মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ......

কোন মন্তব্য নেই:

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ......
.
খুব ছোট্ট একটি শব্দ, মুসলিম ছাড়াও পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ এই বাক্যটির অর্থ জানেন, যেমন আমি, আপনি আমরা সবাই জানি এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই,
কিন্ত সত্যিকার অর্থে এটাই কি এর প্রকৃত অর্থ বহন করে?
.
নাকি এই বাক্যটির আড়ালে এমন কিছু মর্মকথা লুকায়িত আছে যার বিস্তারিত ব্যখ্যা অমুসলিম তো দুরের কথা মুসলিমরা পর্যন্ত জানেন না,
আল্লাহর নাবী মোহাম্মদ সাঃ এর দাওয়াতের মুল তন্ত্র ছিল লা ইলাহা ইল্লালাহ, তিনি মক্কার কাফের মুশরেক কাছে সর্ব প্রথম যে বাক্য বলেছেন, সে বাক্যটিই হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লালাহ,
লা ইলাহা ইল্লালাহ এটা সেই বাক্য, যে বাক্য প্রচার করতে গিয়ে এবং তার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সর্বপ্রথম তিনি তার পিতৃতুল্য চাচা আবুলাহাব কতৃক অভিশাপপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, পরবর্তিতে এই লা ইলাহা ইল্লালাহ র জন্য নাবী মোহাম্মাদ সাঃ সংসারচ্যুত হয়েছেন, সমাজচ্যুত হয়েছেন, সর্বশেষ রাষ্টচ্যুত হয়েছেন, এই লাইলাহা ইল্লালাহ প্রচারের কারনে তাকে জন্মভূমি মক্কা থেকে হিজরত করে মাদিনা যেতে হয়েছিল, এই লা ইলাহা ইল্লালাহর বাস্তবায়ন করার জন্য তার মাত্র ১৩ বৎসরের নবুয়তের জীবনে ২৭ টি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়েছিল, যেসব যুদ্ধে অসংখ্য, অগনিত সাহাবা রাঃ গন শহীদ হয়েছেন, তিনি নিজে আহত হয়েছেন, দাঁত ভেঙ্গেছে গাল ভেঙ্গেছে, লোহার হেলমেট ভেঙ্গে লোহার টুকরা নাবী সাঃ এর মাথায় বিধেঁছে, তিনি রক্তাক্ত হয়েছিলেন, মক্কার রাস্তায় তাকে লক্ষ করে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছিল তাকে যাদুকর পাগল, মিথ্যেবাদী বলা হয়েছিল,এসব কেন হয়েছিল?
শুধুমাত্র একটি কারনে,আর সে কারনটি হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লালাহ তাহলে এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মক্কার তৎকালীন কাফের মুশরেকরা এই, লা ইলাহা ইল্লালাহ এর সঠিক অর্থ পূর্নাঙ্গ ভাবেই বুঝতে পেরেছিল এবং তারা তা ভালভাবে জেনে বুঝেই আল্লাহর নাবী মোহাম্মাদ সাঃ এর এই বাক্য, তথা, লা ইলাহা ইল্লালাহর বিরোধিতা করেছিল, আজ অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে মক্কার কাফের মুশরেকরা সেদিন যেই অর্থে লা ইলাহা ইল্লালাহর মানে বুঝেছিল, আজ সেই অর্থে বাংলাদেশের মুসলিমরা লা ইলাহা ইল্লালাহর অর্থ বোঝেনা, শুধু বাংলাদেশ কেন গোটা দুনিয়ার মুসলিমরা এটা বোঝে লা ইলাহা ইল্লালাহর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই,ব্যাস, এটা এই পর্যন্তই শেষ,বন্ধুগন বাংলাদেশে আজ ৯০% মুসলিম বলে আমরা গর্ব করছি, কিন্ত এই ৯০% মুসলিমের মধ্যে কত % মুসলিম নাবী মোহাম্মাদ সাঃ এর লা ইলাহা ইল্লালাহর অর্থ ব্যাখ্যা সহ বিস্তারিত ভাবে জানে? বাংলাদেশে ইসলামিশিক্ষার হার নিত্যান্তই নগন্য, আর যারা যৎ সামান্য জানেন তারা আবার এগুলো প্রচার প্রসার করতে খুবএকটা আগ্রহী নন, কেননা তারা মনে করেন এসব কেন করতে যাব?  তাদের সবচেয়ে বড় ভয় এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে যদি আবার থলের বেড়াল বের য়ে যায়?
.
বাংলাদেশে অসংখ্য ইসলামি দল অাছে যারা ইসলামের জন্য মিছিল করে মিটিং করে, সভা সম্মেলন করে, আসেকে রাসুল সম্মেলন করে  আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন চায়, বছরের নির্ধারিত সময়ে মহা পবিত্র ওরস করে, নবী দিবস পালন করে, মিলাদুন্নবীর নামে বড়বড় গরুও কাটে, মাজারে মাজারে সেজদাও করে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিলাদ পড়ে, দাওয়াত খায়, কোরান খতম নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটায় আর পকেট ভারি করে, আরেক পার্টি আছে যারা  সৌদি আরবের অনুদান, আর যাকাৎ ফিৎরার টাকা দিয়ে, টেলিভিশনের পর্দায় বসে শিরক শিরক বিদাত বিদাত বলে বলে চিৎকার চেঁচামি করতে করতে নাকেমুখে ফেনা তুলে মরে যাবার উপক্রম করে, কিন্ত ভুলেও লা ইলাহা ইল্লালাহ মর্মকথা সাধারন মানুষের মধ্যে বিস্তারিত ভাবে প্রকাশও করেনা প্রচারও করেনা, তাদের সব কিছুতেই সহী স্বলাত সহী হাদিস সহী ওয়াপদার পিলারের মত করে স্বলাতে দাঁড়ানোর কায়দা সহী, কিন্ত লা ইলাহা ইল্লালাহ আর জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর সময় তাদের কাছে তখন কুতিবা আলাইকুম উল কিতালের সহী কোন হাদিস থাকেনা, শুধু তারা কেন, সমস্ত ইসলামি দলেরা এই লা ইলাহা ইল্লাললাহকে পেছনে ফেলে রেখে তাদের ফায়দা লোটা কর্মসূচী অব্যাহত রাখছে, কোন দলের অগ্রভাগে লা ইলাহা ইল্লাললাহর সাইনবোর্ড নেই, তারা জানে এই লা ইলাহা ইল্লাললাহর সাইনবোর্ড ধরতে গেলে পীর মুরিদির ব্যবসা থাকবেনা, আর পীর মুরিদি না থাকলে পীর সাহেবের হেলিকপ্টার আকাশে উড়বেনা, লা ইলাহা ইল্লাললাহ বাস্তবায়ন হলে তাগুত থাকবেনা, মদের লাইসেন্স থাকবেনা, পতিতা ব্যবসা বেশ্যা বৃত্তি থাকবেনা, সুদ ব্যবসা থাকবেনা, যেনা ব্যভিচার থাকবেনা, সর্বপরি ইসলামের প্রধান শত্রু যে গনতন্ত্র, সে গনতন্ত্রের স্থান এই লা ইলাহা ইল্লাললাহর মধ্যে নেই, তাই লা ইলাহা ইল্লাললাহর বাস্তবায়ন এদেশের কোন ইসলামি দল চায়না, কেননা এই লা ইলাহা ইল্লাললাহর বাস্তবায়ন হলে এদেশে কেউ হাত পাখা, দাঁড়ি পাল্লা, গোলাপ ফুল, বটগাছ, কিংবা নৌকা ধানেরশীষ আর লাঙ্গল মার্কা প্রতিক নিয়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অসৎ ও মন্দ লোকের ভোট নিয়ে তাগুত সেজে ক্ষমতার মসনদে বসার বিন্দু পরিমান সুযোগও থাকবেনা।
.
অতএব তারা কখনোই লা  ইলাহা ইল্লাললাহর বাস্তবায়ন হোক এটা তাদের কাম্য হতে পারে না।
.
বন্ধুগন দুনিয়া মোমেনদের জন্য করাগার আর জালেমদের জন্য দুনিয়া হল বেহেশত, আজ যারা লা ইলাহা ইল্লাললার বাস্তবায়ন এবং জিহাদ ফিসাবালিল্লাহর কারনে দুনিয়ার কারাগারে বন্দী আছেন, তারাই সফল ও কমিয়াব, পরকালে তারাই বাদশাহি করবেন ঠিক তেমনি একজন বীর মুজাহিদ মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি হাফিজাহুল্লাহ এই লা ইলাহা ইল্লাললাহর বাস্তবায়নও নাস্তিক মুর্তাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবস্থান নেওয়ার কারনে  ভিত সনত্রস্ত হয়ে তাগুতও জালেম শাসক উনাকে আজ থেকে প্রায় ৪ বছর পূর্বে কারাবন্দী করে রেখেছে এবং তার উপর অমানুষিক নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে, প্রিয় বন্ধুগন আসুন  আমরা সবাই মহান আল্লাহর নিকট ইসলামের শের, বীর সেনাপতি কোরানও হাদিসের প্রকৃত অনুবাদক শায়খ মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানি হাফিজাহুল্লাহর সুস্বাস ও মুক্তি কামনা করি, যাযাক আল্লাহ খাইরান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top