বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

রাসূল সাঃ কি গায়েব জানেন???

কোন মন্তব্য নেই:

★ রাসূল সাঃ কি গায়েব জানেন???
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
আমাদের প্রিয় রাসূল (সাঃ) গায়েব জানেন কি-না? এ নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে দুটি দল রয়েছে যারা এ বিষয়টিকে একটি বিতর্কিত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। একটি দলের দাবী রাসূল (সাঃ) গায়েব জানেন এবং অন্য দলের দাবী রাসূল (সাঃ) গায়েব জানেন না।
আসল বিষয় হলো রাসূল (সাঃ) গায়েব জানুক আর নাই জানুক তাঁর প্রতি আমাদের সম্মান, ভালবাসা আর শ্রদ্ধা সামান্যটুকুও কমবে না। যেহেতু এ বিষয়টি আক্বিদাগত এবং ভুল ধারনা থাকলে শিরকের সম্ভাবনা অবশ্যম্ভাবী। তাই এ বিষয়ে আলোচনার ও সঠিক জানার প্রয়োজন আছে বৈকি। আর "ইলমে গায়েব" রাসূল সাঃ জানেন কি-না?  বা তিনি আলিমুল গায়েব কি-না?  বা আলিমুল গায়েব কে?
এতদবিষয়ে বিস্তর বিতর্ক এই পৃথিবীতে বিদ্যমান। তাই যখন কোন বিষয়ে বিতর্ক হবে তখন কোরআন ও সুন্নার দিকে ফিরে যাওয়াটাই ঈমানদার ব্যক্তিদের কাজ। আল্লাহ বলেন- ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻘَﻮْﻝٌ ﻓَﺼْﻞٌ ﴿٨٦ : ١٣﴾ “নিশ্চয় কোরআন সত্য- মিথ্যার ফয়সালা” ( At-Taariq: 13 )।
.
তাই বিষয়টি নিয়ে কোরআনে কী নির্দেশনা রয়েছে তা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্ঠা করছি। 'ফা লিল্লাহিল হামদ'। আমরা একটু দেখার ও বুঝার চেষ্টা করি।
.
★গায়েব সম্পর্কে পবিত্র ক্বোরআন যা বলেঃ
.
→(1) আর আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে এবং একথাও বলি না যে,আমি গায়বী খবরও জানি; একথাও বলি না যে, আমি একজন ফেরেশতা; আর তোমাদের দৃষ্টিতে যারা লাঞ্ছিত আল্লাহ তাদের কোন কল্যাণ দান করবেন না। তাদের মনের কথা আল্লাহ ভাল করেই জানেন। সুতরাং এমন কথা বললে আমি অন্যায় কারী হব।
( Hud: 31)
ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟَﻜُﻢْ ﻋِﻨﺪِﻱ ﺧَﺰَﺍﺋِﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ
ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﺇِﻧِّﻲ ﻣَﻠَﻚٌ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟِﻠَّﺬِﻳﻦَ ﺗَﺰْﺩَﺭِﻱ
ﺃَﻋْﻴُﻨُﻜُﻢْ ﻟَﻦ ﻳُﺆْﺗِﻴَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ ۖ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﺎ ﻓِﻲ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢْ ۖ ﺇِﻧِّﻲ ﺇِﺫًﺍ ﻟَّﻤِﻦَ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ ﴿١١ : ٣١﴾

→(2) বস্তুতঃ তারা বলে, তাঁর কাছে তাঁর পরওয়ার দেগারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ এল না কেন? বলে দাও গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন । আমি ও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম ।( Yunus: 20)
ﻭَﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﻟَﻮْﻟَﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺁﻳَﺔٌ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻪِ ۖ ﻓَﻘُﻞْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ
ﺍﻟْﻐَﻴْﺐُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻓَﺎﻧﺘَﻈِﺮُﻭﺍ ﺇِﻧِّﻲ ﻣَﻌَﻜُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟْﻤُﻨﺘَﻈِﺮِﻳﻦَ ﴿
١٠ : ٢٠ ﴾

→(3) আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না।
আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।
( Al-A'raaf: 188)
ﻗُﻞ ﻟَّﺎ ﺃَﻣْﻠِﻚُ ﻟِﻨَﻔْﺴِﻲ ﻧَﻔْﻌًﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺿَﺮًّﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﺎ ﺷَﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ
ﻭَﻟَﻮْ ﻛُﻨﺖُ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﻟَﺎﺳْﺘَﻜْﺜَﺮْﺕُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮِ ﻭَﻣَﺎ
ﻣَﺴَّﻨِﻲَ ﺍﻟﺴُّﻮﺀُ ۚ ﺇِﻥْ ﺃَﻧَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻧَﺬِﻳﺮٌ ﻭَﺑَﺸِﻴﺮٌ ﻟِّﻘَﻮْﻡٍ
ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﴿٧ : ١٨٨﴾

→(4) বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ গায়বের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে।
( An-Naml: 65)
ﻗُﻞ ﻟَّﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﻦ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﺇِﻟَّﺎ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ ﻭَﻣَﺎ ﻳَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ ﺃَﻳَّﺎﻥَ ﻳُﺒْﻌَﺜُﻮﻥَ ﴿٢٧ : ٦٥﴾

→(5) এটি গায়বের খবর, আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরন করছি। ইতিপূর্বে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না।আপনি ধৈর্য্যধারণ করুন।যারা ভয় করে চলে, তাদের পরিণাম ভাল, সন্দেহ নেই। (Hud: 49)
ﺗِﻠْﻚَ ﻣِﻦْ ﺃَﻧﺒَﺎﺀِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻧُﻮﺣِﻴﻬَﺎ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ۖ ﻣَﺎ ﻛُﻨﺖَ
ﺗَﻌْﻠَﻤُﻬَﺎ ﺃَﻧﺖَ ﻭَﻟَﺎ ﻗَﻮْﻣُﻚَ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻞِ ﻫَٰﺬَﺍ ۖ ﻓَﺎﺻْﺒِﺮْ ۖ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟْﻌَﺎﻗِﺒَﺔَ ﻟِﻠْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ﴿١١ : ٤٩﴾

→(6) না তাদের কাছে গায়বের খবর আছে? অতঃপর তারা তা লিপিবদ্ধ করে।
( Al-Qalam: 47)
ﺃَﻡْ ﻋِﻨﺪَﻫُﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐُ ﻓَﻬُﻢْ ﻳَﻜْﺘُﺒُﻮﻥَ ﴿٦٨ : ٤٧﴾

→(7) বলুন, আমার পালনকর্তা সত্য দ্বীন অবতরণ করেছেন। তিনি আলেমুল গায়ব।
( Saba: 48)
ﻗُﻞْ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑِّﻲ ﻳَﻘْﺬِﻑُ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻋَﻠَّﺎﻡُ ﺍﻟْﻐُﻴُﻮﺏِ ﴿٣٤ : ٤٨﴾

→(8) তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।
( Sura Jinn)
ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﻈْﻬِﺮُ ﻋَﻠَﻰٰ ﻏَﻴْﺒِﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ [ ٧٢ : ٢٦

→(9) তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।
(Al-An'aam: 59)
ﻭَﻋِﻨﺪَﻩُ ﻣَﻔَﺎﺗِﺢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَۚ ﻭَﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ
ﻓِﻲ ﺍﻟْﺒَﺮِّ ﻭَﺍﻟْﺒَﺤْﺮِۚ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺴْﻘُﻂُ ﻣِﻦ ﻭَﺭَﻗَﺔٍ ﺇِﻟَّﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬَﺎ
ﻭَﻟَﺎ ﺣَﺒَّﺔٍ ﻓِﻲ ﻇُﻠُﻤَﺎﺕِ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻟَﺎ ﺭَﻃْﺐٍ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺎﺑِﺲٍ
ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﻛِﺘَﺎﺏٍ ﻣُّﺒِﻴﻦٍ

→(10) তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।
(Al-Jinn: 26)
ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﻈْﻬِﺮُ ﻋَﻠَﻰٰ ﻏَﻴْﺒِﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ

→(11) যেদিন আল্লাহ সব পয়গম্বরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর বলবেন তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে?তাঁরা বলবেনঃ আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী।
(Al-Maaida: 109)
ﻳَﻮْﻡَ ﻳَﺠْﻤَﻊُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺮُّﺳُﻞَ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﺎﺫَﺍ ﺃُﺟِﺒْﺘُﻢْۖ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ
ﻟَﺎ ﻋِﻠْﻢَ ﻟَﻨَﺎۖ  ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﻋَﻠَّﺎﻡُ ﺍﻟْﻐُﻴُﻮﺏِ

→(12) যখন আমি সোলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণ পোকাই জিনদেরকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল। সোলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান থাকলে তারা এই লাঞ্ছনাপূর্ণ শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতো না। (Saba: 14)
ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻗَﻀَﻴْﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕَ ﻣَﺎ ﺩَﻟَّﻬُﻢْ ﻋَﻠَﻰٰ ﻣَﻮْﺗِﻪِ ﺇِﻟَّﺎ
ﺩَﺍﺑَّﺔُ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺗَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻨﺴَﺄَﺗَﻪُۖ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺧَﺮَّ ﺗَﺒَﻴَّﻨَﺖِ ﺍﻟْﺠِﻦُّ
ﺃَﻥ ﻟَّﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﻣَﺎ ﻟَﺒِﺜُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏِ
ﺍﻟْﻤُﻬِﻴﻦِ

→(13) আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে,আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ?
(Al-An'aam: 50)
ﻗُﻞ ﻟَّﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟَﻜُﻢْ ﻋِﻨﺪِﻱ ﺧَﺰَﺍﺋِﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻢُ
ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟَﻜُﻢْ ﺇِﻧِّﻲ ﻣَﻠَﻚٌۖ ﺇِﻥْ ﺃَﺗَّﺒِﻊُ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﺎ
ﻳُﻮﺣَﻰٰ ﺇِﻟَﻲَّۚ ﻗُﻞْ ﻫَﻞْ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﻰٰ ﻭَﺍﻟْﺒَﺼِﻴﺮ
ُۚ  ﺃَﻓَﻠَﺎ ﺗَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭﻥ
_________________________________
★ পবিত্র ক্বোরআন আল্লাহকেই গায়েব বিষয়ে জানার সাক্ষ্য দেয়ঃ
.
>>> উপরে বর্ণিত কোরআনের আয়াতগুলো দ্বারা  বুঝা যায় রাসুল (সাঃ) গায়েব জানতেন না। সবগুলো আয়াতে স্পষ্টভাবে ঘোষনা করা হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কেউ গায়েব জানেন না। এবার নিচের আয়াতগুলো দেখি। নিচের আয়াতগুলো একমাত্র আল্লাহকেই ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ বা গায়েব জানার মালিক হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছে।

→( 1 ) তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।
(Al-Jinn: 26)
ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﻈْﻬِﺮُ ﻋَﻠَﻰٰ ﻏَﻴْﺒِﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ
→( 2 ) তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, পরাক্রান্ত,
প্রজ্ঞাময়। (At-Taghaabun:18)
ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ
→( 3 ) তিনিই দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। (As-Sajda: 6)
ﺫَٰﻟِﻚَ ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ
→( 4 ) তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী। তারা শরীক করে, তিনি তা থেকে উর্ধ্বে।
(Al-Muminoon: 92)
ﻋَﺎﻟِﻢِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻓَﺘَﻌَﺎﻟَﻰٰ ﻋَﻤَّﺎ ﻳُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ
→( 5 ) আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের অদৃশ্য বিষয় জানেন, তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন।
(Al-Hujuraat: 18)
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻏَﻴْﺐَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑَﺼِﻴﺮٌ ﺑِﻤَﺎ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ
→( 6 ) আল্লাহ আসমান ও যমীনের অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত। তিনি অন্তরের বিষয় সম্পর্কেও
সবিশেষ অবহিত। (Faatir: 38)
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﺎﻟِﻢُ ﻏَﻴْﺐِ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻋَﻠِﻴﻢٌ
ﺑِﺬَﺍﺕِ ﺍﻟﺼُّﺪُﻭﺭِ
→( 7 ) তিনিই আল্লাহ তা ’ আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। (Al-Hashr: 22)
ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَۖ ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِۖ
ﻫُﻮَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ
→( 8 ) বলুন, হে আল্লাহ আসমান ও যমীনের স্রষ্টা,দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, আপনিই আপনার বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন, যে বিষয়ে তারা মত বিরোধ করত। (Az-Zumar: 46)
ﻗُﻞِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ
ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﺃَﻧﺖَ ﺗَﺤْﻜُﻢُ ﺑَﻴْﻦَ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﻓِﻲ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻓِﻴﻪِ
ﻳَﺨْﺘَﻠِﻔُﻮﻥَ
→( 9 ) যেদিন আল্লাহ সব পয়গম্বরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর বলবেন তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে?তাঁরা বলবেনঃ আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী।
(Al-Maaida: 109)
ﻳَﻮْﻡَ ﻳَﺠْﻤَﻊُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺮُّﺳُﻞَ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﺎﺫَﺍ ﺃُﺟِﺒْﺘُﻢْۖ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ
ﻟَﺎ ﻋِﻠْﻢَ ﻟَﻨَﺎۖ  ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﻋَﻠَّﺎﻡُ ﺍﻟْﻐُﻴُﻮﺏِ
→( 10 ) বলুন, তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর, সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে, অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম, যা তোমরা করতে। (Al-Jumu'a: 8)
ﻗُﻞْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺗَﻔِﺮُّﻭﻥَ ﻣِﻨْﻪُ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻣُﻠَﺎﻗِﻴﻜُﻢْۖ  ﺛُﻢَّ
ﺗُﺮَﺩُّﻭﻥَ ﺇِﻟَﻰٰ ﻋَﺎﻟِﻢِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻓَﻴُﻨَﺒِّﺌُﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ
ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ
→( 11 ) তিনিই সঠিকভাবে নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। যেদিন তিনি বলবেনঃ হয়ে যা, অতঃপর হয়ে যাবে।তাঁর কথা সত্য। যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার করা হবে, সেদিন তাঁরই আধিপত্য হবে। তিনি অদৃশ্য বিষয়ে এবং প্রত্যক্ষ
বিষয়ে জ্ঞাত। তিনিই প্রজ্ঞাময়,সর্বজ্ঞ।
(Al-An'aam: 73)
ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّۖ ﻭَﻳَﻮْﻡَ
ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻛُﻦ ﻓَﻴَﻜُﻮﻥُۚ ﻗَﻮْﻟُﻪُ ﺍﻟْﺤَﻖُّۚ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻳَﻮْﻡَ
ﻳُﻨﻔَﺦُ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼُّﻮﺭِۚ ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِۚ ﻭَﻫُﻮَ
ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ ﺍﻟْﺨَﺒِﻴﺮُ ﴿٦ : ٧٣﴾
→( 12 ) বলুনঃ তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভাল জানেন। নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে। তিনি কত চমৎকার দেখেন ও শোনেন। তিনি ব্যতীত তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। তিনি কাউকে নিজ কর্তৃত্বে শরীক করেন না।
(Al-Kahf: 26)
ﻗُﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﺎ ﻟَﺒِﺜُﻮﺍۖ ﻟَﻪُ ﻏَﻴْﺐُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ
ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِۖ ﺃَﺑْﺼِﺮْ ﺑِﻪِ ﻭَﺃَﺳْﻤِﻊْۚ ﻣَﺎ ﻟَﻬُﻢ ﻣِّﻦ ﺩُﻭﻧِﻪِ ﻣِﻦ
ﻭَﻟِﻲٍّ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺸْﺮِﻙُ ﻓِﻲ ﺣُﻜْﻤِﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ
→( 13 ) কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত।নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে। (Sura Saba: 3)
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻟَﺎ ﺗَﺄْﺗِﻴﻨَﺎ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُۖ ﻗُﻞْ ﺑَﻠَﻰٰ ﻭَﺭَﺑِّﻲ
ﻟَﺘَﺄْﺗِﻴَﻨَّﻜُﻢْ ﻋَﺎﻟِﻢِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِۖ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﺰُﺏُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝُ ﺫَﺭَّﺓٍ
ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﻟَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﺻْﻐَﺮُ ﻣِﻦ ﺫَٰﻟِﻚَ
ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﻛِﺘَﺎﺏٍ ﻣُّﺒِﻴﻦٍ
→( 14 ) যখন আমি সোলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণ পোকাই জিনদেরকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল। সোলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল।যে, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান থাকলে তারা এই লাঞ্ছনাপূর্ণ শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতো না। (Saba: 14)
ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻗَﻀَﻴْﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕَ ﻣَﺎ ﺩَﻟَّﻬُﻢْ ﻋَﻠَﻰٰ ﻣَﻮْﺗِﻪِ ﺇِﻟَّﺎ
ﺩَﺍﺑَّﺔُ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺗَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻨﺴَﺄَﺗَﻪُۖ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺧَﺮَّ ﺗَﺒَﻴَّﻨَﺖِ ﺍﻟْﺠِﻦُّ
ﺃَﻥ ﻟَّﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﻣَﺎ ﻟَﺒِﺜُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏِ
ﺍﻟْﻤُﻬِﻴﻦِ
→( 15 ) আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ?
(Al-An'aam: 50)
ﻗُﻞ ﻟَّﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟَﻜُﻢْ ﻋِﻨﺪِﻱ ﺧَﺰَﺍﺋِﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻢُ
ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟَﻜُﻢْ ﺇِﻧِّﻲ ﻣَﻠَﻚٌۖ ﺇِﻥْ ﺃَﺗَّﺒِﻊُ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﺎ
ﻳُﻮﺣَﻰٰ ﺇِﻟَﻲَّۚ ﻗُﻞْ ﻫَﻞْ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﻰٰ ﻭَﺍﻟْﺒَﺼِﻴﺮُۚ  ﺃَﻓَﻠَﺎ
ﺗَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭﻥَ ﴿٦ : ٥٠﴾
→( 16 ) তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরেনা; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে। (Al-An'aam: 59)
ﻭَﻋِﻨﺪَﻩُ ﻣَﻔَﺎﺗِﺢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَۚ ﻭَﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ
ﻓِﻲ ﺍﻟْﺒَﺮِّ ﻭَﺍﻟْﺒَﺤْﺮِۚ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺴْﻘُﻂُ ﻣِﻦ ﻭَﺭَﻗَﺔٍ ﺇِﻟَّﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬَﺎ
ﻭَﻟَﺎ ﺣَﺒَّﺔٍ ﻓِﻲ ﻇُﻠُﻤَﺎﺕِ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻟَﺎ ﺭَﻃْﺐٍ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺎﺑِﺲٍ
ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﻛِﺘَﺎﺏٍ ﻣُّﺒِﻴﻦٍ ﴿٦ : ٥٩﴾
→( 17 ) যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম !তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র !আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার।কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই
পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত।
(Al-Maaida: 116)
ﻭَﺇِﺫْ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺎ ﻋِﻴﺴَﻰ ﺍﺑْﻦَ ﻣَﺮْﻳَﻢَ ﺃَﺃَﻧﺖَ ﻗُﻠْﺖَ
ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ ﺍﺗَّﺨِﺬُﻭﻧِﻲ ﻭَﺃُﻣِّﻲَ ﺇِﻟَٰﻬَﻴْﻦِ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِۖ ﻗَﺎﻝَ
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﻣَﺎ ﻳَﻜُﻮﻥُ ﻟِﻲ ﺃَﻥْ ﺃَﻗُﻮﻝَ ﻣَﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻟِﻲ ﺑِﺤَﻖٍّۚ
ﺇِﻥ ﻛُﻨﺖُ ﻗُﻠْﺘُﻪُ ﻓَﻘَﺪْ ﻋَﻠِﻤْﺘَﻪُۚ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻭَﻟَﺎ
ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻧَﻔْﺴِﻚَۚ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﻋَﻠَّﺎﻡُ ﺍﻟْﻐُﻴُﻮﺏِ
→(18) আর আল্লাহর কাছেই আছে আসমান ও যমীনের গোপন তথ্য; আর সকল কাজের প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে; অতএব, তাঁরই বন্দেগী কর এবং তাঁর উপর ভরসা রাখ, আর তোমাদের কার্যকলাপ সম্বন্ধে তোমার পালনকর্তা কিন্তু বে-খবর নন। (Sura Hud:123)
ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻏَﻴْﺐُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻳُﺮْﺟَﻊُ ﺍﻟْﺄَﻣْﺮُ ﻛُﻠُّﻪُ
ﻓَﺎﻋْﺒُﺪْﻩُ ﻭَﺗَﻮَﻛَّﻞْ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ۚ ﻭَﻣَﺎ ﺭَﺑُّﻚَ ﺑِﻐَﺎﻓِﻞٍ ﻋَﻤَّﺎ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥ

★মতভেদকারীদের ব্যাপারে পবিত্র ক্বোরআন যা বলেঃ
_________________________________________
উপরের আয়াতগুলো দ্বারা আল্লাহ তায়ালা গায়েব সম্পর্কে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যাতে তার বান্দাদের কোন সন্দেহ না থাকে। কিন্তু কোরআনের স্পষ্ট নির্দেশনা পেয়েও যারা তা অবিশ্বাস করে, এর বিপক্ষে অন্য প্রমান খোঁজ করে এবং মানুষের মাঝে বিভেধ সৃষ্টি করার চেষ্টা
করে তাদের জন্য কোরআন কি বলে সেটা একটু দেখি।
→( 1 ) আরও দিয়েছিলাম তাদেরকে ধর্মের সুস্পষ্ট প্রমাণাদি। অতঃপর তারা জ্ঞান লাভ করার পর শুধু পারস্পরিক জেদের বশবর্তী হয়ে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তারা যে বিষয়ে মতভেদ করত, আপনার পালনকর্তা কেয়ামতের দিন তার ফয়সালা করে দেবেন।
( Al-Jaathiya: 17 )
ﻭَﺁﺗَﻴْﻨَﺎﻫُﻢ ﺑَﻴِّﻨَﺎﺕٍ ﻣِّﻦَ ﺍﻟْﺄَﻣْﺮِ ۖ ﻓَﻤَﺎ ﺍﺧْﺘَﻠَﻔُﻮﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ
ﺟَﺎﺀَﻫُﻢُ ﺍﻟْﻌِﻠْﻢُ ﺑَﻐْﻴًﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ۚ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻳَﻘْﻀِﻲ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻳَﻮْﻡَ
ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻓِﻴﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻳَﺨْﺘَﻠِﻔُﻮﻥَ ﴿٤٥ : ١٧﴾
→( 2 ) অতঃপর তাদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন দল মতভেদ সৃষ্টি করল। সুতরাং যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক দিবসের আযাবের দুর্ভোগ।
( Az-Zukhruf: 65 )
ﻓَﺎﺧْﺘَﻠَﻒَ ﺍﻟْﺄَﺣْﺰَﺍﺏُ ﻣِﻦ ﺑَﻴْﻨِﻬِﻢْ ۖ ﻓَﻮَﻳْﻞٌ ﻟِّﻠَّﺬِﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤُﻮﺍ
ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﻳَﻮْﻡٍ ﺃَﻟِﻴﻢٍ ﴿٤٣ : ٦٥﴾
→( 3 ) তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ করে তার ফয়সালা আল্লাহর কাছে সোপর্দ। ইনিই আল্লাহ, আমার পালনকর্তা, আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তাঁরই অভিমুখী হই। ( Ash-Shura: 10 )
ﻭَﻣَﺎ ﺍﺧْﺘَﻠَﻔْﺘُﻢْ ﻓِﻴﻪِ ﻣِﻦ ﺷَﻲْﺀٍ ﻓَﺤُﻜْﻤُﻪُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﺫَٰﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺭَﺑِّﻲ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﺖُ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺃُﻧِﻴﺐُ ﴿٤٢ : ١٠﴾
→( 4 ) আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম, অতঃপর তাতে মতভেদ সৃষ্টি হয়। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে তাদের মধ্যে ফয়সালা হয়ে যেত। তারা কোরআন সমন্ধে এক অস্বস্তিকর সন্দেহে লিপ্ত।
( Fussilat: 45 )
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺁﺗَﻴْﻨَﺎ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏَ ﻓَﺎﺧْﺘُﻠِﻒَ ﻓِﻴﻪِ ۗ ﻭَﻟَﻮْﻟَﺎ ﻛَﻠِﻤَﺔٌ
ﺳَﺒَﻘَﺖْ ﻣِﻦ ﺭَّﺑِّﻚَ ﻟَﻘُﻀِﻲَ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ۚ ﻭَﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻟَﻔِﻲ ﺷَﻚٍّ ﻣِّﻨْﻪُ
ﻣُﺮِﻳﺐٍ ﴿٤١ : ٤٥﴾
→( 5 ) তোমার পালনকর্তা যাদের উপর রহমত করেছেন, তারা ব্যতীত সবাই চিরদিন মতভেদ করতেই থাকবে এবং এজন্যই তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আর তোমার আল্লাহর কথাই পূর্ণ হল যে, অবশ্যই আমি জাহান্নামকে জ্বিন ও মানুষ দ্বারা একযোগে ভর্তি করব।( Hud: 119 )
ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﻦ ﺭَّﺣِﻢَ ﺭَﺑُّﻚَ ۚ ﻭَﻟِﺬَٰﻟِﻚَ ﺧَﻠَﻘَﻬُﻢْ ۗ ﻭَﺗَﻤَّﺖْ ﻛَﻠِﻤَﺔُ ﺭَﺑِّﻚَ
ﻟَﺄَﻣْﻠَﺄَﻥَّ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻨَّﺔِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺃَﺟْﻤَﻌِﻴﻦَ ﴿١١ : ١١٩﴾
→( 6 ) আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোরআনকে বিশ্বাস করবে এবং কেউ কেউ বিশ্বাস করবে না। বস্তুতঃ তোমার পরওয়ারদেগার যথার্থই জানেন দুরাচারদিগকে। ( Yunus: 40 )
ﻭَﻣِﻨْﻬُﻢ ﻣَّﻦ ﻳُﺆْﻣِﻦُ ﺑِﻪِ ﻭَﻣِﻨْﻬُﻢ ﻣَّﻦ ﻟَّﺎ ﻳُﺆْﻣِﻦُ ﺑِﻪِ ۚ
ﻭَﺭَﺑُّﻚَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻔْﺴِﺪِﻳﻦَ ﴿١٠ : ٤٠﴾
→( 7 ) যারা অপরাধী, তারা বিশ্বাসীদেরকে উপহাস করত। ( Al-Mutaffifin: 29 )
ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﺟْﺮَﻣُﻮﺍ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ
ﻳَﻀْﺤَﻜُﻮﻥَ ﴿٨٣ :٢٩
→( 8 ) আপনি যতই চান, অধিকাংশ লোক বিশ্বাসকারী নয়। ( Yusuf: 103 )
ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻛْﺜَﺮُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻭَﻟَﻮْ ﺣَﺮَﺻْﺖَ ﺑِﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﴿١٢ : ١٠٣﴾

★ ওহী আর গায়েবঃ
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
কোরআনের বাণীগুলো থেকে এটা স্পষ্ট যে রাসূল (সাঃ) গায়েব জানেন না। রাসূল (সাঃ) নবুয়্যাতের আগে মক্কাবাসীর নিকট খুব প্রিয় এবং বিশ্বস্থ একজন ব্যক্তি হিসেবে সুনাম থাকলেও নবুয়্যাতের পর অধিকাংশ
লোক মুহাম্মদ (সাঃ) কে ঘৃণা করতে শুরু করে। অনেকে তাঁকে হত্যা করার চেষ্টাও করেছিল। এ সব কারণে মুহাম্মদ (সাঃ) কে প্রায় সময় বিপদের মোকাবেলা করতে হত। কিন্তু তাঁকে নিয়ে কে কী ষড়যন্ত্র করছে তা তিনি জানবেন কি করে? আল্লাহই ছিলেন তাঁর সাহায্যকারী। কাফেরদের সব ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা আল্লাহপাক হযরত
জিব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে তাঁর প্রিয় রাসূল (সাঃ) কে জানিয়ে দিতেন। যেমন ইসলামের প্রথম দিকের যুদ্ধগুলোতে মুসলিমদের সংখ্যা ছিল কাফেরদের তুলনায় অনেক কম। তাই মুসলিমদের মনে একটা ভয় থেকেই যেত যে তাঁরা এতগুলো কাফেরদের বিরুদ্ধে জিতবে কিনা। এ অবস্থায় আল্লাহপাক জিব্রাইলকে দিয়ে
জয়ের সুসংবাদ জানিয়ে দিতেন তাঁর প্রিয় হাবিবকে যাতে মুসলিমদের মনে সাহস আসে।
.
→সূরা আনফালে তার সম্পর্কে আয়াত রয়েছে নিম্নরূপঃ
“হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। এখন বোঝা হালকা করে দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর এবং তিনি জেনে নিয়েছেন যে, তোমাদের মধ্য দূর্বলতা রয়েছে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যদি দৃঢ়চিত্ত একশ লোক বিদ্যমান থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর উপর। আর যদি তোমরা এক হাজার হও তবে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী জয়ী হবে দু’হাজারের উপর আর আল্লাহ রয়েছেন দৃঢ়চিত্ত লোকদের সাথে।
( Sura Anfaal: 65,66 )
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺣَﺮِّﺽِ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻘِﺘَﺎﻝِۚ ﺇِﻥ ﻳَﻜُﻦ
ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻋِﺸْﺮُﻭﻥَ ﺻَﺎﺑِﺮُﻭﻥَ ﻳَﻐْﻠِﺒُﻮﺍ ﻣِﺎﺋَﺘَﻴْﻦِۚ ﻭَﺇِﻥ ﻳَﻜُﻦ ﻣِّﻨﻜُﻢ
ﻣِّﺎﺋَﺔٌ ﻳَﻐْﻠِﺒُﻮﺍ ﺃَﻟْﻔًﺎ ﻣِّﻦَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﻮْﻡٌ ﻟَّﺎ ﻳَﻔْﻘَﻬُﻮﻥَ
[ ٨ : ٦٥ ]
ﺍﻟْﺂﻥَ ﺧَﻔَّﻒَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨﻜُﻢْ ﻭَﻋَﻠِﻢَ ﺃَﻥَّ ﻓِﻴﻜُﻢْ ﺿَﻌْﻔًﺎۚ ﻓَﺈِﻥ ﻳَﻜُﻦ
ﻣِّﻨﻜُﻢ ﻣِّﺎﺋَﺔٌ ﺻَﺎﺑِﺮَﺓٌ ﻳَﻐْﻠِﺒُﻮﺍ ﻣِﺎﺋَﺘَﻴْﻦِۚ ﻭَﺇِﻥ ﻳَﻜُﻦ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﺃَﻟْﻒٌ
ﻳَﻐْﻠِﺒُﻮﺍ ﺃَﻟْﻔَﻴْﻦِ ﺑِﺈِﺫْﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼَّﺎﺑِﺮِﻳﻦَ [ ٨ : ٦٦ ]
এছাড়া সূরা ইউসূফের শেষের দিকে ১০২ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলেছেন- “এগুলো অদৃশ্যের খবর, আমি আপনার কাছে প্রেরণ করি। আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন তারা স্বীয় কাজ সাব্যস্ত করছিল এবং
চক্রান্ত করছিল”। ( Yusuf: 102 )
ﺫَٰﻟِﻚَ ﻣِﻦْ ﺃَﻧﺒَﺎﺀِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻧُﻮﺣِﻴﻪِ ﺇِﻟَﻴْﻚَۖ ﻭَﻣَﺎ ﻛُﻨﺖَ ﻟَﺪَﻳْﻬِﻢْ ﺇِﺫْ
ﺃَﺟْﻤَﻌُﻮﺍ ﺃَﻣْﺮَﻫُﻢْ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﻤْﻜُﺮُﻭﻥَ ﴿١٢ : ١٠٢﴾
মক্কার ইহুদীরা রাসূল (সাঃ) কে বিপদে ফেলার জন্য অনেক জটিল জটিল প্রশ্ন করতো। তারা একবার প্রশ্ন করেছিল- “আপনি যদি সত্যিই আল্লাহর নবী হন, তবে বলুন ইয়াকুব পরিবার সিরিয়া থেকে মিসরে কেন স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং ইউসুফ (সাঃ) এর ঘটনা কি ছিল?” এসব ঘটনা তাওরাতে বর্ণিত ছিল। আর ইহুদীরা
ভাবতো মুহাম্মদ (সাঃ) নিরক্ষর। তাই তাওরাত থেকে এসব জিনীস জেনে নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।
কিন্তু আল্লাহ পাক ওহীর মাধ্যমে ইউসুফ (আঃ) ও তার পরিবার সম্পর্কে এত সুন্দর এবং বিস্তারিত বর্ণনা দিলেন যে, ইহুদীরা আশ্চর্য হয়ে গেল। প্রকৃতপক্ষে রাসূল (সাঃ) এর কাছে হযরত ইউসুফ (আঃ) এর ঘটনা ছিল হাজারো বছরের পুরনো যা একমাত্র ওহী ছাড়া কোন ক্ষমতা বলেই জানা সম্ভব ছিল না। তাই সূরার শেষে আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবিবকে সম্বোধন করে বলতেছেন –“ ﺃَﻧﺒَﺎﺀِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻧُﻮﺣِﻴﻪِ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ” অর্থাৎ এসব কাহিনী গায়েবের অন্তর্ভুক্ত যা আমি আপনাকে দিয়ে থাকি। যখন ইউসুফেকে তাঁর ভাইয়েরা কূপে নিক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত বা কলাকৌশল করছিল তখন আপনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এছাড়া পবিত্র ক্বোরআন আরো বলছে- এ হলো গায়েবী সংবাদ, যা আমি আপনাকে পাঠিয়ে থাকি। আর আপনি তো তাদের কাছে ছিলেন না, যখন প্রতিযোগিতা করছিল যে, কে প্রতিপালন করবে মারইয়ামকে এবং আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন তারা ঝগড়া করছিলো। (Aali Imraan: 44)
ﺫَٰﻟِﻚَ ﻣِﻦْ ﺃَﻧﺒَﺎﺀِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻧُﻮﺣِﻴﻪِ ﺇِﻟَﻴْﻚَۚ ﻭَﻣَﺎ ﻛُﻨﺖَ ﻟَﺪَﻳْﻬِﻢْ ﺇِﺫْ
ﻳُﻠْﻘُﻮﻥَ ﺃَﻗْﻠَﺎﻣَﻬُﻢْ ﺃَﻳُّﻬُﻢْ ﻳَﻜْﻔُﻞُ ﻣَﺮْﻳَﻢَ ﻭَﻣَﺎ ﻛُﻨﺖَ ﻟَﺪَﻳْﻬِﻢْ ﺇِﺫْ
ﻳَﺨْﺘَﺼِﻤُﻮﻥَ ﴿٣ : ٤٤﴾
এরকম হাজারো ঘটনা আছে যেখানে আল্লাহ তায়ালা ওহীর মাধ্যমে তাঁর প্রিয় হাবিবকে সাহায্য করেছেন।
এসব বিষয় দুনিয়ার কেউ জানত না, জানত শুধু মুহাম্মদ (সাঃ) একজন। মূলত প্রিয় রাসূল (সাঃ) যে আল্লাহর নবী তা কফেরদের বিশ্বাস করানোর জন্য এটা ছিলো আল্লাহ তায়ালার কৌশল। এটাকেই অনেকে গায়েব হিসেবে জানে। কিন্তু এটা কি আসলে গায়েব? এটা গায়েব হলে ওহী কোনটা? তাছাড়া এসব বিষয় গায়েব হয়ে থাকলে সেই গায়েবতো রাসূল (সাঃ) এর আগে হযরত জিব্রাইল (আঃ) জানতেন। মূলত এসব বিষয় রাসুল (সাঃ) ওহীর মাধ্যমে জানতেন। আর নবী রাসূলের কাছে আল্লাহ তায়ালা ওহী পাঠাবেন তাতো স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ ওহী ছাড়া নবী হয় না।
.
সুতরাং এ বিষয়ে বিতর্ক না করে বরং কোরআনের আয়াতগুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাই হবে মু’মিনদের ঈমানি দায়িত্ব।আল্লাহ্‌ আমাদের বুঝার তাওফিক দিন। আমীন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
back to top