বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৬

দরবারি আলেম

কোন মন্তব্য নেই:

অন্ধ আনুগত্য নয় সত্যকে বুঝার চেষ্টা করুন:
.
খারেজিদের লক্ষন বিষয়ক লেকচারে
শায়খের ভুল যা বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য
উদ্দেশ্য করে বলেছেন:
.
লেকচারের লিংক - http://
www.quraneralo.com/beware-of-khariji-
minded-scholars/
.
(১) আলোচক আলোচনা করতেছেন
খারেজীদের সম্বন্ধে যারা দ্বীনের
মধ্যে বাড়াবাড়ি করেন তারা গোমরাহ
তিনিই বলেছেন কিন্তু(৫:২০ মিনিটে)
তিনি বলেছেন আলী (রা:) হচ্ছেন সবচাইতে
শ্রেষ্ঠ আল্লাহ পাকের বান্দা এই কথাটি
তিনি বহুবার উল্লেখ করেছেন এখন আমার
প্রশ্ন সব চাইতে শ্রেষ্ঠ বান্দা কে আলী (রা:)
নাকি মুহাম্মদ (সাঃ) ?
.
(২) আলোচক নিজে বর্তমান খারেজিদের
কথা বলতে গিয়ে বলেছেন (৬:৫৭ মিনিটে)
যারা কাফের মুশরেকের বিরুদ্ধে কোন
কথা বলে না কিন্তু যারা মুসলীমের
ভিতরে দ্বীনের খেদমত করতেছে তাদের
বিরুদ্ধে সোচ্ছার এখন আমার প্রশ্ন
আলোচক নিজে কি কখনো বর্তমান
বিশ্বের মুসলীমদের সবচেয়ে বড় শত্রু
আমেরিকা বা ইসরাইলের বিরুদ্ধে কিছু
বলেছেন কিনা ? আমার জানা মতে কিছুই
বলে নাই । উনার কথা অনুযায়ী তিনিই
একজন খারেজী । সৌউদি যুবরাজ
যেখানে তার অফিসে হিজাব নিষিদ্ধ
করেছেন এবং তার সহকারী বেশীরভাগ
মহিলা নিয়োগ করেছেন সেই বিষয়ে কিছু
বলেছেন কিনা ? না কিছুই বলেনি বরং
যারা মুসলীমের মধ্যে দ্বীনি কাজ
করতেছে তাদেরকে নিয়ে উদ্দেশ্য মূলক
বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে ।
.
(৩) (৭:২৭ মিনিটে) তিনি বলেছেন
খারেজি চিনার আরেকটি উপায় হচ্ছে
তারা যেসব শাসকের মধ্যে দ্বীন আছে
তুলনামূলক ভাল শাসক তাদের বিরুদ্ধে
বলা ,আমার প্রশ্ন উনার কাছে এবং উনার
সমর্থ্কদের কাছে বর্তমানে কোন শাসক
দ্বীন পালন করে, কোন শাসক দ্বীনি কাজ
করতেছে কুরআন সুন্নাহ মূলক ? তুলনা মূলক
ভাল যে কথা বলেছেন তাতে তূলনা করলে
নামধারী মুসলীম শাসক থেকে অমুসলীম
শাসক অনেক ভাল যারা প্রমান বিশ্বের
সবচেয়ে গরীব প্রেসিডেন্ট হচ্ছে উুরুগুয়ের
প্রেসিডেন্ট যিনি মুসলীম নন?আমাকে দেখান দুনিয়ার কোন দেশটিতে ইসলামি খিলাফত আছে বা আমির আছে যাদের আনুগত্য করব বা বিদ্রোহ করা যাবে না?
.
যতগুলো মুসলিম দেশ আছে সবগুলোর শাসক কারা এখন?শাসকের আইন মানা ফরয।কোন শাসক?যে শাসক কোরান আর হাদিস দিয়ে দেশ চালায়।ওই শাসকের আইন মানা কি??? ফরয।।।
ওই শাসকদের সম্পরকে বলা হয়েছে, তারা যদি তোমার পিঠে চাবুক মারে তারপরও তার বিরোধিতা করনা।আর যেই শাসকরা কুরান ও সুন্নাহ মুতাবেক দেশ পরিচালনা করেনা।বরং কুরানের আইন বাতিল করে,তাদের সংবিধান এ পরিস্কার লেখা আছে।এই যে যারা আল্লাহর আইন কে বাতিল করে দিল, আল্লাহর আইনকে মিটাইয়া দিল এবং তাদের সংবিধান এর সাথে সাংঘর্ষিক যেটা যেটা সেখানে আল্লাহরটা বাতিল সংবিধান ঠিক।এমনকি যদি সংবিধান এর বিরুদ্ধে বলে তাহলে রাস্ট্রদ্রোহী।ওই বেটা,তোর সংবিধান এর বিরুদ্ধে কথা বললে যদি রাস্ট্রদ্রোহী হই,আল্লাহর দেয়া সংবিধান এর বিরুদ্ধে বললে তাকে কি বলব আমরা?????????আল্লাহদ্রোহী।।।।।
তাহলে যারা আল্লাহদ্রোহী হয়ে গেল তুই তাদেরকে হেফাযত করার জন্য যারা আল্লাহর কথা বলে তুই তাদেরকে বললি রাস্ট্রদ্রোহী।
এই লোকগুলো কতবড় গোমড়াহ!
আমি জানি না,আল্লাহ তায়ালা একদল লোক সম্বন্ধে বলেছেন,যাদেরকে তাওরাত দেয়া হয়েছিল ওরা হেমারের মত।গাধার মত।হেমার মানে কি?
.
গাধার পিঠে যদি কুরান,হাদিস,বিজ্ঞান এর বই চাপাই দেয়া হই,গাধাই কোন জ্ঞান অরজন করতে পারবে??ওর পিঠে আলুর বস্তা দেয়া যে কথা আর কুরান-হাদিস আর বিজ্ঞান এর বই দেয়া কি?একি কথা। ঠিক এইরকরম ভাবে এই আলেমগুলো কে আল্লাহ তায়ালা কুরানের এলেম দিয়েছিলেন,হাদিসের এলেম দিয়েছিলেন।মানুষ কে তারা তাওহীদের দাওয়াত দিবে,জিহাদের দাওয়াত দিবে,শিরক এর বিরুদ্ধে দাওয়াত দিবে।এই লোক গুলো কি করল??
শাসকদেরকে বাঁচাবার জন্য,দুনিয়ার শাসকদের পা চাটা গুলামি করে তারা বলে শাসকদের আইন মানা ফরয।অথচ এই শাসকেরা রাস্তার মোড়ে মোড়ে মুরতি বানাচ্ছে।এরপরও যদি তাদের আইন মানা ফরয হই,তাহলে শাসকেরা আইন করে দিয়েছে ২১ শে ফেব্রুয়ারি মুরতির সামনে নগ্ন পায়ে যেতে হবে,ফুল চড়াতে হবে,মুরতির সামনে নিরবে এক মিনিট দাড়াতে হবে।কর গিয়া ফরয। শাসকের আইন। ওই আলেম সাহেবদেরকে আপনারা প্রশ্ন করবেন যে,ভাইযান আমরা কি তাহলে শাসকদের আইন মানতে গিয়ে দেশের আইন মানতে গিয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিবনা?মুরতির সামনে গিয়ে আমরা নিরবে দাড়াব না?আমরা কি ওখানে গিয়ে নগ্ন পায়ে হাটব না?আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাত খেতে যাব না?মেয়েদের হাতে পান্তা ভাত খাব না?আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে নেতা নেত্রীদের সাথে একসাথে বসব না?জিজ্ঞেস করুন এদের কে।আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে চোরের হাত কাটার বিধানটাকে কুরান থেকে তুলে দিব না?আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে সুদ আল্লাহ হারাম করেছেন এই ফতোয়া কি বাতিল করে দিব না?
.
আমরা কি দেশের আইন মানতে গিয়ে পতিতালয় এর যে লাইসেন্স দেয়া হই সেখানে যেনা ব্যভিচার হারাম হবে না এই ফতোয়া কি দিব না?দেশের আইন মানা ফরয, শাসকদের মান্য করতে হবে। ওই ব্যাটা কুরানের আয়াত দিয়ে দলিল পেশ করে,আতিউল্লাহু ওয়া আতিউর রাসুল।ওয়া আমরি মিনকুম।ওখানে পরিস্কার বলা আছে তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর,আল্লাহর রাসুলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে উলুল আমর এখানে আতিউ শব্দ নাই তার মানে আল্লাহ এবং রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে তোমাদেরকে দেশ চালাই সেই উলুল আমর এর আনুগত্য কর।। আর যারা নিজেরা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের আনুগত্য করে না তারা উলুল আমর না।জেনে রাখ তারা হচ্ছে উলুল খমর।তারা কি উলুল খমর।ওরা উলুল আমর না।ওরা মদের হেফাযত কারী।কাজেই খবরদার!এই সমস্থ আলেমের ফতোয়াই কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।যে আলেমরা রফে ইয়াদিন না করলে কাফের বলে,যে আলেমরা আমিন জোরে না বললে কাফের বলে,যে আলেমরা বুকের উপর হাত না বাধলে কাফের বলে,অথচ মুরতি তোইরি করলে কাফের হই না,সুদ হালাল করে দিলে সে কাফের হইনা,আল্লাহর আইনের পরিবরতে আইন তোইরি করলে কাফের হই না,মানুষের সার্বভৌমত্ব কায়েম করলে কাফের হইনা,কাফের হই আমিন জোড়ে না বললে। এই রকম যারা তাওহীদের দাওয়াত দেয়,আমি সেই তাওহীদবাদি ভাইদেরকে বলছি যদি বুজে না আসে বুঝার চেস্টা কর,তোমাদেরকে দাওয়াত দিচ্ছি পুরনাংগ তাওহীদে চলে আস।তোমার তাওহীদের মধ্যে মাথা নাই কি নাই?মাথাবিহীন তাওহীদ। তাওহীদের দাওয়াত দাও,পুরা তাওহীদ। একেবারে রান্না ঘর থেকে শুরু করে বংগভবন পরযন্ত,সংসদ ভবন পরযন্ত তাওহীদ চলবে।এক আল্লাহর বিধান,এক আল্লাহর হুকুম রাস্ট্র তে চলবে,সমাজে চলবে,ব্যাংক এ চলবে,আদালত এ চলবে,এই তাওহীদের দাওয়াত দাও।নতুবা এমন তাওহীদের দাওয়াত দিওনা যেই তাওহীদ ওই কবর পুজা, মাঝার পুজা,পীর পুজা পরযন্ত শেষ হয়ে যাই আর উপরে যাইতে পারেনা।ওইখানে ত্বাগুতের আইন চললে সেখানে কোন কথা নাই।আপনারা কোন তাওহীদের দাওয়াত দিবেন।বিষয় গুলো কি ক্লিয়ার হচ্ছে আমি কি বলতে চাচ্ছি????
.
(৪)(৭:৫৬ মিনিট) এ তিনি বলেছেন আমাদের
লোকেরা এই কথা বলে তিনি কি বুঝাইতে
চেয়েছেন যদি উনার কথা থেকে বলি
তাহলে তা হচ্ছে উনি বলেছেন
খারেজীদের অপব্যাখ্যার শিকার হচ্ছে
যারা দুনিয়ার এবং ইসলামী শিক্ষায় অল্প
জ্ঞান রাখে তারাই । এই কথা থেকে বুঝা
যায় দুনিয়ার এবং ইসলামী জ্ঞান অল্প
উনার দলের লোকেদের তাই তিনি উনার
দলের লোকদেরকে খারেজী সম্পর্কে
আবহিত করতেছেন যাতে তারা এই অল্প
জানা লোকগুলো বিভ্রান্ত না হয় ।
.
(৫) (৯:১০ মিনিটে) তিনি বলেছেন কোন
আলেম বা দুনিয়ার কোন বড় শিক্ষিত কোন
লোক খোরেজীদের মধ্যে নেই এই কথার
ভিত্তিতে দুনিয়াতে কোন খারেজী নেই
কারন দুনিয়াতে ইসলামীক বা নন
ইসলামীক যে কোন দল বলেন তাদের দলে
কোন না কোন প্রকার উচ্চ শিক্ষিত লোক
আছে আর যদি আমার কথা বিশ্বাস না
তাহলে আপনারাই বলেন এমন কোন দল
আছে যাদের সবাই মূর্খ্ !
.
(৬)উনার কথা হচ্ছে যারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর কালিমা,আল্লাহর দ্বীন প্রতিস্টার জন্য, আল্লাহর হুকুমকে বাস্তবায়ন করার জন্য  দিন রাত না ঘুমিয়ে মশার কামড় খেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আরাম আয়েশ ত্যাগ করে পাহাড়ে জংগলে বাস করে দুনিয়ার কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে,মুসলিমদের হারানো দখল হয়ে যাওয়া ভুমিগুলো পুনরুদ্ধার করছে নিজেদের জীবন বাজি রেখে এরা হচ্ছে উনার নজরে খারেজি।আর উনার মত যারা দরবারি আলেম এসি রুমে বসে বসে ফতোয়া দেয় আর মানুষকে খারেজি ডাকে তাদেরকে কি বলব আমার মাথায় ঢুকে না।
.
সর্বশেষ সবাইকে বলব,কুরআন সুন্নাহর
ভিত্তিতে সত্যের আনুগত্য করুন কোন অন্ধ
আনুগত্য করবেন না । আল্লাহর কসম আমার
পোষ্টটি কাউকে ছোট করার জন্য নয়
বিভ্রান্ত দূর করার জন্য আশা করি
এরপরেও ভুল বুঝবেন না ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top