয়ে তালিম দিতে বলেন| আপনি যদি
টিকতে পারেন তারপর এসে বলবেন
আমাদের। আল্লাহর শপথ যদি ফাজায়েলে
কিতাবের শিরকের বিরুদ্ধে বলার পরেও
আপনি তাদের সাথে চিল্লায় গাস্তে
মাশোআরাতে থাকতে পারেন আর
আপনাকে তারা গ্রহণ করে তারপর এসে
বলবেন আমাদের।
.
৩। আপনি যখন তাদের সাথে দাওয়াতি
কাজে বের হবেন তখন দেখবেন তারা
একজনকে মসজিদে বসিয়ে জিকিরে
রেখে যায়। তাদের কাছে এর কারণ
জিগ্গেস করবেন এবং এর পক্ষে রাসুল
(সাঃ) এর কোনো নির্দেশ আছে কিনা
জিগ্গেস করবেন। যদি তারা কুরআন
হাদিস বা সাহাবীদের থেকে কোনো
দলিল দিতে পারে আপনি গ্রহণ করবেন
নতুবা মনগড়া যুক্তি ত্যাগ করবেন।
তারপরেও যদি আপনি তাবলিগ জামায়াত
করতে পারেন আমাদের জানাবেন।
.
৪। ফাজায়েলে কিতাবের শিরক, কুরআন
বিরোধী কথা সহিহ হাদিস বিরোধী
কথাগুলো মার্ক করে সেগুলো বাদ দিয়ে
তালিম করার অনুরোধ করবেন। বুখারী
মুসলিম তাদের সামনে নিয়ে সেখান
থেকে তালিম করবেন। জ্বী ভাই! আপনি
যদি তাদের কাছ থেকে ফাজায়েলে
কিতাবের পরিবর্তে বুখারী মুসলিম আবু
দাউদ ধরাতে পারেন আমরা তাবলিগ
জামায়াতের বিপুল প্রশংসা করে অনেক
অনেক অনেক কথা বলব। আপনি পারবেন
কি? চেষ্টা করেই দেখুন।
————————————
সৎ কাজে সহযোগিতা অসৎ কাজে
অসহযোগিতা।
কিন্তু আপনি তো শুধু সৎ কাজের কথাই
বলে বেড়াচ্ছেন অসৎ কাজে বাধা তো
আপনি দিচ্ছেন না তাবলিগ জামায়াতে!
————————————
নামাজের প্রতি আহবান সৎ কাজ।
# নামাজে বিদাত করা অসৎ কাজ। যেমন
নিয়ত পড়া, সম্মিলিত মুনাজাত করা
ইত্যাদি ।
কুরআন হাদিস থেকে মানুষকে জ্ঞান
অর্জনে সহায়তা করা সৎ কাজ।
.
# কোনো কিতাবে কুরআন হাদিসের
বিরোধী কথা থাকলে তার প্রচার করা
অসৎ কাজ।
আপনি তাবলিগ জামায়াতের লোকদের
সাথে বসবেন এবং তাদের কিতাবের এই
সকল কথার প্রতিবাদ করবেন। যদি টিকতে
পারেন আমাদেরকে জানাবেন।
.
১) “ক্ষুধার্থ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কবরের পার্শ্বে গিয়ে খাদ্যের আবেদন
করে ঘুমিয়ে পড়লেন। সেই অবস্থায় তার
নিকট রুটি আসল, ঘুমন্ত অবস্থায় ঐ ব্যক্তি
অর্ধেক রুটি খাওয়ার পর জাগ্রত হয়ে
বাকী অর্ধেক রুটি খেলেন।” ফাযায়েলে
হ্জ্জ, পৃ:১৫৫-১৫৬।
.
# হাদিস গ্রন্থ পড়েন, জীবিত রাসুল
(সাঃ) স্বয়ং ক্ষুধার তাড়নায় কষ্ট
পেয়েছেন। বহু সাহাবী ক্ষুধায় পেটে
পাথর চাপা দিয়ে রাখতেন। উপরের ঘটনা
যে পুরা হাদিস বিরোধী! জীবিত রাসুল
(সাঃ) কাওকে রুটি দিতে পারলেন না ,
কবর থেকে তিনি কিনা রুটি দিলেন?
রিজিকের মালিক আল্লাহ রুটি দেয়ার
মালিক আল্লাহ; তারা আল্লাহর কাছে
না চেয়ে চাইলো রাসুল (সাঃ) এর কাছে
যিনি কিনা কবরে!
সমগ্র দুনিয়ায় এই ঘটনা দ্বিতীয় আর ঘটল
না? কেন ঘটল না?
.
”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ
দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ
করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০]
আপনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করে যদি
তাবলিগ জামায়াতে টিকতে পারেন
আমাদের জানাবেন।
.
২) জনৈক মহিলা তিন জন খাদেম কর্তৃক
মার খাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের
পার্শ্বে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করলে,
আওয়াজ আসল ধৈর্য ধর, ফল পাবে। এর
পরেই অত্যাচারী খাদেমগণ মারা গেল।
ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৫৯।
.
# সাহায্য চাইতে হবে আল্লাহর কাছে।
অন্তত দুনিয়ায় জীবিত মানুষ যাদের
সাহায্য করার ক্ষমতা আছে তাদের কাছে
সাহায্য চাওয়া যায়। কিন্তু কিতাবের
ঘটনায় সাহায্য চাওয়া হলো কবরে রাসুল
(সাঃ) এর কাছে। রাসুলের (সাঃ) কবর
থেকে আওয়াজ আসলো?
সমগ্র দুনিয়ায় এই ঘটনা দ্বিতীয় আর ঘটল
না? কেন ঘটল না?
”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ
দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ
করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০]
আপনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করে যদি
তাবলিগ জামায়াতে টিকতে পারেন
আমাদের জানাবেন।
.
৩) অর্থাভাবে বিপন্ন এক ব্যক্তি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে হাজির হয়ে
সাহায্যের প্রার্থনা করায় তা কবুল হল।
লোকটি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে দেখতে
পেল যে, তার হাতে অনেকগুলো দিরহাম।
ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬২-৬৩।
.
# রাসুল (সাঃ) এর কাছে আবু বকর (রাঃ)
তাঁর সমস্ত সম্পদ দান করে একেবারে
নিস্বঃ হয়ে গিয়েছিলেন। কই জীবিত
রাসুল (সাঃ) কি তাঁকে কিছু দিরহামের
ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন? জীবিত রাসুল
(সাঃ) প্রাণপ্রিয় শশুর সাহাবীর জন্য
পারলেন না কিন্তু ফাজায়েলে
কিতাবের অর্থাভাবে বিপন্ন ব্যক্তির
জন্য পারলেন। সমগ্র দুনিয়ায় এই ঘটনা
দ্বিতীয় আর ঘটল না? কেন ঘটল না?
”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ
দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ
করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০]
আপনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করে যদি
তাবলিগ জামায়াতে টিকতে পারেন
আমাদের জানাবেন।
.
৪) মদীনার মসজিদে আযান দেয়া অবস্থায়
এক খাদেম মুয়াজ্জেমকে প্রহার করায়
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে বিচার
প্রার্থনা করল। প্রার্থনার তিনদিন পরই ঐ
খাদেম মরা গেল। ফাযায়েলে হ্জ্জ,
পৃ:১৬২-৬৩।
সমগ্র দুনিয়ায় এই ঘটনা দ্বিতীয় আর ঘটল
না? কেন ঘটল না?
”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ
দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ
করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০]
আপনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করে যদি
তাবলিগ জামায়াতে টিকতে পারেন
আমাদের জানাবেন।
.
৫) জনৈক অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসায় ব্যর্থ
হওয়ায় ঐ ব্যক্তির আত্মীয় (করডোভার এক
মন্ত্রী) রোগ্যের আবেদন করে হুজুরের
(সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর কবরে পাঠ করার জন্য অসুস্থ
ব্যক্তিকে পত্রসহ মদীনায় প্রেরণ করে।
কবরের পার্শ্বে পত্র পাঠ করার পরেই
রোগীর আরোগ্য লাভ হয়ে যায়।
ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬৭।
.
সমগ্র দুনিয়ায় এই ঘটনা দ্বিতীয় আর ঘটল
না? কেন ঘটল না?
”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ
দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ
করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০]
আপনি এই ঘটার প্রতিবাদ করে যদি
তাবলিগ জামায়াতে টিকতে পারেন
আমাদের জানাবেন।
.
৬) কোন ব্যক্তি হুজুরের রওজায় আরজ
করায় রওজা হতে হুজুরের হস্ত মোবারক
বের হয়ে আসলে উহা চুম্বন করে সে ধন্য
হল। নব্বই হাজার লোক উহা দেখতে পেল।
আবদুল কাদের জিলানীও সেখানে
উপস্থিত ছিলেন। ফাযায়েলে হজ্জ,পৃ:১৫৯।
.
এই কথা যেই লোক বলতে পারে তিনি যে
কিভাবে মানুষের কাছে আলেম হন !!!
আল্লাহু আকবার।
৯০ হাজার লোক নাকি দেখেছে! মদিনায়
সেই সময় ৯০ হাজার লোক দেখেছে?
আপনি মদিনায় গিয়ে একটু গবেষণা দেন
তো। বা কোনো আত্মীয় মদিনায় থাকলে
খোজ পাঠান তো আদৌ এই ঘটনা ঘটেছে
কিনা।
সমগ্র দুনিয়ায় এই ঘটনা দ্বিতীয় আর ঘটল
না? কেন ঘটল না?
”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ
দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ
করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০]
আপনি এই ঘটার প্রতিবাদ করে যদি
তাবলিগ জামায়াতে টিকতে পারেন
আমাদের জানাবেন।
আপনি প্রতিবাদ করেন যে আমরা তাবলিগ
জামায়াতে না গেলে জানতে পারব না।
আপনি নিজে ফাজায়েলে কিতাবের
উদ্ভট কথাগুলো জেনেছেন কি? ৪০ দিন
শুধু কয়েক পারা একই কথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে
বললেই ইসলাম কমপ্লিট?
.
ফাজায়েলে কিতাবের এই কথাগুলোর
বিরোধিতা আপনি যদি করতে পারেন
তাদের সামনে তারপরেও তাদের সাথে
থেকেই চিল্লা দিতে পারেন আমাদের
জানাবেন,
১। জনৈক বালক আগামী কাল মারা
যাবে।
#সে কিভাবে জানলো আগামী কাল
মারা যাবে?
২। জনৈক বুজুর্গ মরে যাবে বলে মরে গেল।
গোসল দেওয়ার সময় সে কথা বলে উঠলো ।
# কিভাবে জানলো সে মারা যাবে? মৃত
মানুষ কিভাবে কথা বলে?
৩। জনৈক বুজুর্গ দৈনিক এত এত বার কুরআন
খতম দিতেন!
# অথচ হাদিসে এসেছে তিন দিনের কমে
কুরআন শেষ না করতে। আর বুজুর্গ এক
দিনেই কয়েকবার? এটা কি আদৌ সম্ভব?
৪। জনৈক বালক জানতে পারে তার মা
দোজখে আছে তখন জনৈক বুজুর্গ তার
জিকির ”গিফট” দিয়ে দিলে বালকের মা
জান্নাত লাভ করে।
# বালক জানলো কিভাবে? একজনের
জিকির অন্য জনকে ”গিফট” করা যায় কি?
জিকিরের এই বানোয়াট কিচ্ছার কারণ
কি?
ফাজায়েলে কিতাবের এই শিরক বিদাত
গুলোর বিরোধিতা করা মানেই অসৎ
কাজে বাধা দেয়া এবং সৎ কাজে
সহযোগিতা করা।
.
ফাযায়েলে আমলের ভুল, মিথ্যাচার,
বিদআত ও শিরক সমূহের পৃষ্ঠা নাম্বারঃ-
কলেবর বড় হয়ে যাচ্ছে তাই শুধুমাত্র পৃষ্ঠা
নাম্বার দেয়া হলঃ-
ফাযায়েলে আমল পৃষ্ঠা ১১৮, ১২৫-১২৬ ১৫৬,
১৫৮, ১৬১,
.
মিথ্যা বিদআতি শিরকী কিচ্ছা সমূহ
ফাযায়েলে জিকির ২৪৮, ২৪৯, ২৮৯,
ফাযায়েলে নামাজ ৪৯, ৬১, ১০৭, ১০৮,
.
জাল হাদিসঃ-
ফাযায়েলে তাবলীগ ৩২, ১৩২, ফাযায়েলে
জিকির ২৩৮, ২৫৬, ২৬৩, ফাযায়েলে রমজান
৪৪৮, ফাযায়েলে কোরআন ১৯৪,
.
কোরআন বিরোধী কথাঃ-
ফাযায়েলে নামাজ ৪৭, ১১০,ফাযায়েলে
জিকির ২৬৩, ৩১০, ৬৪১,
.
শিরকঃ-
ফাযায়েলে কোরআন ১৩৭, ১৯৬
ফাযায়েলে নামাজ ৭৭, ৮২, ফাযায়েলে
জিকির ২৫৩, ২৬৪, ৩১৮, ৩৮০
যদি এগুলোর প্রতিবাদ করতে পারেন আর
টিকতে পারেন তাদের সাথে আমাদের
জানাবেন।
জ্বী না পারবেন না। তারা আপনাকে
গালি দিয়ে তাড়িয়ে দিবে নতুবা আপনার
থেকে তারা নিজেরা সরে যাবে।
তারাই আপনাকে এসে নানা উপাধি
দিয়ে বলবে যদিও আপনি ওগুলোর সাথে
মোটেও জড়িত নন, আপনি তো শুধু
তাদেরকে কুরআন হাদিসের আলোকে
তাদের শিরক সম্পর্কে সচেতন করছিলেন
মাত্র। কিন্তু তারা আপনার কুরআন
হাদিসের কোনো কথাই মানবে আপনাকে
গালি দিবেই।
.
ওই সকল শিরক এর বিষয়ে তারা একটা টু-
শব্দ না করেও আপনাকে তারা বানাবে,
১। ”তুই আহলে হাদিস” যদিও আপনি আহলে
হাদিস নন!
২। ”তুই ওহাবী” – অথচ ওয়াহাব আল্লাহর
একটি নাম। তারা নামটি ব্যাঙ্গ করে
বলবে যদি আপনি ওয়াহাবী কি কাকে
বলে জানেন না।
৩। আমেরিকা ইহুদিদের দালাল বানাবে।
যদিও আপনি তা নন।
৪। হাদিসকে ”হদস” বলে ব্যাঙ্গ করবে।
৫। তুই তুকারী করবে
৬। সর্ব শেষ গালি গালাজ করা শুরু করবে।
৭। আপনাকে দাওয়াত তো দুরে থাক
পারলে চোখের দৃষ্টি দিয়েই যেন খেয়ে
ফেলবে আপনাকে।
———————
কুরআন হাদিস দিয়ে একটু যাচাই করে
তাবলিগ করুন। অবশ্যই তাবলিগ করবেন।
আল্লাহ কর্তৃক তাঁর বান্দার প্রতি ফরযকৃত
সর্বপ্রথম বিষয়টি হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি
ঈমান আনা এবং তাগূতকে অস্বীকার
করা।
মহান আল্লাহ বলেন,
“আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল
প্রেরণ করেছি এই নির্দেশ দিয়ে যে,
তোমরা আল্লাহ্র ইবাদত কর এবং ত্বাগূত
থেকে বেঁচে থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে
কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়াত
করেছেন। পক্ষান্তরে কিছু সংখ্যকের
জন্যে পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়ে গেছে।
সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং
দেখ, মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ
পরিণতি হয়েছে” (নাহ্ল ৩৬)।
.
অতএব প্রথম হচ্ছে শিরক মুক্ত হওয়া।
আপনি তাবলিগ করেন তাবলিগ জামায়াত
করেন কোনো সমস্যা নাই কিন্তু তাবলিগ
জামায়াতের আড়ালে শিরক বিদাত
অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে।
ওই সকল শিরক ত্যাগ করেও যদি আপনার
পক্ষে ”তাবলিগ জামায়াত” করা সম্ভব হয়
আমাদেরকেও দাওয়াত দিবেন সানন্দে
অংশগ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ।

৩টি মন্তব্য:

  1. আপনি অনেক কিছুই বুযেছেন যেমন বুযেছে ইবলিশ আপনি যে শিরিক শিরিক করেন ওগুলো কোনটাই শিরিক নয় কুদরত ' মোজেজা' কেরামতি সবই কোরআন হাদিস ইজমা কিয়াস দ্বারা প্রমানিত আর যে রফে'ইদাইয়িন জোরে আমিন সবই ইমামগন ফায়সালা করে গেছেন এটা নিয়ে আপনারা অযথা বারাবারি করেন ৷
    আর তাবলিগের পিছে না পরে নিজে কিছু ভাল কাজ করুন এবং সবাইকে ভাল কাজের আহব্বান করুন তাতেই আপনার লাভ বেশি

    উত্তরমুছুন
  2. السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
    হযরত আপনি বলেছেন (ফাজায়েলে কিতাবের শিরক
    গুলো তুলে ধরলে তারা সেই শিরক নিয়ে
    কিছুই বলে না কিন্তু উল্টা পাল্টা গালি
    গালাজ করে)এই কথাটা বলার আগে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করুন,আল্লাহ তায়ালা বলেন:(وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا)
    [Surat Al-Isra' 36]

    যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। আপনারা দাওয়াতে তাবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে সে সমস্ত অভিযোগ করেছেন,তার উপযোগী উত্তর হক্কানী উলামায়ে কেরাম দিয়েছেন,কি কিন্তু সে উত্তর গুলো না জেনে,এভাবে মিথ্যা কথা বলা ঠিক নয়, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে মিথ্যা বলা থেকে হেফাজত করুন

    উত্তরমুছুন
  3. আশাকরি সবাই এই ভিডিওটি দেখে একটু চিন্তা করবেন
    https://youtu.be/cNcjuzL_tdE

    উত্তরমুছুন

 
back to top