শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬

তাবলীগ জামায়াত

কোন মন্তব্য নেই:

ইসলামের তাবলিগ করা ও তাবলিগ
জামায়াত এক নয় :
.
তাবলিগ জামায়াত একটি বিদাতি জামায়াত
যাদের মধ্যে শিরকি আক্বিদা বিদ্যমান!
.
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্ তা’আলার।
দুরুদ এবং সালাম আমাদের প্রিয় নবী
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের উপর।
আমরা এখানে আলোচনা করার চেষ্টা
করব বিদআত কি, বিদআত নিয়ে কেন
আমরা এতো পোষ্ট দেই। বিদআত নিয়ে
কেন এত বেশি আলোচনা করি আমরা।
এবং আমাদের তাবলীগ জামায়াত এর বিরুদ্ধে
কথা বলার কারন কী। এই বিষয় গুলো
আমাদের পেজ ব্যবহারকারীদের জানার
আগ্রহ রয়েছে এবং বিদআতিদেরও প্রশ্ন
রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের
বক্তব্য স্পষ্ট করে তুলে ধরতে
ইনশাআল্লাহ্।
.
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত না পড়ে কেউ
কমেন্টস দিবেন না দয়া করে। নোটটা
অনেক বড়। সুতরাং ধৈর্য্য সহকারে পড়তে
হবে। নিজে কে আগে নিউট্রাল পজিশনে
এনে তারপর পড়তে হবে। আগে থেকেই যদি
ডিসিশন নিয়ে থাকেন “যাই বলুক কিছুই
বুঝতে রাজিনা আমি” তাহলে আমাদের
এই লেখা কষ্ট করে পড়ার প্রয়োজন নেই।
.
বিদআত কি?
বিদআত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল:
ﺍَﻟﺸَّﻲْﺀُ ﺍﻟْﻤُﺨْﺘَﺮَﻉُ ﻋَﻠٰﻰ ﻏَﻴْﺮِ ﻣِﺜَﺎﻝٍ ﺳَﺎﺑِﻖٍ অর্থাৎ
পূর্ববর্তী কোন নমুনা ছাড়াই নতুন
আবিষকৃত বিষয়।[আন-নিহায়াহ, পৃঃ ৬৯,
কাওয়ায়েদ
মা’রিফাতিল বিদআ’হ, পৃঃ ১৭]
আর শরীয়তের পরিভাষায়- ﻣَﺎ ﺃُﺣْﺪِﺙَ ﻓِﻰ ﺩِﻳْﻦِ
ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﻟَﻴْﺲَ ﻟَﻪُ ﺃَﺻْﻞٌ ﻋَﺎﻡٌ ﻭَﻻَﺧَﺎﺹٌّ ﻳَﺪُﻝُّ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
অর্থাৎ আল্লাহ্র দ্বীনের মধ্যে নতুন করে
যার প্রচলন করা হয়েছে এবং এর পক্ষে
শরীয়তের কোন ব্যাপক ও সাধারণ কিংবা
খাস ও সুনির্দিষ্ট দলীল নেই।[কাওয়ায়েদ
মা’রিফাতিল বিদআ’হ, পৃঃ ২৪)
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াল্লাম বলেছেন,
ﻭَﺇِﻳَّﺎﻛُﻢْ ﻭَﻣُﺤْﺪَﺛَﺎﺕِ ﺍﻷُﻣُﻮْﺭِ ﻓَﺈِﻥَّ ﻛُﻞَّ ﻣُﺤْﺪَﺛَﺔٍ ﺑِﺪْﻋَﺔٌ ﻭَﻛُﻞَّ
ﺑِﺪْﻋَﺔٍ ﺿَﻼَﻟَﺔٌ ‏) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ﻭﻗﺎﻝ ﺣﺪﻳﺚ
ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ
“তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ
থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন
বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত
ভ্রষ্টতা”।[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং
৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং
২৬৭- তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও
সহীহ বলেছেন।]
.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম
তাঁর এক খুতবায় বলেছেন:
ﺇِﻥَّ ﺃَﺻْﺪَﻕَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ ﻛِﺘَﺎﺏُ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺃَﺣْﺴَﻦَ ﺍﻟْﻬَﺪْﻱِ ﻫَﺪْﻱُ
ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﺷَﺮُّ ﺍﻷُﻣُﻮْﺭِ ﻣُﺤْﺪَﺛَﺎﺗُﻬَﺎ ﻭَﻛُﻞُّ ﻣُﺤْﺪَﺛَﺔٍ ﺑِﺪْﻋَﺔٌ
ﻭَﻛُﻞُّ ﺑِﺪْﻋَﺔٍ ﺿَﻼَﻟَﺔٌ ﻭَﻛُﻞُّ ﺿَﻼَﻟَﺔٍ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ
ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ﻭﺍﻟﻠﻔﻆ ﻟﻠﻨﺴﺎﺋﻰ
“নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্র
কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের
আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল
(দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর
নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক
ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।[সহীহ
মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩৫ ও সুনান আন-
নাসায়ী, হাদীস নং ১৫৬০, হাদীসের শব্দ চয়ন নাসায়ী থেকে।]
.
হাদিসদুটো লক্ষ করেন বার বার। বলা
হয়েছে
১. দ্বীনের মধ্যে
২. প্রত্যেক
৩. নতুন বিষয় বিদআত এবং
৪. প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা
৫. প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।
.
১.দ্বীনের মধ্যেঃ-
অর্থাৎ ইসলামের মধ্যে। ধর্মের মাঝে।
ইবাদতের মাঝে। এখানে সমাজের মাঝে
বলা হয় নি। জীবন যাত্রার মানের
ক্ষেত্রে বলা হয় নি। যোগাযোগ মাধ্যমের
ক্ষেত্রে বলা হয়নি। জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন
সংক্রান্ত ব্যবহারিক দুনিয়াবি
জিনিসপত্রের কথা বলা হয় নি। বলা
হয়েছে দ্বীনের মধ্যে।
.
তাদের প্রশ্নঃ ফেসবুক, ইন্টার্নেট রেলগাড়ি
এগুলোও কি বিদআত?
আমাদের প্রশ্ন তাদেরই কাছেঃ- ফেসবুক,
ইন্টার্নেট রেলগাড়ি ইত্যাদি কী দ্বীন?
এগুলো কী ইবাদত হিসেবে করা হয়?
এগুলো ব্যবহার না করলে কী কোনো গুনাহ
আছে। এগুলো ব্যবহার করলে কী কোনো
সোয়াব আছে?
আমাদের উত্তরঃ- ফেসবুক ব্যবহার করে
ইসলামের প্রচার বা তাবলীগ করা বিদআত
নয়। ফেসবুকে কোনো সোয়াব নাই গুনাহও
নাই। ফেসবুক কিভাবে ব্যবহার করা
হচ্ছে সেটার উপর গুনাহ এবং সওয়াব
নির্ভর করে। আপনি খারাপ কাজ করলে
গুনাহ। আর যদি ফেসবুক ব্যবহার করে “ভাল
কাজ” করেন তাহলে সওয়াব। সওয়াবটা
কোথা থকে আসছে? “ভাল কাজ থেকে”
ফেসবুক থেকে নয়। এটা শুধুমাত্র ১টা
যোগাযোগ মাধ্যম মাত্র। আপনার কাছে
বার্তা পৌঁছে দেবার মাধ্যম মাত্র। এখন
যদি কেউ বলে ফেসবুকে ইসলাম প্রচার করলে
প্রতিটি অক্ষর টাইপ করলে ১ নেকী
তাহলে এটা বিদআতের মধ্যে পড়ে যাবে।
বুঝাতে না পারলে এটা অবশ্যই আমাদের
ব্যার্থতা।
.
২. প্রত্যেকঃ
হাদিস দুটোতেই বলা হয়েছে “প্রত্যেক”
নতুন বিষয়। এই প্রত্যেক মানে কি? একটা
“হ্যাঁ” আর আরেকটা “না” এরকম কিছু?
একটা ভালো আরেকটা মন্দ এরকম
কিছু? অবশ্যই না। প্রত্যেক মানে সব,
প্রতিটি। আফসোস বাংলা “প্রত্যেক”
শব্দটিও এখানে ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে !!
এই “প্রত্যেক” এর ভিতর আছে হাসানাহ +সাইয়াহ= দুটোই
অর্থাৎ “প্রত্যেক” = বিদআত।
.
রাসুলুল্লাহ (সঃ) তো বলেন নি “কিছু”
বিদআত বলেছেন “প্রত্যেক” বিদআত
ভ্রষ্টতা।
তাহলে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে হাসানাহ বা
সায়িয়াহ অর্থাত ভাল বা মন্দ সব
বিদআতই এক কথায় “বিদআত”- সব বিদআতই
বাতিল।
.
৩. নতুন বিষয়ঃ- দ্বীনের মধ্যে প্রত্যেক
নতুন বিষয়। এই নতুন বিষয় মানে কী? যা
আগে ইসলামের অর্থাৎ ধর্মের অর্থাৎ
ইবাদতের মধ্যে অর্থাৎ সোয়াবের কাজ
হিসেবে করা হয় নি কিন্তু এখন করা হচ্ছে, নতুন
এসেছে, যার কোনো দলিল আগে থেকে
পাওয়া যায় না যার সমর্থনে রাসুলুল্লাহ
(সঃ) বা তাঁর সাহাবী বা তাঁবেই বা
তাঁবে তাবেঈন থেকে পাওয়া যায় না বা তাদের
সমর্থনও পাওয়া যায় না তা- ই হল দ্বীনের
মাঝে “নতুন বিষয়”।
.
সালাত শেষে সম্মিলিত মুনাজাত,
মসজিদে নিয়ম মাফিক গোল হয়ে বসে
সম্মিলিত জিকির, উচ্চ স্বরে জিকির,
নিয়ত উচ্চারণ করে পড়া, দলিল ছাড়া
বুজুর্গের নির্দেশে কোনো জিনিস কে বা কোনো দিনকে ফযিলতের দিন মনে কর, মীলাদুন্নবী,
মিলাদ, চল্লিশ দিনের চিল্লা, ইত্যাদি
পালন করা এগুলো সব নতুন আবিষ্কৃত।
.
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বা তাঁর সাহাবী বা তাঁবেই বা
তাঁবে তাবেঈন যুগ এ এগুলো ছিলনা। কোন
প্রমান নেই এগুলোর পালের ব্যাপারে।
সুতরাং এগুলো অবশ্যই নব্য বা নতুন বিষয়।
উপরের হাদিস দুটি আবার লক্ষ করেন।
“দ্বীনের মধ্যে প্রত্যেক নতুন বিষয়
বিদআত”।
.
৪. প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতাঃ-
কথাগুলো কিন্তু আমাদের বানানো নয়।
আমরা বানাই নি। রসুলুল্লাহ (সঃ) এর সহিহ
হাদিস। সহিহ কথা। বুজুর্গের বানানো
কথা নয়। প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা।
দ্বীনের মধ্যে প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআত আর
বিদআত হচ্ছে ভ্রষ্টতা।
.
আপনি নব আবিষ্কৃত মিলাদ পড়ছেন
(বিদআত), আপনি নির্দিষ্ট করে ৪০ দিনের
জন্য চিল্লা দিচ্ছেন (বিদআত), শবে বরাত
পালন করছেন (বিদআত) আপনি বলেন
এগুলো বিদআতে হাসানাহ। আরে ভাই
হাসানাহ হলেও এটা “বিদআত” তো নাকি?
এবার শুনেন, প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা।
.
৫. প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম
জাহান্নামঃ-
বিদআত তথা বিদআতে হাসানা এর নামে
বিদআত করা হচ্ছে। বিদআতিরা বলেন
বিদআতে হাসানাহ অর্থাৎ ভাল বিদআত।
ভাল কাজ। অনেক কাজ যেসব কাজ ভাল
মনে করে করা হয়। আপনি ভাবছেন আপনার
অনেক সওয়াব হচ্ছে। বুঝারই উপায় নাই যে
বিষয়টা পরিত্যাজ্য। আপনি দেখছেন
কাজটা ভাল, সুন্দর অথচ বিদআত।
মাথায় টুপি, দাড়ি জোব্বা পড়ে
আপনাকে শিখাচ্ছেন নিয়ত উচ্চারণ,
জায়নামাজের দোআ। আরে এটা তো
ভালও। নিয়ত উচ্চারণ করে বলাতে তো
খারাপ কিছু নাই।
সম্মিলিত মিনাজাত খারাপ কি?
জায়নামাজের দোআ আরে এটা তো ভাল,
এখানে তো খারাপ কিছু দেখা যাচ্ছেনা।
৪০ দিনের চিল্লা, মসজিদে গোল হয়ে
বসে মাশোয়ারা করা, জিকির করা, উচ্চ স্বরে জিকির করা, শবে বরাত পালন করা ইত্যাদি
দেখতে ভালই লাগে।
কিন্তু ভ্রাতা, উপরে যে স্পষ্ট স্পষ্ট স্পষ্ট
করে বলা হয়েছে, “দ্বীনের মধ্যে প্রত্যেক
নতুন বিষয় বিদআত”, প্রত্যেক বিদআত
ভ্রষ্টতা, ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।
আপনার এই ভাল কাজ গুলোর পরিণাম
কোথায়? জাহান্নাম। যে কাজ করলে
জাহান্নাম পরিণতি হয় সেই কাজ কি
ভালো কাজ? যে কাজ করলে জাহান্নাম
পরিণতি হয়
সেই কাজ কি ভালো কাজ? যে কাজ
করলে জাহান্নাম পরিণতি হয় সেই কাজ
কি ভালো কাজ?
কদমে কদমে যে সোয়াবের বর্ননা
পেয়েছেন তা তো ভুল। পড়ে তো হায় হায়
করবেন যে কদমে কদমে সোয়াবের
বিপরীতে বিদআতের গুনাহ।
বিদআতের আক্রমণ বড় ভয়াবহঃ-
বিদআত দেখতে ইসলামের মত কিন্তু
ইসলাম না। কাফেরদের স্পষ্ট বুঝা যায়,
তারা কাফের। আপনাকে পূজা করতে
ডাকলে আপনি বুঝেন আপনাকে শিরকের
আহ্ববান করছে, ঈসা (আ) কে আল্লাহর
ছেলে (নাউযুবিল্লাহ) বলতে বললে আপনি
বুঝেন এটা শিরক, মাজারে মাথা নত
করতে বললে আপনি বুঝেন এটা শিরক।
কিন্তু… দাড়ি নিয়ে, জোব্বা পাঞ্জাবী
পড়ে আপনাকে বিদআত করতে নিয়ে
গেলো। শবে বরাত পালন করলেন, মিলাদ
পড়লেন কারন রাসুলুল্লাহ (সঃ) কে আপনি
বড় ভালবাসেন!!!, ৪০ দিনের চিল্লায় দাওয়াত
দিতে গেলেন মানুষকে (বাবা মা ভাই
বোনের খবর নাই, বউ বাচ্চার খবর নাই),
তজবী নিলেন হাতে, গোল হয়ে বসে
সারাদিন জিকিরে মশগুল। আহা কত
সওয়াব !!!
মানুষ দেখছে আপনাকে আপনি নামাজ
পড়ছেন তজবী জপছেন, দুরুদে লাখী
পড়ছেন, সারাদিন মসজিদে জিকির
আজকার করছেন। ভালো কাজ বলেই মনে
হচ্ছে। জ্বী আপনি ১টা ২টো ভাল কাজ এখানে ঠিকই করছেন কিন্তু … কিন্তু… কিন্তু… সাথে
বিদআত করছেন। বিদআত আপনাকে
কোথায় নিয়ে যাবে?
(দ্বীনের মধ্যে + প্রত্যেক + নতুন বিষয়) =
বিদআত”, প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা ,
ভ্রষ্টতার পরিণাম = জাহান্নাম।
.
আপনার ঐসব ভাল কাজের পরিণাম কী?
জাহান্নাম।
কাফেরের পরিণতিও জাহান্নাম আবার
বিদআতির পরিণাম জাহান্নাম। কোনটা
ভয়ানক? কাফেরের কাজ সহজেই ধরা
যায়। কিন্তু বিদআত বড় বড় আলেমদের
ধরতে হয়।বড় বড় আলেম যারা কিছু বিষয়কে বিদআত বলে রায় দিয়ে গেছেন তাঁরা কী এমনি
এমনি রায় দিয়েছেন। তাঁরা ইসলামের
জন্য কত কী করেছেন আর বিদআত
চিহ্নিত করে দিয়ে আমাদের ক্ষতি করে
দিয়েছেন বলে মনে করছেন?
বিদআত কতই ভয়ংকর। বড় বড় শ্রেষ্ঠ
আলেমগণ চিন্তিত থাকেন ইসলাম নিয়ে,
মুসলমানদের নিয়ে। তাই তাঁরা বিদআত
কে চিহ্নিত করেন মানুষকে সতর্ক করেন।
আপনার কাজ আপনি বলছেন বিদআত না।
কিন্তু যুগ শ্রেষ্ঠ আলেমরা বলছেন
বিদআত। এখন আপনার কাজটি সত্যি যদি
তাদের রায় অনুযায়ী বিদআত হয় তবে পরি
নতি কী ? কি ভাই পরিণতি কী? তাদের
রায় যদি সঠক হয় পরিণতি কি? তাদের
রায় ভুল হলে পরিণতি কিছুই না। শুধু কিছু
অতিরিক্ত সওয়াব পাওয়া যাবে না এই ই
যা। এখন আপনি কী সেই রিস্ক নিতে
চাচ্ছেন যার পরিণতি হয় অল্প কিছু নফল
সওয়াব অথবা জাহান্নাম?
.
একটু ভেবে নিন দয়া করে। ভাবেন। ভাল
ভাবে বুঝেন।
তাবলীগ জামায়াত তথা ইলিয়াসী
জামায়াতঃ-
তাবলীগ মানে দ্বীনের প্রচার। তাবলীগ
করা ফরয। এখন কোন তাবলীগ করা ফরয?
কোন দ্বীন প্রচার করা ফরয? আল্লহর
দ্বীন। তারমানে কি? কেউ যদি গনতন্তের
তাবলীগ করে মানে গণতন্ত্রের প্রচার
করে তা কী শুদ্ধ? সাম্রাজ্যবাদের
তাবলীগ? তাবলীগ মানে প্রচার। যত
বিদআত আর শিরক আছে এই সব বিষয়
মানুষের কাছে
প্রচার করলে কী তা তাবলীগ হবে?
মাজার শিরক। কিন্তু আপনাকে বলা হচ্ছে
মাজারে গিয়ে বুজুর্গ বসে থাকেন স্বপনে
দেখেন সে স্বপন অনুযায়ী কাজ করেন।
আর আপনি বুজুর্গের স্বপ্নের প্রচার তথা
তাবলীগ করেন। এই তাবলীগের কথা কী
আল্লাহ্ এবং আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) করতে
বলেছেন?
.
আপনি ভাবুন, আরও ভাবুন। বুঝার চেষ্টা
করুন।
“তাবলীগ জামায়াত” এর কর্মকান্ড
যেহেতু বিদআত তাই এটা করা যাবে না।
নামের সাথে যেহেতু “তাবলীগ” শব্দটি
লাগিয়ে নিয়েছে তারা, তাই যখন বলা হয়
এই
“তাবলীগ জামায়াত” বিদআতি জামায়াত
তখন তাঁরা খুব বেশি বেশি প্রচার করে
আমরা নাকি বলি “তাবলীগ করা বিদআত”।
বন্ধুগণ, কথা স্পষ্ট। নামের সাথে তাবলীগ
থাকার কারনে এবং সাধারণ মানুষ
তাবলীগ কাকে বলে সেটা জানে না।
তাঁরা মনে করে তাবলীগ মানে “তাবলীগ
জামায়াত”
যার কারনে বিদআত কে বিদআত বললে
সাধারণ মানুষ মনে করে আমরা বুঝি পুরা
তাবলীগ কেই বিদআত বলে দিয়েছি।
আসলে কিন্তু ঐ “তাবলীগ জামায়াত”
আমাদের কথা কে বিকৃত করে প্রচার
করছে। তিল কে ফুটবল মাঠ বানিয়ে
ছাড়ছে !!!
.
তাবলীগ জামায়াত তথা ইলিয়াসী
জামায়াত বিদআত কেনঃ-
তাবলীগ জামায়াত কে বিশ্লেষণ করা
যাকঃ-
পাঠক ভালভাবে আমাদের কথা খেয়াল
করেন। তাবলীগ জামায়াত কি কি বিষয়
নিয়ে গঠিত।
১. বুজুর্গ্ ও স্বপ্ন
২.ফাযায়েলে কিতাব
৪. চিল্লা
১. বুজুর্গঃ
.
তাবলীগ জামাত প্রঠিষ্টিত হয়েছে বুজুর্গ
গণ থেকে। এক বুজুর্গ স্বপ্ন দেখলেন এবং
তাবলীগ জামায়াত প্রতিষ্ঠা করলেন।
উদ্ধেশ্য মহৎ কিন্তু ধারনার উৎপত্তি,
পদ্ধতি, দ্বীন কাজ ইসলাম কর্ত্রিক কতটুকু সমর্থিত তা তাঁরা যাচাই ই করেন নি। সূফীবাদে
বিশ্বাসী একজন বুজুর্গ এই তাবলীগ
জামায়াত প্রতিষ্ঠা করেন। বুজুর্গ স্বপ্ন
দেখেন আর পদ্ধতি বের করেন। তাগব্লীগ জামায়াত
কে যদি বলা হয় ভাই ঐ স্বপ্ন সব বাদ দেন
তাহলে তাঁরা তা বাদ দিবে না। কারন
বুজুর্গের স্বপ্ন বাদ দিলে তাদের তাবলীগ
জামায়াতই থাকে না। আপনার কাছে
আমাদের প্রশ্ন বুজুর্গের ওইসব স্বপ্ন
থেকে কী ইসলামে আসার কিছু আছে?
বুজুর্গের স্বপ্নের সত্যতা কী? সত্যটা
থাকুক বা না থাকুক, যা শরীয়ত সমর্থন করেনা তা কী মানা যাবে? বুজুর্গের স্বপ্নের মাধ্যমে
দ্বীনের মাজে নতুন কিছুর প্রচলন!!
“দ্বীনের মধ্যে প্রত্যেক নতুন বিষয়
বিদআত”, প্রত্যেক
বিদআত ভ্রষ্টতা, ভ্রষ্টতার পরিণাম
জাহান্নাম।
আল্লাহর রাস্তা হতে লোকদের ভ্রষ্ট
করার জন্য, তার জন্য দুনিয়াতে আছে
লাঞ্ছনা এবং কিয়ামতে আমি তাকে দহন
আজাব ভোগ করাব। সূরা আল হাজ্ব ৮।
.
২. ফাযায়েলে কিতাবঃ
এটা হচ্ছে তাবলীগ জামায়াতের
সংবিধান। তাঁরা বলে এটা ওদের
সংবিধান না। তাহলে ঐ বইটা বাদ দেন!!
কিন্তু তাঁরা তা বাদ দিতে পারে না। কি
আছে এই বইতে?
.
ভাল কথা আছে, আছে সহিহ হাদিস। আরও
আছে। কী আছে? বুজুর্গের স্বপ্ন, জাল
মিথ্যা বানানো হাদিস, বানানো কিচ্ছা
কাহিনী, কদমে কদমে সোয়াবের বর্ননা।
একটা কিতাব যাতে মিথ্যা আছে কিছু
সত্যও আছে। “ভুল” তো ভুল করে হয়। ভুল ধরা
পড়লে সংশোধন করে ছাপা হয়। তাদের
ফাযায়েল কিতাব? কত কত ভুল,
স্পষ্ট বিদআতের কথা, জাল হাদিস,
শিরকী কিচ্ছা। স্পষ্ট করে বড় বড় আলেম
গণ বলে ছিয়েছেন। কই বইটি কী
সংশোধিত হয়েছে? পাঠক আপনাকে
জিজ্ঞেস করছি
পেয়েছেন সংশোধনী? জাল বানানো
মিথ্যা হাদিস গুলো সরিয়ে দেয়া হচ্ছে
না কেন? কারন ওইসব বানানো হাদিস না
থাকলে কদমে কদমে সোয়াবের কথা
আপনাকে
কোথা থেকে দেখাবে? ফাযায়েলে
কিতাবে আছে শিরকী কথা, শিরকী
কিচ্ছা, কাহিনী, মাজার। ফাযায়েলে
কিতাবে “ফায়দা” নামে আছে শিকই
কথা। কোনো বালক
নাকি গায়েব জানে (নাউযুবিল্লাহ)-
গায়েব তো একমাত্র আল্লাহ্ জানেন। এমন
কী রাসুলুল্লাহ (সঃ) পর্যন্ত গায়েব
জানতেন না। সেখানে বুজুর্গ গায়েব
কিভাবে জানলেন?
.
প্রশ্নঃ শিরক করলে কী কোনো আমলের
কোনো মূল্য আছে?
আরও বলেন: “আপনি যদি শির্ক করেন তবে
অবশ্যই আপনার আমলকে নষ্ট করে দেব
এবং নিশ্চয়ই আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের
অন্তর্ভুক্ত হবেন।” [সূরা আয্-যুমার: ৬৫]
আরও বলেন: “যদি তারা শির্ক করে তবে
অবশ্যই তারা যা আমল করেছে তা নষ্ট
হয়ে যাবে।” [সূরা আল-আন‘আম ১৮৮]
ফাযায়েলে আমলের ভুল, মিথ্যাচার,
বিদআত ও শিরক সমূহের পৃষ্ঠা নাম্বারঃ-
কলেবর বড় হয়ে যাচ্ছে তাই শুধুমাত্র পৃষ্ঠা
নাম্বার দেয়া হলঃ-
ফাযায়েলে আমল পৃষ্ঠা ১১৮, ১২৫-১২৬ ১৫৬,
১৫৮, ১৬১,
.
মিথ্যা বিদআতি শিরকী কিচ্ছা সমূহ
ফাযায়েলে জিকির ২৪৮, ২৪৯, ২৮৯,
ফাযায়েলে নামাজ ৪৯, ৬১, ১০৭, ১০৮,
.
জাল হাদিসঃ-
ফাযায়েলে তাবলীগ ৩২, ১৩২, ফাযায়েলে
জিকির ২৩৮, ২৫৬, ২৬৩, ফাযায়েলে রমজান
৪৪৮, ফাযায়েলে কোরআন ১৯৪,
কোরআন বিরোধী কথাঃ-
ফাযায়েলে নামাজ ৪৭, ১১০,ফাযায়েলে
জিকির ২৬৩, ৩১০, ৬৪১,
.
শিরকঃ-
ফাযায়েলে কোরআন ১৩৭, ১৯৬
ফাযায়েলে নামাজ ৭৭, ৮২, ফাযায়েলে
জিকির ২৫৩, ২৬৪, ৩১৮, ৩৮০
ইত্যাদি ইত্যাদি… আরও বহু আছে। সারা
বইয়ে ১টা স্পষ্ট শিরক থাকলেই তো বইটা
বাতিল গণ্য হওয়ার কথা। স্পষ্ট জাল
হাদিস লিখে রেখেছে। ওইসব কিচ্ছা
কাহিনী কোনো ইসলামিক ব্যাক্তিত্যের কথা হতে
পারে এটাই তো একজন সাধারণ মুসলমান
যে ইসলাম সম্পর্কে জানে তাঁর কাছেও
অগ্রহণযোগ্য।
.
৩. চিল্লাঃ- ৩ দিন, ৭ দিন, ৪০ দিন বা ১২০
দিন নির্দিষ্ট করে দাওয়াত তথা বুজুর্গের
স্বপ্ন বয়ান, কদমে কদমে সোয়াবের বয়ান,
মসজিদে গোল হয়ে বসে জিকির
আজকার করা, জাল জঈফ, মিথ্যা কিচ্ছা
কাহিনী বয়ান। এর নামই চিল্লা। কেউ
যদি ৪০ দিনের যায়গায় ৩৮ দিন থাকে
তবে কি তাঁর চিল্লা হয়? হয় না। দাওয়াত
দিতে এমন নির্দিষ্ট দিনের জন্য বের হওয়া কী?
নব্য আবিষ্কার। আর দ্বীনের মধ্যে
প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআত”, প্রত্যেক
বিদআত ভ্রষ্টতা, ভ্রষ্টতার পরিণাম
জাহান্নাম।
.
চিল্লায় ফাযায়েলে আমল পড়ানো হয়।
তালিম করা হয়। সাথে রিয়াদুস সালেহীন।
এই রিয়াদুস সালেহীন ভালো একটা
কিতাব। কিন্তু ফাযায়েলে আমল?
চিল্লায় কী করা হয়? গ্রুপ বেধে যাওয়া। অনেক লোক বৃদ্ধ বাবা মা রেখে যান, অন্তঃসত্ত্ব স্ত্রী
রেখে যান, ভাই বোনদের রেখে চিল্লায়
যান। অথচ আশে পাশের লোকদেরই কিন্তু
দাওয়াত দেয়া হয় নাই!!! ঢাকা থেকে ঢাকার নিজ
এলাকার লোকদের দাওয়াত না দিয়ে অন্য
জেলায় চিল্লায় যায় দাওয়াত দিতে !!!
বুজুর্গ + বুজুর্গের স্বপ্ন + ফাযায়েলে
কিতাব + চিল্লা + কিছু ভাল কাজ =তাবলীগ জামায়াত এই চক্র থেকে যদি বুজুর্গ আর বুজুর্গের বুজুর্গগীরী বাদ
দেন তাহলে আর “তাবলীগ জামায়াত”
থাকে না।বুজুর্গের স্বপ্ন যদি বাদ দেয়া হয় তাহলে
তাহলে আর “তাবলীগ জামায়াত” থাকে
না।ফাযায়েলে কিতাব বাদ দেয়া হলে
তাহলে আর “তাবলীগ জামায়াত” থাকে
না।
.
শুধু কিছু ভাল কাজ থেকে যায় কিন্তু কিশু
ভাল কাজ দিয়ে “তাবলীগ জামায়াত”
হচ্ছে না।অর্থাৎ বিদআতটা, শিরকটা মিথ্যাটা বাদ
দিয়ে দিলে আর পুরা “তাবলীগ
জামায়াত”ই থাকে না। মানে স্পষ্ট
মিথ্যা বিদআত আর শিরক পূর্ন হচ্ছে এই
“তাবলীগ জামায়াত”।
ঐ শিরক, বিদআত আর মিথ্যা গুলো বাদ
দেয়ার পরও যদি “তাবলীগ জামায়াত”
থাকে তবে আমরাও বলি ভাল কাজে
আমরা সাথে আছি।
.
অর্থাৎ যদি এমন হয় তবে আমরা গ্রহণ করতে রাজি আছি যে,এখানে (-) মানে মাইনাস
– বুজুর্গের মিথ্যা বুজুর্গগীরী – বুজুর্গের
মিথ্যা স্বপ্ন – ফাযায়েলে কিতাবের
বিদআত শিরক জাল হাদিস – চিল্লা +
সহিহ ইসলাম + ভাল কাজ + সহিহ সালাত =
“তাবলীগ জামায়াত ” (যদি এমন হয় তবে
আমরাও বলব এটা ভাল, এটা বিদআত না।
কিন্তু যতক্ষণ এমন না হবে আমরা তাঁদের
সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করবোই)
“জামায়াত আল-তাবলীগ” একটি ইসলামিক
দল যারা ইসলামের জন্যে কাজ করছে।
তাদের আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকার
এই প্রচেষ্টা(দাওয়াহ) কে অস্বীকার
করা যায় না। কিন্তু অন্যান্য অনেক দলের
মত তাদেরও কিছু ভুল রয়েছে, এবং তাদের
কিছু বিষয় লক্ষ্যণীয়। এখানে এসকল
বিষয়াদি আলোচনা করা হল, উল্লেখ্য, এই
ভুলগুলোর প্রকটতা তারা যে পরিবেশ
কিংবা সমাজে অবস্থান করছে তার উপর
নির্ভর করে কিছু কম-বেশি হতে পারে।
যে সমাজ ইলম ভিত্তিক এবং আলেমগণ
বিদ্যমান ও আহলে সুন্নাহ আল জামায়াহ’র
মাযহাব সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সেখানে
এই ভুলগুলো অনেক কম, আবার অন্য কোন
সমাজে এই ভুলগুলো বেশিও হতে
পারে।
.
ভালো কাজ কিন্তু ভুলঃ-
১.সালাত শিক্ষা দেয়ঃ- খুবই ভাল কাজ।
আপনি নামাজী ছিলেন না এখন নামাজী
হয়েছেন তাদের সংস্পর্শে। কিন্তু সহিহ
সালাত তো কেউ শিখে না। বিদআতি
নিয়ত,বিদআতি দোআ, বিদআতি জিকির,
বিদআতি মুনাজাত ইত্যাদি। প্রশ্নঃ
সালাত যদি রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর মত না হয়
তবে কী তা গ্রহণ যোগ্য? মিথ্যা জাল
হাদিসের ভিত্তিতে সালাত আদায় করলে কী
সালাত হবে? না জেনে থাকলে এক কথা।
তাদের ভুলগুলো অনেকেই দেখিয়ে
দিচ্ছেন কিন্তু তাঁরা গোঁড়ামি করছেন।
.
২. হাদিসের চর্চাঃ- হাদিস চর্চা
নিঃসন্দেহে ভাল কাজ। কিন্তু সালাত
শেষে বিদআতি বসা তারপর গাযায়েলে
বই থেকে মিথ্যা জাল বানানো হাদিস
থেকে বয়ান করা
কদমে কদমে সোয়াবের লোভ বর্ননা করা।
যে কথা রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন নি সে কথা
রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর নামে বলার পরিণাম
জাহান্নাম।
.
শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ লিখেছেন,
তাবলীগ জামায়াতের কিছু ভুল
.
১. আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ’র
আকিদাহ গ্রহণ না করা। এটা স্পষ্টভাবে
দেখা যায় তাদের সদস্যদের আকিদাগত
পার্থক্য থেকে। এমনকি তাদের কিছু
মুরুব্বিদের(তাদের নেতা) মাঝেও এই
আকিদাগত পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
.
২. শরয়ী জ্ঞানের প্রতি তারা মনোযোগ
দেয় না।
.
৩. তারা কিছু কুর’আনের আয়াত এমনভাবে
ব্যাখ্যা করে যেভাবে আল্লাহ ইংগিত
করেন নি। উদাহরণস্বরূপঃ তারা জিহাদের
আয়াতগুলোকে এভাবে ব্যাখ্যা করে,
“দাওয়াহ’র জন্যে বের হওয়া”।
‘খুরুজ’ (বাইরে বের হওয়া) ইত্যাদি
শব্দবিশিষ্ট আয়াতসমূহকে তারা
দাওয়াতের জন্যে বের হওয়া অর্থে ব্যাখা
করে থাকে।
.
৪. তারা তাদের দাওয়াতের জন্যে বের
হওয়ার পদ্ধতিকে একটি ইবাদাহ’তে
পরিণত করে। ফলে তারা কুর’আনের ভুল
উদ্ধৃতি দিতে শুরু করে তাদের এই নিদৃষ্ট
কিছু দিনের এবং মাসের কার্যক্রমকে সমর্থন
জানানোর জন্যে। এই পদ্ধতি, যা তারা
মনে করে কুর’আন ভিত্তিক দলিলের উপর
প্রতিষ্ঠিত, সকল দেশ এবং পরিবেশে
ছড়িয়ে আছে।
.
৫. তারা কিছু জিনিস করে থাকে যা
শরীয়াতের বিরুদ্ধে যায়, যেমন তাদের
জন্যে দুয়া করার জন্যে কাউকে নিযুক্ত
করা যখন দলটি দাওয়াতের জন্যে বের হয়,
এবং তারা মনে করে তাদের সফলতা কিংবা
ব্যর্থতা নির্ভর করে সেই নিযুক্ত লোকটি
আন্তরিক (মুখলিস) কিনা এবং তার দুয়া
কবুল কিংবা প্রত্যাখাত হয়েছে কিনা
তার উপর।
.
৬. দয়িফ (দুর্বল) এবং মাওযু (জাল)
হাদীসের বহুল প্রচলন রয়েছে তাদের
মাঝে, এবং এটা তাদের সাথে বেমানান
যারা মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকার
লক্ষ্যস্থির করেছে।
.
৭. তারা মুনকারাত(মন্দ কাজ) সম্পর্কে
কথা বলে না, এই ভেবে যে ভালো কাজে
অংশগ্রহণ করাই যথেষ্ট। লোকজনের মাঝে
যে সকল খারাপ কাজ বহুল প্রচলিত তা
নিয়ে তারা কথা বলে না, অথচ এই
উম্মতের স্লোগান হল-যা তারা পুনঃপুন
বলে থাকে- তা হল;
“আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা
উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের
প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং
বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর
তারাই হলো সফলকাম”। [আলে ইমরান
৩-১০৪]
তারাই হলো সফলকাম যারা সৎ কাজে
অংশগ্রহণ করে এবং অন্যায় কাজে বারণ
করে, যারা শুধুমাত্র দুইটির একটি করে
তারা নয়।
.
৮. তাদের কেউ কেউ আত্ম-গরিমা এবং
ঔদ্ধত্যের দোষে দুষ্ট, যার ফলে তারা
অন্যদের ছোট করে দেখে, এমনকি
আলেমদেরকেও তুচ্ছ জ্ঞান করে এবং
তাদের অলস,
অকর্মঠ এবং রিয়াকার বলে থাকে।
কাজেই আপনি তাদের দেখবেন তারা
কিভাবে সফর করেছে এবং বের হয়েছিল
এসব নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত থাকতে, এবং
তারা কি
কি দেখেছিল তার বর্ণনা দিতে, যার
ফলে উল্লেখিত অনাহূত ফল দেখা দেয়।
.
৯. তারা তাদের দাওয়াতের জন্যে বের
হওয়াকে অনেক ইবাদাহ’র থেকে শ্রেয়তর
মনে করে থাকে যেমনঃ জিহাদ এবং ইলম
অন্বেষণ, যদিও এই কাজগুলোর কোন
কোনটি ফরযে আইন কিংবা ফরযে
কিফায়া হয়ে থাকে।
.
১০. তাদের অনেকে বেপরোয়া
(audaciously) ফাতাওয়া প্রদান করে, এবং
তাফসীর এবং হাদীস আলোচনা করে। এর
কারণ তারা তাদের প্রত্যেক
সদস্যকে মানুষের সামনে বক্তব্য দিতে
অনুমতি দান করে এবং বক্তা ব্যাখা করে
থাকে। এর ফলে তারা শরীয়াহ’র বিষয়সমূহ
নিয়ে অজ্ঞতাসহকারে কথা বলে।
অপরিহার্যভাবে তারা কোন ফিকহ’এর
অর্থ, হাদীস কিংবা আয়াত নিয়ে কথা
বলে অথচ তারা এ সম্পর্কে কিছুই
পড়ালেখা করেনি বা কোন আলেমের
নিকট হতে কিছু শুনেওনি। এমনকি তাদের অনেকে নও-মুসলিম অথবা মাত্রই ইসলামের দিকে ফিরে এসেছে।
.
১১. তাদের অনেকে তাদের সন্তানাদি ও
পরিবারের প্রতি উদাসীন।
একারণে আলেমগণ তাদের সাথে
লোকদের বের হতে অনুমতি দেন না ,তারা
ব্যতীত যারা আলেমদের সাহায্য করতে
চায় কিংবা নিজেদের ভুলকে সংশোধন
করতে চায়।
.
আমরা জন-সাধারণকে তাদের থেকে
আলাদা করে দিব না, বরং আমরা অবশ্যই
তাদের ভুল সংশোধনে সচেষ্ট হব এবং
উপদেশ দিব যেন তাদের প্রচেষ্টা
অব্যাহত থাকে এবং তারা যেন কুর’আন ও সুন্নাহ
অনুসারে সঠিক থাকে।
.
এখানে জামায়াত আল-তাবলীগ সম্পর্কে
কয়েকজন আলেমের ফাতাওয়া উল্লেখ
করা হলঃ
.
১ শাইখ আবদ আল আযিয ইবন বায বলেন,
জামায়াত আল তাবলীগ; তারা আকিদা
সম্পর্কে যথাযোগ্য ধারণা রাখে না,
কাজেই তাদের সাথে বের হওয়ার অনুমতি
নেই, তবে যার ইলম আছে এবং আহল সুন্নাহ
ওয়াল জামায়াহ’র আকিদাহ সম্পর্কে যার
সঠিকতা নির্ণয়ের এবং তা বুঝার ক্ষমতা
আছে সে ব্যতীত, কেননা সে তাদেরকে
পথ দেখাতে পারবে, উপদেশ দিতে
পারবে এবং ভালো কাজে তাদের সাথে
সাহায্যও করতে পারবে কারণ তারা খুবই
কর্মপরায়ণ। কিন্তু তাদের আরও অনেক ইলম
অর্জন করা প্রয়োজন এবং তাওহীদ ও
সুন্নাহ সম্পর্কে পথ নির্দেশনা দেবার ক্ষমতা
রাখে এমন ব্যক্তিদের দরকার। আল্লাহ
আমাদের সবাইকে রহমত দান করুন
ইসলামকে সঠিকভাবে বুঝার ক্ষমতা
দিয়ে এবং তা ধরে রাখার কাজে দৃঢ়তা দান করুন।মাযমু ফাতাওয়া আল শাইখ ইবন বায, ৮/৩৩১
.
২ শাইখ সালিহ আল ফাওযান বলেন,
আল্লাহর জন্যে বের হওয়া বলতে তারা যে
ধরণের বের হওয়াকে বুঝে থাকে আসলে
তা নয়। আল্লাহর জন্যে বের হওয়া বা
আল্লাহর রাস্তা বলতে বোঝায় জিহাদের
জন্যে বের হওয়াকে। তারা বের হওয়ার জন্যে
যেভাবে আহবান করে থাকে তা একটি
বিদ’আত যা সালাফদের থেকে বর্ণিত
নেই, অর্থাৎ সালাফদের কেউ এভাবে বের
হওয়ার জন্যে আহবান করেন নি।
আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকার জন্যে
বের হওয়াকে কয়েকটি দিনের মাঝে
সীমাবদ্ধ করা যায় না, বরং একজন মানুষ
তার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে লোকদের
আল্লাহর দিকে আহবান করবে, তার এই সামর্থ্যকে সে কোন নির্দিষ্ট কিছু দিন যেমন চল্লিশ
দিন বা এর কিছু বেশি বা কম অথবা কোন
দলের মাঝে সীমাবদ্ধ করবে না।
অনুরূপভাবে, একজন দায়ীর অবশ্যই ইলম
থাকতে হবে। একজন লোকের অনুমতি নেই
সে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান
করবে অথচ যে একজন অজ্ঞ মূর্খ বা
জাহেল। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
বলেন, “(হে নবী,এদের) তুমি বলে দাও, এ
হচ্ছে আমার পথ; আমি মানুষদের আল্লাহর
দিকে আহবান করি; আমি ও আমার
অনুসারীরা পূর্ণাংগ সচেতনতার সাথেই
আহবান জানাই; আল্লাহ তায়ালা মহান,
পবিত্র এবং আমি কখনো মুশরিকদের
অন্তর্ভুক্ত নই”। [সূরা ইউসুফ ১০৮]
.
দ্রষ্টব্য; “সচেতনতার সাথেই আহবান
জানাই”, এ আহবান হতে হবে ইলমের সাথে
কারণ একজন আহবানকারী যেদিকে
লোকদেরকে আহবান করছে তা সম্পর্কে
তাকে অবশ্যই জানতে হবে। তাকে জানতে
হবে কোনটি ফরয, মুস্তাহাব, হারাম আর
কোনটি মাকরুহ। তাকে জানতে হবে শিরক
সম্পর্কে; পাপকার্য, কুফর,
অনৈতিকতা, অবাধ্যতা সম্পর্কে।
অন্যায়ের এবং মন্দ কাজের কিভাবে
মোকাবিলা করতে হয় সে সম্পর্কেও
তাকে অবশ্যই জানতে হবে।
এ ধরণের বের হওয়া(চল্লিশ দিন কিংবা
চার মাস) মানুষকে ইলম অর্জন থেকে
বিঘ্নিত করে এবং এটি একটি ভুল, কারণ
ইলম অর্জন করা একটি অত্যাবশ্যক বা
ফরয কাজ, আর এটা কেবলমাত্র শিক্ষার
মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অনুপ্রেরণার
মাধ্যমে নয়। এটা হল এক প্রকার ভুল পথে
চালিত সুফী মিথ(myth), কেননা
ইলম ছাড়া আমল হল ভুল পথে চলা বা
পথভ্রষ্টতা আর শিক্ষা অর্জনের
প্রক্রিয়া ছাড়া ইলম অর্জনের আশা করা
একটি বিভ্রম ব্যতীত আর কিছু নয়।
– সালাস মিহাদারাত ফিল-ইলম ওয়াল
দাওয়াহ থেকে।
আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।
.
ফিতনা ফিতনা করাঃ
তাবলীগ জামায়াতের ভুল ভ্রান্তি,
বিদআত শিরক তুলে ধরলে তাঁরা বলে
আমরা নাকি ফিতনা ছড়াচ্ছি। তাহলে
তাঁরা মাথায় টুপি লাগিয়ে, পাঞ্জাবী
পড়ে নামাজে ডেকে
নিয়ে যে শিরক করিয়ে ছাড়ছে সেটা
কী? শিরক করলে নামাজের দাম কী?
“যদি তারা শির্ক করে তবে অবশ্যই তারা
যা আমল করেছে তা নষ্ট হয়ে যাবে।” [সূরা
আল-আন‘আম ১৮৮]
আমরা মানুষকে ইসলামের নামে শিরক
ছড়ানোর প্রতিবাদ করা কে তাঁরা
ফিতনা বলে প্রচার করে। ফিতনা ফিতনা
করে তাঁরা তদের শিরক বিদআতকে
ঢাকতে চায়।
.
আলেমদের গালাগালি করে তাবলীগ জামায়াতঃ
কোনো আলেম তাঁদের ভুল ধরিইয়ে দিলে
তাঁরা ঐ আলেমকে গালাগালি করেন,
কোনো আলেম গ্রুপ তাঁদের ভুল ভ্রান্তি
নিয়ে মানুষ কে সচেতন করলে তাঁদের
গালমন্দ করেন।
.
ভুল মানতে নারাজ, সহিহ হাদিসকে অস্বীকারঃ
তাঁদের ভুল, শিরক প্রমান সহ দেখিয়ে
দেওয়ার পরও আজ পর্যন্ত তাঁদের
ফাযায়েলে কিতাব সংশোধিত হয় নি।
তাঁরা সহিহ হাদিস মানতে চান না।
কিভাবে? রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম
বলেছেন,
ﻭَﺇِﻳَّﺎﻛُﻢْ ﻭَﻣُﺤْﺪَﺛَﺎﺕِ ﺍﻷُﻣُﻮْﺭِ ﻓَﺈِﻥَّ ﻛُﻞَّ ﻣُﺤْﺪَﺛَﺔٍ ﺑِﺪْﻋَﺔٌ ﻭَﻛُﻞَّ
ﺑِﺪْﻋَﺔٍ ﺿَﻼَﻟَﺔٌ ‏) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ﻭﻗﺎﻝ ﺣﺪﻳﺚ
ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ
“তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ
থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন
বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত
ভ্রষ্টতা”।[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং
৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং
২৬৭৬ তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও
সহীহ বলেছেন।]
কিন্তু এঁরা বিদআতে হাসানাহ এর নামে
ভুল ইবাদতে মশগুল এবং মানুষকেও তাতে
ডাকছে।
.
একটা উদারহন দিয়ে লেখার সমাপ্তি
টানছিঃ (এটা শুধুমাত্র একটা উদাহরণ
বুঝানোর জন্য)
আপনার সামনে পরিবেশন করা হল,

১.মদঃ কাফের আপনাকে মদ দিল। আপনি
এটা গ্রহণ করবেন না। কারন আপনি
জানেন সে কাফের এবং মদ হারাম।
এখানে মদ মানে কুফরির দিকে ডাকা।
.
২. দুধ + মদ অল্প বা বেশিঃ- মদ মিশ্রিত
দুধ। দুধ হালাল। মদ হারাম। দাড়ি টুপি
ওয়ালা লোক তাবলীগ জামায়াত দিল
আপনাকে। এখানে দুধ মানে সহিহ কথা
মদ মানে শিরকী কথা, বিদআতি কথা।
আপনি এটা নিতে পারেন না।
.
৩. দুধ + মধু = মধু মিশ্রিত দুধ। এটা সম্পুর্ণ
হালাল। দুধ হালাল। মধু হালাল। দাড়ি টুপি
ওয়ালা লোক সহিহ সুন্নাহ অনুসারী
আপনাকে দিল। এখানে দুধ মানে সহিহ
কথা, মধু মানে সহিহ হাদিস। আপনি এটিই
গ্রহণ করবেন।
.
লক্ষ করেন, ২ ও ৩ এ দুজনই দাড়ি টুপি
ওয়ালা।। দু জনই আপনাকে দুধ দিচ্ছে।
আপনি দেখছেন দুধ। কিন্তু তাতে কী মদ
আছে নাকি মধু মিশ্রিত আছে তা তো
আপনি দেখছেন না। দুধ হালাল তাই বলে
কী অল্প পরিমাণ হলেও মদ মিশ্রিত দুধ
কী হালাল হবে আপনার জন্য? নাকি
হারাম হবে?
.
তাবলীগ জামায়াতে গিয়ে নামাজী
হচ্ছেন ভাল কথা, কিন্তু সহিহ নামাজ তো
হচ্ছে না। তাহলে ভুল নামাজ দিয়ে
কিভাবে সোয়াবের আশা করছেন? এমন
তো নয় যে আপনি জানতেন না বা আপনাকে কেউ সতর্ক করে নাই। আপনার উচিৎ জানা।
নামজী হলেন কিন্তু শিরকী কথা বয়ান
করলেন, মিথ্যা জাল হাদিস বয়ান ও
প্রচার করলেন, মিথ্যা হাদিসের দিকে শিরকী
কাজের দিকে মানুষকে আহবান করলেন,
আপনার আমলের অবস্থা কীরূপ হবে?
.
আমাদের সমবেদনাঃ-
আমরা চাই তাবলীগ জামায়াতের
ভাইয়েরা তাঁরা সংশোধিত হোক। তাঁরা
কত মেহনত করে ইসলামের পথে এসেছেন
কিন্তু তাঁদের ফলাফল কী? “দ্বীনের মধ্যে
প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআত”, প্রত্যেক বিদআত
ভ্রষ্টতা, ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।
তাঁদের আমল থেকে বিদআত শিরক মুছে
ফেলার জন্যই আমরা আহ্ববান করি।
তাঁদের এত কষ্টের মেহনত যেন বৃথা না যায় সে
জন্যই আমরা তাঁদের সতর্ক করি।
কাফের এর পরিণতি = জাহান্নাম
বিদআতিদের বিদআতি, শিরকী আমলের
পরিণাম = জাহান্নাম
“যদি তারা শির্ক করে তবে অবশ্যই তারা
যা আমল করেছে তা নষ্ট হয়ে যাবে।” [সূরা
আল-আন‘আম ১৮৮]
.
এই আয়াত খেয়াল করেন। জেনে শুনে
শিরকী কথা যারা বলে তাঁদের সাথে
যাবেন? না নিজেদের সংশোধন করবেন।
তাঁরা ভাল কাজ করছে বলে আপনার মনে
হচ্ছে কিন্তু “নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্র
কিতাব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top