মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

হে মুমিনগন!

কোন মন্তব্য নেই:

হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে?
তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের জান-মাল দিয়ে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।    সুরা:ছফ:১১,১২
.
.
তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে যান ও মাল দ্বারা জেহাদ করে। তারাই সত্যনিষ্ঠ।      হুজুরাত:১৫
.
.
মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা ঈমান এনেছি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না?   সুরা:আনকাবুত:২
.
.
বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাস্তায় জিহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না।         তওবা:২৪
.
.
আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের  থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাস্তায়। অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।           তওবা:১১১
.
.
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন ইসলামকে বিজয়ের হুকুম::::::
.
.
তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।
তওবা:৩৩
.
.
তিনিই তাঁর রসূলকে হেদায়েত ও সত্য ধর্মসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে একে অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত করেন। সত্য প্রতিষ্ঠাতারূপে আল্লাহ যথেষ্ট।    ফাতহ:২৮
.
.
তিনি তাঁর রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম নিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে একে সবধর্মের উপর প্রবল করে দেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।
ছফ :৯
.
.
তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ফিতনা  শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। আনফাল:৩৯
.
.
তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়।             বাকারা :১৯৩
.
.
তোমরা আল্লাহর দ্বীন কায়েম কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা।      শুরা:১৩
.
.
ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ (স্রিস্টি যার বিধান চলবে একমাত্র তার)
আরাফ:৫৪
ইউসুফ:৪০
.
.
আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে যারা মানবরচিত বিধান দিয়ে দেশ চালাই তারা কাফের।
সুরা:মায়িদা:৪৪
.
উপরের কথাগুলো হচ্ছে আল্লাহর বানী:
এইগুলো এখন ফলো করতে গেলে আপনি নিচের কোন কথাটিকে গ্রহন করবেন????
.
.
.
১.কাদিয়ানী বলবে=ইসলাম মে জিহাদ কিতাল হারাম হে।
.
২.সরকার বলবে =এরা জংগীবাদি, মোলবাদী।এদের গ্রেপ্তার করে জেলে ভর।
.
৩.মতিউর রহমান মাদানী =এরা খারেজি। সরকারের আইন মানা ফরয।
.
৪.দরবারি আলেমরা বলবে=ইসলাম শান্তির ধরম।
.
৫.জামায়াত ইসলাম বলবে=জনগনের ভোটের মাধ্যমে আমরা ক্ষমতায় যাব।বোমা মেরে নই।জনগণ যেদিন চাইবে সেদিন ইসলাম কায়েম হবে।এরা জনগনের মধ্যে ফিতনা ছড়াচ্ছে।
.
৬.পীর সাহেবরা বলবে =আল্লাহর রাসুল নফসের জিহাদ করতে বলেছেন।আগে নফসের পরিশুদ্ধ কর জিকিরের মাধ্যমে।
.
৭.তাবলীগ জামায়াত বলবে=মানুষকে আগে নামাজি বানাই।এদেরকে ঈমানের মেহনত করতে হবে।দুর্বল ঈমান নিয়ে এসব করা যাবে না।
.
৮.সাধারন জনগণ বলবে:আমরা শান্তি চাই।
.
৯.আল্লাহ্‌ হুকুম করেছেন দ্বীন কায়েমের জন্য।দ্বীন কায়েমের আপ্রান চেস্টা চালাব জান-মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় রাসুলের ত্বরিকা অনুযায়ী। কোন কাফেরের বানানো ত্বরিকায় নই।জনগণ আমার রব নই।আমার রব আল্লাহ।আল্লাহর খুশির জন্য আল্লাহর দ্বীনকে বিজয় করব ইনশাল্লাহ।জনগণ যেদিন চাইবে সেদিন কেন ইসলাম কায়েম হবে???
আল্লাহর রাসুল কি জনগনের খুশির জন্য অপেক্ষা করেছিলেন?? ধরুন,জনগণ সমকামিতার বৈধতা চাই??এখন আপনি কি বলবেন দেশের সব জনগণ যখন চাইছে,তখন ঠিক আছে এটাই চালু হোক।

আবার ধরুন,আপনি এলাকার একজন বিজ্ঞ প্রফেসর। আপনি খুবই জ্ঞানই ব্যক্তি।আপনি এলাকার উন্নয়নের জন্য ভোটে দাঁড়ালেন। আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী বল্টু মিয়া।তার অনেক টাকা।সে একজন অশিক্ষিত মানুষ। নির্বাচন যখন শুরু হল তখন চোর, বাটপার, চিনতাইকারী,পকেটমার, সন্ত্রাসী সবাই মিলে তাকে ভোট দিল ১০০ টি। আর আপনাকে সমাজের বিজ্ঞ লোকেরা মিলে দিল ৫০ টি।তাহলে কি হল বেশির ভাগ লোকের ভোটে ওই চোর লোকটাই জিতে গেল।

এটার নামই গনতন্ত্র।ইসলাম বলে খিলাফাত।শুরা কমিটি (যেখানে রয়েছে  খুবই জ্ঞানী বিজ্ঞ লোকেরা) নির্ধারণ করবে কোন লোকটাকে খলিফা মনোনীত করা যাবে।

এককথায়,জনগণ চাইলেই কি না চাইলেই কি।আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধানই চলবে ইনশাল্লাহ।
.
.
.
.
.
আসসালামু আলাইকুম ভাই?
.
বাংলাদেশকে আপনি কিরুপে দেখতে চান?
:
১.ভারতের একটা প্রদেশ হিসেবে।
২.পাকিস্তানের একটা অংশ হিসেবে।
৩.সেকুলার বা ধরমনিরেপেক্ষ রাস্ট্র হিসেবে।
৪.নাস্তিক রাস্ট্র হিসেবে।
৫.গতানুগতিক রাস্ট্রের মত কোন রকমে চললেই হই।
৬.রাস্ট্রধরম ইসলাম থাকলেই আমরা খুশি। এতটুকুই যথেস্ট।
৭.সকল বিধান বাতিল কর,ওহির বিধান কায়েম কর।আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুমত চলবে, কোন কাফেরের তৈরি করা বিধান দিয়ে মুসলিম রাস্ট্র পরিচালিত হতে পারে না।ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ।ইসলামি খিলাফাত চাই।
৮.পাচ বছর ইসলাম ক্ষমতাই, অন্য পাচ বছর আওয়ামীলীগ, বিএনপি এভাবে চলতে থাকুক।
৯.তত্তাবধায়ক সরকার চাই।
১০.অন্যান্য মতামত।
.
শুধু কমেন্ট করবেন ভাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top