ও মোল্লা মোহাম্মদ ওমর!
.
আল্লাহ্ আপনার সম্মান আসমান থেকে বুলন্দ করুক, আসমান থেকে বৃদ্ধি করুক।
আপনি আফগানিস্তানে'র মা এবং বোন'দের ইজ্জত বাঁচিয়েছেন ও সম্মান রক্ষা করেছেন, সেখানে কোন বোনের চেহারায় কোন খবিসের নজর পড়তে পারেনা।
- মাওলানা মাসুদ আজহার দাঃ বাঃ
.
এটাই ছিল সেই আফগান। যেখানে ১৫ বছর আগেও তালেবান শাসন আমলে কুরআনের আইন মেনে শাসন করা হয়েছিল। মা বোনদের দিকে কোন কু'নজরও দেয়ার দুঃসাহস কেউ করতে পারতোনা। আর এটাই সহ্য হয়নি কাফেরদের। যার কারনে মিথ্যা অজুহাত ও গনতন্ত্র নামক কুফরি শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষে হামলা করে তাদের কুফরি আইন বাস্তবায়নের বৃথা চেষ্টা করেছে। ব্যর্থ হয়ে আজ পালাচ্ছে।
.
মুসলিম শাসকদের পতনের পর থেকে এ উপমহাদেশে আমেরিকার বানানো কুফরি শাসন ব্যবস্থা চলে আসছে। যা পরবর্তিতে বাংলাদেশের মুরতাদ শাসকরা মেনে চলছে।
এখানে মানবতা আজ পদে পদে ধর্ষিত হচ্ছে আর মুসলিমদের বেচে থাকার কোন অধিকার নেই, হিজাবি তরুনী হলে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই, ওদের ধর্ষন ও খুনের কথা মিডিয়ায় আসাটা পাপ, বিচার চাওয়াটা মহাপাপ।
.
সোহাগী জাহান তনু, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সোহাগী অলিপুরেই এক বাসায় টিউশনি করতেন। ঊনিশ বছর বয়সী এই মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে আর হত্যার ঘটনা ঘটেছে খোদ সেনানিবাসে!! কারো মুখে উচ্চবাচ্য নেই। বড় পত্রিকাতেও কোন সংবাদ নেই। ক্যান্টনমেন্টের মত স্থানে নিরাপদ নয়, ধর্ষণ করার পর হত্যা, এটি কি এতই সহজ একটি ব্যাপার? একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে এ ধরণের ভয়ংকর জঘন্য অপরাধগুলো ডাল ভাত হয়ে যায়, জানিনা।
.
একটি দেশ চেতনার ব্যারোমিটারে পারদের উচ্চতা কতটা হাই থাকলে এইসব অপরাধী নিয়ে কথা বলা নিষেধ?? নাকি এই মেয়ে হিজাবী দেখে কথা বলা যাবেনা? সংখ্যালঘু কেউ হলে এতক্ষনে টেলিভিশন আর নিউজ পেপারগুলো প্রতিবাদের মিছিল ছুটিয়ে দিতো। সুশীল নামের কুলাঙ্গারদের কান্নার রোল পরে যেত। কিন্তু মুসলিম মেয়ে তাই এবিষয়ে মিডিয়ায় প্রচার করা নিষেধ।
.
শুধু মাত্র রাস্ট্রধর্ম কিংবা সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন এসব সমস্যার সমাধান নয়। এর একমাত্র সমাধান ইসলামি শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন। যতদিন মুরতাদরা ক্ষমতায় থাকবে ততদিন আজ তনু কাল আমার আপনার বোন কন্যা। এভাবে ধর্ষিত হত্যা হবেই। তাই এদেশেও প্রয়োজন মোল্লা ওমরের মত একজন শাসক। আর এটি বাস্তবায়নের জন্য জন্য প্রয়োজন নবিজীর দেখানো পথ জিহাদ ফিসাবিলিল্লাহ। মুরতাদ শাসকের বিরুদ্ধে আজ চুপ আছেন মুসলিম হয়েও?
.
জেনে নিন শুধু মাত্র মুসলিম পরিচয় হওয়াতে একদিন আপনিও কোনভাবে অত্যাচারিত হবেন এবং বিচারও পাবেন না।
+++++++++++++++++++
বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ-
-এখানে পূজা করতে বোনাস দেওয়া হয় (বৈশাখী পূজা বোনাস), আর ইসলামী অনুষ্ঠানে (ওয়াজ মাহফিলে) নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
-এখানে অবৈধ ঘোষণা করে বুড়িগঙ্গার তীরে ২২টি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়, আর ঢাকেশ্বরী মন্দির বর্ধনের জন্য উল্টো শতাধিক মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।
-এখানে শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলামী আর্টিকেল তুলে দেয়া হয়, তার বদলে রাধা-কৃষ্ণের কীর্তন ও দেবী অন্নপূর্না ও দূর্গার প্রশংসা ঢুকানো হয়।
-এখানে হাতিরঝিলের শুধু সৌন্দর্য্য বর্ন্ধনের জন্য ২টি মসজিদ উচ্ছেদ করা হয়, তবে প্রবেশমুখের গৌরাঙ্গ মন্দিরের জন্য উল্টো সড়কের ধারাই বদল করা হয়।
-এখানে মুসলিম হলে চাকুরী জুটবে না, তবে হিন্দু হলে সরকারী চাকুরী নিশ্চিত।
-এখানে মিডিয়ায় প্রচার পায় মুসলিমরা হিন্দুদের জমি দখল করছে, তবে প্রকৃততথ্য অর্পিত/দেবোত্তর সম্পত্তির নামে মুসলিম জমি লুটপাট হচ্ছে।
-এখানে মুসলিম ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো অযত্নে-অবহেলায় ধ্বংস হয়, আর হিন্দু স্থাপনাগুলোর পেছনে কোটি কোটি ব্যয় করে তা পর্যটন স্পট করা হয়।
-এখানে হিন্দুরা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে, তবে শাস্তিস্বরূপ এটিএম বুথে হিজাব নিষিদ্ধ হয়।
- এখানে হিন্দুয়ানী কালচারকে প্রগতিশীলতা ভাবা হয়, আর ইসলামী কালচার ব্যাকডেটেড আর মৌলবাদী কালচার মানা হয়।
-এখানে অহরহ মুসলিম আইন (উত্তরাধিকার আইন) পরিবর্তন করা হয়, তবে হিন্দুদের একটা আইনেও (নারীদের উত্তরাধিকার আইন) হাত দেওয়া যায় না।
-এখানে মুসলিমরা আদরযত্ন করে হিন্দুদের পূজা অর্চনা করতে সুযোগ করে দেয়, আর হিন্দুরা মুসলমানদের কোরবানী/রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করতে প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালায়।
-এখানে হিন্দু হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস ভাবা হয়, আর মুসলিম হলে জঙ্গি হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়।
-এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দাড়ি-টুপি-হিজাব নিষিদ্ধ হয়, তবে হোলি পূজা, জন্মাষ্টমী, স্বরসতী পূজা বাধ্যতামূলক করা হয়।
এই হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ। এটাই হচ্ছে তার ধর্মনিরপেক্ষতার আসল স্বরূপ।
“ইসলাম আউট, হিন্দু ইন”- এটাই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন